%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে কুয়ালালামপুরে চ্যালেঞ্জার স্পোর্টস সেন্টারে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলায় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি দল বিডি এফসি ক্লাবের বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’- প্রতিপাদ্যের আলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাইকমিশন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির ১২টি দলের অংশগ্রহণে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।
খেলা শেষে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা কাপ: শেখ রাসেলকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। শিশু শেখ রাসেল ছিল সরলতা, নির্ভীকতা ও নির্মলতার প্রতীক এবং তার আদর্শ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সব শিশু-কিশোর-এর জন্য আদর্শ।
তিনি বলেন, ১০ বছর বয়সেই তার নেতৃত্বগুণ, সহনশীলতা ও ধৈর্যের প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। শেখ রাসেলের বেড়ে ওঠা ও মানবিক গুণাবলী সমূহ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিনিউটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়িত করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
গাজার পরিস্থিতি 'মুক্ত পৃথিবীর' নেতাদের সহায়তায় জাতিগত নির্মূলের ক্লাসিক উদাহরণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি শুধু জাতিগত নির্মূলের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণই নয়, বরং ‘মুক্ত বিশ্বের নেতাদের এবং মানবাধিকার, মানবিক আইন এবং সমস্ত নীতি ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রবক্তাদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় শক্তির মাধ্যমে করা গণহত্যাও’।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ মোটেও যুদ্ধ নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি বর্বর ও সম্মিলিত শাস্তি এবং নিরপরাধ বন্দি নারী-পুরুষ এবং বিশেষ করে শিশুদের হত্যা করা, যারা যুদ্ধ করতে পারে না।’
শনিবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের রিয়াদে অষ্টম বিশেষ ইসলামিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে যৌথ আরব-ইসলামিক অসাধারণ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোমেন বলেন, এই যুদ্ধ শহর ও জনপদ এবং একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করছে। পরিকল্পিতভাবে একটি দখল করা স্থানের জনগণকে তাদের খাদ্য, বাসস্থান, পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং অবশ্যই একটি নিরাপদ জীবনযাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করে এবং এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।’
ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ-এর বিখ্যাত ইহুদিবাদী লেখক আরি শাভিতের ইসরায়েলি নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা হয়তো এখনও ফিরতে পারি। দখলদারিত্বের অবসান, ইসরায়েলিদের সেটেলমেন্ট বন্ধ, ইহুদিবাদের সংস্কার, গণতন্ত্র বাঁচানো, দেশ ভাগ করা এখনও সম্ভব হতে পারে। তা না হলে, আপনারা দেশ ছেড়ে চলে যান এবং প্রত্যেক ইসরায়েলির অবশ্যই বিদেশি পাসপোর্ট আছে। আপনাদের অবশ্যই বন্ধুদের বিদায় জানাতে হবে এবং সান ফ্রান্সিকো, বার্লিন বা প্যারিসে যেতে হবে।’
মোমেন বলেন, ‘বর্তমানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের আহ্বানে কোনো কর্ণপাত না করেই ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের নির্বিচারে হত্যা চলছে। আমি বিশ্বাস করি এই যৌথ শীর্ষ সম্মেলন দুর্বল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নির্মম যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত, বাস্তব ও প্রভাবশালী শক্তিশালী বার্তা দেবে।’
তিনি বলেন, মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি এবং অন্যান্য ধর্ম, শ্রেণি, বর্ণ, জাতিগত পটভূমি এবং বিশ্বাসের মানুষ সারা বিশ্বে এই গণহত্যার প্রতিবাদ করছে। তবুও জায়নবাদীদের একটি দল পরিকল্পিত হত্যা করেই যাচ্ছে।
গত ১৬ বছর ধরে গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিড়ম্বনার বিষয় হলো এক সময় নির্যাতিত ইহুদি জনগণ; যাদের ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় দিয়েছিল, তারা এখন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, হাসপাতাল, পরিবার ও আশা ধ্বংস করছে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শ
প্রথমত, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। এই যুদ্ধ অন্যায় এবং সব ধরনের মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।
ইসরায়েলকে অবশ্যই নারী ও শিশু হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ ও অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের অবাধ, দ্রুত ও নিরাপদ সরবরাহের জন্য একটি মানবিক করিডোর খোলা রাখা দরকার।
গাজার দখলদারিত্বের ফলে নিরীহ মানুষ মৌলিক প্রয়োজনীয়তা থেকে বঞ্চিত করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হিসেবে আমাদের দায় বহন করা উচিত।
তৃতীয়ত, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি নেতৃত্বকে দায়বদ্ধ রাখা। নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের হত্যা এবং বর্বর উপায়ে এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এই ধরনের কাজের শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে গাজায় চলমান সংঘাত একেবারের জন্য শেষ হয়। সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, যাতে মানুষ তাদের নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস শুরু করতে পারে।
আরও পড়ুন: দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শ্রম খাতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে রবিবার ঢাকায় আসছে ইইউ দল
দেশের শ্রম খাত নিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদল আগামীকাল রবিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
এই সফর সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
তারা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও সরকারের শ্রম, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেছেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘সামগ্রিক মূল্যায়নের’ লক্ষ্যে এই সফর।
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি, প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ব্রাসেলস থেকে ঢাকায় আসবেন।
বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশ সরকার আইএলও গভর্নিং বডিতে জমা দেওয়া রোডম্যাপের সঙ্গে পরিকল্পনাটি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
এই রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা ও সম্মিলিত দর কষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারের মান উন্নত করা।
গত মাসে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেছিলেন, বাংলাদেশের জিএসপি+ আবেদন বিবেচনা করার ক্ষেত্রে শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার বিষয়টি ইউরোপীয় সংসদ ও কমিশনের জন্য একটি ‘বিবেচ্য উপাদান’।
ঢাকায় এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কাছে জিএসপি+ এ যোগদান করার বিকল্প রয়েছে, যা এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ)-এরপর পরবর্তী সবচেয়ে উদার জিএসপি প্রোগ্রাম।’
আরও পড়ুন: শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কয়েক মাস আগে ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসে (ইইএএস) পাওলা পাম্পালোনির সঙ্গে দেখা করে।
তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করা, এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ), শ্রমিক কল্যাণ ও অধিকার এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি দল পাওলা পাম্পালোনিকে অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্জন এবং প্রধান আর্থ-সামাজিক খাতসমূহের ব্যাপক অগ্রগতির বিষয়ে জানাবেন। যেখানে শিল্প খাত; বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের চলমান সংশোধনীগুলো ঘনিষ্ঠভাবে লক্ষ্য করছি। আমরা আশা করি ত্রিপক্ষীয় অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং আইএলওর প্রযুক্তিগত সহায়তায় সংশোধনীগুলো সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে কার্যকর হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির একটি দুর্দান্ত গল্প রয়েছে।
তিনি বলেন, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা নতুন সুযোগ নিয়ে সৃষ্টি করেছে এবং ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করায় উদ্বিগ্ন ইইউ
ঢাকায় প্রাণহানি-সহিংসতায় ইইউ ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শোক প্রকাশ
বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘খুব স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছে দিল্লি: কোয়াত্রা
ভারত আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ভারত ফের স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ২+২ পঞ্চম বার্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের পর মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কোয়াত্রা।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বিস্তৃতভাবে আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশ নিয়ে যা কিছু উদ্বিগ্নতা, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছি আমরা।’
২+২ বৈঠকে সাধারণত উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি বিশেষ করে দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা অংশ নেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন মার্কিন পক্ষ থেকে প্রধান অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদি আলোচনার পর ঢাকা-নয়াদিল্লি ৩ সমঝোতা স্মারক সই
মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময়, ২+২ সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের কাজ নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশ গঠনে দেশটির দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করে যাবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিও বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারত বলেছে তারা একটি ‘স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল’ জাতি গঠনে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি।’
বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে চিত্র তুলে ধরলেন সেসব সম্পূর্ণই আপনার বর্ণনা, আমার নয়।
মুখপাত্র বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নকারী সাংবাদিককে বলেন, ‘ক্র্যাকডাউন, কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা, ইত্যাদি আপনার ব্যাখ্যা। অনুগ্রহ করে সেগুলো আমার কাছে বর্ণনা করবেন না।’
তিনি জানান, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চান না।
তিনি আরও বলেন, যেমনটি আমি বলেছি, বাংলাদেশে নির্বাচন তাদের ঘরোয়া বিষয়।
আরও পড়ুন: ‘হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে’ মার্কিন পদক্ষেপ দ. এশিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়: ওয়াশিংটনকে দিল্লি
বাংলাদেশ-ভারত কৌশলগত সংলাপ দিল্লিতে শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার
আম্মানে জর্ডান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু
জর্ডানের আম্মানে বৃহস্পতিবার জর্ডান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন চালু হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, জর্ডানের সুশীল সমাজের সদস্য, বুদ্ধিজীবী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
অ্যাসোসিয়েশনে রয়েছে জর্ডানের অভিজাত, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, কবি ও সাংবাদিকরা।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ ড. আয়মান ওদেহ আল-বাদওয়া।
তিনি একজন বহুল পরিচিত জর্ডানের উপজাতীয় নেতা ও বিখ্যাত ব্যবসায়ী।
এ ছাড়াও তিনি একজন মানবহিতৈষী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও সংঘাত সমাধানে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদারদের অব্যাহত সহযোগিতার ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৩৩তম জার্মান ঐক্য দিবস উপলক্ষে ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বন্ধু ও অংশীদাররা এই প্রচেষ্টায় আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জ্যান-রলফ জানোস্কি বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
শাহরিয়ার আলম বলেন, 'আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাই।’
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বাংলাদেশের সভাপতিত্বের সময়, এটি দুর্বলতাকে সহনশীলতা ও স্থিতিশীলতার মাধ্যমে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, 'আমাদের অর্থনীতি ও জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তরের গৃহীত পরিকল্পনার আলোকে আমরা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।’
তিনি বলেন, জার্মানি প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন, নগর উন্নয়ন, অবকাঠামো ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে সবুজ শিল্প রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থনীতির সবুজ রূপান্তরে এই যাত্রায় অংশীদার হতে চায়।
শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশ জার্মানির সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ ও ২০১৯ সালে জার্মানি সফর করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায়, কারণ তারা একসঙ্গে কাজ করার জন্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দৃষ্টি রাখছে।
৯ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি এবং অবশ্যই এটি এমন একটি দেশ যার সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে চাই।’
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
তিনি বলেন, বাণিজ্য, জলবায়ু ক্ষেত্রে সহযোগিতা, নিরাপত্তার ক্ষেত্র এবং যেখানে সেই সম্ভাবনা বিদ্যমানসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র অব্যাহত রয়েছে।
প্যাটেল বলেন, তারা কোনো দেশে নির্দিষ্ট কোনো সরকার, রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকায় নির্বাচন চলছে, সেখানে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে- জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা ওই নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি বাংলাদেশ সরকারকে সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন, যাতে তা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে পারে।
লি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভবিষ্যতের অস্থিরতা রোধ করার জন্য আমরা বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধনের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সমস্ত শ্রমিক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার আহ্বান অনুযায়ী সংগঠন ও সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারেন।’
আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক ব্যুরো জানিয়েছে, বাংলাদেশের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে সহিংসতা বৃদ্ধি এবং শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের ওপর 'দমন-পীড়ন' বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয় 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
মন্ত্রণালয় ৩০ অক্টোবর রাসেল হাওলাদার এবং আঞ্জুয়ারা খাতুনের পুলিশ গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
লি বলেন, ‘ডিজাইন এক্সপ্রেস ফ্যাক্টরির রক্ষণাবেক্ষণ অপারেটর ও সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য হাওলাদার (২৬) বিক্ষোভের সময় নিহত হন। ২৩ বছর বয়সী সেলাই মেশিন অপারেটর এবং দুই সন্তানের জননী খাতুনও বিক্ষোভের সময় নিহত হন।’
শ্রমিকদের সমাবেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, শ্রমিকদের ওপর সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ এবং হাওলাদার ও খাতুন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
লি বলেন, ‘আমরা ন্যূনতম মজুরি আন্দোলনে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশনের শ্রমিক সংগঠক জুয়েল মিয়ার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হলেও শ্রমিক ও ইউনিয়নগুলো ২৩ হাজার টাকা দাবি করে আসছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য সড়কে নেমে আসেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং কারখানা ও যানবাহনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আশা করে- যে কোনো দেশের সরকার তাদের কর্মকর্তা ও স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশন ও এর অধীনে বিদ্যমান কূটনৈতিক কনভেনশনগুলোর অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ শোকজ নোটিশ দেবে এবং মুজিবুল হক চৌধুরীকে সতর্ক করবে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন ও কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক, তাদের কর্মকর্তা এবং তাদের স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সমস্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী তার এক জনসভায় 'মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে মারধরের' হুমকি দেন।
আরাফাত বলেন, ‘ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন স্তর এবং সেই স্তরের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যাতে আমরা খুব বেশি মনোযোগ দিই না। আওয়ামী লীগও কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়; অতএব, তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।’
আরও পড়ুন: ভুয়া প্রোফাইল থেকে সাবধান: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এই বিশেষ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের এই নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি আওয়ামী লীগের সকল তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের সাবধানতা অবলম্বন এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা এবং সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীজনদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা যে দিকে কাজ করে যাচ্ছি তা হলো- এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, সিনেটর, কাউন্সিল অ্যাট লার্জ ও কাউন্সিলর পদে বাংলাদেশিদের বিপুল বিজয় প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন।
বিজয়ী জনপ্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বাংলাদেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে একজন সিনেটরসহ কাউন্সিলর পদে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বিজয় লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: 'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনে ভার্জিনিয়া স্টেটের সিনেটর হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন সাদ্দাম সেলিম। ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের) পদে বিজয়ী হয়েছেন ড. নীনা আহমেদ। নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন শাহানা হানিফ। মেলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আবারও জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান ও সালাহউদ্দিন মিয়া।
এ ছাড়া হাডসন সিটি কাউন্সিলে বিজয়ী হয়েছেন কাউন্সিলর শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনি ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আবদুস মিয়া। মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন এবং প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন মোহতাসিন সাদমান।
গত বছর নিউ ইয়র্কের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে বিজয়ী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মান জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন