%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বাণী পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ বীর শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ২৩ বছরের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীন বাংলার রূপকার হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অগ্রগণ্য ভূমিকা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তুলে ধরেন।
১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতার প্রত্যাবর্তনে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার অর্জন ও বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পেয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব আমাদের দেশকে উন্নয়নের সঠিক পথে পরিচালিত করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে প্রবাসী সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সক্রিয় অংশ নিতে আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী, জাতিসংঘ-আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ-বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মালেকা পারভীন এবং দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ।
আলোচনা পর্বে হাসনাত আহমেদ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের তাৎপর্য, বঙ্গবন্ধুর কারাভোগ, মুক্তি, লন্ডন ও ভারতে যাত্রা বিরতি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বল্প সময়ে ভারতীয় সেনাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো নিশ্চিত করণ ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙ্গালির স্বাধীনতার পূর্ণতা লাভ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় ৪ নেতাসহ সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং উপস্থিত সবাইকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন, পাকিস্তানি শাসকবর্গের নির্মমতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক আতিথেয়তা, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, বঙ্গবন্ধুর জাতির উদ্দেশে সদ্য স্বাধীন দেশ গঠনে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ প্রদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম অবতরণস্থল তেজগাঁও বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় অদূর ভবিষ্যতে একটি স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. মাসূমুর রহমান। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জাতিসংঘের
যেকোনো ধরনের সহিংসতা পরিহার এবং প্রত্যেকের মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত ৯ জানুয়ারি নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি মনে করি, আমরা আপনাদেরকে আগেই বলেছি, মহাসচিব সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করতে এবং সবার মানবাধিকার ও আইনের শাসনে সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যে সহিংসতা দেখেছি তা নিয়ে তিনি অবশ্যই উদ্বিগ্ন।’
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদাররা তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নতুন ও পুরাতন মুখের সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছেন তিনি।
তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
রবিবারের নির্বাচন ‘অবাধ বা সুষ্ঠু’ হয়নি- যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিযোগ করলেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দেশটি।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ভোটের একদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও সুশীল সমাজকে সমর্থন করতে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, জিএসপি প্লাস অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য স্কিমে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবেশাধিকারসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকারের বিষয়ে তারা কাজ অব্যাহত রাখবে।
ইইউ'র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেল ফন্টেলেস বলেন, 'রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান জানাতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে অংশ নিতে ইইউ সব অংশীজনকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করে।’
ইইউ বলেছে, এটি অপরিহার্য যে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সেন্সরশিপ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাজ্য সব রাজনৈতিক দলকে তাদের মতপার্থক্য দূর করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে অভিন্ন পথ খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করেছে। ‘আমরা এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
যুক্তরাজ্য অবশ্য বলেছে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশিদের 'পূর্ণ সুযোগ' দেয়নি।
মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের প্রসারে 'সহায়ক' গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, 'একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে ভারত, জাপান, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মুসলিম বিশ্বসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল উপযুক্ত সুবিধাজনক সময়ে নেপাল সফরের জন্য শেখ হাসিনাকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসিও নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনে বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার অভিনন্দন।’
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ সচিবালয় জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রস্তুত এবং বাংলাদেশের জনগণ ও কমনওয়েলথ পরিবারের সকল সদস্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
কানাডা অবশ্য 'হতাশা' প্রকাশ করে বলেছে, এই নির্বাচন প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার যে নীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার 'ঘাটতি' হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে স্বচ্ছভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ
গত ৯ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে কানাডা সরকার বলেছে, 'কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে এবং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় সংঘটিত ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার নিন্দা জানায়।’
অন্যদিকে কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, 'আমরা কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি এবং এ লক্ষ্যে আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’
কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্র্যাড রেডেকোপ এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আতাউল্লাহজান, কেভিন ওয়াহ এমপি, ল্যারি ব্রক এমপি এবং কেন হার্ডি এমপি যৌথভাবে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস সোয়াব বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক বার্তায় সোয়াব বলেন, 'আপনার নেতৃত্বে গৃহীত সাহসী সংস্কারগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করতে সহায়তা করেছে।’
তিনি বলেন, 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তার পূর্ণ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার জন্য আপনার এবং আপনার সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে উন্নয়নের গতিশীলতার একটি শক্তিশালী প্রভাবশালী দেশ।
তিনি বলেন, নতুন অর্থনৈতিক প্রকল্প, শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, নতুন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ(ফডিআই) সুবিধা এবং বৈশ্বিক সংঘাত বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থায়ন করতে হবে।
এক্স (পূর্বে টুইটার) এ শেয়ার করা পৃথক বার্তায় তিনি বলেন, প্রায় সবাই একমত যে সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব রয়েছে। 'আওয়ামী লীগকে একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে'
অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের চ্যালেঞ্জগুলো বিশাল, যা উন্মুক্ত ও তীক্ষ্ণ বিতর্কের মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, 'ভিন্নমত ও মতবিরোধের সুযোগ দিতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রস্তাব করছি।’
সরকার বলেছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে কোনো অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়াই নির্বাচিত সরকারের মধ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের এক ব্রিফিং নোটে বলেছে, 'গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, কিন্তু গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমেই তা পরিপক্কতা অর্জন করে।
কূটনীতিকদের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী এতে অংশ নিতে আগ্রহী হলেও এটা দুঃখজনক যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অসাংবিধানিক দাবির অজুহাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১১ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানকে অসাংবিধানিক ও অকার্যকর ঘোষণা করে। কারণ, এটি আমাদের রাষ্ট্রনীতির মৌলিক নীতি হিসাবে গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
গত ৭ জানুয়ারি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে 'অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ' পদ্ধতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৪ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল আবাসন দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, সহযোগিতা ও সহায়তার কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, অনুশীলনেই পরিপক্কতা অর্জন করে: কূটনীতিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সরকার বলেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে কোনো ধরনের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়াই নির্বাচিত সরকারগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলেছে, 'গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, কিন্তু চর্চার মাধ্যমেই তা পরিপক্কতা অর্জন করে।’
মন্ত্রণারয় কূটনীতিকদের জানিয়েছে, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী এতে অংশ নিতে আগ্রহী হলেও এটা দুঃখজনক যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অসাংবিধানিক দাবির অজুহাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
২০১১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বিধানকে ‘অতি বৈষম্যমূলক’ (আইনী কর্তৃত্বের আওতা বহির্ভূত যে কোনও কাজ) এবং বাতিল ঘোষণা করে। কারণ, এটি গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নির্বাচন কমিশন বারবার বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল, এমনকি বিএনপি যোগ দিলে ইসি নির্বাচনের তফসিল সংশোধন করতে ইচ্ছুক ছিল।
সরকার বলছে, বিএনপি এই 'অযৌক্তিক দাবিকে' তাদের প্রধান রাজনৈতিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং জনগণের জানমাল ধ্বংস করে তাদের জিম্মি করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল ‘ঢংঢাং’, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন: মোমেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিএনপি ও তার মিত্ররা সারাদেশে যে ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়েছে তা ২০০১, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তাদের কার্যক্রমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তারা প্রায় এক হাজার সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন এবং পুলিশ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও অ্যাম্বুলেন্সসহ দুই শতাধিক স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। প্রায় এক হাজার যানবাহন ও প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনসহ অনেক স্থাপনা ভাঙচুর করেছে। এছাড়া প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য ও প্রায় ৫০০ বেসামরিক লোককে আহত করেছে। এমনকি সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দুই পুলিশ সদস্যসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
ব্রিফিং নোটে বলা হয়,‘তারা আমাদের রেল ব্যবস্থায় নাশকতা চালিয়েছে, যার ফলে এক মা ও তার তিন বছরের শিশুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এতে আরও অনেকে গুরুতর আহত হওয়াসহ পাঁচটি মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে।’
নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি ভয় ও আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য 'সহিংসতা বাড়িয়েছে'। নির্বাচনের আগের দিন ভোটারদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে তারা ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে এবং ভোটারদের ভোট দিতে তাদের নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দিতে বিএনপি দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এতে বলা হয়, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, এতে চারজন যাত্রী নিহত হন। অনেকে গুরুতর আহত হন এবং যাত্রীবাহী ট্রেনটির একটি বগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গত ৭ জানুয়ারি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে 'অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ' পদ্ধতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যক্ষ করেছে যে, বর্তমান সরকার সমর্থিত একটি স্বাধীন ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত সাংবিধানিক সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।
২০২৪ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের জনগণ তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নিয়মভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং শান্তি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রতি তাদের দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে, সাংবিধানিক ম্যান্ডেট সমুন্নত রাখতে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে।
বিএনপির নির্বাচন বর্জন সহিংসতা এবং ক্রমাগত ভীতি প্রদর্শনের আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্পের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ও আকাঙ্ক্ষাকে জোরদার করেছে।
এতে বলা হয়, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আস্থা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত।
ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইস এবং বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনউপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমি দৌঁড়াতে পারি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প আসছে : মাশরাফি
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
মানবাধিকার, আইনের শাসন ও উন্নয়নের প্রসারে 'সহায়ক' গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, 'অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য নিজেদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিবৃতি দেয় অস্ট্রেলিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'যদিও আমরা এই সত্যকে স্বাগত জানাই যে, লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, তবে এটি দুঃখজনক যে নির্বাচন এমন একটি পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে সমস্ত অংশীজনরা অর্থবহ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে অস্ট্রেলিয়া বলেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘটিত সহিংসতা ও রাজনৈতিক বিরোধী দলীয় সদস্যদের গ্রেপ্তারে তারা উদ্বিগ্ন।
দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো বার্তায় তিনি বলেন, ‘আগামী বছরগুলোতে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে ও জোরদার করতে আমি আপনাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুবিধাজনক সময়ে নেপাল সফরের জন্য শেখ হাসিনাকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশি হিসেবে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক সমর্থন, সমঝোতা ও সহযোগিতার পাশাপাশি জনগণ থেকে জনগণে শক্তিশালী যোগাযোগের মাধ্যমে চিহ্নিত।’
তিনি বলেন, তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা করে আসছে।
পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড বলেন, ‘জ্বালানি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ততা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও কল্যাণের পাশাপাশি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
ব্রাজিল সরকার ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনকে স্বীকৃতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জয়লাভের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- উভয় দেশের উন্নয়ন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা এবং দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে ব্রাজিল বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রাজিল-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অত্যন্ত জোরদার হয়েছে। ২০২৩ সালের আগস্টে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, ২ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় 'ফরেন অফিস কনসাল্টেশন' ২০২৩ সালে ব্রাসিলিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত বছর পক্ষীয় বাণিজ্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন : মুখপাত্র
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
ব্রুনাই দারুসসালামে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান নাহিদা রহমান সুমনা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হিসেবে গর্বের সঙ্গে অবিহিত করেন এবং তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্য সবার কাছে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ নামে এই সুন্দর দেশটির অভ্যুদয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জাতির পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সুখ-দুঃখ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করার আশ্বাস দেন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্দীপিত হয়ে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করার, ব্রুনাইয়ের আইন-কানুন মেনে চলার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করার উপদেশ দেন।
এছাড়া, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তার (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো বার্তায় শোয়াব বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে গৃহীত সাহসী সংস্কারগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করতে সহায়তা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম এর পূর্ণ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার জন্য আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড গড়ে তুলুন: সুইস বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি ২০২৪ সালের ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের দাভোস-ক্লিস্টারসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ৫৪তম বার্ষিক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান। এবারের বার্ষিক সভার থিম হচ্ছে- ‘রিবিল্ডিং ট্রাস্ট’।
যথারীতি, ১০০টিরও বেশি সরকার, সকল প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থা, ১ হাজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সংস্থা, প্রাসঙ্গিক নাগরিক সমাজ এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো যোগ দেবে।
তিনি তার (শেখ হাসিনা) নতুন নেতৃত্বের সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘আমি সত্যিই আপনাকে এই প্রচেষ্টায় যুক্ত করতে আগ্রহী এবং দাভোসে আপনাকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আপনার দলের ঐতিহাসিক বিজয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দয়া করে আমার অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আমি আপনাকে এবং আপনার সহকর্মীদের নতুন মেয়াদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফলতা কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী