সিলেট
টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে
টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরী জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক, বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে।
পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেও। বেড়েছে সুরমা নদীসহ জেলার সবকটি নদী ও খাল-বিলের পানি।
তিন দিন ধরে সিলেটে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। শুক্রবার রাত থেকেই পানি ঢুকতে শুরু করে নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালের মধ্যে তলিয়ে যায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বৃষ্টি চলছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরান, কুয়ারপার, উপশহর, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড়, খারপাড়া ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুর, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনসহ সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানি জমেছে।
এ ছাড়া, জেলার সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকার ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক এবং স্টেশন রোড লাউয়াই সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে বলে জানা গেছে। ফলে এইসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় সাগড়ে ডুবে হবিগঞ্জের যুবকের মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় নিজ কর্মস্থলে কাজ করার সময় পা পিছলে সাগড়ে পড়ে উজ্জ্বল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৩ অক্টোবর ) সকাল ১০ টায় মালয়েশিয়ার জোহর বাহরু রাজ্যের গ্যালান পাতাহের তানজুন প্যালেসা বন্দরের লাইব্রেরিয়ান নিবন্ধিত আলফাস লিবিয়া জাহাজে কাজ করার সময় পা পিছলে সাগরে পড়ে নিখোঁজ হন উজ্জ্বল মিয়া।
এরপর প্রায় ২০ঘন্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে পরদিন বুধবার সকাল ৬ টায় সেখানকার ফায়ার এন্ড রেসকিউ সার্ভিসের ডুবুরি দল উজ্জ্বলের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত উজ্জ্বল মিয়া হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাইর গ্রামের মো.আবু ছইবুর মিয়ার ছেলে।
উজ্জ্বলের সহকর্মী ও তার ফুফাতো ভাই সুমন জানান, ঘটনার দিন (৩ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ডিউটি ছিল উজ্জ্বলের। ডিউটি শুরু হওয়ার পর সকাল ১০টার দিকে উজ্জ্বল পা পিছলে সাগড়ে পড়ে যার।
তিনি জানান, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও রেসকিউ টিম প্রায় ২০ ঘন্টা অভিযান শেষে পরদিন বুধবার সকাল ৬ টায় উজ্জ্বলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে।
কোম্পানির মাধ্যমে উজ্জ্বলের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উজ্জ্বল মিয়ার চাচাতো ভাই মামুন জানান, পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান উজ্জ্বল। বিগত ছয় বছরে পরিবারকে বেশ সাপোর্টও করেছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ এই দুর্ঘটনা পরিবারটিকে থমকে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার মিয়া জানান, উজ্জ্বল মিয়ার মৃত্যু সংবাদটি বুধবার শুনেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। লাশ আনার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাশনের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মানবপ্রাচীর
চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণের তিন দফা দাবিতে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি পালন করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হাতে হাত ধরে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সব পর্যায়ের কর্মচারী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’-এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
দাবিগুলো হলো- নিঃশর্তে সব পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে; অনতিবিলম্বে সব বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ করতে হবে এবং কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার নামে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ অনুমোদন
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তির দিলেও, নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি।
এ ছাড়াও, দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে তারা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি এই সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস প্রথম পেশাগত পরীক্ষা শুরু রবিবার
সংসদে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপন
সিলেটে গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক ৫ ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে ওসি প্রত্যাহারের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবরোধ শুরু করেন শ্রমিকরা। তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে রাখেন। বিকাল ৩ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম বলেন, শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে আমরা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার (সদর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ চন্দ্র দাশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে শ্রমিকরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছে।
তিনিও ওসি মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবি করেন।
গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস শ্রমিক উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর হেতিমগঞ্জের বাঘার ইউনিয়নের তুরুগবাঘ গ্রামের বাছন আহমদ নামের এক ব্যক্তি আমাদের একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। সোমবার (২ অক্টোবর) আহত বাছন আহমদ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, বাছন আহমদের পরিবারের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা হলে তারা মামলা করবেন না বলে জানান।
তারা বাছন আহমদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের আবেদন করেন। একারণে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের সইয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে দেরি করতে থাকেন।
লিলু মিয়া আরও বলেন, সোমবার ওসি সই দিতে পারবেন না বলে জানান। এর প্রতিবাদেই আমরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলাম।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাছন আহমদের ঘটনায় কোনো মামলা বা জিডি আছে কি না জানতে সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে আমাকে একটি মেইল পাঠানো হয়। আমি মেইলের উত্তরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় কোনো মামলা বা জিডি হয়নি জানাই।
তিনি আরও বলেন, এরপর শ্রমিকরা একটি লিখিত সই নিতে চায়। আমি নিহতের পরিবারের অপেক্ষায় ছিলাম। তারা আসলেই সই দিতাম। কিন্তু শ্রমিকরা ভুল বুঝে সড়ক অবরোধ করে।
বিষয়টি ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা ধরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ থাকায় শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফুটবল খেলার সময় ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিলেটে ছাদে ফুটবল খেলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
সিলেটে ফুটবল খেলতে গিয়ে ৩ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ওয়াহাব মিয়া (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলার দক্ষিণ সুরমার সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বদিকোনা এলাকার শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারের ছাদে ফুটবল খেলতে গিয়ে পা পিছলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
তাৎক্ষণিক তাকে নর্থ ইস্ট মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘ফুটবল খেলতে গিয়ে ৩ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ওয়াহাব মিয়া নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার বাবা একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমায় পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে মো. সবুজ মিয়া নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে নগরীর কাজিরবাজার সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সিএনজি-পিকআপের সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত, আহত ৩
নিহত সবুজ মিয়া (৩৫) ওসমানী নগরের গোয়ালাবাজার এলাকার জায়ফরপুর গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে পান বোঝাই করে একটি পিকআপ (সিলেট মেট্টো ন-১১-১৮৪৫) কাজিরবাজারে আসছিল। পিকআপটি কাজিরবাজার সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে এলে সড়কের উপর থাকা ক্রসিং বারে লেগে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন সবুজ। পিকআপের চালক ও পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
হবিগঞ্জে সিএনজি ও পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩
হবিগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫
হবিগঞ্জের বাহুবলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ২ যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। গুরুতর আহত একজনকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের হাসান আলীর ছেলে উস্তার মিয়া (৩৭) ও চেরাগ আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (৩৫)।
আরও পড়ুন: নড়াইলে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিহত ১, আহত ১১
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামারগাঁও এলাকায় চেরাগ আলী ফিলিং স্টেশনের পাশের এক টুকরো জমি নিয়ে নিহত দুইজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর আগেও এ নিয়ে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে আবারো দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উস্তার মিয়া ও ই্উসুফ আলী নামে দুই যুবক প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত হন।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধ: নাটোরে গুলিতে নারীসহ ৪ জন আহত
পরে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তারা মারা যান। এছাড়াও উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, বাহুবলে সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ৪ জনকে আটক করে বাহুবল থানায় সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নিহত ২ জনের লাশ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে জেলার দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রিজওয়ান টিপু (২৮) নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া এলাকার মৃত আমজাদ মিয়ার ছেলে।
সিলেট জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাফিউল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১০টার দিকে স্টেশন সংলগ্ন শিববাড়ি এলাকায় পৌঁছালে ওই যুবক ট্রেনে কাটা পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটের জকিগঞ্জে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের কানাইঘাটে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের জকিগঞ্জে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের জকিগঞ্জে মাছের ঘের থেকে অজ্ঞাত এক যুকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জকিগঞ্জ-আটগ্রাম সড়কের রতনগঞ্জ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা অনুযায়ী, যুবকের বয়স ২৮ বছর হতে পারে।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার দিকে একজন পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে খবর দেন জকিগঞ্জ-আটগ্রাম সড়কের রতনগঞ্জ এলাকায় সড়কের পাশের মাছে ঘেরে একটি লাশ ভেসে উঠেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় নিখোঁজের ১৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদের নেতৃত্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরনে রশি দিয়ে বাঁধা প্যান্ট, গায়ে নীল রঙের শার্ট ছিল।
পুলিশ আরও বলছে, লাশের শরীরের কাপড় দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তিনি মানসিক রোগী হতে পারেন। শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃত ব্যক্তির বয়স অনুমানিক ২৮ বছর হবে।
ওসি জাবেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে, তিনি মানসিক রোগী হতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। লাশের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার
মাগুরায় অজ্ঞাত সেই লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ১
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বজ্রপাতে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- ছাতিয়ান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী শান্তা (৩০) এবং তার ভাই রুবেল মিয়ার মেয়ে সাদিয়া (১৩)। তারা সম্পর্কে চাচি-ভাতিজি।
আহত শারমীন আক্তার (৪৫) সোহেল ও রুবেল মিয়ার মা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে নিহত ৩
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনজুর আহ্সান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ছাতিয়ান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গ্রামের রহমত আলী ও শারমীন আক্তার দম্পতির দুই ছেলে সোহেল মিয়া ও রুবেল মিয়া। ঘটনার দিন রহমত আলী তার স্ত্রী শারমীন আক্তার, তার পুত্রবধূ শান্তা আক্তার ও নাতনী সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে শিমুলঘর গ্রামে ছেনু মিয়ার বাড়িতে দাওয়াতে যান।
দাওয়াত বাড়ি থেকে ফেরার পথে শিমুলঘর সড়ক বাজারে পৌঁছামাত্র বজ্রপাত হয়। এসময় তাদের তিনজনকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রকিবুল ইসলাম শান্তা ও সাদিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত শারমীন আক্তারকে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহতের পরিবারকে সরকারি তহবিলের সহায়তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত