রাজশাহী
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার
রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হেতেমখাঁ পানির টাঙ্কি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার কেরামত আলী নগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, বেআইনীভাবে সমাবেশ করা, পুলিশের ওপর আক্রমণ করাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অপরাধে নতুন একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি এই জামায়াত নেতা দলকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠক করেছেন। নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে।
কেরামত আলীকে জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিএনপির ৭ নেতাকর্মী আটক
রাজশাহীতে অস্ত্র বিক্রি করতে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার ২
র্যাব হেফাজতে মৃত্যু: জেসমিনের ছেলে ও ভগ্নিপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ
র্যাবের হেফাজতে নিহত নওগাঁ ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাবের তদন্ত দল।
সোমবার দুপুরে জেসমিনের ছেলে শহীদ হোসেন সৈকত ও তার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলামকে নওগাঁ সার্কিট হাউসে নিয়ে গিয়ে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত দল।
জেসমিনের ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জেসমিনের মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনে নয়: চিকিৎসক
আমিনুল ইসলাম জানান, র্যাব সদস্যদের হাতে আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ২২ মার্চ জেসমিনকে প্রথমে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমি এবং জেসমিনের ছেলে সৈকত জেসমিনের সঙ্গে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলাম, তাই র্যাব কর্মকর্তারা এই সময়ের মধ্যে যা ঘটেছে তা জানতে চেয়েছিলেন। এছাড়া তদন্ত দল আমাদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়েছে।
তবে মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু বলেননি জেসমিনের ছেলে।
এর আগে জেসমিনের মৃত্যুর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পায় রাজশাহী পুলিশ।
এর আগে গত রবিবার বিকালে সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন রামেক হাসপাতালের ফরসেনিক বিভাগ।
রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী সুলতানা জেসমিন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গেছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘ব্রেন হেমারেজের কারণে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কোনো লক্ষণ নেই।’
এছাড়া আদালতে প্রতিবেদন পৌঁছানোর আগে ‘স্পর্শকাতর’ এই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
এদিকে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড ২৫ মার্চ জেসমিনের মৃত্যুর পর আরএমসিএইচ মর্গে ময়নাতদন্ত করে।
এছাড়া ২৭ মার্চ পুলিশ রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তলব করেন হাইকোর্ট।
এদিকে সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা র্যাব সদস্যদের বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে সংবাদপত্রের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানাকে ২২ মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের মুক্তিমোড় এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা আটক করে এবং ২৪ মার্চ রামেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এলিট ফোর্স।
তারা দাবি করেছে যে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারণ তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পাননি হলমার্কের জেসমিন
র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না: মোমেন
নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে এতিম শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীকে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপাপ্ত রাজা হোসেন লালপুর উপজেলার ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন,২০০২ সালের ৩ জুলাই লালপুর উপজেলার ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামের রাজা হোসেন নামে এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাশের কচুয়া গ্রামের ১৩ বছরের এতিম শিশুকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার চাচি বাদি হয়ে মামলা করলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
নাটোরের সিংড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত ওনারীসহ আহত হয়েছে আরও তিনজন। রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান (৪৫) সিংড়া উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সিংড়া থানার পরিদর্শক তদন্ত রফিকুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সিংড়া উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমানের সঙ্গে ফসলি জমি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল করিমের বিরোধ চলছিল। রবিবার ইফতারের পর আব্দুল করিমের লোকজন আচমকা প্রতিবেশির ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও জানায়, এতে নারীসহ পরিবারের চারজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাত ২টায় রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রহমানের মৃত্যূ হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৪
রাজশাহীতে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
রাজশাহীতে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
রাজশাহীর বাগমারায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার (০১ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার শিকদারি-আত্রাই রোডে এই সংঘর্ষ ঘটে।
নিহত মিলন হোসেন (২০) ওই উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের ছোট সাকোঁয়া গ্রামের বাহাদুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়রা জানায়, শিকদারী বাজার দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল মিলন। সেসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয় এবং ট্রাকের নিচে পড়ে যান তিনি। সংঘর্ষের পর স্থানীয় লোকজন রাস্তা অবরোধ করে। রাস্তা অবরোধের ঘটনায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষের পরপরই বাগমারা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী
নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী খট খট শব্দে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত সময় পার করছে তাঁত শ্রমিকেরা। দিনরাত তাঁতের মাকুর শব্দে মুখরিত তাঁত এলাকা।
বর্তমানে বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁতমালিকরা।
জানা যায়, পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁত কারখানায় তৈরি হচ্ছে বেনারসি, সিল্ক, রেশমী, কটন, জামদানি ও কাতান শাড়ি।
এতে আধুনিক ও শৈল্পিক কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাহারি নকশা এবং বিভিন্ন সাইজের গামছা ও লুঙ্গিও তৈরি হচ্ছে।
বিশেষ করে জেলার তাঁত সমৃদ্ধ বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁতপল্লীতে বাহারী নকশার শাড়ি তৈরি জমে উঠেছে।
এছাড়া বৈশাখের আবহে শাড়িতে ঢাক-ঢোল ও ইলিশসহ বিভিন্ন রকমের দৃষ্টিকাড়া ছবি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাসব্যাপী তাঁত-বস্ত্র ও ক্ষুদ্র শিল্প মেলা শুরু
তবে স্থানীয় তাঁত মালিকেরা বলছেন, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কাপড়ের বাজার তেমন জমে ওঠেনি। এমনকি উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজারজাত করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। রং ও সুতার বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে জেলার ঐতিহ্যবাহী এই তাঁতশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।
এদিকে এ জেলায় তাঁতের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ।
প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা-পার্বণে কাপড়ের চাহিদা বাড়ে। এ কারণে তাঁতপল্লীতে কাজের চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হলেও তাঁত পল্লীগুলো কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই ফরিয়া ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে।
এনায়েতপুরের শাড়ি তৈরির অনেক ব্যবসায়ী জানান, শাড়ি তৈরির জন্য নরসিংদীর বাবুরহাট থেকে গজ হিসেবে সাদা কাপড় কিনে আনা হয়। পরে ওই কাপড়ে প্রিন্টিংয়ের কাজ করে বাজারে তোলা হয়।
তাঁত শ্রমিকেরা বলেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাড়তি আয় করার জন্য দিনরাত কাজ করছেন। এজন্য দিনপ্রতি নির্ধারিত পারিশ্রমিকও পেয়ে থাকি এবং এ পারিশ্রমিক এখন বাড়তি আয় বলেও দাবি করেন।
বৈশাখের শাড়ি ও তাঁত ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্চ মাসের শুরু থেকে পহেলা বৈশাখের আগের রাত পর্যন্ত চলে প্রিন্টিংয়ের কাজ। ঢাকার গাউছিয়া, ইসলামপুর, টাঙ্গাইলের করটিয়া, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও পাবনার আতাইকুলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কারখানা থেকে শাড়ি নিয়ে যায়।
বর্তমানে বাজারে বৈশাখী শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শ্রমিকদের বেতন, রং ও অন্যান্য খরচ শেষে শাড়িপ্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে।
তাঁত মালিকরা বলছেন, বর্তমানে করোনা না থাকায় আবারো তাঁতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। তবে দীর্ঘদিন লোকসানের মুখে থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছে অধিকাংশ তাঁত মালিক।
এদিকে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে নতুন করে কাজ শুরু করলেও রং-সুতা সহ সব উপকরণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। আর এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক।
সরকার কৃষি উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দিলেও বস্ত্র শিল্পে ভর্তুকির এখনও কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’: মন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে বন্যায় তাঁত শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি
জয়পুরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২
জয়পুরহাটের পৃথক দুটি স্থানে আন্তঃনগর একই ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধাসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে সদর উপজেলার তেঘর এবং পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা রেললাইনের ওপর এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহত দুর্গা রানী (৭১) জয়পুরহাট পৌর শহরের চিত্রা পাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তবে পাঁচবিবির বাগজানাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির (৪৬)পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা এলাকায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, জয়পুরহাট সদরের তেঘর এলাকায় দুর্গা রানী নামে এক বৃদ্ধা ওই একই ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
গোপালগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলশিক্ষক নিহত
মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত বৃদ্ধা নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের বারঘরিয়া চামাগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃদ্ধা রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পরে আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ফরহাদ আকিদ রেহমান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। লাশ হাসপাতালেই রাখা আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দীন জানান, নিহত বৃদ্ধার পরিচয় শনাক্ত ও ঘাতক ট্রাক আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত
নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার শলোইপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রিপা খাতুন(২৭) ওই গ্রামের কবীর উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাগাতিপাড়া উপজেলার শলোইপাড়া গ্রামের কবীর উদ্দিনের পরকীয়ায় বাধা দিয়ে আসছিল রিপা খাতুন। এ নিয়ে বিরোধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তঃসত্ত্বা রিপাকে পিটিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় কবীর। প্রতিবেশিরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নিহতের পরিবার।
রিপার সংসারে ১১ ও পাঁচ বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলে জানায় তার পরিবার।
আরও পড়ুন: খুলনা আ. লীগ নেতা হত্যা: ৩১ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০১৬ সালে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং শিশু আইনে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সোহাগ (২৯) ও সাগর (২৭)। এদের দুইজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আটকাদেশ প্রাপ্তের নাম রনি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার ঢুলিয়া গ্রামে জলসার মেলা থেকে ১০ বছরের শিশুকণ্যাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে সোহাগ, সাগর ও রনি নামে তিনজন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক সোহগ ও সাগরকে যাবজ্জীবন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর আসামি রনিকে শিশু আইনে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড