%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন বলেই বিশ্বের সব দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অব কালচার মিলনায়তনে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়াম এবং বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা ও মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে এবং বিএনপি-জামায়তের সব কিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি যদি না থাকত, তাদের জ্বালাও-পোড়াও যদি না থাকত, দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেত।
এ সময় রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রবাসীদের সব সময় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
প্রবাসী বক্তারা তাদের বক্তৃতায় বেলজিয়ামে দীর্ঘ সময় অধ্যয়নকারী ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তারা বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ফুল ও সংবর্ধনা স্মারক দেওয়া হয়।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকীর আহ্বান
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশিদেরও এক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী। তিনি প্রবাসীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানান।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম ও বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণবিষয়ক এক সেমিনারে হাইকমিশনার এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে এই স্কিমের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশ উপকৃত হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র এ স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের যথাযথ ব্যবহারসহ নিদিষ্ট মেয়াদ শেষে মাসিক পেনশনের নিশ্চয়তা দেবে।
হাইকমিশনার বলেন, প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি-ইউএনএফপিএ-ইউএনওপিএসের প্রথম আঞ্চলিক অধিবেশন সমাপ্ত
আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেকগুণ বেড়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রবাসীদের জন্য পৃথক স্কিম চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা। তারা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাংকিং পদ্ধতিকে সহজতর করারও অনুরোধ করেন।
সেমিনারে মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাওয়ার পয়েন্টে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ও বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টারিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস জুটা আরপিলাইনেন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জ্যানেজ লেনারসিচের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি-ইউএনএফপিএ-ইউএনওপিএসের প্রথম আঞ্চলিক অধিবেশন সমাপ্ত
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও জাতিসংঘ প্রকল্প পরিষেবা অফিস (ইউএনওপিএস) গত কয়েক বছর ধরে বহুমুখী ও বারবার সংকট মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা ও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। বিশেষত সবচেয়ে দুর্বল ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য সহায়তা জোরদার করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি আশ্বস্ত করছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাগুলোর নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বোর্ডের প্রথম নিয়মিত অধিবেশনের সমাপনীতে সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।
২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী অধিবেশন চলাকালীন বোর্ড দেশ পর্যায়ে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর কাজের প্রভাবসহ বাস্তব, কর্মক্ষম ও পরিচালনার বিষয়গুলো নিয়ে মিথষ্ক্রিয়ামূলক আলোচনায় জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিবেশনে বোর্ডের মূল তদারকি কার্যক্রমের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে নীতি মূল্যায়ন, নিরীক্ষকদের প্রতিবেদন যাচাই এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘের এই তিনটি মূল সংস্থার প্রধান- ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক নাতালিয়া কানেম, ইউএনওপিএসের নির্বাহী পরিচালক জর্জ মোরেরা দা সিলভা বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে সংলাপ বিনিময় করেন।
তারা সকলেই জটিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নির্বিশেষে মূল ভিত্তিতে থেকে জনগণের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত মুহিত কারিগরি ও কৌশলগত দিকনির্দেশনার মাধ্যমে জাতিসংঘের এই তিনটি সংস্থার কাজকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং জাতিসংঘের কাজ যাতে জনগণের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ফলাফল বয়ে আনে সেজন্য বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত নির্বাহী বোর্ডের অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করা ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক কাঠামোতে সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি রাষ্ট্রদূত মুহিত ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএস নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত যিনি ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএস এর নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি একই বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউএন উইমেন এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সন ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন।
ব্রাসেলজে চলমান তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে বৃহস্পতিবার(১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ ৫০ বছরের সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানকে শিগগিরই ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে চলমান তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে ভিয়েতনাম, বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এই বৈঠকে মিলিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠককালে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনামে সরকারি সফরের জন্য সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ফা মিন চিনহের আমন্ত্রণ ড. হাছানের কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে ড. হাছান মাহমুদকেও দ্রুত ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বেলজিয়ামের পররাষ্ট্র, ইউরোপীয় বিষয় ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী হাদজা লাহবিব।
বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অব্যাহত সমর্থনের জন্য বেলজিয়াম সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
চেক রিপাবলিকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যান লিপাভস্কি এবং সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রোমের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলোতে মন্ত্রী চারটি দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য ও বাংলাদেশের উদীয়মান খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে এ বিষয়ে দেশটির ওপর আন্তুর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেন চার দেশের মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন: ইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজায়নে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজায়নে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
টেকসই ভবিষ্যৎ ও বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে প্রকৃতিবান্ধব উন্নয়নে সবুজ রূপান্তরের বিষয়েও জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।
শুক্রবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে চলমান তৃতীয় ইইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে 'দ্য গ্রিন ট্রানজিশন- পাটনারিং ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান তার বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন, পরিবর্তনে অভিযোজন এবং সবুজ রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি আহরণ ও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ জোর দিয়েছে।
পরিবেশবান্ধব পাট ও সবুজ হাইড্রোজেন ব্যবহার এগিয়ে নিতে এ সংক্রান্ত গবেষণা, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগ সহায়তার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ এবং পূর্ব তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেন্দিতো ফ্রেইতাসের পরিচালনায় আলোচনায় ভিয়েতনাম ও স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বক্তারা অংশ নেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ এবং আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূল থেকে আরব উপদ্বীপ এবং এশিয়া হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাজ্যগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্ধশতাধিক দেশের এই ফোরামে প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এক প্রেস কর্মকর্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষাবিদদের একটি অংশ বলছে, এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতির বিষয়টিই তুলে ধরেছে এ ঘটনা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করার আগে মুশফিকুল ফজল আনসারি দুটি অনুচ্ছেদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা মনে করেন, ওই পর্যবেক্ষণে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি যেকোনো পেশাদার সাংবাদিকেরই এড়ানো উচিত।
আনসারি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়ও প্রকাশ পেয়েছে। জয়ের জন্য ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাস্তবে বাংলাদেশের নির্বাচনে যেসব দেশ জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
সিনিয়র সাংবাদিকরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা একটি পুরোনো তৎপরতা। এটিকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা বলা যায় না, কারণ তিনি এই প্রশ্নগুলোর জবাবও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- তিনি যে পোর্টালটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, তা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী সমর্থিত প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভ্যানগার্ড হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
জাস্টনিউজ নামে পরিচিত ওই পোর্টালের বিষয়বস্তু মিথ্যা বিবরণের আরেকটি উদাহরণ এটি। অগ্নিসংযোগকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা, ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন ও তারেক রহমানকে তার অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে তারা বিভিণ্ন প্রতিবেদন করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করে।
এর আগেও, আনসারি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তখন শিক্ষাবিদরা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এবং রাজনৈতিক এজেন্ডায় চালিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সেই আনসারিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের মিথ্যা দোষারোপ করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে দাবি করতে দেখা যায়। যা বিরোধীরা তাদের অগ্নিসংযোগের সহিংস কাজ এবং নির্বাচনি প্রচার বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক দাবির ন্যায্যতা দেয়।
নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকদের 'বিরোধীদের পক্ষে' কাজ করানোর উদ্দেশ্যে আনসারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে 'স্বাধীন গণমাধ্যম আউটলেটগুলোকে' 'সরকারপন্থী' হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অধ্যাপক তাবিউর রহমানের মতে, এই কৌশলটি খুবই অশুভ।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার সামনে তিনি সরকারের ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে বের হয়ে লোকটিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে দেখা যায়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না বলে দাবি তাবিউরের।
তাবিউর রহমান বলেন, 'অগ্নিসন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের লম্বা লম্বা দাবি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুযোগলাভের এ ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহার অব্যাহত থাকা উচিত নয়।’
আনসারির অতীতের একের পর এক মিথ্যা বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, 'এ ধরনের প্রচারণাকে সাংবাদিকতার কাজ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়- কেবল কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাতে পারে। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতা একটি ভালো হাতিয়ার।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলস সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এবং সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার জেনাজ লেনারসিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি লুক্সেমবার্গ সফরকালে তিনি লুক্সেমবার্গের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
এছাড়া বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, লিথুয়ানিয়া, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, ভিয়েতনাম ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাসেলসের উদ্দেশে বুধবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।
সম্প্রতি উগান্ডায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে দুই দিনে ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা স্মরণ করে বুধবার রওনা হওয়ার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেখা যাক আমরা কতগুলো বৈঠক করতে পারি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল এই ফোরামের সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রিয়াল ফোরাম ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে পশ্চিমে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রিত করবে।
ইইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদাররা উভয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে এমন জটিল অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, ভূ-রাজনৈতিক ও সুরক্ষা চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এতে একটি উদ্বোধনী অধিবেশন, তিনটি গোলটেবিল আলোচনা এবং একটি সমাপনী অধিবেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ব্রাসেলস ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে এবং ২০২৩ সালের মে মাসে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী দুটি ফোরামের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছে।
সংলাপের জন্য এটি একটি প্ল্যাটফর্ম। এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সংহতি বাড়াতে প্রায়োগিক উপায়গুলো চিহ্নিত করাই এ প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য ।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল, এ কারণেই ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতার জন্য ২০২১ সালের ইইউ কৌশলটি নির্ধারণ করে যে কীভাবে ইইউ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, এটি স্পষ্ট যে সহযোগিতা এই চ্যালেঞ্জগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ঝুঁকি ও বাধাগুলোর স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার মূল চাবিকাঠি।
বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একযোগে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করবেন।
বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন। তিস্তা নিয়ে চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা তা এই মুহূর্তে এভাবে বলা যাচ্ছে না। যদি ভারত এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি সহযোগিতা ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে।
রাখাইন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাখাইনে চলমান সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় । তবে এই সংঘাতে বাংলাদেশ বা আমাদের নাগরিক যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং নতুন অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। মিয়ানমারে আমাদের দুইটি কুটনৈতিক মিশন রয়েছে। সিটুয়্যে তে আমাদের মিশন এবং নেপিদোতে (ইয়াংগুনে) দুতাবাস বিষয়টির সার্বিক পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সরকারের সব কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঢাকাস্থ মিয়ানমারের দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় ও তড়িৎ যোগাযোগ রক্ষা করছে মন্ত্রণালয়। এছাড়াও আমাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে তাদের মিয়ানমারের প্রতিপক্ষের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্প্রতি বলেন, 'এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’
জয়শঙ্কর এর আগে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে এ আমন্ত্রণ জানান।
ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে উগান্ডায় বহুপাক্ষিক সফর শুরু করেন। তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি এখন বেলজিয়ামের ব্রাসেলস সফর করছেন।