%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন
শুক্রবার মার্কিন সরকার প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রায়শই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটির জিরো টলারেন্স নীতির ওপর জোর দেন এবং আল-কায়েদা ও আইএসআইএসের মতো বিশ্বব্যাপী সংগঠিত জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে চলেন।
'কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০২২' এর বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বিশেষত আল-কায়েদা অনুমোদিত গোষ্ঠী, জামাত-উল-মুজাহিদীন (জেএমবি) এবং আইএসআইএস অনুমোদিত জেএমবি শাখা, নব্য জেএমবি’র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোতে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে আমলে নেওয়ায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সহিংসতার অল্প কিছু ঘটনা ঘটেছে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে নির্মূল করার জন্য অভিযানের ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশ কয়েক ডজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অনুসারে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানকালে আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে ব্যাহত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান পরিচালনা করে।
কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীটি জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে সহযোগিতা করেছিল।
কর্তৃপক্ষ বছরের বাকি সময়জুড়ে কয়েক ডজন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে।
২০১৫ সালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে হামলার ঘটনায় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে গত ২০ নভেম্বর ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষিত আল-কায়েদা অনুমোদিত আনসার আল-ইসলামের ২০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে পালানোর পরিকল্পনা এবং/অথবা কার্যকর করতে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করে।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা ২০২২ সালের শেষে পর্যন্ত পলাতক ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগার ব্যবস্থায় মৌলবাদ থেকে সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী নিয়োগ গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেই রয়ে গেছে।
সিটিটিসিইউ (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নির্বাচিত কারাগারগুলোতে বাস্তবায়নের জন্য সহিংসতা থেকে একটি সমন্বিত ‘ডেরাডিকালাইজেশন’ প্রোগ্রাম তৈরি শুরু করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের মতো নির্বাচনে পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে না এবং সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া তারা খুব কমই তা করে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক ২৯ নভেম্বর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘ এসব নির্বাচনে পর্যবেক্ষক মোতায়েন করছে না। আমরা করি না... আমরা খুব কমই, খুব কমই একটি নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া তা করি।’
তিনি বলেন, তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছেন।
মুখপাত্র বলেন, ‘জনগণ যাতে অবাধে, স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং কোনো ধরনের হয়রানি মুক্ত হতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকল দলের প্রতি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মোমেন বলেন, ডব্লিউআইওএন নিউজ একটি প্রতিবেদন করেছে যে কিসিঞ্জার যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্বকে সমর্থন করেছিলেন এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাননি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) স্নায়ুযুদ্ধের পররাষ্ট্রনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব কিসিঞ্জার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন।
কিসিঞ্জারের সামগ্রিক উত্তরাধিকার সম্পর্কে মোমেন বলেন, 'হেনরি কিসিঞ্জার একজন আইকনিক কূটনীতিক ছিলেন, তিনি কূটনৈতিক বিশ্বে বিশেষ করে বিদেশে মার্কিন নীতি প্রণয়নে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছেন।’
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭১ সালে কিসিঞ্জারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করতে পিছপা হননি এবং বলেন, 'কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৭১ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে থেকেই মারা যান।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের 'একাডেমি ফর উইমেন এন্টারপ্রেনারস'র দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু
মোমেন পাকিস্তানি সামরিক জান্তাকে সমর্থন করার জন্য ‘সমস্ত আমেরিকান আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং পাকিস্তানের অবৈধ দখলদার বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহে তার (কিসিঞ্জারের) ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় কিসিঞ্জার যে নিক্সন প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, ভারতবিরোধী শক্ত অবস্থান নেয় এবং পাকিস্তানকে সমর্থন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক অভিযানের ফলে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। তিনি বলেন, 'একজন স্মার্ট মানুষের জন্য এ ধরনের অমানবিক কাজ করা খুবই দুঃখজনক। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানকে সাহায্য করার জন্য বঙ্গোপসাগরে যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ পাঠিয়েছিল, যদিও এটি পাকিস্তানি সামরিক সংস্থাকে কোনও সুবিধা দেয়নি।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
মোমেন কিসিঞ্জারের সমস্যাযুক্ত সিদ্ধান্তগুলো প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছিলেন যে তার ‘পিং পং কূটনীতি’ এবং চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক পরিবর্তনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় তার অবস্থানকে প্রভাবিত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘জেনারেল ইয়াহিয়াকে (খান) সন্তুষ্ট করার জন্য, তিনি এই সমস্ত দুষ্টু কাজ করেছেন, তাই এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
মোমেন বলেন, ‘আপনি যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেন, তখন এটি সত্য-ভিত্তিক হওয়া উচিত, আবেগের অধীন নয়। দুর্ভাগ্যবশত, কিসিঞ্জারের মতো এত বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যক্তিরা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যা, গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
‘ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কার ২০২৩’ পেলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া
চলতি বছরের মর্যাদাপূর্ণ ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কার ২০২৩ পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) ২৮তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়ার হাতে যৌথভাবে এই পুরষ্কার তুলে দেন রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) মহাপরিচালক ও রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো আরিয়াস এবং ডাচ সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত হেঙ্ক ভ্যান ডার কোয়াস্ট।
এবছর ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কারের আরও সহ-প্রাপক ছিলেন আফ্রিকান সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির পরিচালক হুবার্ট কে ফয় এবং সুইজারল্যান্ডের স্পিজ ল্যাবরেটরি।
আরও পড়ুন: এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
ওপিসিডব্লিউ ২০১৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে সম্মেলনের উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত সারাবিশ্বের ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানকে তাদের স্বতন্ত্র কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ড. রাজিয়া এই পুরস্কার অর্জন করেন।
বাংলাদেশে রাসায়নিক সুরক্ষা এবং সুরক্ষার উন্নয়নে অবদান রাখা এবং এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসাবে ভূমিকা রাখার জন্য ড. রাজিয়াকে স্বীকৃতি দিয়েছে ওপিসিডব্লিউ।
তিনি ওপিসিডব্লিউর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন এবং 'রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত সুরক্ষিত বিশ্ব’ করার জন্য নতুন ধারণা তৈরিতে অবদান রেখেছেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে আদালতে আপিলের রায়ে জিতেছেন হংকংয়ের পুরষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বৃদ্ধিতে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ: জাকিয়া
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী পরিবেশ গড়ে তুলতে বাংলাদেশ তার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেছে।
এক সেমিনারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে মেধাস্বত্ব অধিকার সংরক্ষণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে তারা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে চালিত করে এমন একটি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার সক্ষমতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
এই মহৎ দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এ রূপান্তরের স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি বলেন, 'এই অটল অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধুর স্থায়ী আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত, যা জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে 'আইপিআর প্রোটেকশন অ্যান্ড প্র্যাকটিসেস: ড্রাইভিং ইকোনমিক গ্রোথ ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)।
প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন আইপি আইনজীবী ও বাংলাদেশ আইপি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার হামিদুল মিছবাহ।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এনবিআরের কাস্টমস, অডিট, আধুনিকীকরণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের সদস্য হোসেন আহমেদ, পেটেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস বিভাগের (ডিপিডিটি) মহাপরিচালক মুনিম হাসান, যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস (ইউএসপিটিও) এবং দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র লিগ্যাল আইপি কাউন্সেল শিল্পী ঝা।
সেমিনারে চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সভাপতি, বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী নেতা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যামচেমের সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
জাকিয়া বলেন, এনবিআর, বিচার বিভাগ, পুলিশ, আইপি অফিসসহ মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় সম্পৃক্ততা আইপি প্রয়োগকে বাড়ানোর উপর জোর দেয়।
তিনি বলেন, ‘ডব্লিউআইপিও বা ডব্লিউটিওর মতো সংস্থার সহায়তায় প্রভাব মূল্যায়ন করা ট্রিপস অব্যাহতি হারানোর প্রভাবগুলোর বাস্তবসম্মত মূল্যায়নের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
অ্যামচেম সভাপতি বলেন, চ্যালেঞ্জ অনিবার্য, তবে বাংলাদেশে একটি কার্যকর ও আরও শক্তিশালী আইপিআর ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সব অংশীজনদের অবশ্যই কাজ করতে হবে এবং একটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের জন্য বাংলাদেশকে 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার' হিসেবে তুলে ধরবে বিটিসিসিআই
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
কারণ বাংলাদেশি পণ্যগুলো তার গুণমান, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য ও সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার কারণে মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার পায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা খুবই স্মার্ট ও সক্রিয়। আমাদের গতিশীল বেসরকারি খাতের ওপর আমার আস্থা আছে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির একটি প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের বেসরকারি খাত তৈরি পোশাক রপ্তানি করে এবং মার্কিন বেসরকারি খাত বাংলাদেশি পণ্য কেনে।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের পণ্য কেনে কারণ আমাদের পণ্যগুলো উচ্চ মানসম্পন্ন, দামে সস্তা ও সময়মতো পৌঁছে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, এমনকি আপনি মার্কিন স্টোরগুলোতে অনেক চীনা পণ্যও পাবেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শিরোনামের স্মারকলিপি নিয়ে বাংলাদেশের ‘শঙ্কিত হওয়ার’ অনেক কারণ রয়েছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া এই মার্কিন উদ্যোগ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দূতাবাস এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘স্মারকলিপিতে শ্রম অধিকার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্মারকলিপিটি ১৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘যারা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের, শ্রম অধিকার রক্ষাকারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়, ভয় দেখায় এবং হামলা করে তাদের জবাবদিহি করা হবে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা ও ভিসা বিধিনিষেধের’ মতো পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে তারা কাজ করবে।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়েছে ‘স্মারকলিপিটি’ বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত। কারণ শ্রম সমস্যার অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে বর্ণিত যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। ‘স্মারকলিপিটি বাংলাদেশের পোশাক খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র পুরো শ্রম খাতের জন্য উদ্যোগ নিলে তারা অবশ্যই স্বাগত জানাবে।
মোমেন বলেন, ‘তারা যদি একটি ভালো নীতি গ্রহণ করে তাহলে সেটা হবে একটি মহৎ উদ্যোগ। আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র ধনী দেশ হওয়ায় জলবায়ু ও অভিবাসন বিষয়ে ভালো উদ্যোগ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইতিবাচক কর্মসূচি নিয়ে আসে, আমরা অবশ্যই এটাকে স্বাগত জানাব।’ বাংলাদেশ দেখতে চায় সব শ্রমিক ভালোভাবে জীবনযাপন করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন জানান, তিনি চিঠির বিষয়ে জানেন না।
কিছু লোকের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশ দেখতে চায় না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছুটি থেকে ফেরার পর এটি রুটিন বৈঠক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি যে তিনি ফিরে এসেছেন। নতুন কিছু নয়। শুধু রুটিন মিটিং।’
রাষ্ট্রদূত হাস বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত হাস এবং পররাষ্ট্র সচিব মোমেন একটি রুটিন বৈঠক করেছেন।
বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে ৩০ মিনিট চলে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানও উপস্থিত ছিলেন।
হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বৈঠকস্থলের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
ছুটি কাটিয়ে সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত হাস এবং পররাষ্ট্র সচিব মোমেন একটি রুটিন বৈঠক করেছেন।
বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে ৩০ মিনিট চলে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানও উপস্থিত ছিলেন।
হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বৈঠকস্থলের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
ছুটি কাটিয়ে সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শিরোনামের স্মারকলিপি নিয়ে বাংলাদেশের ‘শঙ্কিত হওয়ার’ অনেক কারণ রয়েছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া এই মার্কিন উদ্যোগ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দূতাবাস এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘স্মারকলিপিতে শ্রম অধিকার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহারের চেষ্টা করবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্মারকলিপিটি ১৬ নভেম্বর জারি করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘যারা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের, শ্রম অধিকার রক্ষাকারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়, ভয় দেখায় এবং হামলা করে তাদের জবাবদিহি করা হবে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা ও ভিসা বিধিনিষেধের’ মতো পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে তারা কাজ করবে।
ইউএনবির দেখা ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়েছে ‘স্মারকলিপিটি’ বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত। কারণ শ্রম সমস্যার অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে বর্ণিত যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। ‘স্মারকলিপিটি বাংলাদেশের পোশাক খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত।’
ঢাকায় রোমানিয়ান জাতীয় দিবস উদযাপিত
রোমানিয়ার ১০৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বারিধারায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এবং ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ারের প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) তার বাসভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শুরুতে বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক এবং আসন্ন ডিসেম্বর মাসের গুরুত্ব তুলে ধরে এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
ড. ইফতেখার উল্লেখ করেন, এনায়েতউল্লাহ খান সম্প্রতি নাইট পদমর্যাদায় রোমানিয়ান ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিটে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি সত্যিই এর যোগ্য।’
আরও পড়ুন: রোমানিয়ার জাতীয় দিবস উদযাপিত
রোমানিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য উচ্চ প্রশংসার নিদর্শন স্বরূপ খানকে এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এই পুরস্কার প্রদান করেন রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট। ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট রোমানিয়ায় প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক বা সামরিক পরিষেবাগুলিকে স্বীকৃতি দেয়।
ড. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক এখন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এবং শ্রম খাতে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে কাজ হচ্ছে।
‘রোমানিয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খান বাংলাদেশে রোমানিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে অসাধারণ কাজ করছেন।
তিনি ২০২১ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সফর এবং এই সফরের ফলাফলের কথাও স্মরণ করেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে।
শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাবেক বেসামরিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেট ইউনিয়ন দিবসকেই রোমানিয়ার জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ১৯১৮ সালের এই দিনে ট্রান্সিলভানিয়ার পাশাপাশি রোমানিয়ান রাজ্যের সঙ্গে বেসারাবিয়া ও বুকোভিনা প্রদেশের একত্রীকরণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিবে রোমানিয়া
মোটরসাইকেলে ২৯ দেশ পেরিয়ে রোমানিয়ার তরুণী এখন সাতক্ষীরায়
বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের 'একাডেমি ফর উইমেন এন্টারপ্রেনারস'র দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু
ঢাকার ইএমকে সেন্টারে একাডেমি ফর উইমেন এন্টারপ্রেনারস (এডব্লিউই) কার্যক্রমের দ্বিতীয় ব্যাচের উদ্বোধন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিভেন এফ. ইবেলি।
এডব্লিউই হলো যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। এর মাধ্যমে উদ্যোগী নারীদের ব্যবসা শুরু ও সফলভাবে সম্প্রসারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় জ্ঞান, পেশাদার নেটওয়ার্ক ও মৌলিক উপকরণগত সহায়তা দেওয়া হয়।
মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় উদ্যমী তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এসএমই) প্রসারে কাজ করছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। স্থানীয় নারী ব্যবসায়ী নেতা, বিশেষ করে অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের নারীদের ক্ষমতায়ন ও সহযোগিতার জন্য কাজ করছে এটি।
আরও পড়ুন: ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু
বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও সুপরিচিতি কার্যক্রম এডব্লিউই। এটি বিশ্বব্যাপী নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত ‘গ্লোবাল উইমেনস ইকোনমিক সিকিউরিটি’ কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে এই কৌশলের উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হয়। এর মাধ্যমে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে, যাতে বৈচিত্র্যময় পটভূমি থেকে আসা নারীরা বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণভাবে সম্পৃক্ত হয়ে সক্রিয় ও সমানভাবে অবদান রাখতে ও উপকৃত হতে পারেন।
এডব্লিউই কার্যক্রমের দ্বিতীয় ব্যাচে বাংলাদেশের ৩টি সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট) মোট ৯০ জন অংশ নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম ও সিলেটের অংশগ্রহণকারীরা ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত অধিবেশনগুলোতে অনলাইনে জুম মিটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত হবেন।
এই বছরের কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে পিছিয়ে থাকা, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিতে না পারা ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদের যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
কলকাতায় আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত, আগামী বছর ঢাকায়
কলকাতার সল্ট লেকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা পরিষদের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনের আয়োজক ছিল শাখা কলকাতা। প্রায় ৬ মাসব্যাপী নিরলস পরিশ্রম করে আয়োজনটির বাস্তবায়ন করেন শাখার সদস্যরা।
১৯৬১ সালের আসামের শিলচরের ভাষা আন্দোলনের পৃথিবীর প্রথম মহিলা ভাষা শহীদ কমলা ভট্টাচার্যের ভ্রাতুষ্পুত্রী বর্ণালী ভট্টাচার্য এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
সকাল সাড়ে এগারোটায় শুরু হয়ে এবারের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় সন্ধ্যা ৭টায়।
পুরো অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় পরিচালন পর্ষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের শাখা প্রধান মাসুদ করিম।
উদ্বোধনের পর প্রতিটি শাখা তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন শাখার সভাপতি ও শাখা সচিবরা।
আরও পড়ুন: আসামের বাংলা ভাষা আন্দোলন নিয়ে মাসুদ করিমের তথ্যচিত্র