খুলনা
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু ও ১ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার খোকসায় মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ওরফে লতিফকে (৩০) গলা কেটে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে আমৃত্যু ও এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুনচি গ্রামের মৃত ফয়েজ শেখের ছেলে মজিবর শেখ (৩৭) ও কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার তোফাজ্জেল আলীর ছেলে ফজলু (৩৫)।
দণ্ডপ্রাপ্ত খুশি বেগম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মজনু শেখের স্ত্রী।
জানা গেছে, রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুশি বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফজলু ও মজিবর পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আজিম সর্দারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:ড্রামট্রাকের ধাক্কায় কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সেদিন বিকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরের দিন ১৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মাঠে পাটখেতের মধ্যে মস্তকহীন নজরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নজরুলের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চুরি করতে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরের দিন ১৮ জুলাই নিহতের বড়ভাই ও রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সজিরদ্দিন শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ বাদি হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড সেই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি আজিমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
সাভার থেকে অপহরণের ৩ দিন পর কুষ্টিয়া থেকে শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত
খুলনার পাইকগাছায় মোটর সাইকেলের ধাক্কায় আব্দুল হাকিম গাজী (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাকিম উপজেলার পুরাইকাটি গ্রামের মৃত মাদার গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৯৮ জন নিহত
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানান, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের সড়কে এলাকার কোনাই গাজীর ছেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাক্কা দিলে সাইকেল থেকে হাকিম ছিটকে পড়ে তার মাথা ফেটে যায়। কান, মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তাৎক্ষণিক তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নিহত
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
খুলনার তেরখাদায় আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামসহ ১৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রবিবার খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট রাতে তেরখাদা উপজেলার পহরডাঙ্গা গ্রামের পিরু শেখ ও তার পরিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে সিধ কেটে নিহতের ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। অন্যান্য সদস্যদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দেয় তারা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
এ সময় উপস্থিত আসামির মধ্যে আব্দুর রহমান হুকুম দিয়ে বলে পিরুকে কুপিয়ে শেষ করে দে। ওর জন্য আমি চাকরি হারিয়েছি। এ কথা বলার সাথে সাথে আসামি সাইফুল হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে পিরুর মাথায় কোপ দেয়। পরে অন্যান্য আসামিরা পিরুকে এলোপাতাড়িভাবে কুপাতে থাকে। ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রী চিৎকার করতে থাকলে পাশের ঘর থেকে ছেলে নাইম বাবাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাকে আসামি হাবিবুর ও জিয়ারুল চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে নাইমের মৃত্যু হয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর পিরু শেখকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিরু মারা যান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনায় নিহত পিরুর স্ত্রী দু’দিন পর বাদী হয়ে তেরখাদা থানায় স্বামী ও সন্তান হত্যার অভিযোগে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
খুলনা রেল স্টেশনে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর, দর্শনার্থীদের ভিড়
খুলনা মহানগরীর অত্যাধুনিক রেল স্টেশনের উত্তর প্রান্তে ট্রেনের একটি বগিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে স্থানীদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। জাদুঘরের এই চিত্র প্রর্দশনী উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মের পথচলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয়োজনে খুলনা স্টেশনে শনিবার থেকে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমান জাদুঘর স্থাপন করা হয়। চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: 'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন
জানা গেছে, রেলের একটি বগির ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের ২০টিরও বেশি ছবি স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাল্যকাল, বিবাহিত জীবন, মিশনারী স্কুল, রোজ গার্ডেন, ভারতের মহত্মা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু, প্রভাত ফেরীতে মওলানা ভাষানীর সঙ্গে, চশমা, ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের মন্ত্রিসভা, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একে ফজলুল হকের সঙ্গে, ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা মামলা থেকে মুক্তি, ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধির ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ এই জাদুঘর আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দৌলতপুরে, ১২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর নওয়াপাড়া এবং ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর যশোরের দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ড্রামট্রাকের ধাক্কায় কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
কুষ্টিয়ায় ড্রামট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে শহরতলীর এলজিইডি ভবনের সামনে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার ঘটে।
এই ঘটনায় চালককে আটক এবং ট্রাকটি জব্দ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চবির শিক্ষক নিহত
নিহত নিহত মনিরুল ইসলাম মনু (৩৭) সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। তিনি বিআরবি গ্রুপের অঙ্গ সহযোগী প্রতিষ্ঠান কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের হিসাব রক্ষক।
আরও পড়ুন: বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে খুলনায় ১ ভাই নিহত, অপর ভাই আহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে ডিউটি শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন মনিরুল। পথে শহরের এলজিইডি ভবনের সামনে নিমার্ণাধীন কালভার্টের কাছে পৌঁছালে ড্রামট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এসময় স্থানীয়ারা ধাওয়া করে ড্রাম ট্রাক ও চালককে আটক করে পুলিশের কাছে সৌপর্দ করে।
আরও পড়ুন: সাজেকে চাঁদের গাড়ি উল্টে ব্যবসায়ীসহ নিহত ২
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো দেলোয়ার হোসেন খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মনিরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, মা ও শিশু গুরুতর আহত
পারিবারিক কলহের জেরে শিশু সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী এক নারী ও তার শিশু গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সুমি খাতুন (৩০)কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার সি ব্লকের সাপ্পীরুল ইসলাম (সাপ্পী)র স্ত্রী। আহত শিশু সুরভী ওই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। এছাড়াও তাদের ৮ বছর বয়সী আরও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আহতের স্বজনরা জানায়, প্রায় এক যুগ আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামের সুমির সঙ্গে সাপ্পীর বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে সুমির মাঝে মধ্যেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। শনিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে সুমি তার চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যান। পরে শহরের ধোপাপাড়া বড়স্টেশন এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেন ফরিদপুর থেকে দর্শনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এসময় হঠাৎ করে একটি শিশু সন্তানকে কোলে নিয়েই এক নারী ওই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। তবে ভাগ্যক্রমে ওই নারী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একপাশে পড়ে যান। এতে শিশুটির এক হাত ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে দেহ থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও মা ও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির বিচ্ছিন্ন হওয়া বাম হাতের ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। শিশুটি ও তার মায়ের হাত, পা ও মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় শনিবার সকাল ৯ টার দিকে মা ও মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত শিশুর বাম হাত কনুইয়ের নিচের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মা ও মেয়ে দুজনকেই প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মো. মনজের আলী বলেন, সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী মালবাহী ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় বাবা গ্রেপ্তার
সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘ব্ল্যাকমেইল’
গড়াই নদীতে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ১
কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীতে নৌকাবাইচ চলাকালীন নৌকাডুবে একজন নিখোঁজ এবং দুজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালের দিকে কুষ্টিয়ার শহরের ঘোড়ারইঘাট এলাকায় গড়াই নদে নৌকাটি ডুবে যায়।
আহতরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাহাদুরখালি গ্রামের করিম শেখের মেয়ে রুমা বেগম (৩৫) এবং একই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সালামত শেখের ছেলে রব্বানী (৩৬)।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
তবে নিখোঁজ যাত্রীর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালের দিকে গড়াই নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা চলছিল। এ সময় নদীর তীরে হাজারো মানুষের ঢল নামে। পরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে দর্শনার্থীদের একটি নৌকা ডুবে গিলে সকল যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একজন যাত্রী নিখোঁজ হন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
এঘটনায় আরও দুজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবি: স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী নিখোঁজ
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, নিখোঁজ যাত্রীকে উদ্ধারে কাজ করছেন কর্মীরা।
নিখোঁজ মাকে ফিরে পেতে ৬ সন্তানের আকুতি
‘মা তুমি কোথায়? ফিরে এসো মা, ফিরে এসো। হে আল্লাহ তুমি মায়ের সন্ধান মিলিয়ে দাও।’ এভাবেই আকুতি জানিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছে নিখোঁজ রহিমা বেগমের (৫২) ছয় সন্তান। তারা মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সাতদিন ধরে।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৭ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ির নিজ বাড়ি থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রহিমা। পরে নিকটাত্মীয়সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়েও মায়ের খোঁজ পাচ্ছেন না সন্তানরা। থানায় মামলা ও সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিয়মিত।
নিখোঁজ রহিমা নগরীর দৌলতপুর থানার উত্তর বণিকপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী।
রহিমা খাতুনের সন্তানরা বলেন, গত শনিবার রাতে আকস্মিকভাবে মা নিখোঁজ হয়। বাড়ির নিচতলায় পানির পাত্র, পায়ের জুতা, ওড়না সব কিছু পড়ে ছিল কিন্তু মাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ ও আদালতে মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে প্রতিবেশীরা বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনার ভিডিও করলে সন্ত্রাসীরা বোন ও মাকে মারধর করে। মাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। এ ঘটনায় তাদের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিল। প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীরা অচেনা নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল।
নিখোঁজ রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ এম এ সাদী বলেন, মা নিখোঁজের পর ওই রাতে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন তার বোন আদুরি খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। এছাড়া বিষয়টি র্যাবকেও জানানো হয়েছে। সাতদিন হয়ে গেল মায়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছোট বোন রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার লাগাচ্ছে মাকে খুঁজে পেতে। মাকে ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঋণের টাকা আনতে গিয়ে খুলনায় নারী নিখোঁজ
মেঘনায় নৌকাডুবি: নিহত ১, নারী নিখোঁজ
খুলনায় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৫
খুলনার ডুমুরিয়ায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, তিনটি হাতুড়ি, একটি করে কুড়াল ও দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পাঁচজনকে আটকের দাবি করেছে র্যাব।
আটকরা হলেন-সাইফুল ইসলাম সরদার বাবু ওরফে কিলার বাবু, আকরাম আলী খান (৪২), আশিকুর রহমান (৩৩), আতাউর রহমান খাঁ (৩২) ও মুরছালিন কাজী (৪৪)। তাদের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলায়।
আরও পড়ুন: পাবনায় আ’লীগ নেতার গাড়িবহর থেকে অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১
র্যাব-৬ এর সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আমান বান্না জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য আটক
তাদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
কুষ্টিয়ার গড়াই নদে শুক্রবার থেকে দুই দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে কুমারখালী উপজেলার কয়া এবং শহরের ঘোড়া ঘাট এলাকায় গড়াই নদে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম। কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাঝিসহ ১২টি দল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে পুরস্কার হিসেবে তিনটি আলাদা আলাদা ব্রান্ডের মোটরসাইকেল দেয়া হবে।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন