সিলেট
হবিগঞ্জ-৪ আসনে ভোটকেন্দ্রে আগুন
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) নির্বাচনী আসনের একটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার চন্দনা গ্রামস্থ ধলাই পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটিতে এই ঘটনা ঘটে। এটি নির্বাচনের ৮৪ নং কেন্দ্র বলে জানা গেছে।
চুনারুঘাট ফায়ার সাভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. মানিকুজ্জামান জানান, ১২টা ৫ মিনিটের দিকে খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা সেখানে পৌঁছে প্রায় সোয়া ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি জানান, ওই স্কুলের আধা পাকা ভবনে আগুন লাগে। এতে ৩টি কক্ষ, বেঞ্চ, ডেস্ক, চেয়ার, টেবিল, কাঠের দরজা-জানালা ও টিনের চালা পুড়ে যায়। প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, এটি নির্বাচনী ৮৪নং কেন্দ্র। স্কুলের আরও একটি পাকা ভবন রয়েছে, সেটি ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
সিলেটের লালাবাজারে ট্রাকে আগুন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন লালাবাজারে ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের লালাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জানান, সিলেটগামী একটি ট্রাক লালাবাজারের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের ক্যাম্পের পাশে পৌঁছামাত্র আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বত্তরা।
এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেককে সড়কে দিক পরিবর্তন করে দ্রুত লালাবাজার এলাকা ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে দুর্বত্তদের আগুনে পুড়ল পিকআপ
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী ডিউটি অফিসার জাবেদ। তিনি বলেন, ট্রাকে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্তাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘চলন্ত ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যারা আগুন লাগিয়েছে তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঘন কুয়াশায় ঢাকার বদলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করেছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে দুবাই থেকে আসা ইউএস বাংলার এই ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর ৫০ মিনিট পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফ্লাইটটি ঢাকার দিকে যাত্রা করে।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক রাগীব রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামতে না পেরে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করেছিল। তিন ঘণ্টা পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফ্লাইটগুলো ঢাকার দিকে যাত্রা করে।
এর আগে ২ জানুয়ারি একই কারণে ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে পাঁচটি ফ্লাইট সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রুটে ইউএস বাংলার ফ্লাইট শুরু ১ জুন
ওই দিন রাত থেকে বিমানের এসব ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল। পরে ৩ জানুয়ারি সকালের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনটি ফ্লাইট ফিরে গেলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুটি উড়োজাহাজ আটকা পড়েছিল।
পরে যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে সেগুলোও ঢাকা অভিমুখে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: ইউএস বাংলার ঢাকা-দোহা ফ্লাইট পুনরায় শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট
সিলেটে লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী আটক
নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে সিলেটে লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর নগরীর আম্বরখানায় নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: আরসার লজিস্টিক শাখার প্রধান রহমত উল্লাহসহ আটক ৩
আটকরা হলেন, জেলা বিএনপির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক জালাল খান, সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা আলী হায়দার মজনু, বিএনপি নেতা আকবর এবং আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
জানা যায়, শুক্রবার বাদ জুমা নগরীর আম্বরখানা এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএপির নেতা-কর্মীরা লিফলেট বিতরণ শেষে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এসময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৯
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, যানবাহন বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনার পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মিছিল নগরীর চৌহাট্টায় গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গণসংযোগে হামলায় আহত ১০, আটক ১
সিলেট-৫ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী সাব্বির
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ না থাকায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট-৫ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সাব্বির আহমদ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারত সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার
সাব্বির আহমদ বলেন, সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেটে এসেও একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমরা মাঠে সেরকম কোনো পরিবেশ পাচ্ছি না। তাই নির্বাচন করা খুবই কঠিন।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেট সার্কিট হাউজে সব প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেসময় আমরা বিভিন্ন অভিযোগ দিয়েছি। তিনি বিষয়টি নোট করেছেন। এ অভিযোগ দেওয়ার পর নির্বাচনের পরিবেশ আরও খারাপ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার কোনো পরিবেশ নেই। তাই নির্বাচন বর্জন করেছি।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
সাব্বির আহমদ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি বলেছেন তোমার এলাকার পরিবেশ তুমি বোঝ। যদি সেরকম পরিবেশ না থাকে তাহলে বর্জন কর।
সাব্বির আহমদ নির্বাচন বর্জন করায় সিলেট-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী (কেটলি), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আল কবির (ট্রাক্টর), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলম (ডাব), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মো. খায়রুল ইসলাম (হাতপাঞ্জা)।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের নির্বাচনী সভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ডা. দুলালের অনুসারীদের অভিযোগ- হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মী।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের নয়াবাজারে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের ট্রাক মার্কার সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা চলাকালে হঠাৎ কয়েকজন সেখানে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং ডা. দুলালের কর্মীদের উপর চেয়ার ছুড়ে মারে।
ডা. দুলালের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সালেহ আহমদ জানান, সন্ধ্যায় আমাদের নির্বাচনী সভায় আকস্মিক হামলা চালান নৌকার প্রার্থীর কর্মী ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মনা ও তার সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, হামলার ঘটনায় আমার কর্মী-সমর্থকরাসহ সাধারণ ভোটাররা ভীত হয়ে পড়েছেন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা হিংসাত্মক আচরণ শুরু করেছেন। তারা আমার কর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন।
এ ঘটনার পর ডা. দুলাল রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। আমি বিষয়টি শুনেই খবর নিয়েছি। আমার কোনো কর্মী-সমর্থক এমন করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের বলে দিয়েছি- নির্বাচনি প্রচারকালে কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে। তবে ৭ জানুয়ারি সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে সিলেট-৩ আসনের ভোটাররা। কারণ আমি উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই অবিরাম এই আসনের মানুষের জন্য কাজ করেছি।
সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে টানা কয়েকদিন ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েও ভোটের মাত্র চারদিন আগে সিলেট বিভাগের একে একে ৪জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমন প্রার্থীদের অভিযোগ, ভোটে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব, ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির প্রভাব, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায়, বিভিন্ন চাপ, হুমকি, দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা না পাওয়া, টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার ঘটনা ঘটছে ইত্যাদি।
তবে নির্বাচন কমিশন সবসময় আশ্বস্ত করছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের। সেই লক্ষে ভোটগ্রহণের আগে ও পরের কয়েকিদন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছে বিজিবি। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন প্রার্থীদেরকে শাস্তির মুখেও পড়তে হচ্ছে।
প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচনী বিধিমালায় তারা প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন। তাছাড়া প্রার্থীরা লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগও দিচ্ছেন না; তাই প্রার্থীদের এ ধরনের ঘোষণা ব্যক্তিগত।
তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বলছেন, যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দেওয়া বিভিন্ন অভিযোগ ভিত্তিহীন। জনপ্রিয়তা না থাকায় তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানান অজুহাত খুঁজছেন ও অভিযোগ দিচ্ছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্ন্ত সিলেট বিভাগের ৪ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে নিজের বাসায় প্রেস ব্রিফিং করে ভোট থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আবদুল মান্নান তালুকদার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এর মাত্র একদিন আগে হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ও হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পালও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
বর্জনের কারণ হিসেবে প্রার্থীরা যা বলছেন-
নির্বাচনকে পাতানো ফাঁদ উল্লেখ করে শেষ মুহূর্তে এসে ভোট বর্জনের ঘোষণার কারণ হিসেবে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী শামছুল আবেদীন বলেন, ‘ভোটের অধিকার রক্ষার্থে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।’
‘সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে কাজ করছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। কেউই নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। এটি একটি পাতানো ফাঁদ। তাই এই ফাঁদ থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম।’
হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মুনিব বাবুকে সমর্থন করায় তার সমর্থনে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির আবদুল মান্নান তালুকদার বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, এটা আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন।’
হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে। আছে ক্ষমতাসীনদের পেশীশক্তির প্রভাব।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মোছাম্মাৎ জিলুফা সুলতানাকে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন যেসব অভিযোগের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘ওই প্রার্থী যেসব অভিযোগ করছেন এসব বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তিনি যা বলছেন ওই প্রার্থীর উচিত ছিল একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া। তাহলে আমরা তদন্ত করে দেখতাম কিংবা অ্যাকশন নিতাম। ওই প্রার্থী মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ করে নাই। ওনি যা বলেছেন ওনার ব্যক্তিগত মতামত। আমি ওনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই।’
সুনামগঞ্জের ছাতকে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পিকআপের ৩ জন নিহত
সুনামগঞ্জের ছাতকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাছবাহী পিকআপের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ১১টায় সকালে উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বড়কাপন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আব্দুল করিম, নুরুল হক, আসাদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বৃত্তদের গুলিতে বাংলাদেশি গবেষক নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থেকে পিকআপে করে মাছ বিক্রি করার জন্য সিলেট যাচ্ছিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। পথে ছাতক উপজেলার বড়কাপন এলাকায় পৌঁছালে পিকআপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত হন। এ সময় আরও ২ জন আহত হয়েছেন।
জয়কলস হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কবির বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাছবাহী পিকআপের ৩ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিলেটে ৫৭ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেট নগরীর নাইওরপুল থেকে ৫৭ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় চিনি বহনকাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আটক রহিম উদ্দিন (২৫) গোয়াইনঘাট উপজেলার মাতুরতল বাজারের লাবু এলাকার মৃত মছন আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাড়ে ১৯ লাখ টাকার চোরাই মোবাইল জব্দ, আটক ২
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, জব্দ চিনির মূল্য ৪ লাখ ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ ব্যাপারে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। (মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
(বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা মো. মশিহুর রহমান সোহেল সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার সজিব কান্তি হালদার (৪২) সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার টেকেরহাট এলাকার বাসিন্দা। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৯ জানায়, রোমানিয়ায় উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২২ নভেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটক
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সজিব কান্তি হালদার ওই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা। তিনি প্রতারক চক্রের অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ায় উচ্চ বেতনে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক দফায় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্যাংক হিসাব ও নগদে সর্বমোট ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, ‘ইমপেক্ট গ্লোবাল’ নামক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে সজীব কান্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই আসামির ট্রাভেল এজেন্সি বা রিক্রুটিং এজেন্সি পরিচালনার কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। স্বল্প সময়ে, বিনাশ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। ইতোমধ্যে বিগত বছরগুলোতে প্রতারক চক্রটি মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নাম করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১