%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে দেশটির সীমান্ত পুলিশের আরও ৩৭ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হাছান বলেন, ‘আকাশ পথে নাকি সড়ক পথে তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন, মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এর আগে ভারতীয় ভূখণ্ডেও ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের আকাশ পথে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আমরাও তাদের ফেরত পাঠাব।’
সীমান্ত সুরক্ষা ও এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে। সকাল পর্যন্ত ৯৫ জন রেজিস্টার্ড হয়েছে। তারা তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ফলে তৃতীয় পক্ষ ডাকার সুযোগ নেই।’
'বাইডেনের চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লেখা চিঠিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লেখা চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে যাবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আর কোনো 'অস্বস্তি' নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন।
তিনি একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যসমূহে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে চান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।'
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ মন্ত্রীর অভিনন্দন
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান রিচার্ড হোল্ডেন এমপি।
ভারতের (বাণিজ্য ও বিনিয়োগ) বিষয়ে হাউস অব লর্ডসে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) প্রেসিডেন্ট ব্যারনেস স্যান্ডি ভার্মা এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক যুক্তরাজ্য সফর এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী স্যার হ্যারল্ড উইলসনের সঙ্গে তার বৈঠকের ৫২ বছর পূর্তিতে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর যুক্তরাজ্য সফরকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, 'শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগণের নাগরিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের জন্য জীবনের অধিকাংশ সময়ই সংগ্রাম করতে গিয়ে ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন এবং ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য সংসদ সদস্য ও লর্ডসরাও চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব বিকাশ ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন। অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন ইন্ডিয়ার (ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট) প্রেসিডেন্ট ব্যারনেস ভার্মা, অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশের ভাইস চেয়ার টম হান্ট এমপি ও আফজাল খান এমপি, ডিসিএমএস বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেটের সাবেক পার্লামেন্টারি প্রাইভেট সেক্রেটারি পল ব্রিস্টো এমপি, শ্যাডো এসএনপির মুখপাত্র (হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার) মার্টিন ডে এমপি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার লর্ড বোয়াটেং, ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান স্যার স্টিফেন টিমস এমপি, অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন ইন্ডিয়া (ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট) এর ভাইস চেয়ার ওয়াটফোর্ডের লর্ড ডেভিড ইভান্স, পররাষ্ট্র বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার ব্যারোনেস উদ্দিন কনজারভেটিভ, লেবার ও এসএনপি দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেন।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের স্মরণ করিয়ে দিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ৫ বছর ধরে ৮ জানুয়ারির ঐতিহাসিক সফর উদযাপন করে আসছে। এই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য সফর এবং দুটি ঐতিহাসিক বৈঠকের মাধ্যমে আজকের গতিশীল বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, 'ভারতের জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধুকে একজন ক্যারিশম্যাটিক ও দূরদর্শী নেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে জাতিকে প্রশংসনীয়ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ও ভারতের গণতন্ত্র, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিশ্চিতভাবে উভয় দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের কারণে যুক্তরাজ্যের নিজস্ব প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন বজায় রাখতে সহায়তা করবে।’
আরেক বিশেষ অতিথি এবং অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ভাইস চেয়ার লর্ড বোয়াটেং বঙ্গবন্ধুকে অন্যতম ক্যারিশম্যাটিক নেতা হিসেবে অভিহিত করে বলেন, '১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।’
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, সুলতান মাহমুদ শরীফ, সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এবং সৈয়দ মোজাম্মেল আলীসহ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারি সফরের চমৎকার স্মৃতির বর্ণনা দেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ৫৮ সদস্য, ৪ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৫৮ বিজিপি সদস্য। এরমধ্যে আহত অবস্থায় এসেছেন ২৭ জন। তারা বিদ্রোহীদের আক্রমণে তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
তাদের মধ্যে ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সীমান্তে থাকা ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রবিববার(৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মুহুর্মুহু গুলি ও মর্টারশেলের শব্দ প্রকম্পিত হয় তুমব্রু সীমান্ত। ধারণা করা হচ্ছে দুই সীমান্তের ৩৪ নং পিলারের ওপাড়ে মিয়ানমার অংশে মিয়ানমারের জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
এই ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। এলাকা ছেড়েছেন অনেকেই। ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
জীবন বাঁচাতে মিয়ানমারের ৫৮ জন সীমান্তরক্ষী পুলিশ বাংলাদেশের বান্দরবানের তুমব্র বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তর।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তে থাকা মানুষগুলো আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তে মর্টার শেল, গুলি এসে পড়ছে। সীমান্তে স্থানীয়দের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শামশুল আলম, টিটু, পবিন্দ্র ধর ও রহিমা বেগম।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের ভেতরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক। এসব গোলাবারুদ আর বিস্ফোরকের বিকট শব্দে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি একটি অতিরিক্ত বোঝা এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীন ভূমিকা রাখতে পারে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা বিশেষ করে সড়ক, পরিবহন ও সেতু এলাকা এবং মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এই চিঠিটি ইউএনবির এই প্রতিবেদক সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাসী অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোতে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে চান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।'
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন বলেই বিশ্বের সব দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অব কালচার মিলনায়তনে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়াম এবং বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা ও মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে এবং বিএনপি-জামায়তের সব কিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি যদি না থাকত, তাদের জ্বালাও-পোড়াও যদি না থাকত, দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেত।
এ সময় রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রবাসীদের সব সময় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
প্রবাসী বক্তারা তাদের বক্তৃতায় বেলজিয়ামে দীর্ঘ সময় অধ্যয়নকারী ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তারা বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ফুল ও সংবর্ধনা স্মারক দেওয়া হয়।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকীর আহ্বান
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশিদেরও এক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী। তিনি প্রবাসীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানান।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম ও বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণবিষয়ক এক সেমিনারে হাইকমিশনার এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে এই স্কিমের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশ উপকৃত হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র এ স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের যথাযথ ব্যবহারসহ নিদিষ্ট মেয়াদ শেষে মাসিক পেনশনের নিশ্চয়তা দেবে।
হাইকমিশনার বলেন, প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি-ইউএনএফপিএ-ইউএনওপিএসের প্রথম আঞ্চলিক অধিবেশন সমাপ্ত
আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেকগুণ বেড়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রবাসীদের জন্য পৃথক স্কিম চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা। তারা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাংকিং পদ্ধতিকে সহজতর করারও অনুরোধ করেন।
সেমিনারে মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাওয়ার পয়েন্টে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ও বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টারিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস জুটা আরপিলাইনেন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জ্যানেজ লেনারসিচের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি-ইউএনএফপিএ-ইউএনওপিএসের প্রথম আঞ্চলিক অধিবেশন সমাপ্ত
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও জাতিসংঘ প্রকল্প পরিষেবা অফিস (ইউএনওপিএস) গত কয়েক বছর ধরে বহুমুখী ও বারবার সংকট মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা ও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। বিশেষত সবচেয়ে দুর্বল ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য সহায়তা জোরদার করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি আশ্বস্ত করছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাগুলোর নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বোর্ডের প্রথম নিয়মিত অধিবেশনের সমাপনীতে সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।
২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী অধিবেশন চলাকালীন বোর্ড দেশ পর্যায়ে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর কাজের প্রভাবসহ বাস্তব, কর্মক্ষম ও পরিচালনার বিষয়গুলো নিয়ে মিথষ্ক্রিয়ামূলক আলোচনায় জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিবেশনে বোর্ডের মূল তদারকি কার্যক্রমের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে নীতি মূল্যায়ন, নিরীক্ষকদের প্রতিবেদন যাচাই এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘের এই তিনটি মূল সংস্থার প্রধান- ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক নাতালিয়া কানেম, ইউএনওপিএসের নির্বাহী পরিচালক জর্জ মোরেরা দা সিলভা বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে সংলাপ বিনিময় করেন।
তারা সকলেই জটিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নির্বিশেষে মূল ভিত্তিতে থেকে জনগণের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত মুহিত কারিগরি ও কৌশলগত দিকনির্দেশনার মাধ্যমে জাতিসংঘের এই তিনটি সংস্থার কাজকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং জাতিসংঘের কাজ যাতে জনগণের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ফলাফল বয়ে আনে সেজন্য বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত নির্বাহী বোর্ডের অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করা ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক কাঠামোতে সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি রাষ্ট্রদূত মুহিত ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএস নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত যিনি ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএস এর নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি একই বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউএন উইমেন এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সন ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন।
ব্রাসেলজে চলমান তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে বৃহস্পতিবার(১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ ৫০ বছরের সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানকে শিগগিরই ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার