%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও এলেসান্দ্রো।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত এ সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আগামী ১-৩ মার্চ আনতালিয়া ডিপ্লোম্যাসি ফোরামের আসন্ন তৃতীয় সম্মেলনের উপর আলোকপাত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যকর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এছাড়া চলতি বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় যুদ্ধ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তুরস্কে বাংলাদেশিদের বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি, অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ, দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা করেছেন বৈঠকে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ অভিহিত করে বলেন, প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী সেখানে রয়েছেন। যারা দুই দেশের অর্থনীতিতেই ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছেন।
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈধ উপায়ে আরও বাংলাদেশি সেখানে নেওয়ার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নেপাল বাংলাদেশের সমুদ্র ও দুইটি স্থলবন্দর (বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী) ব্যবহার করতে চায় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা মিটিং হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে আমাদের অনেক এনগেজমেন্ট আছে। নেপালের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের ব্যাপারে নেপালের খুব আগ্রহ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নেপাল ভূমি বেষ্টিত একটি দেশ। তারা মূলত মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এছাড়া তারা বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরও ব্যবহার করতে আগ্রহী। বন্দর ব্যবহার করে তারা পণ্য আনা-নেওয়া করতে চায়।
এসব ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি চান যাতে দ্রুত এগুলো হয়। আমরাও এটি বাস্তবায়নের গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে এটি নিয়ে কথা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি একটি বিষয় উত্থাপন করেছেন যে, আমরা কীভাবে ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারি। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল এখন ফুলবাড়ী পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু আমাদেরগুলো যেতে পারে না। এ সংকট নিরসনে আমরা তিন দেশ মিলে কাজ করছি। এটা তারা চায়, আমরাও সেটা চাই। এটা হলে বহির্বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বেশি মসৃণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জবাবদিহি নিশ্চিত করুন: ফরটিফাই রাইটস
ফরটিফাই রাইটস মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, মিয়ানমারে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত সব পক্ষের উচিৎ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য দেশগুলোর উচিৎ রোম সংবিধির ১৪ অনুচ্ছেদের অধীনে দেশের পরিস্থিতি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পাঠানো।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের হপন নিয়ো লেইক গ্রামে ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী হামলার সময় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে হামলা, হত্যা, বেসামরিক বাড়িঘর ধ্বংস এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা নথিভুক্ত করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস। এসব হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।
ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি বলেন, ‘যুদ্ধের আইন জান্তা বাহিনী ও সংঘাতের সমস্ত পক্ষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং যখনই সম্ভব বেসামরিক নাগরিকদের আসন্ন আক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নৃশংস অপরাধের জন্য মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক তদন্তে দেখা গেছে, সামরিক হামলার কার্যকর সতর্কবার্তা বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারত। জান্তার নৃশংস অপরাধ নিত্যদিনের ঘটনা। আইসিসির সদস্য দেশগুলোর উচিৎ জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি আদালতের কাছে পাঠানো এবং জান্তাকে বার্তা দেওয়া যে এসব হামলা অগ্রহণযোগ্য।’
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে টানা চার দিন ধরে উত্তর রাখাইন রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপের হপন নিয়ো লেইক গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।
২৪ জানুয়ারি আরাকান আর্মি হপন নিয়ো লেইকে পরিখা খনন করার পর এই হামলা শুরু হয়।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার চার দিনের গোলাবর্ষণের ফলে ৪৪ জন বেসামরিক লোক হতাহত হন।এর মধ্যে কমপক্ষে ১২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত ও ৩২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ৮ শিশু ছিল এবং সবাই রোহিঙ্গা।
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে, হামলায় হপন নিয়ো লেইক ও আশপাশের এলাকা থেকে শিশুসহ ১৫ হাজার বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
একজন কমিউনিটি ভিত্তিক কর্মী এবং হপন নিয়ো লেইকের বাসিন্দা গ্রামে ধ্বংস হওয়া ৪১টি বেসামরিক বাড়ি চিহ্নিত করেছেন। ওই এলাকায় আনুমানিক ১ হাজার বাড়ি রয়েছে।
বেসামরিক ভুক্তভোগী এবং আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের পাশাপাশি ধ্বংসপ্রাপ্ত সম্পত্তির মালিকদের নাম এবং শনাক্তকরণের তথ্য ফরটিফাই রাইটসের ফাইলে রয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরটিফাই রাইটস বিশ্বাস করে যে মিয়ানমারের জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন (এলআইডি) ২২, লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ৫৫১ ও মিলিটারি অপারেশনস কমান্ড (এমওসি) -১৫ সম্ভবত এই হামলার জন্য দায়ী এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য তাদের তদন্ত করা উচিৎ।
২০২৪ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ফরটিফাই রাইটস হপন নিয়ো লেইক গ্রামের চার বাসিন্দাসহ হামলায় বেঁচে যাওয়া ছয় রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়।
ফরটিফাই রাইটস মোবাইল ফোনের ভিডিও এবং কয়েক ডজন ছবি পর্যালোচনা করে দেখেছে যাতে আহত বেসামরিক নারী, পুরুষ ও শিশুদের পাশাপাশি জ্বলন্ত ভবন এবং বাড়িঘর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে।
হপন নিয়ো লেইকের বাসিন্দারা ফরটিফাই রাইটসকে বলেছেন, আরাকান আর্মি ২৪ জানুয়ারি গ্রামে পরিখা খনন করেছিল।
হপন নিয়ো লেইক গ্রামের ২২ বছর বয়সী এক কৃষক ফরটিফাই রাইটসকে বলেন, ‘আমার গ্রামে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ জনের বেশি লাশ দেখেছি। এত ভারী গোলাবর্ষণ হয়েছিল যে আমি ও অন্যরা বাকি মৃত বা আহত গ্রামবাসীদের সন্ধান করার সাহস পাইনি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য নতুন পণ্য ও নতুন রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশ ওষুধ, বাইসাইকেল রপ্তানি করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআইকে একযোগে কাজের আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে কানাডার হাইকমিশনার ডা. লিলি নিকোলস, ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি ও নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
কানাডার হাইকমিশনার জানান, কানাডা ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি কানাডা থেকে ক্যানোলা তেল রপ্তানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার
অবকাঠামো নির্মাণে দক্ষ জনবল তৈরি ও নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) নরদিয়া সিম্পসন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হয়। এর সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষা ও ভূমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয় সামনে রেখে কাজ করতে হয়। ফলে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন ও সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সরকার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের সংক্ষিপ্ত মেয়াদে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় রুপির মাধ্যমে বাণিজ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি বাড়বে: হাইকমিশনার
এছাড়া পরিবেশ সুরক্ষার জন্য তিনি ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান। মন্ত্রী পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরিকল্পিত উন্নয়নের স্বার্থে তার পরামর্শ ও প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করেন।
একই দিন মন্ত্রণালয়ে গৃহায়ন মন্ত্রীর সঙ্গে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নাগরিক প্লাটফর্মের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দেশের আবাসন খাতে বিদ্যমান সমস্যা, সমস্যা উত্তরণে বিভিন্ন পন্থা সম্পর্কিত গবেষণালব্ধ সুপারিশ ও পরার্মশসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্ল্যানারদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে উল্লেখ করলে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জনবল কাঠামো এবং সব উন্নয়ন প্রকল্পে প্ল্যানার ও পরিবেশবিদ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আলাপকালে মন্ত্রী দেশের নগরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্পর্কে তার গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানান। এক্ষেত্রে সিপিডি ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্মের সুপারিশ ও প্রস্তাবগুলো তিনি সক্রিয় বিবেচনার আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শৃঙ্খলায় আনতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ইতোমধ্যে একটি আধা সরকারি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এ সাক্ষাৎকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
সীমান্ত হত্যা বন্ধে ‘প্রাণঘাতী নয়’ এমন অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ঢাকা-দিল্লি আলোচনা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে ‘প্রাণঘাতী নয়’ এমন অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হলে সীমান্ত হত্যা হবে না বলে তিনি (ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন।’
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিল্লি সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ আলোচনা
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ২০২৬ সালে গঙ্গা চুক্তি নবায়ন, তিস্তার পানিবণ্টন, জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানব উন্নয়নের সব সূচকে আমাদের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। একই সঙ্গে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আজ আমরা বিশ্বে পঞ্চম ও এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয়। ভারতের নেতারা এ অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন এবং একসঙ্গে কাজের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে ও শেষ দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
পাশাপাশি সফরের দ্বিতীয় দিন দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, নয়াদিল্লির বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক দশক’ শীর্ষক একক বক্তৃতা দান, প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া এবং 'ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়া'তে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দিল্লি থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনায় উপস্থিত সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপ হয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কাজ চলছে।’
গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দ্বিপক্ষীয় তিন দিনের সফরে ভারতে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান। সেখান থেকে দেশে ফিরে সোমবার তার দপ্তরে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংলি এবং ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রমজানের আগে ভারতকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ, ১ লাখ টন চিনি পাঠানোর অনুরোধ
রমজানের আগে ভারতকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ টন চিনি পাঠানোর অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ৯ ফ্রেবুয়ারি দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকে রমজানের আগে ভারতকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানি করতে অনুরোধ করেছি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সেটা ভালোভাবে নিয়েছেন। এর আগে তারা ২০ হাজার মেট্রক টন পেঁয়াজ এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ড. হাছান বলেন, আমরা অনেক ভোগ্যপণ্যের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে, পেঁয়াজ, চিনি, ডাল ও কিছু মসলা জাতীয় পণ্য। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বলেছি, এসব ভোগ্য পণ্যে যেন বিশেষ কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যাতে আমরা তাদের থেকে এসব পণ্য সঠিক মূল্যে এবং আমাদের প্রয়োজনে আমদানি করতে পারি।
বিএনপি বলেছে মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার তথ্য গোপন করছে -এ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো বক্তব্য দিয়ে তাদের দলের অস্তিত্ব জানান দিতে চায়। এখানে মিয়ানমারের যত জন সদস্য আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে, সে বিষয়ে আমরা সব সময় গণমাধ্যমকে জানিয়েছি। এখানে লুকোচুরি করার প্রশ্নই আসে না। তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাদের ফেরত পাঠাতে পারব।’
তিনি বলেন, বিএনপি এসব বক্তব্য ও নানা কর্মসূচি দিয়ে তাদের হতাশা কাটানোর চেষ্টা করছে। আমরা চাই তারা গণতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যে থাকবে। সরকারের প্রতিবাদ তারা করতেই পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তাদের অগ্নিসন্ত্রাস আর করতে দেওয়া হবে না।
নাফ নদীর তীরে অনেক রোহিঙ্গারা অপেক্ষা করছে, তাদের জন্য বর্ডার খুলে দেওয় হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের দেশে রোহিঙ্গা আছে ১.২ মিলিয়ন। এখন রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেমন পরিবেশগত সমস্যা, নিরাপত্তাজনিত সমস্যা, মাদকজনিত সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পক্ষে কি আরও রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব? আর মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিয়েই সংঘাত চলছে তা নয়। তাদের মধ্যে নানা জাতিগোষ্ঠী আছে। তাদের মধ্যে নানা সমস্যা চলছে। সেই সংঘাতের উত্তাপের কারণে আমাদের দেশে আমরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ব সেটি কি সঙ্গত?’
মিয়ানমার ইস্যুতে ভারত সফরে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে এখন যে সংঘাত চলছে সেই সংঘাতের কারণে আমাদের অঞ্চলে যে সংকট তৈরি হয়েছে, নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে, তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সেখানে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ভারতের সহায়তা কামনা করেছি।
মিয়ানমার ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ কিভাবে একসঙ্গে কাজ করবে -এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বর্ডার শেয়ার করি। সুতরাং মিয়ানমারে যদি কোনো পরিস্থিতির উদ্বেগ ঘটে তাহলে সেটি আমাদের দেশকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা উদ্বিগ্ন করে তাদেরও উদ্বিগ্ন করে। সুতরাং দুই দেশেরই যেহেতু উদ্বেগ প্রতিবেশিকে নিয়ে তাই আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অনেক বিষয় তো রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ আলোচনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় বিষয় ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত রেংগলি অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য এবং উদ্ভাবনী উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে সুইজারল্যান্ডের ভূমিকার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, ভালো ব্যবসায়িক অনুশীলন, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের মতো মূল সর্বজনীন নীতিগুলো প্রচার করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় রুপির মাধ্যমে বাণিজ্যে বাংলাদেশি রপ্তানি বাড়বে: হাইকমিশনার
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ভারতীয় রুপির মাধ্যমে বাণিজ্যের মতো নতুন পদক্ষেপ বাংলাদেশি রপ্তানি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিনি বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে গোদাগাড়ীর সুলতাগঞ্জ বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নদী যোগাযোগ রুট চালু করতে সুলতানগঞ্জ (বাংলাদেশ) থেকে মায়া (ভারত) পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজের যাত্রার সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
হাইকমিশনার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সংযোগের অংশ এবং তাদের সম্পর্কের সাম্প্রতিক রূপান্তরের দৃশ্যমান প্রতীক হিসেবে নতুন নৌ রুটটিকে উল্লেখ করেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রকৃত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বহুমুখী যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দেন এবং মায়া-সুলতানগঞ্জ নদীপথ পুনরায় চালুর বিষয়টিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, এটি কেবল সীমান্তের দুই পাশের স্থানীয় অর্থনীতিকেই উপকৃত করবে না, জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে এবং উপআঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতি জোরদার করবে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, ভারত আজ এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, এর জন্য শিগগিরই আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
গোদাগাড়ী সুলতানগঞ্জ বন্দর উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মায়া ঘাটের উদ্দেশে একটি পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যায়। ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট (আইবিপি) রুট ৫ ও ৬ এ ভারতের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে পরীক্ষামূলক পাঁচটি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের প্রথমটি এটি।
এই আইবিপি রুটের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ বাস্তুতন্ত্রে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান (লিটন), রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকীর আহ্বান
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনী সদস্যদের শিগগিরই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
কৌশলগত বিষয়ে কিছু না বলার শর্তে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে চাই না। নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত থাকায় এটি গোপনীয়। উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে তাদের শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়ে তারা কাজ করছেন। "এটাই আমাদের অগ্রাধিকার। তারা (মিয়ানমার) তাদের ফিরিয়ে নিতে চায়।’
শুধু মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। এর আগে শতাধিক মানুষ ভারতে ঢুকে পড়েছিল এবং মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কর্মসূচি পুরোনো গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার নামান্তর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের আগমনের বিষয়ে তারা প্রতি মুহূর্তেই গণমাধ্যমকে জানায়। 'কোনো লুকোচুরির সুযোগ নেই'
তিনি বলেন, ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক তা আমরা কখনোই দেখতে চাই না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে নিরাপত্তা, জলবায়ু ও অবৈধ মাদকসংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে মিয়ানমারের সিত্তেতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেখানকার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে ইয়াঙ্গুনে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
ভারতে সদ্য সমাপ্ত প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, এই সফরে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে যে সম্মান দেখানো হয়েছে তা দেখে তিনি অভিভূত।
বিএনপি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পুরোনো গাড়ি চালু করতে সময় লাগে। ‘বিএনপি একটি পুরোনো গাড়ির মতো। সামান্য নড়াচড়া করার পর থেমে যায়।’
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত হবে ও গণতন্ত্রের পথে চলবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসলে গত জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছে এবং তাদের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত বুধবার 'স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১' ও 'বিকশিত ভারত-২০৪৭' রূপকল্পসহ দুই দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ততার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে ৭-৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, 'আমাদের আলোচনা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও দৃঢ় করবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদের প্রথম ভারত সফর এবং কোনো দেশে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হবে বে-টার্মিনাল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে অভাবনীয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অস্থায়ীভাবে সরানো হচ্ছে মিয়ানমারের সিত্তেতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট
বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে মিয়ানমারের সিত্তেতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট শিগগিরই ইয়াঙ্গুনে অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থানান্তর করা হবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, ‘ইতোমধ্যেই মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া চলছে।’
সিত্তেতে অবস্থিত অন্যান্য বিদেশি মিশনগুলোও নিরাপত্তার কারণে ইয়াঙ্গুনে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শনিবার বলেছেন, দুই দেশের আলোচনার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: নৃশংস অপরাধের জন্য মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান
মিয়ানমারের বিজিপি-সেনাবাহিনীর সদ্যস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী