সিলেট
সিলেটে নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৪
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় এক নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ জুন) সকালে হাসপাতাল এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া আরও এক নির্মাণ শ্রমিককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত শ্রমিক নয়ন মিয়া (২০)। তার বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলায়।
আটক চারজন হলো, দিনাজপুরের রুবেল, কুড়িগ্রামের আমিনুল ইসলাম, আয়নাল ও সাবান আলী। তারা সকলেই ওসমানী হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল এন্ড কোং-এ কর্মরত এবং মালিকপক্ষের আত্মীয় বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সাজেকে ডায়রিয়ায় নারীর মৃত্যু, মুমূর্ষু আরও অর্ধশতাধিক
জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা শ্রমিকদের থাকার রুমে হাত পা বেঁধে প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী পেটায় দুই নির্মাণ শ্রমিককে। এক পর্যায়ে নয়ন নামের নির্মাণ শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে পড়লে কর্মকর্তারা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে অন্যান্য সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক ফজলুল হক জানান, অর্থসংকটের কথা বলে গতকাল বৃহস্পতিবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে শ্রমিকের কাজ নিয়েছিলেন বিশ্বনাথের যুবক নয়ন।
শুক্রবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নির্মাণ শ্রমিক নয়ন ও আইয়ুব আলীকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল চুরির অভিযোগে একটি রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের হাত পা বেঁধে লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে নির্মম নির্যাতন চালান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ঠিকাদার ও ম্যানেজারের লোকজন।
নির্যাতনকালে নয়ন চিৎকার করে পানি খাওয়ার অনুরোধ জানালে তাকে প্রস্রাব খাওয়ানো হবে বলা হয়। দীর্ঘ প্রায় ২ ঘন্টা চলে নির্যাতন।
একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নয়নকে ফেলে রেখে ঠিকাদার ও ম্যানেজারের লোকজন চলে যায়। পরে কাল সোয়া ৯টার দিকে নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যান্য শ্রমিকের দেওয়া তথ্যমতে পরবর্তীতে আইয়ুব আলী নামে আরও এক শ্রমিককে পুলিশ হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, শ্রমিক হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চুরির কোন নিদর্শন পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে, অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল এন্ড কোং এর বিরুদ্ধে রয়েছে শ্রমিক নির্যাতনসহ আরও নানা অভিযোগ। একাধিক নির্মাণ শ্রমিক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নির্যাতন ও নিয়মিত মজুরি না দেওয়ার অভিযোগ করেন।
এছাড়া গেল ৩ জুন ওই প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে লোহার পাইপ পড়ে মারা যান দেলোয়ার হোসেন নামের এক সেনাসদস্য। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩৪
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫: কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ প্রাণহানির ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সিলেটের জেলা প্রশাসক এই কমিটি গঠন করেন।
কমিটির সভাপতি হচ্ছেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। সদস্য সচিব করা হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালককে (ইঞ্জিনিয়ারিং)।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১৫
কমিটির সদস্য হচ্ছেন- মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
উল্লেখ্য, বুধবার (৭ জুন) ভোরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাক ও শ্রমিকদের বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে আরেকজন মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত: স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১৫
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজারে ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মিয়া (২২) নামের আরেকজন মারা যান।
বাদশা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সায়েদ নূর মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনায় বুধবার (৭ জুন) সায়েদ নূর নিহত হন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাশ বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় বুধবার ১৪ জন মারা যান। বৃহস্পতিবার ভোরে বাদশা মিয়া নামে আরেক যুবক মারা গেছেন।’
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত: স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর
তিনি আরও বলেন, ‘বাদশা হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।’
বুধবার (৭ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেদিনই ১৪ জন মারা যান।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৭ জুন) ভোরে সিলেট থেকে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে যাওয়ার জন্য পিকআপে উঠেন ৩০ জন নির্মাণ শ্রমিক। পথে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমায় নাজির বাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে তাদের বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে আজ (বৃহস্পতিবার) বাদশা মিয়া (২২) নামের একজন মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ: নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত: স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের লাশ বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের পরিবারে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন।
এদিকে বুধবার ভোরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কুতুবপুর এলাকায় মালবোঝাই ট্রাক ও শ্রমিকবাহী পিকআপের সংঘর্ষে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় সূত্রে ১৫ জন মৃত্যুর তথ্য জানা গেলেও পুলিশ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৪ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছে।
দুপুরে এই ১৪ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কারখানায় আগুনে নিহত ১০ জনের লাশ হস্তান্তর
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: অবশেষে লাশ হস্তান্তর
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ: নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১৪ জনের পরিচয় জানা গেছে।
এছাড়া এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। পরে হাসপাতালে গিয়ে মারা যান আরও ৩ জন। আহত আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ আলী (২৫), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাম মিয়া (২৬), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০), দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিস মিয়া (৬৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা (২২) সহ ১৪ জন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণশ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে সিএনজি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত, আহত ১
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। এরপর হাসপাতালে আরও ৩ জন মারা যান।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর নাজিরবাজারের দুই দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় ৩ ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি এবং সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের লাশ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই। এরপর হাসপাতালে আরও ৩ জন মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি, আর কোনো হতাহত পড়ে আছেন কি না দেখার জন্য।
এদিকে সকালে ওসমানী হাসপাতাল ফাঁড়ি ইনচার্জ জুয়েল আহমদ জানান, তিনি অন্য একটি দুর্ঘটনায় নিহত একজনকে এই ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছিলেন। তাই প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন যে দুর্ঘটনায় আহত চারজন হাসপাতালে মারা গেছেন। কিন্তু মূলত হাসপাতালে ৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্যাংকলরি ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু, আহত ১
সিলেটের কানাইঘাটে বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বড়দেশ উত্তর (পাঁচঘরি) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ফাহিম আহমদ (১২) একই গ্রামের ফয়েজ আহমদের ছেলে। আহত ফাহিমের চাচাতো ভাই আল-আমিন (১৩) নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফাহিম ও আল-আমিন গ্রামের জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হচ্ছিল। হঠাৎ করে বিকট শব্দে বজ্রপাত ফাহিম ও আল-আমিনের পাশে পড়লে তাদের শরীর ঝলসে যায়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
তাদের চিৎকারে মসজিদে অবস্থানরত মুসল্লি ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক ফাহিম আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল-আমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা মুমূর্ষু বলে জানা গেছে।
নিহত ফাহিম আহমদের মামা কানাইঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ঠিকাদার হোসেন আহমদ জানান, মাগরিবের নামাজে বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে তার ভাগিনা ফাহিমের মৃত্যু হয় এবং আল-আমিন গুরুতর আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমেদ। নিহত ফাহিম আহমদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
টেকনাফে বজ্রপাতে ২ জন নিহত
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজির বাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক ও শ্রমিকবাহী পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস, সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সিএনজি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত, আহত ১
নিহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়াহিদ আলী (৪০)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছালে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্যাংকলরি ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত
ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান। আর ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জুয়েল আহমদ সকাল পৌনে ৯টার দিকে জানান, হাসপাতালে মারা গেছেন আরও তিনজন।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর নাজির বাজারের দু'দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় তিন ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কটিতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি এবং সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের লাশ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা আশপাশে সন্ধান চালাচ্ছি আর কোনো হতাহত পড়ে আছে কি না দেখার জন্য।'
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ জুন) সকালে নগরীর দরগাহ গেইট এলাকার জমজম আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকির হোসেন (৩০) মাদারীপুরের শিবচর থানার কদমতলী গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শাহবাগ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে শাহজালাল (র.) তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ সোমবার সকালে জমজম আবাসিক হোটেলের ৪১৭ নম্বর কক্ষ থেকে জাকির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২ শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ধানমন্ডি লেক থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
সিলেটে সেনা সদস্যের মৃত্যু: সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট নগর ভবনের ছাদ থেকে স্টিলের পাইপ পড়ে এক সেনাসদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) রাতে সিলেট সেনানিবাসের সেনা সদস্য মো. আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
নিহত মো. দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জগিরগোফার রায়পুর গ্রামে। তিনি ল্যান্স করপোরাল হিসেবে সিলেট ক্যান্টনমেন্টের ৫০ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন।
আসামিরা হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, জামাল অ্যান্ড কোং–এর সাইড ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রাজ্জাক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড কোং–এর মালিক মো. জামাল উদ্দিন, ক্রেনচালক মো. সাদেক।
এছাড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক এবং ঠিকাদারকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় নির্মাণকাজে অবহেলাজনিত অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি জানান, মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবারই ১৭ জনকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩ জুন শনিবার দুপুরে বন্দরবাজার এলাকার সিটি সুপার মার্কেটের নিচতলা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নগর ভবনের ছাদ থেকে লোহার পাইপ পড়ে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক সেনাসদস্য আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ১২ তলার ছাদ থেকে হঠাৎ করেই একটি স্টিলের পাইপ সিটি মার্কেটের ভেতরে ওই সেনা সদস্যের মাথায় এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রধান প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে রাতে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলার পর রবিবার তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করেন মেয়র। কমিটি থেকে প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হককে। এই কমিটিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটি:
আহ্বায়ক সিসিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ বদরুল হক, সদস্য সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. মতিউর রহমান খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায়, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) রাজ উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
জৈন্তাপুরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
সিলেটের জৈন্তাপুরে কথা কাটাকাটির জেরে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩ জুন) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের আহমেদ নগর কালিছড়ি চিকনাগুল চা-বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত চৈতন্য পাত্র (২২) নিহত সাধু পাত্রের (৬০) ছেলে।
চৈতন্য পাত্র মাদকাসক্ত বলে স্থানীয়রা জানায়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গ্রামপুলিশকে কুপিয়ে হত্যা
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে নিজের বসতবাড়িতে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে চৈতন্য পাত্র দা-দিয়ে বৃদ্ধ বাবার মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সাধু পাত্রকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাধু পাত্র মারা যান।
ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে।
ঘটনায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পল্লী চিকিৎসককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ