সিলেট
জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৫
সিলেটে পিকআপের ধাক্কায় দুইজন পথচারী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের বটরতল বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহত পথচারী ময়নুল হকের (৩০) বাড়ি উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরচক গ্রামে।
জানা যায়, এক সঙ্গে দু’জন রাস্তা পারাপারের সময় ময়নুল হক এই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যান। অপর পথচারী জলিল আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থা হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি পিকআপ ভ্যান কালিগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে শাহগলী বাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে বটরতল বাজারে আসা মাত্র পেছন থেকে বাসের ধাক্কায় পিকআপটি পথচারীকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা ৪ জন যাত্রীসহ ৫জন আহত হন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত, আহত ৫
কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই ও বোনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে কমছে নদীর পানি, স্বস্তিতে হাওরবাসী
সুনামগঞ্জের আকাশে রোদের দেখা মিলেছে। তবে মাঝে মাঝে আকাশ মেঘলা হয়ে নামে বৃষ্টি। সপ্তাহখানেক টানা বর্ষণে নদ-নদীর পানি বাড়লেও রোদের দেখা মেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। মানুষের মনে ফিরছে স্বস্তি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, আজ বুধবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যায় ১০ গ্রাম প্লাবিত, বৃষ্টি অব্যাহত
গতকাল একই সময়ে এখানে পানি ছিল বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ১০৬ মিলিমিটার। নদ-নদীর পানি কমলেও জেলার কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি থাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। টানা ভারী বর্ষণে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকের মধ্যে গত বছরের মতো ভয়াবহ বন্যা হবে কি না, এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। বন্যার আতঙ্কে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মানুষজন।
এদিকে ধীরে ধীরে পানি কমায় আতংক অনেকটাই কেটে গেছে।
জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ জানান, বন্যা পরিস্থিতির আশংকা থাকায় আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
বিভিন্ন গ্রামে রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। এখন আকাশে রোদের দেখা মেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। এলাকার মানুষজনের মধ্যে ভীতি আর নেই।
বলা যায় এক রকম স্বস্তিতেই আছেন। তারপরেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, বৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে। তবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।
তিনি আরও বলেন, হাওর-নদী এখন পানিতে পরিপূর্ণ। তাই ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢল নামলে পানি আবারও বাড়তে পারে। তবে বড় বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়লেও সুনামগঞ্জের কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
যদি এ রকম পরিস্থিতি হয়, সেটি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
আরও পড়ুন: ভারি বর্ষণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা
সুনামগঞ্জে হাওরে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের উৎসমুখ ভোলাগঞ্জে লাশটি ভেসে ওঠে।
নিহত পর্যটকের নাম আবদুস সালাম (২৩)। তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় নিশ্চিত করেন জানান, এর আগে গত রবিবার (২ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে সাদাপাথর এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হন ওই যুবক।
তিনি জানান, পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারে কাজ করলে প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা থেকে আবদুস সালামের চাচা এসেছেন। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার
সুনামগঞ্জে বন্যায় ১০ গ্রাম প্লাবিত, বৃষ্টি অব্যাহত
পাঁচ দিনের টানা বর্ষণে মেঘালয় থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ সময়ে দোয়ারাবাজারের সুরমা, চেলা, মরা চেলা, চিলাই, চলতি, কালিউরি, খাসিয়ামারাসহ বিভিন্ন নদীনালার উপচেপড়া পানিতে হাওর, খাল-বিল, মাঠঘাট ভরে গিয়ে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষজন।
এদিকে পাহাড়ি ঢলের কারণে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চিলাই নদীর রাবারড্যাম সংলগ্ন ক্যাম্পের ঘাট এলাকার আবুল কালামের বাড়ির পাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে বগুলাবাজার ইউনিয়নের ক্যাম্পের ঘাট, আন্দাইরগাঁও, বগুলা, চান্দের ঘাট, সোনাচড়া, নোয়াগাঁও, রামনগর, তেরাকুড়ি ও কান্দাগাঁওসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভারি বর্ষণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা
এদিকে, সুরমা নদীর উপচেপড়া ঢলের তোড়ে দোয়ারাবাজার-টেংরাটিলা-মহব্বতপুর সড়কের শরিফপুর সাইডিংঘাট এলাকায় রাস্তায় হাটু সমান পানির স্রোতে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলা সদরের সঙ্গে নরসিংপুর, বাংলাবাজার, বগুলাবাজার, লক্ষীপুর ও সুরমা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ।
তলিয়ে গেছে রবিশস্যসহ শত শত হেক্টর আমনের বীজতলা।
দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে কয়েকটি মাছের পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় শঙ্কিত রয়েছেন শতাধিক মৎস্যচাষী, খামার মালিক।
সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাত বন্ধ না হলে অচিরেই জেলার সকল উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
দোয়ারাবাজারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ মোর্শেদ মিশু বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে জরুরি ক্ষেত্রে দূর্যোগ মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা, ত্রাণ বিতরণসহ সর্বক্ষেত্রে আমাদের মনিটরিং ব্যবস্থা অটল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
সিলেটে সড়কের পাশে থেকে নবজাতক উদ্ধার
সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কের পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) রাতে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সমেমর্দান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সুবল দেবনাথ ও নাজিম মিয়া নামক স্থানীয় দুই ব্যক্তি ওই নবজাতককে উদ্ধার করে স্থানীয় পীরের বাজারের পল্লী চিকিৎসক এসবি নিরুর কাছে দিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ক্লিনিক থেকে চুরি যাওয়ার ২দিন পর নবজাতক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
ওই চিকিৎসক শিশুটির যথাযথ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
পল্লী চিকিৎসক এসবি নিরু জানান, রাতে সুবল দেবনাথ ও নাজিম মিয়া গ্যারেজে টমটম বন্ধ করতে গেলে রাস্তার পাশে কান্না শুনতে পায়। পরে তারা রাস্তা থেকে নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাজারের ব্যাগ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার
হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে নবজাতক উদ্ধার
সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা চার দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি ঢল নেমেছে। এছাড়া উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে হাওড় এলাকার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, ব্যাহত হচ্ছে গ্রামীণ যোগাযোগ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অসময়ে যমুনায় পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুল হাওলাদার বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে কোনও কোনও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা পাউবো। এসময়ে যাদুকাটা, চলতি খাসিয়ামারা, চেলা, মনাই, সোমেশ্বরীসহ সব পাহাড়ি নদীর পানি বেড়েছে। ফলে প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল।
এদিকে সুনামগঞ্জ শহরেরে সাহেববাড়ি ঘাট, কাজির পয়েন্ট, নবীনগর, হাছননগর, নতুনপাড়ায় পানি ঢুকে পড়েছে। সাধারণ জনগণের চলাচলের সড়ক ডুবে হু-হু করে ঢলের পানি ডুকছে হাওর ও নদ-নদীতে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জে বন্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
ঈদের দিনে সিলেটে ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সিলেটে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার দিনে আত্মহত্যা ও সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দিনের বিভিন্ন সময় সিলেট মহানগরী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরমধ্যে ২ জন পুরুষ ও ১জন নারী রয়েছেন। নিহত ৩ জনের মধ্যে ২ জন আত্মহত্যা ও একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
আত্মহননকারী এক কিশোরের পরিচয় পাওয়া গেলেও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নারী ও অপর যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সিলেট নগরীর তালতলার সুরমা টাওয়ার থেকে আরিফুল ইসলাম বাবু (১৬) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।
সে ২০১১ সাল থেকে সিলেট এসওএস শিশু পল্লী সেন্টারে প্রতিপালন হয়। সেখানে তার একজন বড় বোনও রয়েছে। সে সুরমা টাওয়ারের ১২ তলায় একটি রুমে বসবাস করত।
রুমমেটরা জানান, ঈদের দিন তারা বাহিরে ছিলেন। সে বিকেল থেকেই শয়ন কক্ষে ছিল। রাত ১০ টার দিকে তারা ফিরে রুমের দরজা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে মার্কেটের সিকিউিরিটির সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
কিশোরের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঈদের দিনে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সিলেটে ঈদের দিন আহত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
সিলেটে ঈদের দিন আহত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা পশু কোরবানি দিতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পশু কোরবানি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত তাঁরা আহত হয়েছেন। কেউ পশু জবাই দেওয়ার সময় আহত হয়েছেন।
আবার কেউ আবার মাংস কাটতে গিয়ে ধারালো দায়ের আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে আজ সকাল থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ৬০ জন ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ৪০ জনই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ: নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে
হাসপাতালের ওই ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আরকান্দিা গ্রামের সেলিম আহমদ (৪৬)।
তিনি বলেন, সকালে তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে গ্রামে পশু কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনিসহ চারজন গরুটি ধরে রেখেছিলেন। হঠাৎ গরুটি লাফিয়ে ওঠে। তখন অন্যরা গরুর রশি ছেড়ে দেন।
এ সময় পাশে থাকা আরেক ব্যক্তির ধারালো দা তাঁর হাতে লেগে কেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
একই উপজেলার ডৌবারি এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন (৪৫) বলেন, গরু কোরবানির পর মাংস কাটছিলেন তিনি। এ সময় দায়ের আঘাত লাগে বাঁ হাতে। এতে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে।
বালাগঞ্জ উপজেলার হারিয়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রাসেল আহমদ (২৮) বাঁ হাতে দায়ের আঘাত পেয়েছেন।
তাঁর ভাই জুবের আহমদ বলেন, কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। প্রথমে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে সিলেটে পাঠিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের চরের বন্দ এলাকার বাসিন্দা আকিব আলী (৪০) বলেন, কোরবানির সময় নিজ হাতে থাকা ছুরি পায়ে লেগেছে। এতে বাঁ পায়ের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে। পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের শামসের নগর এলাকার বাসিন্দা মিঠু মিয়া (২১) বাঁ হাতে ধারালো ছুরির আঘাত পেয়েছেন।
তাঁর ভাই শাকিল আহমদ (২৩) বলেন, কোরবানির সময় ডান হাতে থাকা ছুরি পশুর গলায় চালাতে গিয়ে বাঁ হাতে লেগেছে। এতে মিঠুর চারটি আঙুলের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে।
ওসমানী হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের চিকিৎসক নিরুপম দত্ত বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের এক্স-রে করতে বলা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের কেউ গুরুতর অবস্থায় নেই। তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঈদের দিনে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে বাসের ধাক্কায় টমটম চালকসহ নিহত ২
অন্যের প্ররোচনায় বিপথগামী না হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
অন্যের প্ররোচনায় কেউ যেন বিপথগামী না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে সিলেটে ঈদ জামাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষী নিয়ে অ্যামনেস্টির আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সব নাগরিকের, সে যে দলেরই হোক। সুতরাং কোনো নাগরিক যাতে অন্যের প্ররোচনায় বিপথগামী না হয়।
বিপথগামী হলে দেশের অবস্থা, আমাদের এই উন্নয়নটা ব্যাহত হতে পারে।
সে জন্য ঈদের দিনে সবাইকে আহ্বান করব, আপনারা চোখ-কান খোলা রাখবেন। আপনারা অত্যন্ত সজ্ঞান, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা যথেষ্ট সজ্ঞান।
তিনি বলেন, তারা জানে এবং বোঝে কখন কী করতে হবে। আমি তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখি। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে আমাদের দেশের জনগণের ওপর।
মোমেন আরও বলেন, কেউ কেউ হয়তো বিপথগামী হতে পারে, বৃহত্তর জনগণ কখনো বিপথগামী হবে না।
এর আগে নগরীর ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এ সময় সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সংসদ সদস্যরা, শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মুসল্লিরা সিলেটের ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে শিগগিরই ভালো খবর পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সিসিক মেয়র ও ওয়ার্ড কমিশনারদের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
সিলেটে ঈদের দিনে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে ঈদের দিনে এক যুবক ঈদের দিনে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৭টার দিকে জেলা নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার কমদতলি বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে যুবকের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা (পিপিএম)বলেন, সকালে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম-ঠিকানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ওসমানীনগরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার