সিলেট
ওসমানীনগরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের ওসমানীনগরে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৮ জুন) বিকালে বিশ্বনাথ উপজেলার উলুপাড়া গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে।
সুমন ওরফে নুর আলী (২২) প্বার্শবর্তী বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের উলুপাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক এর ছেলে এবং উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের উদরকোনা পালপাড়া গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে ফরুক মিয়ার বাড়িতে গৃহ কাজে নিয়োজিত ছিল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, সাবেক স্বামী গ্রেপ্তার
ওসমানীনগর থানা সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মালিক ফরুক মিয়া পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে নিয়ে কানাইঘাট উপজেলায় তার আত্মীয়ের ছেলের জন্য কনে দেখতে যান। সন্ধ্যা ৭টায় বাড়িতে ফিরে সুমনের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। দরজার ফাঁক দিয়ে লাইটের আলোতে দেখেন সুমন ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে।
বিষয়টি ওসমানীনগর থানায় জানালে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন জমাদ্দার ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
বাড়ির মালিক ফরুক মিয়া জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে এসে দেখি সুমন গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে।
ওসমানীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাছুদুল আমিন বলেন, গলায় ফাঁস লাগানো এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএম কলেজের হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে অবিরাম বর্ষণে আবারও বন্যার শঙ্কা
গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ধকল যেতে না যেতেই সিলেটে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে। এই বৃষ্টি আরও ১৫ দিন অবহ্যাত থাকবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটের উজানে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে। ফলে ঢল নামছে। ঢল আর বৃষ্টিতে সিলেটের নদনদীর পানি বেড়েই চলছে।
পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। ঢল আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে চলতি সপ্তাহেই মাঝারি ধরনের বন্যা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
তাই সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ঢলে ইতোমধ্যে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং বিভিন্ন হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এছাড়া বাড়ছে নদীর পানিও।
শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে।
বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিফ আহমেদ জানান, নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। সামান্য বাড়লেই তা অতিক্রম করবে।
সিলেটে নদ-নদীতে বাড়ছে পানি, আবারও বন্যার আশঙ্কা
তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে হাওর ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে ১২ দশমিক ৬৮ এবং সুরমা নদীর পয়েন্টে ১০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বিপদসীমার মধ্যে ৯ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা এ দুই নদীর অন্যান্য পয়েন্টেও।
শুক্রবার সিলেটে ১৩৫ মিলিমিটার এবং এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বর্ষণে নগরীতে জলাবদ্ধতাও দেখা দিচ্ছে।
এছাড়া শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এর আগে গতবছর সিলেটে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে তলিয়ে গিয়েছিলা সিলেটের ৭০ শতাংশ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার প্রায় সব মানুষ।
বন্যায় ভেঙে যায় প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি। গতবারের বন্যার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ১৩৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। এর আগে বুধবার সকাল ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিলেটে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে।
বর্ষণ ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার সিলেটের জেলা প্রশাসন জরুরি সভা করে আগাম বন্যার প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবেন
বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর
সিলেটের বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ পরিবারের আধা-পাকা টিনসেডের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনয়িনের মালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছুরুক মিয়া, ফারুক মিয়া ও তাদের চাচাতো ভাই বকুল মিয়া, নেছার মিয়া ও লয়লুস মিয়া। প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টি ও ভূমিকম্পের কারণে বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি নড়ে যায়। এতে পুরো উপজেলা জুড়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। এরপর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী ছুরুক মিয়ার বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের শুরু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন: নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাঁচটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ওসমানীনগরের ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই সব পুড়ে যায়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের খোঁজখবর নেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। পরবর্তীতে তাদেরকে আরও ৬০ হাজার টাকা ও ২০ বান্ডিল টিন এবং একটি গভীর নলকূপ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেদওয়ান ও ওসমানীনগর ফায়ার ব্রিগেডের ফায়ারম্যান মো. স্বপন মিয়া বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৫০০ বসতঘর পুড়ে ছাই
সিলেটে স্থানীয়দের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত
সিলেটে জলাবদ্ধতায় পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কের পাশে নালা কাটা নিয়ে স্থানীয়দের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১৪ জুন) দুপুর ২টা থেকে প্রায় ৪টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
জানা গেছে, সিলেটে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার সকালের টানা বৃষ্টিতে কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সিলেট বিমানবন্দর বাইপাস সড়কের চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলার কারণে সড়কের বেশ কিছু জায়গায় মাটি তুলে রাখা হয়েছে। এ কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের পানি অনেকের ঘরেও ঢুকে পড়ে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে সেই জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বর্ধিত ৩৯নং ওয়ার্ডের মইয়ারচর, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার বাসিন্দারা কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় অবরোধকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ সিসিক নির্বাচনের একাধিক প্রার্থী ঘটনাস্থলে যান। দুপুর ২টার দিকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সদর উপজেলাধীন সোনাতলা এলাকার একটি রাস্তা কাটতে গেলে স্থানীয়রা এতে বাধা দেন।
এ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনাতলা এলাকাবাসীর সঙ্গে মইয়ারচর, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার মানুষের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষ একে অপরের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। পরে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পরিস্থিতি থমথমে থাকায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়, এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় এখনই জানানো যাচ্ছে না।
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, দুই এলাকার বাসিন্দাদের সংঘর্ষ থেমেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিদের ছত্রভঙ্গ করতে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যদের খবর দেওয়া হলেও তাদের সংঘর্ষ থামাতে মাঠে নামতে হয়নি। তারা আসার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: সাভারে মোবাইল দোকানিদের হামলায় ৫ জাবি শিক্ষার্থী আহত
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রের মহড়া, কাউন্সিলরের প্রার্থিতা বাতিল
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আফতাব হোসেন খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৪ জুন) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরের ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, মামলার এজাহার, ভিডিও ফুটেজ ও প্রার্থীর আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে প্রতীয়মান হয়েছে তিনি আচরণ-বিধি লঙ্ঘন করেছে। এজন্য তার প্রার্থিতা বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
সোমবার (১২ জুন) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৭ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানের (ঘুড়ি প্রতীক) বিরুদ্ধে লোকজনসহ অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাড়ির সামনে সশস্ত্র মহড়া দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও চিত্র এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রচারিত হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী সায়ীদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, (লাটিম প্রতীক) এ বিষয়ে কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ ও এজাহার দায়ের করেন।
ওই অভিযোগ ও এজাহারের ভিত্তিতে রিটার্নিং অফিসার তদন্ত করে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এতে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া যায়।
পরে বুধবার শুনানি শেষে ইসি তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও প্রক্টর আহত
সরকারি অফিসে অস্ত্রের মহড়া: আ’লীগ-যুবলীগের ৩ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ
ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে শেওলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মন্দাভাব
টাকা ও রুপির বিপরীতে ডলারের ঊর্ধ্বগতির কারণে মন্দাভাব বিরাজ করছে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে।
বিগত অর্থবছরের তুলনায় ভারতে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে সরকারের রাজস্ব আদায়।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
বন্দরসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রায় সব ধরনের পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। ভারত থেকে কয়লা, পাথর, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বাংলাদেশে আমদানি করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, হস্ত শিল্প, তাতের তৈরি দ্রব্য, বেতের তৈরি দ্রব্য, ফল মূল, শুঁটকি মাছ, সাতকড়া, প্রাণের পণ্যসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি ভারতে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
সুতারকান্দি ইমিগ্রেশন পয়েন্ট এর তথ্যমতে, প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে গড়ে ২০ জন যাওয়া আসা করে। শীত মৌসুমে এ হার আরও বাড়ে।
শুল্ক বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তার তথ্যমতে, প্রতিবছর বন্দর থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। তবে চলতি বছরে তা অর্ধেকের কম হবে বলে তাদের ধারণা।
এদিকে বিগত অর্থবছরগুলোর তুলনায় রপ্তানির পরিমাণও অর্ধেকেরও বেশি কমেছে।
মূলত ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ভাটা পড়ে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরের বছর মহামারির ধকল কাটিয়ে আবারও চাঙ্গা হতে থাকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
তবে নতুন করে রপ্তানি বাণিজ্যে আবারও সংকট তৈরি করছে ডলারের ঊর্ধ্বগতি।
রুপির বিপরীতে ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য নেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে সিমেন্ট, বরফজাত মাছ ও প্লাস্টিকসহ কয়েকটি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় এক বছর ধরে গম আমদানি করতে পারছেন না তারা। গত বছরের ৩০ মের পর বন্দরে গমের কোনো চালান আসেনি।
তারা বলেন, যেসব পণ্য আমদানির অনুমতি আছে তার বেশিরভাগই ত্রিপুরার বাইরের রাজ্য থেকে আনতে হয়। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া এখন ডলার সংকটের কারণে চাহিদামতো এলসিও করা যাচ্ছে না।
শেওলা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সুমন আহমদ বলেন, কখন কোন পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে, সেটি আগে থেকে বলা যাবে না। সেজন্য সব পণ্য আমদানির অনুমতি প্রয়োজন, যাতে যখন যে পণ্যের চাহিদা থাকবে তখন যেন সে পণ্য আমদানি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, যদি এ সুযোগটি দেওয়া হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি সরকারেরও রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি আমদানি না হওয়ায় এখন বন্দরে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি কেটে গিয়ে বন্দর আরও চাঙ্গা হবে।
এ বিষয়ে শেওলা স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন বলেন, বিগত অর্থবছরগুলোর তুলনায় এবার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ একেবারেই কম। রাজস্ব বোর্ড থেকে তালিকার পণ্যগুলো আমদানির অনুমতি দিলে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়বে বলে আশা করছি। আর আমদানি বাড়লে বন্দর এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
সিলেটে ছুরিকাঘাতে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র নিহত, আটক ২
সিলেটের নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী বালাগঞ্জে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে মাদরাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্র আতিকুর রহমান (২৫) বনগাঁও গ্রামের এখলাছুর রহমানের ছেলে এবং সিলেটের নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে আতিকুর রমান একটি বিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এরপর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক আতিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আতিকুরের ভাই এবাদুর রহমান বলেন, আতিকুর রহমান সিলেটে থাকেন। সোমবার বিকালে তিনি বাড়িতে আসেন। তার আরেক ছোটভাই মতিউর রহমানকে গ্রামের নজরুল ইসলাম নামের এক যুবক তাদের বাড়ির রাস্তা দিয়ে যেতে নিষেধ করেছিলেন। এটা নিয়ে আতিকুর রহমানের সঙ্গে তার তর্ক হয়েছিল। এর জের ধরে কয়েকজন যুবককে নিয়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটিয়েছেন নজরুল ইসলাম।
বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে বাড়ির প্রতিবেশীর সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আমরা দুইজনকে আটক করেছি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
আরও পড়ুন: সিলেটের ওসমনীনগরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৬ জন আহত
সিলেটের ওসমনীনগরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
সিলেটের ওসমনীনগরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ট্রাক চালক।
সোমবার (১২ জুন) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দয়ামীর ইউনিয়নের সোয়ারগাঁও এলাকা এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। আহত ট্রাক চালক জসিম (৩৫)।
এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার ফখরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
জানা যায়, সিলেটগামী একটি ট্রাক ওসমানীগর উপজেলার নিজ কুরুয়া নামক স্থানে আসার পর টায়ার পাংচার হলে চালক ও সহকারী মিলে চাকা পরিবর্তন করছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে একই দিকে সিলেট গামী আরেকটি ট্রাক এসে পেছন থেকে তাদের ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালক, চালকের সহকারীসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ওসমানীনগর স্টেশনের উপ সহকারি পরিচালক খন্দকার সানাউল হকের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে পেছন থেকে এসে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন মারা যান। গুরুতর আহত হয়েছেন আরেকজন।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: প্রত্যেক পরিবার পেল ২ লাখ টাকা
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন বলেন, 'সোমবার ভোরে সিলেটগামী একটি ট্রাক দয়ামীর সোয়ারগাঁও এলাকায় কিছু সময়ের জন্য থেমে থাকে। এ সময় সিলেটগামী অপর একটি ট্রাক সজোরে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। আহত হন পাঁচ থেকে ছয়জন।
আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ হন নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আফসান আল আলম।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে র্যাব-৯ কার্যালয়ে দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, বুধবার (৭ জুন) ভোরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাজিরবাজারে ট্রাক ও শ্রমিকদের বহনকারী পিকআপের ১৫ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
৮ জুন সিলেটের জেলা প্রশাসক ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: প্রত্যেক পরিবার পেল ২ লাখ টাকা
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকল ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে সব কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। কোন ভোটার যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে না পারেন তাহলে আপনারা চিৎকার করে দিবেন। আমরা সেখান থেকে বসে ব্যবস্থা নিব।
শনিবার (১০ জুন) সকালে নগরের মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে সিলেট সিটিতে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিইসি’র
ইভিএম প্রসঙ্গে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম নিয়ে অনেকেই অনেক কথাই বলেন। এটার কিন্তু পরীক্ষা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এর ভেতরে জ্বিন-ভূত-প্রেত থাকে বলেও অনেকে বলেছেন। কিন্তু আমরা এই রকম কোনো কিছু পাইনি। অনেক উজা-ঝাঁড়ফুক করেও কিছুই পাইনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আচরণবিধির অভিযোগ এলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।
পলিথিনে মোড়ানো ব্যানার-পোষ্টার নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা এতো নিষ্ঠুর হতে পারবো না। এটা নিয়ে আইন আছে। পুলিশ চাইলে পলিথিনে মোড়ানো ব্যানার-পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে।
আর এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই জিনিসটা করা যাবে না।
প্রচারণায় ব্যাপারে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভবিষ্যতে প্রচারণার ধরন পাল্টে যেতে পারে। এটা সময়ের প্রয়োজনে হয়ে যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি এতে যোগ হবে। প্রার্থীরা ফেসবুকে প্রচারণা চালাবে। এটা আমাদের ভেবে দেখতে হবে আগামীতে কিভাবে প্রচারণার ধরন আনা যায়।
নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মোট ৮ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল), স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) এবং মো. শাহজাহান মিয়া (বাস গাড়ি), মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
আর কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। আগে ২৭ ওয়ার্ড নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন থাকলেও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নেয়ে সিসিকে এখন মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন।
আরও পড়ুন: সিইসি’র সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি