সিলেট
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার ২টি ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে দুইটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ফ্লাইট দুইটি সিলেটে অবতরণ করে। এরমধ্যে একটি এসেছিল কাতারের দোহা থেকে ও অপরটি চীনের গুয়াংজু থেকে।
আরও পড়ুন: আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন লিমন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চীনের গুয়াংজু ও কাতারের দোহা থেকে ছেড়ে আসা দুইটি ফ্লাইট নির্ধারিত গন্তব্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। তাই ফ্লাইট দুইটি ডাইভার্ট হয়ে ওসমানীতে অবতরণ করে।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে গুয়াংজু থেকে আসা ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর দোহা থেকে আসা ফ্লাইট সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ওসমানীতে অবতরণ করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার নিজস্ব অর্থায়নে ট্রেইনি এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ
ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় দুবাই প্যাকেজ ঘোষণা
জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা, গাড়িতে আগুন
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সালাহউদ্দিন মিয়া।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ২, আহত ৭
ডা. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, গভীর রাতের হামলায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত হয়েছেন। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দ দেওয়া সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরসহ হাসপাতাল কক্ষ ভাঙচুর ও সম্পদ নষ্ট করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কর্তব্যরত ডাক্তারকে মারধর ও হাসপাতালের গ্যারেজে থাকা একটি নতুন জিপ গাড়িও জ্বালিয়ে দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রবাসী খুন
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, কর্তব্যরত ডাক্তারকে মারধর ও দুইটি গাড়ি গ্যারেজে ছিল। তারা গ্যারেজের তালা ভেঙে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেছেন আর অপরটি সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের আসবাবপত্র ও জরুরি বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে নিহতের স্বজনরা এমনটি করেছেন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
জেলের জালে ধরা পড়ল ৩০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ!
সিলেটের ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। মাছটি ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) উপজেলার শেরপুরে কুশিয়ারা নদীতে এক জেলের জালে ৩০ কেজি ওজনের এই বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: সুরমায় ধরা পড়লো ১০০ কেজি ওজনের বাঘাইড়!
পরে শুক্রবার রাতে সেই জেলের কাছ থেকে মাছটি কিনেন উপজেলার গোয়ালাবাজারে নিয়ে যান মাছ ব্যবসায়ী আনু মিয়া।
মাছ ব্যবসায়ী আনু মিয়া বলেন, এই বিশাল আকৃতির বাঘাইড় মাছটি দেখার জন্য গোয়ালাবাজারের দোকানে ভিড় জমে উঠে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতেই এক প্রবাসীর কাছে বাঘাইড় মাছটি ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সাগর তীরে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন ও বিপুল পরিমাণ মাছ
পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৩৫ কেজির বাগাড় মাছ
সিলেটে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে ছাত্রলীগের ৪ নেতা নিহত
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাংলা বাজার ব্রীজের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহসান, নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রনদিপ পালের ছেলে নিহাল পাল, নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে মেহেদী হোসেন তমাল ও নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ। তারা সকলেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রাইভেট কারে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, জৈন্তাপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালি উল্লাহ বদরুল জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা জৈন্তাপুর থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে জাফলং এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ৪ নম্বর বাংলাবাজার এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি ব্রিজের নিচে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তারাও মারা যান।
পরে রাতেই লাশগুলো হাসপাতাল থেকে তাদের নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বার বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের শান্তনা দেন।
এছাড়া দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ। এছাড়া শতশত ছাত্রলীগ নেতা কর্মী হাসপাতালে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক আব্বাস মিয়া ও যাত্রী মধু মিয়া।
আহতরা হলেন- মধু মিয়ার মেয়ে সুমি বেগম, মেঘনা বেগম , নাতনি মিম আক্তার (১৮), সুমা বেগম (১২), ফাইজা (৩) ও নাতি ফাহিম (১২)।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থী নিহত
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে দুর্লভপুর এলাকায় দ্রুতগামী মিনিবাসটি বিপরীত দিক থেকে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।
আহতদের মধ্যে চারজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অটোচালক ছাড়া হতাহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিলেটে অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে ফয়েজ আহমদ নামে অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নগরীর মেন্দিবাগ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবক ফয়েজ আহমদ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাগ এলাকার মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার একটি কলোনীতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জমি কেনা-বেচার মধ্যস্থতাকারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, সকালের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটা খুনের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, খুনের রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। লাশটির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সুরমা নদীর তীর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বাক্স থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
সিলেটে সুরমা নদীর তীর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর সুরমা নদীর তীর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নগরীর মেন্দিবাগ এলাকার সুরমা নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফয়েজ আহমদ (২০) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক এলাকার মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার একটি কলোনিতে ভাড়া থাকতেন ফয়েজ। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, সকালের দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে খুনের ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সত্যতা উদঘাটনে কাজ চলছে। লাশটির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বাক্স থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে জমি কেনা-বেচার মধ্যস্থতাকারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
সিলেটের ওসমানীনগরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্যের (বরখাস্ত) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ব্রাহ্মণশাসন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিউল হাসান সানী (২৯) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ভালকি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরিরত ছিলেন। দুই মাস আগে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল হক।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষক নিহত
সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শফিউল হাসান সানী মোটরসাইকেলযোগে গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। সকাল ৭টার দিকে ওসমানীনগরের ব্রাহ্মণশাসন এলাকায় যাওয়া পথে বেপরোয়া গতির একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসি জানান, মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজপথে তারাপুর বাগানের চা শ্রমিকরা
দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পাওয়া, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বকেয়ার তৃতীয় কিস্তি না পাওয়াসহ সাত দফা দাবিতে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
চার দিন ধরে কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
দাবি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারাপুর চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটি।
আরও পড়ুন: আলোচনা ছাড়াই রাত ৩টায় চুক্তি সাক্ষর: আন্দোলন অব্যাহত চা শ্রমিকদের
চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরে ঘরে অভাব, হাহাকার দেখা দিয়েছে।
স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে পারছেন না শ্রমিকরা।
তারাপুর চা বাগানের শ্রমিক তারুনী মোদী বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছি না। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাগান বন্ধ থাকুক এটা চাই না, বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৭ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
অপর শ্রমিক বেলী রায় বলেন, বেতন বকেয়া থাকায় সন্তানদের স্কুলে ভর্তি যেমন করতে পারিনি, তেমনি নতুন ক্লাসের বইও কিনে দিতে পারছি না। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটা চাই। আমরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছি।
পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদী জানান, কর্তৃপক্ষ বার বার বেতন আটকে দিচ্ছে আমাদের। এতে করে শ্রমিক পরিবারে নানান সংকট বাড়ছে। বার বার বাগান বন্ধ থাকাটা আমরাও চাই না। বাধ্য হয়ে অভাবের তাড়নায় আন্দোলন করছি।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পেয়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া বেতনের সব কিস্তি অন্যান্য বাগানে পরিশোধ করা হলেও আমরা শেষ কিস্তি পাচ্ছি না। আমরা দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
এক বাঘাইড় মাছের দাম দেড় লাখ
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পইলের মাছের মেলা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ উঠেছে মেলায়।
তবে আব্দুল খালেকের বাঘাইড় মাছটিই মেলার প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠেছে। ৫০ থেকে ৬০ কেজি ওজনের বৃহৎ এ মাছটি দাম চাওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৮ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত
বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানান, পইল মাছের মেলায় বিক্রির জন্য সুরমা নদী থেকে তিনি এই বিশাল বাঘাইড় মাছটি সংগ্রহ করেছেন। মাছটি তরতাজা ও খেতে ভালো লাগবে। দেড় লাখ টাকা চাইলেও এক লাখ হলেও তিনি মাছটি বিক্রি করবেন।
মেলায় আসা ক্রেতাদের আগ্রহ শেষ পর্যন্ত মাছটি কত দিয়ে বিক্রি হয়।
শাহজাহান মিয়া নামে অপর বিক্রেতা জানান, তিনি ২৬ কেজি ওজনের একটি কাতলাসহ বেশ বড় বড় মাছ নিয়ে মেলায় এসেছেন। বড় কাতলাটির দাম তিনি চাইছেন ৬০ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকা পেলে তিনি সেটি বিক্রি করে দেবেন।
জিলু মিয়া নামে আরও এক মাছ বিক্রেতা বলেন, এখনও কেনা বেচা তেমন হয়নি তবে রাতের বেলায় বাড়বে।
যুক্তরাজ্য থেকে আসা সদর উপজেলার আলাপুর গ্রামের কামাল আহমেদ মাছের মূল্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মেলার সময় প্রতি বছর দেশে আসি। আমরা তো মাছ কিনতে এসেছি। মূল্য বেশি হাঁকা হচ্ছে। যে কারণে অনেক মাছ অবিক্রিত থেকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশীয় মাছের প্রজাতি সংরক্ষণে সহায়তা দিতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
এদিকে সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই হবিগঞ্জের সদর উপজেলার পইল গ্রামের মাঠে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন। প্রায় ২৫০ মৎস্য বিক্রেতার পাশাপাশি হাজার হাজার ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। এবারের মেলায় বোয়াল ও আইড় মাছ সবচেয়ে বেশি উঠেছে।
এছাড়াও বাঘাইড়, রুই, কাতল, চিতল, গজার, গ্রাস কার্প, মৃগেল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড, পোয়া, টেংরা, পুটি, শিং, কই, শোল, বাইম, চাপিলা, চান্দা, কাকিয়াসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।
মাছের মেলা ঘিরে কৃষি, গৃহস্থালি, ভোগ্যপণ্য, আখ ও শিশুদের খেলনা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাই মেলায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের ব্যাপক সমাগম দেখা গেছে। এ মেলা নিজেদের ঐতিহ্য হিসেবে ধারণ করেন পইল গ্রামসহ এর আশপাশের লোকজন।
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
পইল গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি শেখ মহরম আলী বলেন, এই মেলা মানেই মিলনমেলা। এ মেলা ঐতিহাসিক। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে এই মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে বড় বড় মাছ আসে। এলাকাবাসী এই মেলায় আনন্দ করেন। এই উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। যে কারণে এই কয়দিন আমরা আনন্দের সঙ্গে কাটাই।
এ ব্যাপারে পইল বাজার কমিটির সভাপতি ও পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈনুল হক আরিফ জানান, পইল মাছের মেলা আমাদের জন্য ঐতিহ্যের একটি মেলা। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বাগ্মী নেতা বিপিন চন্দ্র পালের জন্মভূমি পইল গ্রামে প্রতি বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির