খুলনা
বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে পঞ্চায়েত ভোটের কারণে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে একদিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে স্বাভাবিক থাকবে যাত্রী পারাপার।
শনিবার সকাল থেকেই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের কারণে শনিবার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন ওপারের পেট্রাপোল বর্ডার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সমরেন্দ্র দাস।
সমরেন্দ্র দাস বলেন, ‘শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের কারণে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। এতে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভোটের কাজে নিজ নিজ এলাকায় থাকবেন। তাই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ’
তবে পেট্রাপোল কাস্টমস ও বন্দরের কাজ বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল বন্দরে আগুন লেগে পণ্যসহ ৩টি ট্রাক ভস্মীভূত
২’য় দিনের মতো পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
খুলনায় বাসচাপায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত
খুলনায় বাসচাপায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই নারীর স্বামীও। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর লবণচরা থানার সাচিবুনিয়া বিশ্বরোড মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার আব্দুল আলীমের স্ত্রী। তারা দাকোপ উপজেলায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
লবণচরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর জানান, বিকালে মোটরসাইকেলযোগে জিরোপয়েন্টের দিকে যাচ্ছিলেন সোনিয়া আক্তার ও আব্দুল আলীম দম্পতি। এ সময় পেছন থেকে একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে চালকের স্ত্রী রাস্তার ওপর পড়ে গেলে বাসটি তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের সঙ্গে থ্রি-হুইলারের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর পর বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ বলেও জানান এসআই।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
কুষ্টিয়ায় গরু চুরির সালিশে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গরু চুরির সালিশে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরসাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, সালিশে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ চরসাদীপুরের চেয়ারম্যানসহ ৮ থেকে ১০ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
আহতদের মধ্যে চরসাদীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মালেক ৩৫), কালু ড্রাইভার (৫০), হেলাল উদ্দিন (৪০), সুফি মন্ডল (৩৭), মাসুম (২৬), মনসুর (২৯) ও মিঠুনকে (২৯) পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরসাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী বলেন, গরু চুরির সালিশ চলছিল তার পরিষদে। হঠাৎ মারামারি শুরু হয়। কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
তাকে জনগণ পরিষদে অবরুদ্ধ করে রেখেছে উল্লেখ করে তিনি সার্বিক পরিস্থিতি মুঠোফোনে পুলিশকে জানিয়েছেন।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর দাস বলেন, তিনি খবর পেয়ে চরসাদীপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে, ‘বর’ ও ঘটককে কারাদণ্ড
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জেলার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের কানাইনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাদরাসা শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান (৫৯) মহম্মদপুরের কানাইনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মাস্টারের ছেলে। তিনি উপজেলা সদরের বরকতিয়া বিএসএআর দাখিল মাদরাসার জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
আছাদুজ্জামানের বড় ছেলে হামিম শেখ জানান, মা বাড়িতে না থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাইস কুকারে ভাত রান্নার সময় ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগে বিঘ্ন ঘটে।
আছাদুজ্জামান তা মেরামত করার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে আছাদুজ্জামানকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাবাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলে হামিমও আহত হয়েছেন।
মহম্মদপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আক্তার কাফুর উজ্জ্বল দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে আম পাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে ‘অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে’ গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের জিরোপয়েন্ট থেকে পানামা ওয়্যারহাউজ পর্যন্ত সড়কটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে তারা আরও জানিয়েছেন, বেহাল ও অনুপযোগী সড়কটি অতিদ্রুত চলাচল উপযোগী করতে হবে। না হলে যেকোন সময়ে বাংলাদেশে সকল ধরণের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে সরকার হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক হিলি চেকপোস্টের জিরো পয়েন্ট থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সোয়া ২ কিলোমিটার সড়কটি চারলেন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেট পাস জটিলতা: দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
এর ফলে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সিসিঢালাইযুক্ত কাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই সংশ্লিষ্ট ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠিান নির্মাণ কাজ করা নিয়ে গড়িমসি করে আসছে।
একমাস কাজ করলে আবার ৩ মাস না করেই ফেলে রাখে। ফলে বন্দরের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন এবং পথচারী ও বিভিন্ন যান চলাচল চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে আসছে। চলতি বর্ষায় এই ভোগান্তি আরও চরম আকার ধারণ করেছে।
মাঝে-মধ্যেই ভারতীয় ও বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে করে বন্দরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আহত হচ্ছে ট্রাক চালক ও পথচারীরা।
এই অবস্থায় ভারতের ব্যবসায়ীরা সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে ভারতের হিলি হিলি এক্সপোটার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজেশ আগরওয়ালা জানান, আমরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে বলেছি, হিলি স্থলবন্দরের চেকপোস্ট গেট থেকে পানামা হিলি পোর্ট লিংক লি. এর গেট (পানামা ওয়্যাহাউজ) পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে।
সড়কটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে আমাদের চালক ও সহকারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক (লড়ি) চালাচ্ছেন। প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে গিয়ে উল্টে পড়ছে।
আবার মাঝে-মধ্যে বিকল হয়ে যাচ্ছে। ফলে ট্রাকের যেমন বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি চালক ও সহকারীরা আহত হচ্ছেন।
এতে করে দুই দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় ট্রাক চালক ও সহকারীরা রপ্তানি পণ্য নিয়ে হিলি দিয়ে বাংলাদেশে যেতে চাইছেন না।
আমরা ব্যবসায়ী, ট্রাক মালিক ও চালকদের পক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছে দাবী জানাচ্ছি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি পুনর্র্নিমাণ কাজ শেষ করে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে উপযোগী করতে হবে। না হলে যেকোন সময়ে বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
হিলি-হাকিমপুর নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চারলেনে উন্নীত করার জন্য আমরা হিলিবাসী দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে আসছি।
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এরই প্রেক্ষিতে সরকার হিলি চেকপোস্টের জিরোপয়েন্ট থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সোয়া ২ কিলোমিটার সড়কটি চারলেন করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ডিসেম্বরে কাজ শুরুর পর থেকে ঠিকাদার বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে।
একটু কাজ করলে আবার ৩/৪ মাস উধাও। ফলে আমাদের চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা চাই সরকারের এই উন্নয়ণমুলক সড়কের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা হোক।
হিলি স্থলবন্দর ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখেছে। কাজ তারা নিয়ে চরম গাফিলতি করছে। এখন বর্ষাকাল সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা না হলে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যে চরম বিপর্যয় দেখা দিবে।
তাই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি।
বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি।
চিঠিতে তারা উল্লেখ করে বলেছেন, হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এ কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সড়কটি সংস্কার করা জরুরি।
যদি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া না হয় তাহলে তারা বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সড়কটি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
হিলি-হাকিমপুর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী জানান, হিলি স্থলবন্দরের সড়কটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সোমবার আমরা হিলিবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বন্দরের চারমাথায় মানবন্ধনসহ সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলাকার স্বার্থে সকলকে এই কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনফ সরকার জানান, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে শেষ হওয়া সড়কের চারলেনের মধ্যে দুই লেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এতে সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। ঈদের ছুটির জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে। আজ-কালের মধ্যে কাজ শুরু হবে। তবে ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কোনো লোকজনকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঈদে ৬ দিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
মাগুরায় বিভিন্ন স্থানে একই ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৩
মাগুরার মহম্মদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালিশংকরপুর ও যশোবন্তপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি মিজানুর বিশ্বাস যশোবন্তপুর গ্রামের মৃত ইয়াছিন বিশ্বাসের ছেলে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন জানান, একটি কাভার্ডভ্যান উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিশংকরপুর সুইসগেট এলাকায় এসে মাহাবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এরপর কালিশংকরপুর নতুন বাজার এলাকায় এসে কাবুল মোল্যা নামে আরেক ব্যক্তিকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিভিন্ন স্থানে একই ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৩
তিনি আরও জানান, বরাবরই স্থানীয়রা গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ খবর পেয়ে যশোবন্তপুর পশ্চিম পাড়া রাজু বিশ্বাসের বাড়ির সামনের সড়কে মিজানুর বিশ্বাস নামে এক যুবক কাভার্ডভ্যানটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে ঘটনাস্থনে তাকে পিষ্ট করে গাড়িটি। এ সময় ওই গ্রামের আকরাম মোল্যা নামে আরও এক ব্যক্তি আহত হয়।
পরে গাড়িটি ঝামা বাজার এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন ড্রাইভার সোহেল রানাসহ গাড়িটিকে আটক করে। স্থা্নীয়রা সোহেল রানাকে মারধর ও গাড়িটি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে এসে ড্রাইভার ও গাড়িটি জব্দ করে।
কাভার্ডভ্যানটি ড্রাইভার সোহেল রানা পার্শবর্তী নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ছাইমনারচর গ্রামের দাউদ মোল্যার ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গুরুতর আহত মিজানুর বিশ্বাসকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। অপরদিকে গুরুতর আহত মাহাবুর রহমান লোহাগড়া এবং অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি বলেন, ড্রাইভার ও কাভার্ডভ্যানটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৩
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভার কলেজপাড়ার নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে সাড়ে তিন বছর বয়সী এক মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় ঢাকনাবিহীন ড্রেনের পানি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
নিহত শিশু সামিয়া কলেজপাড়ার প্যাকেট ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামানের মেয়ে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় শিশু সামিয়া কলেজপাড়া সড়কে তার বাবার দোকানের সামনে খেলছিল। একা খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে বাড়ির সামনে পৌরসভার নির্মাণাধীন ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পড়ে যায় সে। এ সময় তাকে অনেক খুঁজেও না পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে ড্রেনের খোলা জায়গা থেকে বাঁশ দিয়ে পানি নাড়াচাড়া করলে ভাসমান অবস্থায় সামিয়ার দেহ দেখতে পায় তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন তিনি।
নাম না প্রকাশ করে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে সড়কের পাশে নির্মাণ করা ড্রেনের উপরে অনেক স্থানে দীর্ঘদিনও ঢাকনা (স্ল্যাব) দেওয়া হয়নি। পূর্বেও ঢাকনাবিহীন এই ড্রেনের উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খুলনায় কাঁশবনে মিলল যুবতীর লাশ
খুলনায় এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে নগরীর রায়েরমহল আন্দিরঘাট ব্রিজ এলাকার কাঁশবন থেকে হরিণটানা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে আখিঁ আক্তারকে হত্যা করতে পারে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: পাবর্তীপুরে কাউন্সিলরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
নিহত আখিঁ আক্তার (২৭) বগুড়া সদরের চক ফরিদ গ্রামের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবুল হোসেনের মেয়ে।
খুলনা নগরীর হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) রঞ্জন কুমার গাইন জানান, আজ দুপুর ১টার দিকে স্থানীয়রা আন্দিরঘাট ব্রিজ এলাকার কাঁশবনে এক যুবতীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, নিহত যুবতীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পাশবিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
রঞ্জন কুমার গাইন জানান, প্রথমে মারা যাওয়া যুবতীর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে নিহত যুবতীর আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তার পরণে কালো সেলোয়ার কামিজ ও কালো বোরখা ছিল। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে কে বা কারা এবং কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার দক্ষিণ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নিহত নারী ওই এলাকার বাসিন্দা নয়, অন্য এলাকা থেকে তাকে এনে কাঁশবনের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথার তালু বরাবর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে একই রশিতে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ‘চুরির সময়’ মালামালসহ ৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পু্লিশ। সোমবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টার সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিএফসিএল এর নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের উত্তর কোনায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে পারভেজ শেখ (২৪), আবু জাফরের ছেলে সালাম শেখ (৩৫) এবং মো. ইয়ামিন শেখের ছেলে ধলু শেখ (২৪)।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টার সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিএফসিএল এর নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের উত্তর কোনায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশে কয়েকজন ব্যক্তি তামার তারসহ মালামাল নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় ৪০ কেজি তামার তার, বিভিন্ন প্রকারের পাইপ ও লোহার ২০০ কেজি মালামাল উদ্ধার করা হয় এবং এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার ৬
চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদকের টাকা না পেয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে এক যুবকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ জুলাই) পৌর শহরের এরশাদপুরে নিজ বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আমিনুল হক মুক্ত (৩৪) আলমডাঙ্গা পৌর শহরের এরশাদপুর গ্রামের মৃত শমসের মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ শ্বশুরবাড়ি এরশাদপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিল মুক্ত। তিনি কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন এবং প্রায়ই মাদক সেবনের জন্য শাশুড়ি ও স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিতেন।
সোমবারও মুক্ত তার স্ত্রীর কাছে টাকা চান। স্ত্রীর কাছে টাকা না পেয়ে তিনি সোমবার সকালে নিজ ঘরের আড়ায় গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিকলীতে গলায় রশি দিয়ে ৬৫ বছর বৃদ্ধের আত্মহত্যা
কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!