%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক দিক হলো সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ কূটনীতিতে ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ইউএনজিএ ভবনে সিটিবিটিও (কমপ্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট-ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন) লিয়াজোঁ অফিসে ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনের সাইডলাইনে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিব ড. রবার্ট ফ্লয়েডের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত
সিটিবিটিও'র নির্বাহী সচিব এখনো সিটিবিটি সই না করা অন্যান্য দেশকে চুক্তিতে সম্মত হতে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০০ সালে সিটিবিটি সই ও অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
রাশিয়ার সরকার ৩০ টিরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরপেক্ষ দেশ, ব্যাংক ও মধ্যস্থতাকারীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। যাদের রাশিয়ান মুদ্রা ও ডেরিভেটিভস বাজারে বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়া হবে।
শনিবার ঢাকায় অবস্থিত রুশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। দূতবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
দেশগুলো হলো- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, কিউবা, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভেনেজুয়েলা ও ভিয়েতনাম।
তবে গ্রীষ্মে খসড়া আকারে প্রকাশিত তালিকা থেকে আর্জেন্টিনা, হংকং, ইসরায়েল, মেক্সিকো ও মলদোভাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সংসদীয় গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
মোমেনের সঙ্গে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও মন্ত্রী তায়ে আতস্কে-সেলাসি।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন নিউইয়র্কে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়ে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: সবার সহযোগিতা ছাড়া সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না সরকার: মোমেন
এ বিষয়ে তিনি ইথিওপিয়ায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে, কৃষিতে বাংলাদেশের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে বলে অভিমত দেন।
ইথিওপিয়ার মন্ত্রী বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, শুধু কৃষি ক্ষেত্রে নয়- গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যাল, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বিপুল জনশক্তি রয়েছে, যা ইথিওপিয়া কাজে লাগাতে পারে।
আরও পড়ুন: এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ রিটার্ন সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশে ইথিওপিয়ার বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইথিওপিয়ার সহযোগিতা চান। তিনি ইথিওপিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব করেন।
ইথিওপিয়ার মন্ত্রী এসব বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
ভিসা নিষেধাজ্ঞায় 'হারানোর কিছু নেই': শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তাদের হারানোর কিছু নেই এবং তারা ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ নিয়ে চিন্তিত নন। কারণ তারা কোনো ভুল করছেন না।
শুক্রবার রাতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো কারণ নেই, যেহেতু সরকার তাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আশ্বাস পেয়েছে।
সাংবাদিকরা আরও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করতে থাকলে প্রতিমন্ত্রী তাদের প্রশ্ন করেন, 'সম্প্রতি কি এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে?'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা 'ইমপ্লাইড' যে মার্কিন বিবৃতিতে বিএনপি-জামায়াতকে বিরোধী দল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমনটি আগের আলোচনাগুলোতে দেখা গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সহিংসতা ও নৈরাজ্যে জড়িয়ে পড়ায় বিরোধীরা সম্ভবত তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে।
তিনি বলেন, মার্কিন সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত যদি তাদের রুটিন কাজকে ব্যাহত করে, তবে সিদ্ধান্তের আওতায় ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানার পর সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় বাংলাদেশের মানুষের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার শুক্রবার এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনবিকে বলেন, ‘মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসার তথ্য গোপনীয়।’
তবে তিনি বলেন, মার্কিন সরকার এই নীতি ঘোষণার পর থেকে ঘটনাগুলো খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।
ব্রায়ান শিলার বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ যত্নসহকারে পর্যালোচনা করার পরে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।’
চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২১২(এ)(৩)(সি)(‘৩সি’) ধারার অধীনে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।
এই নীতিমালার অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ আরোপ করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালের ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার বলেছে, তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের আজকের পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য এবং যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, এর মাঝে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত আছেন।
মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় তার সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: প্রথম দফায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপে পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে চেক প্রজাতন্ত্র।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যান লিপাভস্কি এ আগ্রহের কথা জানান। জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করার বিষয়ে উভয় দেশের মন্ত্রীর মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম দিকেই স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বাংলাদেশের জনগণের কৃতজ্ঞতার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, কৃষি খাত ছাড়াও তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। এসব এক্ষেত্রে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের বিপুল দক্ষ জনশক্তি রয়েছে যা চেক প্রজাতন্ত্র কাজে লাগাতে পারে।
প্রথম দফায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপে পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে আগ্রহীদের সমর্থন করতেই যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অঙ্গীকারের অংশ এটি।‘
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যরা রয়েছেন।
মিলার বলেন, ' বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র, যাতে এটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।’
এসব ব্যক্তি ও তাদের নিকটতম স্বজনরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত হলে সেসব ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
মিলার বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২১২ (এ) (৩) (সি) ("৩সি") ধারার অধীনে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।
এই নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত বাংলাদেশির জন্য ভিসা ইস্যু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি বছরের ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
সবার সহযোগিতা ছাড়া সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না সরকার: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সব অংশীজনদের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সরকার সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার বৈঠকে নির্বাচনসংক্রান্ত আলোচনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মোমেন বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে আমরা আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে চাই। তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) এটাকে শান্তিপূর্ণ করার কথা বলেছে। তারপর আমরা বলেছি, আমরা এর গ্যারান্টি দিতে পারি না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন শুধু সরকারের একার ওপর নির্ভর করে না।’
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সহিংসতা মুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে, যাতে সব দল ও মতের মানুষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করতে পারেন।
মোমেন বলেন, ‘আমাদের দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি না জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে। ভোট কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় এলে এই সরকার বেশি দিন টিকবে না। আমাদের এরকম নজির আছে।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানালেও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো অনেক দেশ তাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয় না।
তিনি মনে করেন না যে, বিদেশিরা কোনো কিছুকে ভালো বললেই, তা ভালো হবে, না হলে ভুল হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে দেশ চালাতে চাই না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা।’
আরও পড়ুন: এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
জেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করতে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করা উচিৎ, অন্যথায় রোহিঙ্গারা হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও বাণিজ্যসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় এই অঞ্চলটি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থান করায় হতাশ হয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে এবং এখানে তারা কোনো ভবিষ্যৎ দেখছে না।
শেখ হাসিনা গাম্বিয়ার দায়ের করা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক সমর্থন কামনা করেন।
আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা ও আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যালিস ওয়াইরিমু এনদেরিতু।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যাকে গণহত্যা (জেনোসাইড) হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি মিয়ানমারে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন আজরা জেয়া: মার্কিন দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শুক্রবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের অগ্রগতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে দেশটিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসাধারণের আহ্বানকে সমর্থন করতে চায়।
২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের এক ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেয়া।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবেন না: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে ১১.৬০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও এ অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য আরও ১১ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করবে।
এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের জন্য ৭৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এই নতুন অর্থায়নের মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে দ. কোরিয়া উন্নত হয়েছে: রাষ্ট্রদূত পার্ক
মার্কিন সেক্রেটারি অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই তহবিল বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জীবনরক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করে; যাদের অনেকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বেঁচে গেছেন।’
তিনি বলেন, এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে নিরাপদ পানীয়, স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা, শিক্ষা, আশ্রয় ও মনোসামাজিক সহায়তা।
ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য রোহিঙ্গা-আশ্রয়কারী দেশের সরকার ও জনগণের উদারতার স্বীকৃতি দেয় এবং অন্যান্য দাতাদের বাংলাদেশে মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অবদান রাখতে, মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বিতাড়িত ও ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা বৃদ্ধি করতে এবং শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধানে কাজ করার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা দেবে দ.কোরিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য গমনেচ্ছুদের প্রতি বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা
কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গমনেচ্ছুদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় কাজের সুযোগ পেতে আগ্রহীদের নিকট হতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
দেশেটিতে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাজের ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরার সহায়তা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে হাইকমিশনটি।
একইসঙ্গে দেশটির ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে সকলকে অবগত থাকার জন্যও অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় অস্থায়ী ও স্থায়ী ভিসায় কর্মী নেওয়ার জন্য ‘টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ সাবক্লাস ৪৮২’ নামে একটি ভিসা চালু রয়েছে। এই ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও পেশাদার কর্মীদের অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য গমনের সুযোগ রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এই ভিসা পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমোদিত একজন স্পন্সর (নিয়োগকারী) প্রয়োজন হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পেশার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ করে ‘ট্রেড’ পেশার জন্য অস্ট্রেলিয়ান কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সার্টিফিকেট-৩/৪ অথবা ডিপ্লোমা প্রয়োজন হয়। স্কিল লেভেল-১ পেশার জন্য ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন।
হাইকমিশন জানিয়েছে, যে কোনো পেশার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩-৪ বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা দরকার হয়। অভিজ্ঞতা প্রমাণের জন্য চাকরির নিয়োগপত্র, বিগত ২ বছরের বেতন বিবরণী, ব্যাংকের হিসাব বিবরণী প্রয়োজন হয়। সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে ৫-৬ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে ‘রিকগনিশন অব প্রায়োর লারনিং’ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় নিদিষ্ট সংখ্যক কলেজ হতে পেশা সংক্রান্ত শিক্ষাগত সনদ অর্জন করা যায়।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তি বাণিজ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা: হাইকমিশনার
এছাড়া, পেশা বিবেচনায় আইইএলটিএসের স্কোর প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬। আইইএলটিএস ছাড়াও অন্যান্য স্বীকৃত পরীক্ষা যেমন টোফেল, পিটিই গ্রহণযোগ্য।
বিদেশি কর্মীদের কাজের দক্ষতা অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করাতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশি পাসর্পোটধারীদের কয়েকটি পেশার জন্য দক্ষতা যাচাই করানোর প্রয়োজন হয় না। সেগুলো হলো- অটোমোটিভ ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাবিনেট মেকার, কারপেন্টার, কারপেন্টার ও জয়েনার, ডিজেল মোটর মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান (জেনারেল), ইলেকট্রিশিয়ান (স্পেশাল ক্লাস), ফিটার (জেনারেল), ফিটার এবং টারনার, ফিটার-ওয়েল্ডার, জয়েনার, মেটাল ফেবরিকেটার, মেটাল মেকানিস্ট (ফার্স্ট ক্লাস), মোটর মেকানিক (জেনারেল), প্যানেল বিটার, পেস্ট্রি কুক, সিটমেটাল ট্রেড ওয়ার্কার, টুল মেকার, ওয়েল্ডার (ফার্স্ট ক্লাস)। টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া কর্মীদের বার্ষিক বেতন কমপক্ষে ৭০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
এ ভিসার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে অস্ট্রেলিয়ার হোম অফিসের এই ওয়েব ঠিকানায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার কনস্যুলেটকে ১ অক্টোবর থেকে হাইকমিশনে উন্নীত করবে সিঙ্গাপুর