%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার মতো বেআইনি পদক্ষেপের বিরোধী রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিতস্কি বলেছেন, আমেরিকা বা অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নেওয়া নিষেধাজ্ঞা বা অনুরূপ যেকোনো ‘বেআইনি’ পদক্ষেপের বিরোধী তারা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এধরনের যেকোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরোধী। আমরা এখানে (বাংলাদেশে) যেকোনো নিষেধাজ্ঞা বা অনুরূপ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে থাকব। দেখা যাক কী হয়।’
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘টকস উইথ অ্যাম্বাসেডর’- অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা ট্রিবিউনের কূটনৈতিক প্রতিবেদক শেখ শাহরিয়ার জামান।
এখানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কিছুই ঘটবে না বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জিজ্ঞাসা করছেন রাশিয়া কী করবে, কিন্তু আমরা এখনও জানি না এখানে কী ঘটতে যাচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত মানতিতস্কি বলেছেন, রাশিয়া পশ্চিমের একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দেয় না। ‘আমরা শুধুমাত্র নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা স্বীকার করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
তিনি বলেন, এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বাংলাদেশকে কী ধরনের সহায়তা দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত ইতিবাচক জবাব দেন।
তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার কথা উল্লেখ করেন।
গত ২২ নভেম্বর এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মারিয়া জাখারোভা বলেছিলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার অজুহাতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের প্রচেষ্টার বিষয়ে বারবার কথা বলেছে রাশিয়া।
জাখারোভার আরও উদ্ধৃতি দিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাতীয় আইনের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে, বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য ছাড়াই আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
২০২২ সালে বাংলাদেশে রাশিয়ান মহাকাশ শিল্পের পণ্য ও পরিষেবার প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতার একটি স্মারক সই করেছে রাশিয়ান জেএসসি ‘গ্লাভসকমস’ এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড।
যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট সিস্টেমের উৎপাদন ও উৎক্ষেপণের বিষয়গুলো রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রকল্পের প্রযুক্তিগত পরিমিতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য বাণিজ্যিক প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।’
আরও পড়ুন: রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশ সরকারের উপর নির্ভর করছে, এখন তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব।
২০২৩ সালের নভেম্বরের শুরুতে রাশিয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের একটি বিচ্ছিন্ন যুদ্ধজাহাজ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌ অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে শুভেচ্ছা ভ্রমণ করেছিল।
বিষয়টি নিয়ে কোনো গোপন বার্তা আছে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ভ্রমণ।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনারা এটিকে কীভাবে দেখবেন তা আপনাদের উপর নির্ভর করে, তবে এটি একটি শুভেচ্ছা সফর ছিল।’
অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশ রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
তিনি বলেন, এমনকি কোভিড-১৯ মহামারিও একে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। ২০২১ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ২৯৭ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড গড়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০২২ সালে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘বেআইনি’ একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ‘পরে উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাংলাদেশসহ বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে বাণিজ্য লেনদেন ৬৪০ মিলিয়ন ডলার কমে গেছে।’
তিনি বলেন, রুশ কোম্পানিগুলো জিটুজি ভিত্তিতে ১ মিলিয়ন টন শস্যের পাশাপাশি প্রতি বছর ৫ লাখ টন পটাশিয়াম ক্লোরাইড সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সম্পৃক্ততা শুধু নির্মাণকাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; আমরা পারমাণবিক প্রকল্পের পুরো জীবনচক্র জুড়ে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সহায়তা করব। যার মধ্যে চুল্লির জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ, উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রাশিয়া বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সেক্টর তৈরি করতে সহায়তা করছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার পূর্ণ সম্ভাবনা এখনও পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি। ‘এখন পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে, ২০২২ থেকে অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই রাশিয়ান ব্যবসায়ীরা নতুন সরবরাহকারীদের দিকে মনোযোগী হচ্ছে, এর মধ্যে বাংলাদেশের সরবরাহকারীরাও রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিনিয়োগেই বিলিয়ন ডলার আয় হতে পারে।’
তিনি বলেন, রাশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, মহাকাশ ও ভূতাত্ত্বিক গবেষণা, মেরিটাইম, রেলওয়ে ও বিমান পরিবহনের মতো খাতে বিভিন্ন যৌথ প্রকল্পে অংশ নিতে প্রস্তুত।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে রাশিয়া-বাংলাদেশ আন্তঃসরকারি কমিশন অন ট্রেড, ইকোনমিক, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের পঞ্চম বৈঠকে আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছে, আমরা ২০২৪ সালে এ বৈঠকে মুখোমুখি হওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি-স্থায়িত্বে শ্রম অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, তার দেশ তৈরি পোশাক শিল্প ও এর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ আরও গভীর করতে আগ্রহী।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ তুলা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রমাণ ভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতির সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করেছে, যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মুখোমুখি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে।’
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল ও প্রত্যাশিত পরিচালনার পরিবেশের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন ও তাদের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা যখন তৈরি পোশাক খাতের দিকে তাকাই, বাংলাদেশে আমাদের মিশনের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো- উন্নত শ্রমমানের মাধ্যমে উপলব্ধ টেকসই এবং বিস্তৃতভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি আমাকে শ্রম অধিকারের দিকে মনোনিবেশ করায়।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্মরণ করিয়ে দেন যে ১৬ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ‘অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এম্পাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শীর্ষক মার্কিন রাষ্ট্রপতির নতুন স্মারকলিপি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
তিনি বলেন, ‘এই নতুন বৈশ্বিক শ্রম কৌশলটি সমস্ত মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলোকে সরকার, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রচার ও সুরক্ষার জন্য সম্পৃক্ততা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুর্দান্ত অংশীদার এবং মার্কিন তুলার দুর্দান্ত গ্রাহক হওয়ার জন্য আমি আবারও আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি আজকের ইভেন্টটি আপনার জন্য উপকারি হবে এবং আপনাদের ব্যবসায় মার্কিন তুলা অন্তর্ভুক্ত করার সুবিধাগুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে আরও বেশি শেখাবে।’
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তৈরি পোশাক শিল্প ও শ্রমিকদের জন্য কী করছেন তা মার্কিন প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ মহাসচিবের অ্যাকশন ফর পিসকিপিং এজেন্ডার সাতটি অগ্রাধিকারের প্রতি বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূলে আমাদের নীতিগত অবস্থান পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। এই অবস্থান ধারাবাহিকভাবে শান্তির সংস্কৃতি প্রচার, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তাসহ জাতিসংঘের শান্তি প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে আমাদের বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করে।’
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঘানার আক্রায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্যানেললিস্ট হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করা।
মোমেন বাংলাদেশের পক্ষে শান্তিরক্ষার অঙ্গীকার করেন।
এর আগে মোমেন আক্রায় হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজার্তোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা
ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা
একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘৬ ডিসেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তারিখ। এটি আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি প্রভাবশালী গুণনীয়ক।’
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে 'ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য অবদান' থেকে উদ্ভূত আবেগময় বন্ধনকে তুলে ধরে উভয় দেশ ৬ ডিসেম্বরকে 'মৈত্রী দিবস' বা 'বন্ধুত্ব দিবস' হিসেবে পালন করে।
মৈত্রী দিবসের আয়োজন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর ও চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন, যা রক্ত ও অভিন্ন আত্মত্যাগে গড়ে উঠেছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে এই দিনটি অনন্য।
তিনি বলেন, এটি অংশীদারিত্বের সূচনা যা এখন বহুমুখী হিসাবে দেখা হয় এবং সম্পর্কটি কৌশলগত অংশীদারদের ছাড়িয়ে যায়।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশ কৌশলগত অংশীদারের চেয়েও বেশি কিছু।
তিনি বলেন, এটি আত্মত্যাগকারীদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন।
সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, 'আজ এটি একটি বহুমুখী সম্পর্ক, যা আমাদের সম্পর্কে নতুন গতি যোগ করছে।’
তিনি বলেন, দুই দেশ সব ক্ষেত্রে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছে। ‘বৃহত্তর আশা এবং বৃহত্তর আশাবাদের সঙ্গে সুযোগটি সত্যিই অন্তহীন।’
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের ইতিহাস ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে তরুণদের আকৃষ্ট করতে তারা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি স্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যোগদানের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে আসলে ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।
২০২১ সালে ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে দিবসটি পালিত হয়।
দেশগুলো হলো- বেলজিয়াম, কানাডা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।
সেলিব্রিটি, সম্পাদক এবং ভারতের বন্ধুরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর কারাগারে ভারতীয় হিন্দু নাগরিকের মৃত্যু
ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করতে ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশকালে এই আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতির সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ডেনমার্ক।
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ডেনমার্ককে অন্যতম প্রধান অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী ও উপকূলীয় এলাকার উন্নয়নে ডেনমার্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
লিবিয়ার বেনগাজির বন্দিশালায় আটক ১৪৫ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
এসময় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে সাড়ে ৬ হাজার টাকা এবং কিছু খাদ্য সমগ্রী দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া অন্য বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান। এরই ধারাবহিকতায় খুব শিগগিরই অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে।
এর আগে ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা বন্দিশালায় আটক ১৪৩ জন এবং ৩০ নভেম্বর আরও ১১০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে।
এ নিয়ে সর্বশেষ মোট ৩৯৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি উন্নয়নে চীনের ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
১২ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরী চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এর সুফল পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি (রিপ্রেজেন্টেটিভ) সুম্বুল রিজভী বলেন, ‘চীনের তরফ থেকে এই অনুদান এল এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন চলমান রোহিঙ্গা সংকটটির সপ্তম বছর চলছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে চীন তার দায়িত্ব পালন করছে এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতে ইউএনএইচসিআরের আরও কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আশা রাখি। তবে এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হলো বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।’
শরণার্থী নারী ও কিশোরীরা প্রতি বছর দুটি করে হাইজিন কিট পাচ্ছে। চীনের সহায়তায় আড়াই লাখের বেশি হাইজিন কিট রোহিঙ্গা নারীদের কাছে পৌঁছে দেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইউএনএইচসিআর।
এই হাইজিন কিটগুলো সরবরাহ করতে ইউএনএইচসিআর ও চীন সরকার একসঙ্গে কাজ করবে। চীনের অনুদান নিশ্চিত করবে গোসলের ও কাপড় ধোয়ার সাবান ও বালতিসহ কিছু সামগ্রী। কক্সবাজারে শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে দুইশোর বেশি নারী এসব হাইজিন কিটগুলোর বাকি জিনিসগুলো তৈরি করবেন। এর মাধ্যমে তারা তাদের দক্ষতাকে নিজ জনগোষ্ঠীর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং সীমিত পরিসরে জীবিকা নির্বাহের কাজে নিজেদের স্বনির্ভর করার একটি প্রয়াস পাবেন।
ইউএনএইচসিআর-এর রিপ্রেজেন্টেটিভ সুম্বুল রিজভী আরও বলেন, ‘শরণার্থী নারী যারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা এই কিটের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। তাদের কাছে এটি অতি প্রয়োজনীয়, আর নিজ সমাজের নারীদের মাধ্যমে তৈরি এই সামগ্রীর গুণগত মান নিয়েও তারা সন্তুষ্ট।’ ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে নারী ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার জন্য চীন ও অন্যান্য দেশের মানবিক সাহায্য অত্যন্ত জরুরি। ৯ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ৪ লাখ ৯৫ হাজার স্থানীয় বাংলাদেশি মিলিয়ে মোট প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সহায়তার জন্য প্রায় ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করেছিল মানবিক সংস্থাগুলো। ডিসেম্বরের শুরুর সময় পর্যন্ত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানটি (যৌথ কর্ম পরিকল্পনা) প্রায় ৫০ শতাংশ তহবিল পেয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত: টিআইবি জরিপ
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির আওতায় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটি) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) মধ্যে একটি কনসেশন সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও সফররত সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ’র উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল এবং আরএসজিটির সিইও জিন্স ও. ফোলি চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানের আগে সৌদি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সৌদি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ ২ দিনের সফরে ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
এটিই হবে প্রথম বিদেশি কোম্পানি যারা বন্দর পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করছে।
আরএসজিটি একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর, যা সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল এবং মালয়েশিয়ান মাইনিং কোম্পানির (এমএমসি) মধ্যে অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরএসজিটিআই আগামী ২২ বছর পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে।
চলতি বছরের মে মাসে দোহায় সৌদি আরব বাংলাদেশের স্থিতিশীল সরকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়।
সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম সম্প্রতি দোহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে যৌথভাবে সাক্ষাৎকালে এই প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ-সৌদি পার্লামেন্ট ফ্রেন্ডশিপ কমিটি
মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ বুধবার বলেছে, বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছেন। যাদের শিগগিরই মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে শিবিরগুলোতে সহিংসতা বেড়েছে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তার পরিমাণও কমেছে।
যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ করা স্বাধীন এই সংস্থাটি বলেছে, দাতাদের উচিৎ সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার জন্য ঢাকার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা।
সংস্থাটির নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসার ৬ বছর পরও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের দেশে ফেরার কাছাকাছি পর্যায়ে নেই।’
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
নতুন কী
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ২০১৭ সাল থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লড়াই এবং ত্রাণসহায়তা কমে আসায় সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ঢাকা ও নেপিডো শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিরাজমান নিরাপত্তাহীনতা এবং নাগরিকত্ব ও অন্যান্য সুরক্ষার বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না থাকায় বড় সংখ্যক শরণার্থীর প্রত্যাবাসনের বিষয়টি অবাস্তব।
কেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ
প্রত্যাবাসনের জন্য চাপ প্রয়োগে ঢাকা শরণার্থীদের চলাফেরার স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশে কাজ করার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ত্রাণসহায়তা সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড সংকুচিত করার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজও জটিল করে তুলেছে। শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে শরণার্থীরা অপরাধী চক্রগুলোতে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনের মতো মরিয়া পথে পা বাড়াচ্ছে।
কী করা উচিৎ
মানবিক সহায়তায় সাড়াদানের ক্ষেত্রে নিজেদের সমর্থন আরও বাড়ানোর মাধ্যমে বিদেশি সরকারগুলো শরণার্থীদের আশু স্বস্তির ব্যবস্থা করতে পারে। একইসঙ্গে, দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে দাতাদের সহযোগিতায় ত্রাণসহায়তা দক্ষতা এবং শরণার্থীদের স্বনির্ভরতা বাড়াতে ঢাকার উচিৎ নিজেদের নীতি-কৌশলে সমন্বয় সাধন করা। শরণার্থী শিবিরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর বিষয়টিও খতিয়ে দেখা উচিৎ ঢাকার।
প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা
এদিকে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানে সাড়াদানে আন্তর্জাতিক সমর্থন কমছে। ২০২২ সালে জাতিসংঘের মানবিক আবেদনে মাত্র ৬৩ শতাংশ অর্থ পাওয়া গেছে। আর ২০২৩ সালের এখন পর্যন্ত অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি আরও অনেক কমেছে। এর ফলে মানবিক সংস্থাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) দুইবার খাদ্য রেশনের পরিমাণ কমাতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি মাসে জনপ্রতি ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করা হয়েছে, যা একদিনে ২৭ সেন্ট করে পড়ে।
এই কাটছাঁট বিপর্যয়কর; কারণ অধিকাংশ শরণার্থী ত্রাণসহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যাওয়া ঠেকাতে সরকারের বিধিনিষেধের অর্থ হলো তাদের বৈধ কর্মসংস্থান খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক আগ্রাসনের পর খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যেই এমন অনেক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ত্রাণসহায়তা কমানোর ফলে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দাম্পত্য সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ার মতো ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে।
২০১৮ ও ২০১৯ সালে দু’টি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ২০২৩ সালের শুরুর দিকে নেপিডো এবং ঢাকা প্রত্যাবাসনের একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে এক হাজারের বেশি শরণার্থী ফিরতে পারে।
মধ্যস্থতাকারী ভূমিকায় থাকা চীনের পাশাপাশি দুইপক্ষ (নেপিডো এবং ঢাকা) বিভিন্ন কারণে এ নিয়ে অগ্রগতি সাধনে আগ্রহী। মিয়ানমারের সামরিক সরকার বিশ্বাস করে, ২০১৭ সালের গণহত্যার অভিযোগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এ প্রত্যাবাসন তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহায্য করবে।
আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ বলেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আশা করছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে এটি তাদের পক্ষে কাজে লাগবে। তবে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। শরণার্থীরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে নেপিডোর দেওয়া আশ্বাসের বিষয়ে সন্দিহান আর তাদেরকে স্বাভাবিকভাবে নাগরিকত্ব প্রদানে অস্বীকৃতির বিষয়ে সতর্ক। শরণার্থীদের সতর্ক হওয়ার উপযুক্ত কারণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী এবং দেশটির অন্যতম শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হয়। যা নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকে কার্যত অসম্ভব করে তুলেছে।
ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা, ত্রাণসহায়তা কমে যাওয়া এবং প্রত্যাবাসনে অচলাবস্থা- এই ৩টি বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিষয়গুলো এমন এক সংকট তৈরি করেছে যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের বিধিনিষেধ শরণার্থীদের সহায়তার ওপর নির্ভরশীলতাকে আরও গভীর করেছে এবং মানবিক সহায়তার ওপর চাপ বাড়িয়েছে। ঢাকার এমন নীতি বাস্তবতার সঙ্গে যায় না, যেখানে হাজার হাজার শরণার্থী ইতোমধ্যেই শরণার্থী শিবিরের আশপাশের শহরগুলোতে অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছে। সেখানে তারা নিজেদের অবৈধ অবস্থানের কারণে নিয়মিত শোষণের শিকার এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে বাধ্য হয়।
সংস্থাটি বলেছে, শরণার্থী শিবিরে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য এবং অদূর ভবিষ্যতে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে সৃষ্ট হতাশা অনেক রোহিঙ্গাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থের জন্য তরুণদের সশস্ত্র গোষ্ঠী বা অপরাধী চক্রগুলোতে যোগদান থেকে শুরু করে খাবার গ্রহণকারী সদস্যের সংখ্যা কমাতে পরিবারগুলোতে নিরুপায় হয়ে বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের বাল্যবিয়ে দেওয়া।
কয়েক হাজার হতাশ শরণার্থী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার আশায় (সমুদ্রপথে) ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রাও করেছে। একই সময় অজ্ঞাত সংখ্যক শরণার্থী ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নিরবে রাখাইন রাজ্যে ফিরে গেছে কিংবা সাধারণত শরণার্থী শিবির ছেড়ে যাওয়া নিষেধ এমন আইন থাকার পরও বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছে।
ক্রাইসিস গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে। দেশটির একটি টেকসই পদক্ষেপের সূচনা করা উচিৎ, যা এ সংকট যে দীর্ঘায়িত ধরনের তা স্বীকার করে নেবে, এমনকি যখন দেশটি প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
স্বনির্ভরতা গড়ে তুলতে এবং ত্রাণনির্ভরতা কমিয়ে দেয় এমন উদ্যোগগুলো এগিয়ে নিতে দাতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে তারা কেবল তখনই সেটা করতে পারে, যখন জরুরি ত্রাণসহায়তার বাইরের কর্মকাণ্ডের অনুমতি দিয়ে ঢাকা তার নীতিগুলো পুনর্বিবেচনা করবে।
অন্তর্বর্তী সময়টুকুতে দাতাদের মানবিক অর্থসহায়তাকে এমন পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা উচিৎ, যা শরণার্থীরা যাতে পর্যাপ্ত খেতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে তাদের মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে।
গ্রুপটি জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় বাংলাদেশকেও শরণার্থী শিবিরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে, শরণার্থী জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে বৃহত্তর বেসামরিক নেতৃত্বের সুযোগ করে দিতে হবে এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য শরণার্থী সংকটকে কাজে লাগাচ্ছে এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ-সৌদি পার্লামেন্ট ফ্রেন্ডশিপ কমিটি
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ-সৌদি পার্লামেন্ট ফ্রেন্ডশিপ কমিটির কো-চেয়ারম্যান খালেদ এম আল বাওয়াদ।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সম্পর্ক আরো বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে বলে তিনি সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মজলিসে শুরায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আরবদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও সহস্রাব্দ প্রাচীন এবং এই সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
এ সময় রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের যুবরাজ প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে সৌদি আরবের চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সংস্কার এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে গঠনমূলক ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি রিয়াদে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ আয়োজনের এবং ২০৩৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ায় সৌদি সরকারকে অভিনন্দন জানান৷
তিনি বলেন, এটি অবশ্যই বিশ্ব পর্যায়ে সৌদি আরবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রবাসীদের জন্য চালু হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা
রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে সৌদি আরবের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয়ে ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে। অনেক চুক্তির খসড়া এবং সমঝোতা স্মারক আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী চলতি বছরের মার্চে ৫৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করেন।’
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সৌদি আরব বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করছে, একইসঙ্গে বাংলাদেশও সৌদি আরবে বিনিয়োগ করছে।
এ সময় শুরা সদস্য খালেদ এম আল বাওয়াদ বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক শ্রমিক যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন ও সৌদি অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছেন। এ ছাড়াও তারা দুই দেশের মানুষের মধ্যে মেল-বন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সৌদি আরবে কাজের সুযোগ করে দেবার জন্য সৌদি নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মজলিসে শুরায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ-সৌদি পার্লামেন্ট ফ্রেন্ডশিপ কমিটির সৌদি পক্ষের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর নিয়োগ মেয়াদ বেড়েছে ১৮ মাস