%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: বক্তারা
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয় বলে মস্কোতে বৈজ্ঞানিক কনফারেন্সে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য নিজেই নির্ধারণে সক্ষম।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মস্কোর আরএআইসি কনফারেন্স কক্ষে ‘রাশিয়া ও বাংলাদেশ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত’ শিরোনামে বৈজ্ঞানিক ও ব্যবহারিক কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন।
যৌথভাবে কনফারেন্সের আয়োজন করে রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (আরএআইসি) এবং রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ।
কনফারেন্সের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশিয়ান পার্লামেন্ট স্টেট দুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভা বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় যেভাবে সহযোগিতা করেছিল, দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, খেলাধুলা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একই সঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বলেন, রাশিয়া-বাংলাদেশের বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ ও মজবুত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি চালু হয়েছে। আগামীতে আরও দক্ষ জনশক্তি এবং রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
মস্কোতে পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে কাজ করা সংগঠন রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি সাত্তার মিয়া বলেন, বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং রাশিয়া বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে মস্কোতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। অন্যদিকে বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী রুশ নভোচারী ইউরি গ্যাগারিনের একটি ভাস্কর্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারকে দেওয়া হবে। এছাড়া সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকায় রাশিয়ান ইউনিভার্সিটি ও রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল হবে।
এ সময় রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল তাতিয়ানা মিশুকভস্কায়া আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির পাঠানো একটি বার্তা কনফারেন্সে পাঠ করে শোনান।
কনফারেন্সে বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রথাগত ধরনের বাইরে গিয়ে আরও প্রসারিত ও বৈচিত্র্য আনার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক রুশ বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাকাডেমি, রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিনিধিরা কনফারেন্সের আলোচনায় অংশ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে 'ডিপ ফেকের' উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমস্যাটি বর্তমানে বৈশ্বিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
১৩ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে ডিপ ফেকের উদ্বেগজনক বিকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকর্তা দাবি করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে 'ম্যানেজ' করতে পারবেন।
জবাবে মিলার সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই অবাধে প্রাক-নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সকল অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- সুস্থ গণতন্ত্র বিভিন্ন মতপ্রকাশ থেকে উপকৃত হতে পারে। সেসব মতপ্রকাশ সমসাময়িক বিষয়ে স্বাধীনভাবে করা হয় এবং এ নিয়ে আলোচনা হয়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিলার আরও বলেন, বিরোধী দলীয় সদস্যদের গণগ্রেপ্তার এবং কারাগারে নির্যাতনের খবরে তারা 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, তারা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না, বরং যারা যানবাহন ও মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত এবং যারা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে তাদের গ্রেপ্তার করছে।
মিলার সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সম্প্রতি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং যুক্তরাষ্ট্র অহিংস নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, তারা অহিংস নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না, কারণ এটি রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সকলের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'হস্তক্ষেপ' নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএসএইড জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা; সেইসঙ্গে অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, এবং স্বনির্ভরতা ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, এই অতিরিক্ত তহবিল অন্যান্য দাতাদের অবদানের সঙ্গে ডব্লিউএফপিকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য রেশন সংগ্রহ করতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত বিতরণের জায়গায় খাবারের জন্য ইলেকট্রনিক ভাউচার, ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অপুষ্টির শিকার শিশুদের এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের খাদ্যপ্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা।
এছাড়াও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে, ডব্লিউএফপি ক্যাম্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
জাতিসংঘ বলেছে, তারা দেখতে চায় প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্ত এবং কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভোট দিতে পারে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতি ছাড়া বা কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভোট দিতে পারে।’
প্রশ্নকারী রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং আইসিএইডিসহ ছয়টি শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কথা উল্লেখ করেন, যারা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
একই ধরণের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সরকার কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা সন্ত্রাসী, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি। আমরা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না।’
তিনি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং যানবাহন ও নিরপরাধ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করে।
যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদেরকে সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে যথাযথ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ।
তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বলেন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে অন্যান্য দেশের বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
তিনি গাজা এবং কিছু উন্নত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেন, যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
ক্লাইমেট অ্যাকশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণদের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই।
তিনি বলেন, ‘তাদের একটি উদাহরণ হিসেবে নেওয়া উচিত। তারা স্থানীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে কাজ করে এবং মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর সঙ্গে কার্যকরভাবে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করে।’
ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদরা তাদের কথা শুনতে শুরু করেছেন এবং এটি স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো বলতে পারেন তারা মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। আমি মনে করি না এটা সত্য। তারা প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির ভবিষ্যৎ: বৈশ্বিক সমস্যা, স্থানীয় সমাধানের অগ্রদূত।’
হারনেট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস' (বিডিওয়াইএস) এর সর্বশেষ পর্ব।
হারনেট টিভির প্রতিষ্ঠাতা সিইও ও এমডি আলিশা প্রধান এই অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা ও পরিকল্পনা করেছেন।
আয়োজকরা বলেন, বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের সহ-অর্থায়নে ও সহযোগিতায় আয়োজিত এই আয়োজন বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে তাদের অঙ্গীকারের একটি দৃঢ় প্রমাণ।
তরুণদের তাদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নির্বাচন করে, চরমপন্থী চিন্তাভাবনা পরিহার করে ইতিহাস অধ্যয়ন করতে, তাদের নিজের এবং বাকি বিশ্বের ইতিহাস অধ্যয়ন করার জন্য তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই।
তিনি বলেন, ‘এটি আপনাদের আপনার নিজের গ্রাম, শহর বা দেশের জন্য সেরা পছন্দগুলো কী তা আরও ভালোভাবে জানতে দেবে। এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভুল তথ্য প্রচারণা চালানো থেকে সতর্ক থাকুন।’
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
রাষ্ট্রদূত তার নিজের জীবনের গল্পে বলেন, 'আমার বাবা কখনো কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি, আমার মাও ছিলেন না। কিন্তু আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা চলছিল এবং তারা ট্রেড ইউনিয়নে, তাদের নিজ নিজ পেশাদার শাখায় সক্রিয় ছিলেন।’
তিনি বলেন, এটা সত্য তরুণরা প্রতিনিধিত্ব করে কম, ব্যাপকভাবে কোনো ব্যালটে তাদের ভোট দেয় না এবং কম বেশি রাজনৈতিক দলগুলোকে মেনে চলে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হবে না।’
রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই বলেন, চ্যালেঞ্জ করা সবসময়ই ভালো বিষয়। ‘১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে আমাদের উদ্দেশ্য, আদর্শ ও লক্ষ্যগুলো মনে রাখবেন: উদাহরণস্বরূপ, আমরা নারীদের জন্য আরও অধিকার এবং একটি ইউরোপের একত্রীকরণ চেয়েছিলাম। আমরা পরেরটি অর্জন করেছি এবং লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের শুধু সবাইকে বলার আছে এমন নয়, তাদের বিশেষ দায়িত্বও রয়েছে। তারা ভবিষ্যতের জন্য প্রধান সমস্যা হিসেবে কোন ইস্যু চিহ্নিত করেছে সে বিষয়েও তাদের দায়িত্ব রয়েছে। ‘জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটি আজ স্পষ্ট।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, সামাজিক প্রতিবাদ আন্দোলনে তরুণরা বেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেটা ‘মি টু’ আন্দোলন হোক, ফ্রান্সের ইয়েলো জ্যাকেটের মতো প্রতিবাদ হোক বা জলবায়ু বিক্ষোভ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একটি ভোট না দেওয়ার অর্থ হলো একজন ব্যক্তি মতামত দেওয়া থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সরে যাওয়া এবং দেশের উন্নয়নে সহায়তা করা বন্ধ করে দেওয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুনের উদ্যোগে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস পালিত
মাসদুপুই বলেন, ‘এটি অন্যদের সেরা ধারণা হিসেবে ভালো নয় এমন ধারণাটি দ্বিগুণ করার সুযোগ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, 'গতানুগতিক রাজনীতি থেকে সরে আসার এই ধরনের আচরণ আজকাল কার্যত সামাজিক মাধ্যমে সহজতর হচ্ছে। তরুণরাই সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় প্রধান দল।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমি বলছি না যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত, বরং ছোটবেলা থেকেই তাদের সম্পর্কে আমাদের শিক্ষিত হওয়া উচিত। সত্য ও মিথ্যাকে কীভাবে আলাদা করা যায়, সেটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
বাংলাদেশে ফরাসি দূতাবাস, রোটারি ক্লাব, ইউএনবি, হারনেট টিভি, সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, গোল্ড স্যান্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, মেঘনা ব্যাংক, হারনেট ব্লিসমাইন্ড, জোন্টা, ব্লু প্ল্যানেট গ্রুপের সহযোগিতায় বিডিওয়াইএস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইউল্যাবের ছয়জন মেধাবী শিক্ষার্থী এই সংলাপে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে 'ক্ষমতায় অংশগ্রহণ: নীতি প্রণয়ন, আইনের শাসন, মানবাধিকার, নাগরিক শিক্ষা' শীর্ষক এই পর্ব ছিল।
ইউল্যাবের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ইমরান রহমান, হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান; হারনেট টিভির চেয়ারপারসন হোসনে প্রধান; ইউল্যাবের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর জুড ডব্লিউ আর জেনিও; সার্ক চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জসিম উদ্দিন; বাংলাদেশে ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর শেলডন ইয়েট; বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক; জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি দিলরুবা আহমেদ; মেঘনা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কিমিওয়া সাদ্দাত এবং ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান সম্পাদক জাফর সোবহান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপটি সঞ্চালনা করেন হারনেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সামাজকর্মী আলিশা প্রধান।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সৌদি দূতাবাসে অনুষ্ঠিত হবে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস'-২০২৩ এর সমাপনী পর্ব।
আরও পড়ুন: 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' ঐতিহাসিক দলিল: গওহর রিজভী
'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' ঐতিহাসিক দলিল: গওহর রিজভী
'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' চলচ্চিত্রটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। এটি বঙ্গবন্ধুর জীবন কাহিনি ও দীর্ঘ সংগ্রামের সারমর্ম তুলে ধরে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
বায়োপিকের প্রধান উপদেষ্টা ড. রিজভী উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের দীর্ঘ ইতিহাসকে আড়াই ঘণ্টার চিত্রনাট্যে ধারণ করে ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু অক্ষুণ্ণ রেখে চলচ্চিত্রটির চমৎকার কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।
যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি লন্ডনের একটি বিশেষ থিয়েটারে 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ ও ভারতের হাইকমিশন যৌথভাবে।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের মাস এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-এশীয় তরুণদের উপস্থিতিতে থিয়েটার পূর্ণ ছিল।
ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য, কূটনীতিক, ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবী এবং মূলধারার সাংবাদিকরাও বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।
২০১৭ সালের এপ্রিলে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও উত্তরাধিকারের ওপর বায়োপিক নির্মাণের পরিকল্পনা যৌথভাবে ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বোয়িং কেনার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার বলেন, 'এই বায়োপিক দক্ষিণ এশিয়ার একজন নেতার অসাধারণ জীবন ও স্থায়ী কর্ম তুলে ধরে, যিনি বাংলাদেশ ও এর জনগণের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন তাকে 'বিশ্ববন্ধু' বা বিশ্বের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। বিবিসি ২০০৪ সালে একটি বৈশ্বিক জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী চলচ্চিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প তার হৃদয়ে রেখেছেন।
দোরাইস্বামী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক সংগ্রামের গল্প ছাড়া বাংলাদেশের গল্প বলা যায় না। চলচ্চিত্রটির গুরুত্ব এবং এটি কীভাবে বাংলাদেশের অতীত সম্পর্কে জানার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দেয় তার উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
তুরস্কের আঙ্কারায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবারের (১১ ডিসেম্বর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব আলী রেজা সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুনের উদ্যোগে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস পালিত
এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঢাকা থেকে আগত কর্মকর্তাবৃন্দ ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কারিগরি দল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে আগত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান অতিথি ও আগত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত বাংলাদেশিদের সম্যক ধারণা প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আজ তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য একটি আনন্দের ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের যে ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়ন করেন তার বাস্তবায়ন এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় চালু হলো ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। জাতির পিতার নির্দেশিত পথে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিশ্বমানের পরিষেবার প্রাপ্যতা বাংলাদেশিদের জন্য নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসী সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রদূত ও অতিথিরা কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ফলে তুরস্কে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে দ্বিতীয় স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করল চীনা দূতাবাস
নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বোয়িং কেনার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বড় দেশগুলোর কূটনীতিকরা সরাসরি তাদের বিভিন্ন পণ্য কেনার ওপর জোর দেন, কিন্তু বাংলাদেশ তা নেতিবাচকভাবে নেয় না।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অংশ। সব রাষ্ট্রদূতই এটা করেন। আমরাও একই কাজ করি, কিন্তু এটা তাদের (বিদেশি কূটনীতিকদের) মতো নয়।’
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার জন্য বাংলাদেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের প্রস্তাব আসছে এটা সত্য নয়, এটা অনেক আগে থেকেই আলোচনায় ছিল।
মোমেন বলেন, সরকার বিমানবহরের জন্য ক্রয়ের বৈচিত্রের দিকে নজর রাখছে এবং এয়ারবাস থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী: ঢাকায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
তবে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে সরকার আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তবে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে এটি ক্রয় করবে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এয়ারবাসের কাছ থেকে কিনতে সম্মত হওয়ার পর বোয়িং এখন কম দামে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,‘তারা আমাদের অনুরোধ করেছে কিন্তু আমরা এটিকে আমাদের উপর চাপ হিসাবে নিচ্ছি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুবই খুশি।
তিনি বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার অপেক্ষায় রয়েছি।
দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের অস্বস্তির কথা নাকচ করে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র 'অহিংস' নির্বাচন চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
ড. মোমেন বলেন, নেতৃত্বের পদে সবার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে সরকার এর নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।’
ড. মোমেন বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের ঢেই বইছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই জনগণের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয় এবং যেসব পরামর্শ দেশের জন্য ভালো মনে হয় বাংলাদেশ সেসব পরামর্শ গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুনের উদ্যোগে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস পালিত
জাতিসংঘ ঘোষিত ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস- ২০২৩’ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন মঙ্গলবার একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), ইউএনঅপস ও নরওয়ে, ডেনমার্ক, থাইল্যান্ড, সুইডেনসহ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ইয়াঙ্গুনস্থ জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘বিশ্বস্বাস্থ্য ও কূটনীতি’ শীর্ষক একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘হেল্থ ফর অল: টাইম ফর একশন’ শীর্ষক বিষয়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব জনগণের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে জানানো।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য-সেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সূচকসমূহ তুলে ধরেন এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য-সেবায় বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ফলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারিভাবে কম অর্থ খরচ করা সত্ত্বেও নীতির ধারাবাহিকতা, স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মদক্ষতা, ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা ও স্বল্প সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় কম খরচে ভালো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে ইয়াঙ্গুন জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর প্রফেসর হ্লা হ্লা উইন মিয়ানমারের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী মিয়ানমারের চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মিয়ানমার কার্যালয়ের হেল্থ সিস্টেমস এর উপদেষ্টা ডা. শক্তিভেল সেলভারাজ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবায় শক্তিশালী হেলথ সিস্টেমসের প্রয়োজনীয়তা এবং এই লক্ষ্যে যথাযথ বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
রাজধানীর শিল্পকলা ফাইন আর্টস অডিটোরিয়ামে 'হিউম্যান রাইটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল: মুভিজ দ্যাট ম্যাটার' শীর্ষক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আয়োজনে স্লোভাকিয়ায় সাংবাদিক হত্যার তদন্তের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত 'দ্য কিলিং অব এ জার্নালিস্ট' চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই মিনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।
চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীতে অংশ নেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড 'জলের গানের' একজন সংগীতশিল্পী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন বলেন, 'মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আমরা মনোযোগ দিতে চাই তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রতি বছর 'মুভিজ দ্যাট ম্যাটার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' আয়োজন করা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নেদারল্যান্ডসের অন্যান্য স্থান ও বিদেশে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে এই সপ্তাহ ডাচ সংস্থা মুভিজ দ্যাট ম্যাটারের মাধ্যমে আনা চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। সংস্থাটি এমন চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে এবং প্রচার করে যা বিশ্বজুড়ে অধিকার ইস্যুগুলোতে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
এ বছর তিন দিনব্যাপী মিনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মোট পাঁচটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র