সিলেট
সিলেটে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে বিশ্বনাথের গোবিন্দনগর গ্রাম
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে গোবিন্দনগর গ্রাম। গ্রামটির পূর্বদিকে বয়ে যাওয়া মাকুন্দা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ঘরবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থান বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে নদীপাড়ের সড়কের কিছু অংশও নদীগর্ভে চলে গেছে। একমাত্র ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করছে। মাকুন্দা নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন গোবিন্দনগর গ্রামবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাকুন্দা নদীর ভাঙন কবলিত পাড়ের কিছু অংশে বাঁশের বেড়া ও বালুভর্তি সিমেন্টের বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা নিতান্ত অপ্রতুল ও দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন:ভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে বাঁধে আশ্রয়!
গোবিন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গ্রামটিতে ৭০টির অধিক পরিবারের বসবাস। আর কয়েক ফুট নদীভাঙন হলেই অনেক বাড়িঘর, গ্রামের একমাত্র মসজিদ ও একটি কবরস্থান বিলীন হয়ে যাবে। আমরা বারবার বাঁশের বেড়া দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও সেটা রোধ করতে পারছি না। এখানে সরকারি উদ্যোগে মজবুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতি জরুরি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গঙ্গাধর নদীর তীব্র ভাঙন, দিশেহারা ৩ গ্রামের মানুষ
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘ইতোপূর্বে গোবিন্দনগর গ্রামবাসী ও আমার যৌথ সহযোগিতায় ভাঙন ঠেকাতে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছিল, সেটি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের হাত থেকে গোবিন্দনগর গ্রামকে রক্ষার জন্যে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিতে দিতে ক্লান্ত। কোনও আশাপূর্ণ সাড়া পাইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ জানান, উপজেলা পরিষদের আগামী সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: কুড়িগ্রামের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, ওই ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে বাজেটে অর্থ চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
কানাইঘাটে তুচ্ছ ঘটনার জেরে বৃদ্ধ খুন
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলকাছ উদ্দিন (৫৫) ওই গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে আলকাছের বাড়ির উত্তর পাশের একটি খালে তার ছেলে হাসান মাছ ধরতে যায়।পাশের বাড়ির ফয়জুল হকের ছেলে নাঈম উদ্দিন (৫০) ও তার চাচাতো ভাই রেজাউল (২০) তাকে মাছ ধরতে বাঁধা দেন। এতে আলকাছ মাছ না ধরার জন্য ছেলেকে শাসন করলে নাঈম ও রেজাউল তার সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা আলকাছের ওপর চড়াও হয়। এসময় রেজাউল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আলকাছকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে মা ও ২ শিশুকে গলাকেটে হত্যা
খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে ওসি তাজুল ইসলামসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। নিহতের লাশ উদ্ধার করে পরে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে দিনদুপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মদসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মদ, কয়লা, পাথর, বালু, ইঞ্জিনসহ ট্রলি, স্টিলবডি নৌকা, বারকী নৌকা, ঠেলাগাড়ি এবং গোলকাঠ জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডুলুরা বিওপির একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি।
জব্দ করা মালামালের মূল্য প্রায় ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা।
সীমান্তে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডুলুরা বিওপির একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে সীমান্ত পিলার ১২১২/২-এস উপজেলার ১নং সলুকাবাদ ইউনিয়নের কাপনা নামক এলাকা থেকে ৩৯ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে। অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের দায়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাধীন ১নং সলুকাবাদ ইউনিয়নের ধোপাজান চলতি নদীতে রাত ২টার সময় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ১৫ ঘন ফুট পাথরসহ সাতটি নৌকা জব্দ করে।
এদিকে, একই দিনে জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও বিওপির বিজিবির একটি টহল দল রাত ৪টার সময় অভিযান চালিয়ে সীমান্ত মেইন পিলার ১১৯৫ এর এলাকার উপজেলার ১নং উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের জংগলবাড়ী এলাকা থেকে ভারতীয় ২২ ঘনফুট গোলকাঠ জব্দ করা হয়। লাউরগড় বিওপির বিজিবির আরেকটি টহল দল সকাল ৭ টার দিকে অভিযান চালিয়ে সীমান্ত পিলার ১২০৩/৪-এস এলাকার সাহিদাবাদ নামক স্থান থেকে ১৫ ঘনফুট ভারতীয় পাথরসহ তিনটি ঠেলাগাড়ি জব্দ করে বিজিবি।
আরও পড়ুন:ফুলবাড়ি সীমান্তে আটক ৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
বিজিবি জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি বিওপির একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে সীমান্ত পিলার ১২১০/৯ -এস এলাকার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৩নং ধনপুর ইউনিয়নের ঝিগাতলা এলাকা থেকে ৩০ ঘনফুট ভারতীয় বালু এবং দুটি ইঞ্জিনসহ ট্রলি জব্দ করে। একই দিনে লাউরগড় বিওপির একটি টহল দল যাদুকাটা নদী থেকে ৩০০ কেজি ভারতীয় কয়লা জব্দ করা হয়। দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা বিওপির আরেকটি বিজিবির টহল দল রাত সাড়ে ৯টায় অভিযান চালিয়ে পিলার ১২৩২/৪-এস এলাকার ১নং বাংলাবাজার ইউনিয়নের শহীদ মিনার নামক স্থান থেকে ২০ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান বলেন, জব্দ করা মালামাল শুল্ক কার্যালয়, সুনামগঞ্জে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিজিবির এ অভিযানে অব্যাহত থাকবে।
বিয়ানীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ এলাকায় বুধবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন।
নিহত মাওলানা আইয়ুব আলী বড়লেখা উপজেলার তারাদরম এলাকার মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে ও গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর নাসির উদ্দিন হাইস্কুল ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক।
আরও পড়ুন: পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নাটোরে নিহত ২
স্থানীয়দের বরাতে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, রাতে উপজেলার জলঢুপ এলাকায় রাস্তার পাশে এক ব্যক্তির লাশ ও মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের সহকর্মী রশীদ আহমদ জানান, বুধবার বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ ও একাডেমিক বিষয়ক সভায় অংশগ্রহণ শেষে নিজ গ্রামের বাড়ি বড়লেখা উপজেলায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
খেলাফত মজলিসের সিলেট জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ দিলওয়ার হোসাইন জানান, মাওলানা আইয়ুব আলী খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জোনের সহকারি ছিলেন।
সিলেট বিভাগে করোনায় আরও ৮ মৃত্যু
করোনায় সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও আট জন মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে ১ হাজার ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগ।
একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন আরও ৮৯ জনের। এ নিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৯৮৩ জনে।
বুধবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় দৈনন্দিন তথ্য বিবরণীতে এ সকল তথ্য জানা গেছে ।
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গে রামেকে ১০ মৃত্যু
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭২ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।
৮৯ জন নতুন শনাক্তদের নিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৯৮৩ জনে। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৩২ হাজার ৬৭৩ জন বাকিরা অন্যান্য জেলার রয়েছেন।
একই সময়ে সিলেটে ৩২০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত বিভাগে ৪৩ হাজার ৭৯৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।
আরও পড়ুন : খুলনা বিভাগে করোনায় ১৪ জনের মৃত্যু
এদিকে একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগে বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৮৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিলেটে করোনায় ৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৮০
সিলেট বিভাগে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় করোনা বিষয়ক দৈনন্দিন তথ্য বিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় ৭ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৫
নতুন শনাক্ত নিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৮৯৪ জনে। একই সময়ে সিলেটে ১৪৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বিভাগে এ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৪৭৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে মারা যাওয়া ৮ জনের সকলেই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১ হাজার ৬৭ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৮৭৭ জন, সুনামগঞ্জে ৭২ জন, হবিগঞ্জে ৪৬ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৭২ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে করোনায় ৬ জনের মৃত্যু
এদিকে একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের ১২ জনই সিলেট জেলায়। এ নিয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৩৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে সোমবার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় সাত জনের মৃত্যু ও ২৯০ জন আক্রান্ত হয়েছিল।
গোলাপগঞ্জে পানিতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
সিলেটের গোলাপগঞ্জে মুকিতলা গ্রামের পুকুরে গোসল করতে নেমে সোমবার সন্ধ্যায় পানিতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত হাবিবুর রহমান মাহি (১৬) ওই গ্রামের সুবহান মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় মাঠে খেলা শেষে কয়েকজন কিশোর গ্রামের নজরুল মিয়ার পুকুরে গোসল করতে নামে। এসময় এক কিশোর পানিতে ডুবে যাচ্ছে দেখে নিহত মাহি ওই কিশোরকে উদ্ধার করতে পানিতে নামে। ওই কিশোরকে বাঁচালেও মাহি পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় স্থানীয়রা গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুকুর থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে।
২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে শনাক্ত ২৯০, মৃত্যু ৭
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সাত জনের মৃত্যু ও ২৯০ জন শনাক্ত হয়েছে। নতুন মৃত্যুসহ বিভাগে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৮১৪ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় স্বাক্ষরিত করোনা বিষয়ক দৈনন্দিন তথ্য বিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
তথ্য অনুযায়ী, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে শনাক্ত হার ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত ২৯০ জনের নিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৮১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে ২৫৯ জন রোগী সুস্থদের নিয়ে এ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৩৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৬ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া একজন মৌলভীবাজার জেলায় মারা গেছেন। এনিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১ হাজার ৫৯ জন।
আরও পড়ুন: বরিশালে করোনায় ৬ জনের মৃত্যু
এর আগে ররিবার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু ও ১৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছিল।
এদিকে, একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের ৪১ জনই সিলেট জেলায়। এ নিয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৭৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিলেট বিভাগে করোনায় আরও ৯ মৃত্যু
করোনায় সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আট জনই সিলেট জেলার। অপরজন মৌলভীবাজারের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বরিবার সকাল ৮টার মধ্যে সিলেট বিভাগে করোনায় নয় ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে ১ হাজার ৫২ জনের মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনাক্রান্ত প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৭৩ জন। ৯৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। গেল কয়েকদিনের তুলনায় শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। সবমিলিয়ে সিলেটে করোনাক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫২ হাজার ৫২৪ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা নিম্নমুখী, ১ মৃত্যুসহ শনাক্ত ১২
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, বর্তমানে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৭০ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিলেট বিভাগে করোনায় আরও ১০ জনের মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। আর দুইজন সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮৮ জনের শরীরে।শুক্রবার সকালে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিভাগে করোনা ও উপসর্গে ৮ মৃত্যুএদিকে নতুন শনাক্তদের মধ্যে সিলেট জেলায় ৭৯ জন, সুনামগঞ্জে ১৪, হবিগঞ্জে ২৭ ও মৌলভীবাজারে ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।এ নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ২২৪ জন। যার সর্বোচ্চ সিলেট জেলায় ২৭ হাজার ৭৮৯ জন, সুনামগঞ্জে ছয় হাজার ৫১ জন, হবিগঞ্জে ছয় হাজার ২৬৬ জন, মৌলভীবাজারে সাত হাজার ৬৪৪ জন। আর ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট চার হাজার ৪৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু প্রায় ৪৫ লাখএদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, সিলেটে মোট প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৩৭ জনের। যার সর্বোচ্চ সিলেট জেলায় ৭৫৭ জন, সুনামগঞ্জে ৭২ জন, হবিগঞ্জে ৪৬ জন, মৌলভীবাজারে ৭০ জন এবং ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট ৯২ জনের প্রাণহানি হয়েছে করোনায়।অপরদিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৮৪ জন। এনিয়ে বিভাগে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৫৮৯ জন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা শনাক্ত ২৯, মৃত্যু ২আর নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪২ জন। এ নিয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৫৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।