%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অব লেবার জুলি সু'র সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরানের সাক্ষাৎ
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অব লেবার জুলি সু'র সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
১৪ ডিসেম্বর (যুক্তরাষ্ট্র সময়) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ও ভারপ্রাপ্ত মার্কিন সেক্রেটারি অব লেবার বাংলাদেশের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি এবং শ্রমিকদের অধিকার উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
তারা বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে দুই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ত থাকতে এবং পক্ষগুলোর উদ্বেগ আরও বুঝতে সম্মত হন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান একই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি'র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) সেলিম রেজা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বিজয় দিবস উদযাপনে ঢাকায় ৩০ ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন
মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৬ জন কর্মরত কর্মকর্তা বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন অনুসারে, ‘এই সফরগুলো আমাদের বন্ধুত্ব উদযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।’
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতে ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের ওয়ার ভেটারেন ও কর্মরত অফিসারদের প্রতি বছর তাদের বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানায়।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৬ জন কর্মরত অফিসার কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
একইভাবে ৩০ ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৬ জন কর্মরত অফিসার বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
হাইকমিশন বলেছে, এই দ্বিপক্ষীয় সফরগুলো বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন দুই দেশের অনন্য বন্ধুত্ব উদযাপন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। যা মূলত দখল, নিপীড়ন ও গণনৃশংসতা থেকে বাংলাদেশের মুক্তির জন্য ভারত ও বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অভিন্ন আত্মত্যাগের প্রতীক।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
মিশরের কায়রোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা অংশ নেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এই দিনে (১৪ ডিসেম্বর) দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
তিনি বলেন, ‘এই দিনটি পালনের মাধ্যমে আমরা তাদের গভীরভাবে স্মরণ করি এবং আমাদের জাতীয় জীবনে তাদের অবদানকে তুলে ধরেছি, তাদের আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতার জন্য ত্যাগের ইতিহাস স্মরণ করি।’
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও অন্যান্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে সূর্যসন্তানদের
একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
লিবিয়ার বেনগাজির বন্দিশালায় আটক আরও ১৩৬ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
এরআগে গত ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা বন্দিশালায় আটক ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন এবং ৬ ডিসেম্বর বেনগাজী বন্দিশালায় আটক ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৬ হাজার ৫৮ টাকা এবং কিছু খাবার উপহার দেওয়া হয়।
এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের খোঁজ-খবর নেন।
তিনি বাড়ি ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
খুব শিগগিরই আরও অনিয়মিত বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চাটার্ড ফ্লাইটে মোট ৫৩৪ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, তারা বহির্বিশ্বের কোনো চাপে নেই, তারা অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ তার দল একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের চাপ। তবে আমরা এটা করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘এনারজাইজিং বাংলাদেশ’স ইয়ুথ ওয়ার্কফোর্স ফর গ্লোবাল সাকসেস’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মোমেন বলেন, বহির্বিশ্ব আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এবং তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি সহিংসামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: বক্তারা
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি। আমরা জনগণের রায় চাই। আমরা চাই বিপুল সংখ্যক জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে। এগুলো আমাদের চ্যালেঞ্জ।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, তিনি মনে করেন বিরোধী দল বিএনপি যা করছে তা যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করে না। ‘আমার ধারণা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর ব্যাপক অসন্তুষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না।’
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির গণতান্ত্রিক আচরণ পায়নি। ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরাও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো মানসিক তফাৎ নেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রকৃতি তুলে ধরে মোমেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর পরামর্শকে গুরুত্ব দেয় এবং যেগুলো জাতির জন্য উপকারী সেগুলো গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) মানবিক সহায়তা ব্যুরো (বিএইচএ) থেকে ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়েছে।
'সময়োপযোগী' এই সহায়তা কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষায় ডব্লিউএফপির প্রচেষ্টাকে উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করবে। যেখানে মিয়ানমারে তাৎক্ষণিক প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা ছাড়াই ১০ লাখ রোহিঙ্গা নিয়মিত দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান কক্সবাজার ক্যাম্প পরিদর্শনকালে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পগুলোতে দেখেছি, একের পর এক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ সহযোগিতায় নেতৃত্ব দিলেও আমরা স্বীকার করছি- বছরটি শরণার্থীদের জন্য বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা বা তাদের জায়গা দেওয়া বাংলাদেশের উদার সম্প্রদায়গুলোর প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না। এর জন্য প্রয়োজন সরকার, দাতা ও উন্নয়ন অংশীদারদের অব্যাহত সমর্থন।’
সংকটের সপ্তম বছরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা চলাচলের সীমিত স্বাধীনতা, চাকরির সুযোগের অভাব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে অত্যন্ত অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে রয়েছে।
ক্যাম্পগুলো ঘূর্ণিঝড়, বন্যার মতো জলবায়ু সম্পর্কিত দুর্যোগসহ নানা ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেলি বলেন, ‘এমন এক সময় যখন একাধিক সংকট দেখা দিয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও অনেক দাতাগোষ্ঠী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য উদার সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে সহযোগিতা পাওয়া গেছে তাতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে খাবারের জন্য বরাদ্দ ৮ ডলার থেকে ১০ ডলারে উন্নীত করা যাবে। আমরা এই ইতিবাচক উন্নয়নে অত্যন্ত আনন্দিত এবং আশা করি রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে দাতারা অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে।
২০২৩ সালে তীব্র তহবিল ঘাটতির কারণে ডব্লিউএফপি খাদ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ কমাতে বাধ্য হয়। ফলে, মার্চে প্রতি মাসে মাথাপিছু ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয় এবং জুনে তা ৮ ডলারে দাঁড়ায়। এরপর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তার পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
নভেম্বরের ডব্লিউএফপির সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কক্সবাজারের শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের পর্যাপ্ত খাদ্য নেই, যা জুনে ছিল ৭৯ শতাংশ। তখন পরিবারগুলোকে কম পুষ্টিকর খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তাছাড়া শিশুদের খাবার দিতে মা-বাবাদের কম খাওয়ার পথ বেছে নিতে হয়। মাঝেমধ্যে কোনো বেলার খাবার না খেয়েই থাকতে হয়েছে।
শিশুদের মধ্যে পুষ্টি ঘাটতি বাড়ছে।বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক বছর আগের তুলনায় সেপ্টেম্বরে, বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে আরও বেশি শিশু, যাদের মধ্যে প্রায় এক হাজার শিশু গুরুতর ও মাঝারি মাপের অপুষ্টির জন্য চিকিৎসা প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে।
বিএইচএ তহবিল রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি কক্সবাজার ও ভাসানচরে পুষ্টি, স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ডব্লিউএফপির কাজে ব্যবহার করা হবে।
ডব্লিউএফপির পুষ্টি কর্মসূচির মাধ্যমে কক্সবাজারের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রায় ৮ হাজার শিশু এবং ৪ হাজার গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো নারীকে সহায়তা করা হবে।
ডব্লিউএফপি নতুন বছরে কক্সবাজারে তাদের খাদ্যে ফর্টিফাইড চাল চালুর পরিকল্পনা করেছে এবং পুরো রেশন পুনরুদ্ধারের জন্য আরও ৭৯ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: বক্তারা
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয় বলে মস্কোতে বৈজ্ঞানিক কনফারেন্সে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য নিজেই নির্ধারণে সক্ষম।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মস্কোর আরএআইসি কনফারেন্স কক্ষে ‘রাশিয়া ও বাংলাদেশ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত’ শিরোনামে বৈজ্ঞানিক ও ব্যবহারিক কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন।
যৌথভাবে কনফারেন্সের আয়োজন করে রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (আরএআইসি) এবং রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ।
কনফারেন্সের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশিয়ান পার্লামেন্ট স্টেট দুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভা বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় যেভাবে সহযোগিতা করেছিল, দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, খেলাধুলা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একই সঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বলেন, রাশিয়া-বাংলাদেশের বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ ও মজবুত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি চালু হয়েছে। আগামীতে আরও দক্ষ জনশক্তি এবং রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
মস্কোতে পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে কাজ করা সংগঠন রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি সাত্তার মিয়া বলেন, বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং রাশিয়া বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে মস্কোতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। অন্যদিকে বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী রুশ নভোচারী ইউরি গ্যাগারিনের একটি ভাস্কর্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারকে দেওয়া হবে। এছাড়া সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকায় রাশিয়ান ইউনিভার্সিটি ও রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল হবে।
এ সময় রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল তাতিয়ানা মিশুকভস্কায়া আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির পাঠানো একটি বার্তা কনফারেন্সে পাঠ করে শোনান।
কনফারেন্সে বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রথাগত ধরনের বাইরে গিয়ে আরও প্রসারিত ও বৈচিত্র্য আনার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক রুশ বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাকাডেমি, রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিনিধিরা কনফারেন্সের আলোচনায় অংশ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে 'ডিপ ফেকের' উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমস্যাটি বর্তমানে বৈশ্বিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
১৩ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে ডিপ ফেকের উদ্বেগজনক বিকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকর্তা দাবি করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে 'ম্যানেজ' করতে পারবেন।
জবাবে মিলার সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই অবাধে প্রাক-নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সকল অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- সুস্থ গণতন্ত্র বিভিন্ন মতপ্রকাশ থেকে উপকৃত হতে পারে। সেসব মতপ্রকাশ সমসাময়িক বিষয়ে স্বাধীনভাবে করা হয় এবং এ নিয়ে আলোচনা হয়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিলার আরও বলেন, বিরোধী দলীয় সদস্যদের গণগ্রেপ্তার এবং কারাগারে নির্যাতনের খবরে তারা 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, তারা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না, বরং যারা যানবাহন ও মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত এবং যারা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে তাদের গ্রেপ্তার করছে।
মিলার সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সম্প্রতি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং যুক্তরাষ্ট্র অহিংস নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, তারা অহিংস নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না, কারণ এটি রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সকলের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'হস্তক্ষেপ' নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএসএইড জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা; সেইসঙ্গে অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, এবং স্বনির্ভরতা ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, এই অতিরিক্ত তহবিল অন্যান্য দাতাদের অবদানের সঙ্গে ডব্লিউএফপিকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য রেশন সংগ্রহ করতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত বিতরণের জায়গায় খাবারের জন্য ইলেকট্রনিক ভাউচার, ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অপুষ্টির শিকার শিশুদের এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের খাদ্যপ্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা।
এছাড়াও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে, ডব্লিউএফপি ক্যাম্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
জাতিসংঘ বলেছে, তারা দেখতে চায় প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্ত এবং কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভোট দিতে পারে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতি ছাড়া বা কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভোট দিতে পারে।’
প্রশ্নকারী রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং আইসিএইডিসহ ছয়টি শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কথা উল্লেখ করেন, যারা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
একই ধরণের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সরকার কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা সন্ত্রাসী, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি। আমরা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না।’
তিনি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং যানবাহন ও নিরপরাধ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করে।
যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদেরকে সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে যথাযথ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ।
তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বলেন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে অন্যান্য দেশের বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
তিনি গাজা এবং কিছু উন্নত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেন, যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের