%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
পর্তুগালের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
পর্তুগালে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ সোমবার (৮ জানুয়ারি) সে দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাজধানী লিসবনে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের অফিস ‘প্যালাসিও দ্যা বেলেমে’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মারসেলো রেবেলো দ্য সোজার কাছে রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রায় ‘বাংলাদেশ ভবন’ হতে ‘প্যালাসিও দ্যা বেলেম’ পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। রাষ্ট্রদূত সালাম গ্রহণকালে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
পর্তুগালের প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াও গোমেজ ক্রাভিনহো, পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো রিবেরো টেলেস, প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিকবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত মারিয়া এ্যামেলিয়া পাইভা, রাষ্ট্রাচার প্রধান জর্জ সিলভা লোপস, প্রেসিডেন্টের অসামরিক ও সামরিক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর লায়লা মুনতাজেরি দীনা এবং প্রথম সচিব মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: মিশরের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসি।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনে বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার অভিনন্দন।
আরও পড়ুন: বিএমসিসিআইয়ের সভাপতি সাব্বির খান, মহাসচিব মোতাহার খান
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, কমনওয়েলথ সচিবালয় জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের জনগণ এবং কমনওয়েলথ পরিবারের সকল সদস্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বক্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই,কারণ তারা জনগণের রায়কে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অহিংস পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটাই যথেষ্ট।’ বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এতে খুবই খুশি।’
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় 'মিট অ্যান্ড গ্রিট' অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আবারও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
মোমেন বলেন, দেশের জনগণ তাদের রায় দিয়েছে এবং তাদের আর কিছুর প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইসসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল ‘ঢংঢাং’, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন: মোমেন
মোমেন এই অনুষ্ঠানটিকে কেবল একটি স্ট্যান্ডার্ড ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল সমন্বয় দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, সহযোগিতা ও অবদানের কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধারাবাহিকতার প্রতীক। যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবদান রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও চরমপন্থা নির্মূলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মোমেনের বক্তব্যের পর কূটনীতিকদের মধ্যে দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলা হয়, 'নতুন সরকারের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সংহতকরণ ও যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় অভিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত হবে।’
ব্রিফিং নোটে বলা হয়, 'আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সফল হবে, যা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম গর্ববোধ করবে।’
এতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিগত তিন মেয়াদে অর্জিত আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও গতিশীলতা আনার নতুন সুযোগের সূচনা করবে। গণতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসব অর্জনে অনেক অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিটস্কি, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইসসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন 'মিট অ্যান্ড গ্রিট' অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মোমেন এটিকে কেবল একটি সৌজন্য ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল সমন্বয় দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতা ও অবদানের ফলে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন : মুখপাত্র
বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন : মুখপাত্র
দীর্ঘদিনের বিদ্যমান বন্ধুত্বকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।
মঙ্গলবার (৯জানুয়ারি) বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন।
চীন 'উচ্চ মানের' বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভ জোরদার এবং চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বের সহযোগিতার জন্য বৃহত্তর অগ্রগতি থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
মুখপাত্র মাও নিং বলেন, 'বাংলাদেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে নির্বাচনের পর আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে চীন দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
মুখপাত্র চীনের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা, পারস্পরিক সুবিধা এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির কথা উল্লেখ করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে চীন। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগকেও অভিনন্দন জানিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করতে এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সম্পূর্ণভাবে শ্রদ্ধা দেখাতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো নিউ ইয়র্কে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সেখানে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুসংহতকরণের জন্য এটি অপরিহার্য। এই বিষয়ে আপনাদেরকে এটাই বলতে পারি।’
সহযোগী মুখপাত্র বলেন, তারা বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তা দেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘যা ঘটছে তা মহাসচিব অনুসরণ করছেন। তিনি বিরোধীদের নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেছেন।’
ভিন্নমতাবলম্বী ও সমালোচকদের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তারের সব অভিযোগ জাতিসংঘ মহাসচিব আমলে নিয়েছেন।
সহযোগী মুখপাত্র বলেন, ‘তিনি স্পষ্টতই নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন।’
বাংলাদেশ সরকারের গণতন্ত্রের পরিবেশ গড়ে তোলা অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, ‘সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করুন এবং মানবাধিকারকে সম্মান করার বিষয় নিশ্চিত করুন।’
নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু নির্বাচনে জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ড. মুইজ্জু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক পারস্পরিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং উভয় দেশ উপকৃত হবে।
বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও অঙ্গীকারের বিষয় উল্লেখ করে মালদ্বীপের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট তাকে অভিনন্দন জানান।
প্রেসিডেন্ট তার শুভেচ্ছা বার্তায় পারস্পরিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি সম্পর্কের দীর্ঘদিনের ইতিহাস তুলে ধরেন।
আ. লীগের জয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের আস্থার প্রমাণ: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের প্রতি দেশটির জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রমাণ।
প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে আস্থা প্রকাশ করেন, তার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য অব্যাহত থাকবে।
শ্রীলঙ্কার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে রনিল বিক্রমাসিংহে সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের জয়ে তাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে আগামী বছরগুলোতে এই বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদার ও সুসংহত হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এই সফর শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়াকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে এবং দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ এবং বিশেষ করে সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশ সরকার শ্রীলঙ্কায় যে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে আসছে তা গভীর প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা এবং শ্রীলঙ্কা ও এর জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ছাড়া এই সময়োপযোগী সহায়তা সম্ভব হতো না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, সুখ ও ব্যক্তিগত কল্যাণ এবং বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য শুভকামনা জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না: রবিবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য
রবিবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলে অভিমত দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
সোমবার পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাজ্য দেখেছে যে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের প্রচার চলাকালে সংঘটিত ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য বলেছে, রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো জায়গা নেই।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের চ্যানেল এসের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন সাঈদা মুনা তাসনীম
যুক্তরাজ্য সকল রাজনৈতিক দলকে তাদের মতপার্থক্য দূর করে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে একটি অভিন্ন পথ খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করেছে এবং বলেছে, ‘আমরা এই প্রক্রিয়ায় সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য বলেছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর নির্ভর করে।
এতে বলা হয়, ‘মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এই মানদণ্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে পূরণ করা হয়নি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভোটের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য বলেছে, ‘একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করলে দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে মামলা এবং ১৯৭১-এর ইতিহাসের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, রবিবারের নির্বাচন যে ‘অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না’ তা যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অভিন্ন মত পোষণ করে এবং তারা দুঃখিত যে সব দল এতে অংশগ্রহণ করেনি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন নানা অনিয়মের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দেখেছে- ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অবাধ, উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুশীল সমাজের সমর্থনে, জনগণের সঙ্গে জনগণের এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের দিন ও এর আগের মাসগুলোতে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানায়।
মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্যভাবে তদন্ত এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে উৎসাহিত করি। আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন