সিলেট
খানাখন্দে ভর্তি সিলেট-জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সড়ক, দুর্ভোগে ১৫ লাখ মানুষ
সিলেটের পাঁচ উপজেলার মানুষের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিলেট-গোলাপগঞ্জ-জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সড়ক। এ সড়ক দিয়ে ১৫ লাখ মানুষ চলাচল করেন। পাশাপাশি সুতারকান্দি (শেওলা) স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করা হয় এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু এই এলাকায় ছোট-বড় গর্তের কারণে ভয়ঙ্কর সড়কে পরিণত হয়েছে। আর সেই কারণে হেলেদুলে চলছে যানবাহন।
কখনো কখনো এসব গর্তে মালবাহী গাড়ি আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটে নাকাল হন যাত্রীরা। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে এ অবস্থা চলতে থাকলেও সড়কটি সংস্কার না করায় সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে পাঁচটি উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে চলাচল করতে হয়।
জানা গেছে, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের জন্য সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় নৌ চলাচল ব্যাহত: সীমাহীন দুর্ভোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ধীরগতিতে যান চলাচলের কারণে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগছে দ্বিগুণ।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সড়কের এমন দশা থাকলেও কর্তৃপক্ষকে সড়কটি মেরামত করতে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। যে কারণে সাধারণ লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চারখাই এলাকার বারইগ্রামের বাসিন্দা জাহিদ আহমদ বলেন, এই সড়ক দিয়ে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও নানা শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ শহরে আসা-যাওয়া করেন। শহরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সড়কে যাতায়াত করতে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন।
বিয়ানীবাজার চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি এনাম উদ্দিন বলেন, এটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে পাঁচ থানার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সংস্কারের অভাবে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বলেন, আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যেন সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সড়কের এই অংশের কার্পেটিং উঠে কিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর-সিলেট, বিয়ানীবাজার-কালিজুরি-সিলেট সড়কেও।
এলজিইডির তত্বাবধানে থাকা এই রাস্তা দুটি বিভাগীয় শহরের সঙ্গে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে রাস্তাগুলোও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় এক বছরেও শেষ হয়নি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, দুর্ভোগে মানুষ
সুনামগঞ্জে ২ দিনের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে পানিতে ডুবে রমিজ উদ্দিন (৫৫) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে জাফলংয়ের ডাউকি নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রমিজ উদ্দিন মানিকগঞ্জের দলাই গ্রামের বিন্দু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রমিজ উদ্দিনসহ তার এলাকার ৪০-৫০ জনের একটি গ্রুপ শুক্রবার মানিকগঞ্জ থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। দুপুরে রমিজ উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন মিলে পর্যটন কেন্দ্রের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন। গোসলের এক পর্যায়ে রমিজ উদ্দিন স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়।
এসময় তার সঙ্গে থাকা লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ, জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশ, জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় ডুবুরিরা কয়েক ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে বিকাল ৫ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে।
রমিজ উদ্দিনের সঙ্গে থাকা লুৎফুর রহমান জানান, রমিজসহ তারা তিন-চারজন গোসল করার জন্য নদীতে নামেন। এ সময় স্রোতের টানে রমিজ পানিতে তলিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল জানান, পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পর্যটক নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটে ব্র্যাক স্কুল পরিদর্শনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মিস সারাহ কুক সিলেটে ব্র্যাকের একটি স্কুল পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে সারাহ কুক তার মিশনের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো সিলেট সফর করেন এবং লাক্কাতুরা চা বাগানের পাশে লাক্কাতুরা ব্র্যাক স্কুল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন।
এ সময় ব্র্যাকের পরিচালক (শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অভিবাসন) সাফি রহমান খান, ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম হেডপ্রফুল্ল চন্দ্র বর্মনসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং মাঠ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় হাইকমিশনার ব্র্যাক স্কুলের ক্লাস পর্যবেক্ষণ করেন এবং স্কুলে ফিরে আসার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির কথা বলেন। মিসেস কুক শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তার অভিমত প্রকাশ করেন এবং স্কুলের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন।
সারাহ কুক তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষায় সহায়তা করতে পেরে গর্বিত।
সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টায় এ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সীমান্ত মজুমদার বলেন, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। বিকাল ৩টা থেকে আমরা শিফট মোতাবেক যথারীতি দায়িত্ব পালন করব।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ডাক
কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। তাদের দাবির মধ্যে ছিল নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করা। আমরা হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসার বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। এ ছাড়া হাসপাতালে কর্মরতদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের বিষয়টি নিয়ে আনসারের জেলা কমান্ডারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছু অবকাঠামো ও সিস্টেম পরিবর্তনসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করব।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বজনেরা হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে হামলা ও ভাঙচুরের পাশাপাশি দায়িত্বরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ডাক
এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে কর্মবিরতি ঘোষণার পরপরই হাসপাতালের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রয়েছেন সব ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম।
জানা যায়, সোমবার বিকালে হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগী মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের কথাকাটাকাটি হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ, রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের হেনস্তা করেন। এ সময় চিকিৎসকরা দৌড়ে পাশের ওয়ার্ডে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এরপর রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের ভেতরে চিকিৎসক ও নার্সের কক্ষে ভাঙচুর চালান।
আরও পড়ুন: সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে হাড়ভাঙা রোগীর কিডনি অপসারণের অভিযোগ
ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো. মোস্কাকিম বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। রোগীর স্বজনরা মৃত্যু মেনে নিতে পারে না। তারা ডাক্তারদের উপর হামলা ও হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এভাবে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বৈঠক করে অনির্দিষ্টাকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, মারা যাওয়া রোগীর স্বজনরা দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ক্রমাগত ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান এবং শারিরীক হেনস্তা করার চেষ্টা করে। এরপর হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনা প্রমাণ করে হাসপাতালে চিকিৎসকদের কোনো সুস্থ কর্মপরিবেশ নেই।
এ অবস্থায় হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তারদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, দোষীদের বিচারের দাবিতে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হলো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হেনস্তা ও ভাঙচুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে মারা যাওয়া রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক ভূঁঞা বলেন, একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ইন্টার্ন চিকিৎকরা ধর্মঘট ডেকেছেন। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায়ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নতুন দুটি ইউনিট উদ্বোধন
৫দিন পর সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু
পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২১ আগস্ট) থেকে সিলেটের সব স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২০ আগস্ট) বিকালে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিলেটের আমদানিকারকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ফের আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু দুই ডলার বাড়ানোর প্রতিবাদে গত বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্কস্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা।
সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় অচল হয়ে পড়ে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো। আমদানি বন্ধে বিপাকে পড়েন শ্রমিকেরা। আর সরকারও হারায় রাজস্ব।
আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
এ অবস্থায় রবিবার সিলেটে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আমদানিকারকরা। বৈঠকে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু দুই ডলারের পরিবর্তে ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হন কাস্টমস কর্তকর্তা। এরপর আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকাল থেকে যথারীতি আমাদানি শুরু হয়।
সোমবার দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে ফিরে এসেছে আগের কর্মচাঞ্চল্য। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পাথরবাহী ট্রাক। পাঁচদিন পর কাজে ফিরতে পেরে খুশি শ্রমিকরাও।
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি সহসভাপতি সানোয়া হোসেন ছেনু বলেন, ‘কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাকপ্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে। তাই আমরা আমদানি বন্ধ করেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমদানি বন্ধ হওয়ার পর রবিবার কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ৭৫ সেন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত নেই। আজকে (সোমবার) থেকে যথারীতি আমদানি শুরু হয়েছে।’
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, যে কোনো সিদ্ধান্তই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো। হঠাৎ করে কিছু চাপিয়ে দিলে সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টনপ্রতি দুই ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া একেবারে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, তবে শেষ পর্যন্ত কাস্টমস কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আমরা খুশি। দেশের স্বার্থে আমরাও কিছু ছাড় দিয়েছি।
এ ব্যাপারে কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, অ্যাসেসমেনট ভ্যালু বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে এটা পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের মূল্য ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরও ১২টি শুল্কস্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো- কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন।
এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ
সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ের মৃত্যু, দগ্ধ ৪
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বসতঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জাফলংয়ের রসুলপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার দোকান ও বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ইয়াকুব মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১২)। আহতরা হলেন- জেসমিন আক্তারের স্বামী ইয়াকুব মিয়া, দুই সন্তান জুবাইর, জুনাইদ ও শাশুড়ি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
গোয়াইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুনে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শেষে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ রবিবার বিকালে শায়েস্তানগর এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এতে আওযামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ শুরুর জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে নগরীতে মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইনজীবী লুৎফুর রহমান এ সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়।’
শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘লগি, বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, সংঘর্ষে প্রায় একশ’ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
কাস্টমস ডিউটি ও আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে তারা আমদানি বন্ধ থেক রেখেছেন।
সিলেটের বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে দিয়ে মূলত বড় পাথর (বোল্ডার) ও চুনাপাথর আমদানি হয়। কয়েকটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি হয়। ফলে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে নেই নিত্যদিনকার ব্যস্ততা। ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাকই বাংলাদেশে আসছে না। ফলে স্থবির হয়ে আছে সিলেটের প্রধান এই স্থলবন্দর।
তামাবিল চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে দুই ডলার বৃদ্ধি করে।
এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।শুল্ক বাড়ানো নিয়ে কয়েকদিন ধরেই স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমদানিকারকদের বাদানুবাদ চলছে।
ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালেও কাস্টমরস কর্মকর্তারা তাতে রাজি হনননি। আলোচনায় সমাধান না হওয়ায় আমদানি বন্ধ তরে দেন তারা।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে দিন রাত পাথর উত্তোলন, পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা
সুনামগঞ্জের ছাতক লাইমস্টোন ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক সেলিম চৌধুরী বলেন, এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টন প্রতি ২ ডলার করে ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইম্পোর্ট অ্যাসেসম্যান্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এ কারণে ট্রাক প্রতি ব্যয় ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় আমরা বুধবার থেকে সিলেট বিভাগের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বোল্ডার ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে।
তবে ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমসের সিলেট অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমদানি বন্ধ করা হয়নি। শুল্কও আমরা বাড়াইনি। এনবিআর থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ৮৪ টাকার পরিবর্তে এখন ডলারের দাম ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণেই শুল্ক বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনার আলোকেই মূলত অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু বাড়ানো হয়েছে। তবে, আমদানিকরা চাইলে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
সিলেট বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দর ছাড়া আরও ১২টি শুল্কস্টেশন রয়েছে।
সেগুলো হলো কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বাগলি, বড়ছড়া ও চারাগাও এবং ছাতকের ইছামতি ও চেলা স্টেশন। এগুলো দিয়ে মূলত চুনাপাথর ও বোল্ডার আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটে সাঈদীর ‘গায়েবানা’ জানাজার অনুমতি পায়নি জামায়াত
মানতবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে বুধবার সিলেটে ‘গায়েবানা’ জানাজার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এখন পর্যন্ত এর অনুমতি দেয়নি সিলেট মহানগর পুলিশ।
সাঈদীর ‘গায়েবানা’ জানাজাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। তবে কোথাও ‘গায়েবানা’ জানাজা করতে দেয়নি পুলিশ।
এ অবস্থায় বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেছে জামায়াত ইসলামী।
এ তথ্য জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগর শাখার আমির মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার জোহরের নামাজের পর আলিয়া মাদরাসা মাঠে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর দাফন সম্পন্ন
পুলিশের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জানাজায় পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘জামায়াতকে এখনো আমরা গায়েবানা জানাজার অনুমতি দেইনি। জানাজাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মঙ্গলবার জানা শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় পিরোজপুর শহরের বাইপাস সড়কে সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে অবস্থিত বায়তুল হামদ জামে মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির শোক
চট্টগ্রামে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা: দফায় দফায় সংঘর্ষ, আটক ৩০