%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
এই সরকার জনগণের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।
তিনি বলেন, ‘এটি জনগণের সরকার। এটি বাংলাদেশের জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার। ভারত-রাশিয়া-চীন, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়ন-যুক্তরাজ্যসহ কূটনৈতিক সম্পর্কের সব দেশের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক।’
রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশ সমন্বয়কের তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাৎকালে চীন ও নেপাল উভয় দেশের রাষ্ট্রদূত তাদের নিজ নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। চীন থেকে আমরা বেশি আমদানি করি, কম রপ্তানি করি। আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির আলোচনায় চীন বাংলাদেশ থেকে পাট, চামড়া, মাংস, সি-ফুড, মাছ ও আম আমদানিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। জুলাই বা আগস্ট মাসে আমরা আম রপ্তানি শুরু করতে পারি। চীন একটি বড় বাজার। সেখানে আমাদের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছি।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কক্সবাজারে স্থানীয়রাই সংখ্যালঘু, রোহিঙ্গা বেশি। নিরাপত্তা, মাদকসহ নানা সমস্যা সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। চীন এ বিষয়ে কাজ করছে এবং প্রত্যাবাসন যাতে শুরু হয় সে লক্ষ্যে কাজ করতে একমত হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বৈরি পরিবেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, চীন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সুবিধাজনক সময়ে সেটি হওয়ার জন্য আলোচনা চলছে।
জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর গুয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ড. হাছান জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব তার চিঠিতে ও আমার সঙ্গে কাম্পালায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বিশ্বনেতাদের কাছেও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। কিন্তু এর সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যে বিবৃতি দেয়, মাঝেমাঝে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এটি নিয়ে আমি তার সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করতে চাই: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল উৎস থেকে তারা যে সংবাদ পায়, সেটি যেন না হয়। তারা যাতে ভেরিফায়েড সোর্স থেকে তথ্য পায় এবং আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ঘুমন্ত মানুষকে দগ্ধ করা, ২৮ অক্টোবরের ঘটনাপ্রবাহ সেগুলো যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রিপোর্টে আসেনি সেটি আমি তাকে জানিয়েছি। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন বিষয়টি তিনি দেখছেন।'
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোচনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর সেদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি বেশি নিবদ্ধ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তুর্জাতিক সহায়তাও অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমি বলেছি, রোহিঙ্গা ইস্যু যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্পটলাইটে থাকে। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন, এটি নিয়ে জেনেভায় আন্তুর্জাতিক ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে এবং এ নিয়ে বৈঠক আসন্ন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীর সঙ্গে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, যাতায়াত বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের উত্তরের সীমান্ত থেকে নেপাল মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে। ১ লাখ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতার সম্ভাবনার দেশ নেপালের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি হয়েছে, এর ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান: ব্রিটিশ এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় ‘নিনইয়ো- আর্ট অ্যান্ড বিউটি অব জাপানিজ ডলস’ প্রদর্শনী ২ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘নিনইয়ো- আর্ট অ্যান্ড বিউটি অব জাপানিজ ডলস’ শীর্ষক জাপানি পুতুল প্রদর্শনী।
বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের সহযোগিতায় জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
এই প্রদর্শনীতে থিমগুলো চারটি বিভাগে বিভক্ত-
‘শিশুদের বেড়ে উঠার জন্য প্রার্থনা করবেন নিনইয়ো’, ‘চারুকলা হিসেবে নিনইয়ো’, ‘লোকশিল্প হিসেবে নিনইয়ো’ ও ‘নিনইয়ো সংস্কৃতির বিস্তার’।
জাপানি ভাষায় ‘নিনইয়ো’ মানে পুতুল।
এই প্রদর্শনী জাপানের ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতিতে লালিত জাপানি পুতুল ও এর সংস্কৃতি তুলে ধরে। মৌসুমি উৎসবগুলোতে ব্যবহৃত হয় ‘শিশুদের বৃদ্ধির জন্য প্রার্থনারত নিনইয়ো’। এ ছাড়া প্রশংসার জন্য ‘সূক্ষ্ম শিল্প হিসেবে নিনইয়ো’ বিভিন্ন কৌশল, প্রযুক্তি ও শৈলীর মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। লোক শিল্প হিসেবে নিনইয়ো স্থানীয় বৈচিত্র্য ও সাধারণ সৌন্দর্যের প্রতীক এবং ‘নিনইয়ো সংস্কৃতির বিস্তার’ আজও পুতুলের বৈচিত্র্যকে অব্যাহত রেখেছে তারই প্রতিফলন।
জাপান দূতাবাস আশা করছে, জাপানি পুতুলের সুন্দর উপস্থাপনায় বাংলাদেশের মানুষ মুগ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ আমাকে কলকাতার চেয়ে বেশি ভালোবাসে: স্বস্তিকা
তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি একই রকম নাও থাকতে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথকভাবে তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই ভালো ছিল না। সেখানে সবসময় অস্থিরতা বিরাজ করে- কখনো ভালো, কখনো খারাপ। মিয়ানমার এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মস্থান রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ।
আরও পড়ুন: গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, এই মুহূর্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবাগুলোর জন্য অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের সঙ্গে বৈঠকে তারা রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউএনআরসি মন্ত্রীকে জানান, মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা দিতে তাদের সাধ্যমতো করছে। ‘মানবিক সহায়তার ব্যাপারে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে: জার্মান রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য একটি অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে।’
এর আগে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সংহতি ও তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজন আমাদের সংহতি। এ সবের জন্য আমাদের তহবিল বাড়াতে হবে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়।’ এটি স্বেচ্ছায় ও এমনভাবে করা দরকার যাতে তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা রক্ষা হয়।
দুজারিক বলেন, 'আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের দাবি পূরণ করে না। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো, যারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে তাদের জন্য বৈশ্বিক সংহতি বাড়ানো দরকার, যেমন কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়। এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহাসচিব।’
রাখাইনে অস্ত্রবিরতি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, তার দেশ রাখাইন রাজ্যে আরেকটি অস্ত্রবিরতির জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে খুব শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন ইস্যুটি নিয়ে আমরা বেশ গভীরভাবে আলোচনা করেছি। আমরা বুঝতে পারছি, এখন আমরা কঠিন সময়ের মুখোমুখি। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত স্মরণ করিয়ে দেন- তারা অতীতে রাখাইন রাজ্যে চীনের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি দেখে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের যৌথ উদ্যোগে তারা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছে চীন: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে এবং রোহিঙ্গারা যাতে যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সম্পৃক্ত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিস্তা প্রকল্প সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীন এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে এর জন্য সবার আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব প্রয়োজন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নত ভবিষ্যৎ ও গভীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিবেশি দেশটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে সাময়িক বিরতির মাধ্যমে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং বাংলাদেশ বাহিনী অনেক আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি অবশ্যই রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মস্থান মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ সৃষ্টি করলে মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সমুদ্রদূষণ রোধে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
সমুদ্রদূষণ রোধ ও সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় বিশ্বের সব দেশকে এক ছাতার নিচে আনার লক্ষ্যে কক্সবাজারে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে দুই দিনের আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রকে ঘিরে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ ও সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি। তবে সাম্প্রতিককালে সমুদ্রদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত অপচনশীল প্লাস্টিক সাগরের তলদেশে জমা হওয়ায় দূষণ আরও বাড়ছে। এজন্য শুধু কোনো একটি দেশ এগিয়ে আসলে সমাধান হবে না, বরং প্রতিটি দেশকে এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুদিনের আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনীতে এসব কথা বলেন বক্তারা।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ সংকট: বুড়িগঙ্গার নিকটবর্তী স্থানীয়দের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্প গ্রহণ
তারা বলেন, দূষণ রোধ ও সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় সব দেশ একই ছাতার নিচে থেকে কাজ করলে বিশাল সমুদ্রসম্পদ বাঁচানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন। বঙ্গোপসাগর অঞ্চল ঘিরে সরকার নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে বাংলাদেশের পাশাপাশি আঞ্চলিক দেশগুলোও এর সুবিধা পাবে।
ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর রিয়াল অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা প্রমুখ।
দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ১২টি দেশের সমুদ্রবিজ্ঞানী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রশংসা করল ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন সফররত ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠককালে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।
ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল এবং তারা বাংলাদেশ ও পার্লামেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর ও উন্নত করতে এসেছেন। তারা গত ১০ বছরে দেশের পরিবর্তন আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আমি তাদের অনুরোধ করেছি। বিশেষ করে বেসরকারি উদ্যোক্তা যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য রাখে। প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য রাখেন। ইতোমধ্যে অনেকের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইসিটি, কৃষি ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে এখানে বিনিয়োগের সক্ষমতা রয়েছে। ‘আমরা কৃষি খাতের যান্ত্রিকীকরণের প্রক্রিয়ায় আছি।’আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে: জার্মান রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ২৮ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদলের সফর।
সাবেক কনজারভেটিভ মিনিস্টার অর টেক অ্যান্ড ডিজিটাল ইকোনমি পল স্কালির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- লেবার পার্টির বাংলাদেশ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও এপিপিজির চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপি, যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক সিলেক্ট কমিটির সদস্য নেইল কোয়েল এমপি, হাউস অব কমন্সের বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন এমপি এবং হাউস অব কমন্সের সিনিয়র পার্লামেন্টারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডমিনিক মফিট।
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হুসেন এমবিই এবং কানেক্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইভেলিনা বানিয়ালিয়েভা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ সফরে ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল
তারা টুঙ্গিপাড়া সফর করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এই প্রথম ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করবে।
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার কৌশলগত স্বার্থ নেই, পারস্পরিক লাভজনক উপায়ে আরও গভীর করা যেতে পারে ঢাকা-সিউল সম্পর্ক: রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পর একটি সবুজ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবে।
প্রতিনিধি দলটি যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য সিলেট সফর করবে।
মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় প্রদান এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে ৩০ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবে।
কানেক্টের ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ান এবং কমনওয়েলথ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এই সফরের সমন্বয় করে লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন।
আগামী ৩১ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটির রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি হঠাৎ করে নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের শরণার্থীদের বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের বলেছি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান, এর বিকল্প নেই। এটিই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। সেটা আমি তাদের বলেছি, তারা আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তবে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা সবসময় চেয়েছি। আমরা মনে করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের সঙ্গে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যদি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় তাহলে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, ‘যেসব বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা আমাদের দেশে এসেছে, তাদের কারণে আমাদের দেশে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও আমার আলোচনা হয়েছে। আমাদের এখানে নিরাপত্তা ও পরিবেশগত সমস্যাসহ বহুমাত্রিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতি বছর ৩৫ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করছে। সেসময় মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা মনে করি মিয়ানমারের পরিস্থিতি উত্তরণের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। কিছুদিন আগে ন্যাম সম্মেলনে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও কৌশলগত সহযোগিতা-অংশীদারিত্ব চায় ফ্রান্স
প্যালেস্টাইন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের (আইসিজে) রায় বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আইসিজে গতকাল যে রায় দিয়েছে সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলকে সমর্থন জানিয়েছি। ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হয়েছে- তা আইসিজের রায়ে বলা হয়েছে। সেখানে গণহত্যা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ হচ্ছে-সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে এই রায় সহায়ক হবে।’
ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যদি আরও সমর্থন যোগাতে হয় সেক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের সমর্থন দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও গভীরতর করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তারা। বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সঙ্গেও যাতে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করা যায়, সেটিও তাদের উদ্দেশ্যের মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, তারা প্রথমত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন ১০ বছর আগে যখন ঢাকা এসেছিলেন তখন এয়ারপোর্ট থেকে শহরের দিকে আসতে প্রচুর ট্রাফিক জ্যাম পোহাতে হয়েছে। আজকে খুব সহজে চলে এসেছে। এটি শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে: জার্মান রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আমি তাদের অনুরোধ করেছি। বিশেষ করে বেসরকারি উদ্যোক্তা যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য রাখে। প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য রাখেন। ইতোমধ্যে অনেকের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে সম্ভাব্য ৩০০ বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিকে নিয়ে ঢাকায় একটি সম্মেলনও হয়েছিল। সেটার রেফারেন্সে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিশেষ করে আইসিটি ও কৃষি খাতে বিনিয়োগের যে সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন অংশীদার এবং যুক্তরাজ্যের অনেক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আছে। বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার কৌশলগত স্বার্থ নেই, পারস্পরিক লাভজনক উপায়ে আরও গভীর করা যেতে পারে ঢাকা-সিউল সম্পর্ক: রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক
দক্ষিণ কোরিয়ার কৌশলগত স্বার্থ নেই, পারস্পরিক লাভজনক উপায়ে আরও গভীর করা যেতে পারে ঢাকা-সিউল সম্পর্ক: রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ই পারস্পরিক লাভজনক উপায়ে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে পারে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) কসমস ডায়ালগে মূল বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, ‘কোরিয়া ভারত, চীন বা যুক্তরাষ্ট্র নয় এবং (বাংলাদেশে) কৌশলগত স্বার্থ নেই।’
গত পাঁচ দশকে উভয় দেশের অর্জনের ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ৫০ বছরকে আরও সমৃদ্ধ করার এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, এ জন্য উভয় দেশকে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
'বাংলাদেশ-সাউথ কোরিয়া রিলেশনস: প্রগনোসিস অব দ্য ফিউচার' শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করেছে কসমস ফাউন্ডেশন। যা তাদের অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি, পণ্ডিত-কূটনীতিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী আয়োজনটির সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান সমাপনী বক্তব্য দেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ খান।
প্যানেল আলোচনায় ছিলেন- কসমস ফাউন্ডেশনের অনারারি অ্যাডভাইসর ইমেরিটাস সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ. করিম; মোহাম্মদী গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবানা হক; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী।
১৯৭৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশ রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং জনশক্তি বিনিময়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে আসছে। সম্প্রতি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। পুঞ্জীভূত অর্থের দিক থেকে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ পঞ্চম বৃহত্তম।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জুতা ও চামড়া, আইসিটি, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙা শিল্প, ব্লু ইকোনমি ও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, কৃষি ও কৃষি যন্ত্রপাতি, গ্রিনহাউস ও কার্বন ট্রেডিং স্কিমকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ৯ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে বৈঠক করেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার অঙ্গীকার করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণ, দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি, শিক্ষা খাতে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, ফ্যাশন ডিজাইনে সহযোগিতা ও বিদ্যমান বাণিজ্যে মূল্য সংযোজনের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
সংলাপে সাবেক ও বর্তমান কূটনীতিক, পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ সফরে ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ সদস্যের ব্রিটিশ ক্রস-পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল সফরে আসছে।
২৮ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
তাদের আজ (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম সংসদীয় সফর।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ চায় যুক্তরাজ্য
সাবেক কনজারভেটিভ টেক অ্যান্ড ডিজিটাল ইকোনমি মন্ত্রী পল স্কালি এমপির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এই সংসদীয় প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- ৩ জন লেবার দলের সংসদ সদস্য (এমপি)। তারা হলেন- বাংলাদেশবিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ে এপিপিজির চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপি, ইউকে হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক নির্বাচন কমিটির সদস্য নিল কোয়েল এমপি ও হাউস অব কমন্সে বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন এমপি। হাউস অব কমন্সের জ্যৈষ্ঠ সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিটও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই এবং কানেক্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইভেলিনা বানিয়ালিয়েভা।
প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়া সফর করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এবারই প্রথম ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ পরিদর্শন করছে।
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার পর একটি সবুজ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবে।
তারা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য সিলেট সফর করবেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় প্রদান এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে ৩০ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল এবং কমনওয়েলথ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কানেক্ট এই সফরের সমন্বয় করছে।
প্রতিনিধি দলটির ৩১ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের