বৈদেশিক-সম্পর্ক
আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংক অবশেষে রিজার্ভ গণনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রণীত পদ্ধতি মেনে নিয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গণনা পদ্ধতি অনুযায়ী, বুধবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশকে আইএমএফ’র ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জুন মাসের মধ্যে বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) মডেল অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি সংস্কারে ভূমিকা রাখবে আইএমএফের ঋণ
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ‘দৃঢ় অঙ্গীকার’ করেছে: আজরা জেয়া
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকে ‘দৃঢ় প্রতিশ্রুতি’ পেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আজরা জেয়া বলেন, ‘একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্ভর করে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং নির্বাচনে বাংলাদেশিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং তাদের দেশের শাসনব্যবস্থার উপর।’
আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, যেখানে সব নাগরিক উন্নতি করতে পারে- এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাবে জরুরি সেবার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় বাংলাদেশের।
আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৈশ্বিক মানবাধিকার নীতির অংশ হিসেবে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনকে সমর্থন করে। তারা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে সেটি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে তাদের ভূমিকা পালন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গঠনমূলক, ফলপ্রসূ ও কার্যকর আলোচনা হয়েছে। আমি বলব গতকাল আমরা বড় বড় রাজনৈতিক সমাবেশ দেখেছি। সেগুলো সহিংসতামুক্ত ছিল।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা, প্রতিশোধ বা ভয়ভীতি ছাড়াই সাংবাদিকদের রিপোর্ট করার ক্ষমতা, মানব পাচার প্রতিরোধে সহযোগিতা, মত প্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান বৃদ্ধিতে সুশীল সমাজ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সিনিয়র এই মার্কিন কূটনীতিক আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে এই অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য তিনি এসেছেন। এটি আরও সহনশীল, সংযুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ।
মিয়ানমারের উপর চাপ বজায় রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চলমান সংকটের সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উপর চাপ অব্যাহত রেখেছে তারা। একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করতে বলা হয়েছে।আর সেটিই হবে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, সুসংগঠিত ও টেকসই পদ্ধতি।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা মানবিক সহায়তা থেকে জেন্ডার সমতা ইস্যুতে সমন্বয়সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্মিত একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার কথা বলেছেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস মনে করে, সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রসারে সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের পর আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া টুইটে লেখেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করি এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করি।’
আন্ডার সেক্রেটারি এবং প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশের উদার আতিথেয়তা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থনের অব্যাহত প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও আলোচনা করেন।
তিনি আরও লেখেন, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশের ওই অঞ্চলের জনগণকে সহায়তা করতে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি দিতে পেরে গর্বিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্ডার সেক্রেটারি আরও লিখেছেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে চলমান সংকট মোকাবিলায় ৭৪ মিলিয়নেরও বেশি সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং স্থানীয়দের সহায়তার জন্য ৬১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। একই সঙ্গে অন্য দাতা ও সম্ভাব্য দাতাদের অব্যাহত সমর্থনের আহ্বান জানান তিনি।
দাতাদের সহায়তা হ্রাস এবং শিবিরের নিরাপত্তাহীনতার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জীবিকার সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করেছে।
পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, গাজীপুরের শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, 'তারা শহিদুল ইসলামের (গাজীপুরের শ্রমিক নেতা) মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। আমি এ কথাটাই বলেছি। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণত যেটি আলাপ করার সেই আলাপই করেছি।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা হয়নি। তারাও জিজ্ঞাসা করেনি, আমারও বলার প্রয়োজন হয়নি।'
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ আইন নিয়ে আমি আগে যে কথা বলেছি, ঠিক সেই কথাগুলো উনাদের আজকে বলেছি। আগের মতোই বলেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধন করা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'তারা পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, ওনারা সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। গতকাল আমার সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) টিমকে যেভাবে বলেছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে আইনি কাঠামো সেটা বাংলাদেশে আছে। যে আইনগুলো এ ব্যাপারে সহায়ক আমি সেই আইনগুলোর কথা উল্লেখ করেছি।'
আনিসুল হক আরও বলেন, আমরা সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইনটি করেছি, সেটা সম্বন্ধে কথা বলেছি। এটাও বলেছি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে এ আইন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই আইন করেছে। এ ছাড়া এই উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশে এই আইন নেই, সেটাও আমি বলেছি।'
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কিছু কিছু বিষয়ে কথা বলেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেসব বিষয়ে তারা শুধু এটুকু বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে সেটা ভালো। আমি তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, বাংলাদেশে আগের সাংস্কৃতি নেই যে, বিচার হবে না। বাংলাদেশে এখন যেকোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয় এবং তাই হবে।’
মানবাধিকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ঈদের আগে গত ২৫ জুলাই শ্রমিকদের বেতন–ভাতা আদায়ে আরও দুই শ্রমিকনেতাকে নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডে গিয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। কারখানা থেকে বেরিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরেই তাদের উপর হামলা করা হয়। এ হামলায় প্রাণ হারান শহিদুল।
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রতিনিধি দলকে বলেছি যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রস্তুত এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিধি দলটি বলেছে তারা এখানে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে আসেনি। বরং, তারা শুধু দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া মিয়ানমারে গণহত্যার কারণে পালিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় শীর্ষস্থানীয় দাতা হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তার আহ্বান জানাচ্ছে।’
বুধবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে 'গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন' হয়েছে।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আরআরআরসি'র সমর্থন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থার জন্য মার্কিন মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।’
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জেয়া বাংলাদেশের স্বাগতিকদের উদারতা এবং বৈশ্বিক দাতা সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) সকালে (স্থানীয় সময়) দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. আলমগীর হোসেন।
দূতাবাসে আয়োজিত ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে এবং বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর ই-পাসপোর্ট সুবিধা প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনও ই-পাসপোর্টের প্রচলন করতে পারেনি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে শুধু ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশনই সহজ হবে তা নয়, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে। সরকার পর্যায়ক্রমে বিদেশের সকল বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট সুবিধা চালু করবে।’
বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মো. আলমগীর হোসেন বাংলাদেশে দূতাবাস, লিসবন-এ ই-পাসপোর্ট সুবিধা প্রবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুযোগ্য নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘পর্তুগালে ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ হলো, যা পর্তুগালে সদ্য আগত বাংলাদেশিদের নিয়মিতকরণে সহায়তা করবে।’
তাছাড়াও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দন উক্ত অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
পরবর্তীতে, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্টের এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন।
সবশেষে, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ, পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মীগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের পর ফেরত নেওয়া যাবে পাসপোর্ট
বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনকারীদের সুবিধার জন্য এখন থেকে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভ্যাক) আবেদন জমা দেওয়ার পরে তাদের পাসপোর্ট ফেরত নেওয়ার বিকল্প থাকছে।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভিসা ইস্যুর সম্ভাব্য তারিখের সাত দিন আগে আবেদনকারীদের আবার ভিসা আবেদন কেন্দ্রে তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
এছাড়া, আবেদন কেন্দ্রে অপেক্ষার সময় কমিয়ে আনতে অনলাইনে ভিসা আবেদনের সময় সশরীরে পাসপোর্ট ও আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ পূর্বেই নির্বাচনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু গ্রিসের
কুষ্টিয়ায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র উদ্বোধন ভারতীয় হাই কমিশনারের
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাবে জরুরি সেবার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী লক্ষাধিক রোহিঙ্গা চর্মরোগ চুলকানিতে আক্রান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স বা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) তাদের জন্য জরুরি সেবার দাবি জানিয়েছে।
এমএসএফ বলছে, এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপকহারে দ্রুত সেবা দিতে হবে। ক্যাম্পের মধ্যে পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধির উন্নতি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বর্তমানে জনাকীর্ণ শিবিরের আনুমানিক ৪০ শতাংশ লোকের চুলকানি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে কিছু শিবিরে প্রাদুর্ভাব ৭০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
চুলকানির চিকিৎসা করা সহজ কিন্তু চিকিৎসা না করা হলে গুরুতর শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব হতে পারে। স্বাভাবিক চিকিৎসার মধ্যে রোগীর ত্বক, কাপড় এবং বাড়ির পরিবেশে ওষুধ প্রয়োগ করা হয় যাতে সংক্রমণের কারণ হওয়া পরজীবীটি নির্মূল করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর আইসিসি’র চিফ প্রসিকিউটরের
তবে এই ক্ষেত্রে ওষুধগুলোই যথেষ্ট হবে না এবং প্রাদুর্ভাবের উত্সটি মোকাবেলা করা দরকার বলে সতর্ক করেছে এমএসএফ। করেছে
বাংলাদেশে এমএসএফ-এর মিশনের প্রধান কার্স্টেন নোকো বলেন, ‘বর্তমান প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করার জন্য ক্যাম্পের মধ্যে ওষুধের ব্যাপক বন্টন নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, শুধুমাত্র ওষুধই পুনঃসংক্রমণ রোধ করবে না যদি তারা প্রাদুর্ভাবের কারণ হওয়া অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ব্যবস্থা না করে।’
ক্যাম্পে এমএসএফ দলগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চর্মরোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা করেছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে তারা চর্মরোগীদের অস্বাভাবিকভাবে বেশি সংখ্যক দেখতে শুরু করে। তারপর থেকে সংখ্যাটি দ্রুত বেড়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি এবং মে মাসের মধ্যে ক্যাম্পে এমএসএফ দলগুলো প্রায় ৭০ হাজার রোগীকে চর্মরোগ চুলকানির জন্য চিকিৎসা দিয়েছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
আরও পড়ুন: উজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে
এমএসএফ বাংলাদেশের ডেপুটি মেডিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডা. পঙ্কজ পাল বলেন, ‘কিছুদিনে আমরা ৭০০ রোগীর শীর্ষে পৌঁছেছি। পরিস্থিতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একই ছিল এবং এই বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া জানাতে একটি বিশাল কাজের চাপ থাকার সময় আমরা এটি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি। আমাদের দল রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান দেখছিল এবং ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তারা রোগীদের তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পের কাছাকাছি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পুনর্নির্দেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মুহুর্তে আমরা চর্মরোগ নিয়ে আসা প্রত্যেকের চিকিৎসা করতে পারি না - আমাদের সেই ক্ষমতা নেই।’
ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্য আজমত উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের চার বছর বয়সী ছেলের গত ডিসেম্বর থেকে খোস-পাঁচড়া হয়েছে। ‘তার হাতে এবং তারপরে সারা শরীরে ফুসকুড়ি হতে শুরু করে। আমরা ডাক্তার এবং ফার্মেসিতে টাকা খরচ করেছি এবং শেষ পর্যন্ত সে ভালো হয়ে গেছে, কিন্তু খুব দ্রুত সে চর্মরোগে পুনরায় সংক্রমিত হয়েছিল। সে খুব বেশি ঘুমায় না, তার সারা শরীর চুলকায়, বিশেষ করে রাতে। ব্যথায় সে অনেক কান্নাকাটি করে। আমার অন্য দুই ছেলেরও চর্মরোগ আছে এবং আমার স্ত্রী এবং আমারও লক্ষণ রয়েছে। এটা আমার পরিবারের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বাংলাদেশে মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স গত বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতির ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং এতে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় রযেছে। তারা বলছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি সঠিক স্যানিটেশনের অভাব এবং পানির অপর্যাপ্ত প্রাপ্যতা রয়েছে।
যদিও আমরা গত দুই বছরে (পানির লাইন স্থাপন, ক্লোরিনেশন) যথেষ্ট পরিমাণে পানি ও স্যানিটেশন পরিকাঠামোর উন্নতি দেখতে পাচ্ছি। তবে রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল
আগের তুলনায় কম চালু ল্যাট্রিন আছে। কিছু কিছু এলাকায় মানুষ প্রতিদিন মাত্র দুই ঘণ্টা পানি পান।
এটি খারাপভাবে কাজ করা পানির ব্যবস্থার কারণে কিন্তু এটি ভুল ধারণার অধীনে পানির নির্দিষ্টকরণের সঙ্গে যুক্ত যে শরণার্থী জনসংখ্যা দ্বারা ভূগর্ভস্থ পানির সংস্থান হ্রাস পাচ্ছে। যা এই পানির উৎসগুলোর বিশেষ পর্যবেক্ষণ এবং মডেলিং দ্বারা খণ্ডন করা হয়েছে।
গত মাসে শরণার্থীদের সাবান বণ্টনে প্রতি মাসে দুটি বার এর পরিবর্তে মাত্র একটি বার করা হয়েছে।
জামতলী ক্যাম্পে বসবাসকারী ১৮ বছর বয়সী শরণার্থী তাহের বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধির মান বজায় রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু এটা কঠিন। আমরা বিছানা ভাগাভাগি করি, আমরা কাপড় ভাগাভাগি করি, আমরা সবকিছু ভাগ করি। এখন আমরা খোসপাঁচড়াও বা চুলকানিও ভাগ করে নিচ্ছি।’
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাদ্য নির্দিষ্ট হারে কমানো সহ তহবিল হ্রাসের প্রেক্ষাপটে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চর্মরোগের এই প্রাদুর্ভাব ঘটছে। তহবিল হ্রাসের আগেও, শিবিরের মধ্যে সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর দেওয়া পরিষেবার স্তর শরণার্থীদের চাহিদা পূরণ করেনি।
এমএসএফ-এর জন্য বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো ক্যাম্পগুলোতে স্বাস্থ্য সুবিধার সরবরাহের অভাব। যেখানে সম্পূর্ণ কর্মী এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়।
নোকো আরও বলেন, ‘চর্মরোগের ৪০ শতাংশের ইতিবাচক হার হলো 'কয়লা খনিতে ক্যানারি' মুহূর্ত, যা আমাদের বলে যে ক্যাম্পে অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন প্রতিক্রিয়া কাজ করছে না। এটি রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এবং কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের সুস্থতার জন্য আরও হুমকি ও ঝুঁকি তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তিনি ধারাবাহিক বৈঠক করবেন।
বুধবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে জেয়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সারাদিনের অন্যান্য ব্যস্ততা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তার ডিনার করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসার পর জেয়া টুইট করেছেন, ‘বাংলাদেশে এসে রোমাঞ্চিত। উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ।’
বুধবার তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যস্ত দিন কাটান।
জেয়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সার্বজনীন মানবাধিকারের অগ্রগতি, উদ্বাস্তু ও মানবিক সহায়তাকে সমর্থন, আইনের শাসন ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, দুর্নীতি ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই, সশস্ত্র সংঘাত প্রতিরোধ এবং মানব পাচার নির্মূলে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর জন্য মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএআইডি’র এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর প্রতিনিধিদলের অংশ হয়েছেন।
ঢাকা সাম্প্রতিক অতীতে ওয়াশিংটন থেকে একাধিক সফরের সাক্ষী হয়েছে। যার মধ্যে ২০২২ সালের ১৯-২৩ মার্চ রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের একটি সফর অন্তর্ভুক্ত।
চলতি বছরের শুরুতেও বাংলাদেশ সফর করেন লু। সাম্প্রতিক অতীতে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ নীতি নির্ধারণে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন লু।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে
রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল।এসময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের কথা শুনেন তারা।
ক্যাম্পে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে মার্কিন আন্ডার সেক্রেোরি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যুক্তরাষ্ট্রের দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
এসময় তিনি নারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
মিয়ানমার সেনারা কীভাবে তাদের গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে উচ্ছেদ করেছে নারীরা তাকে সেটা বলেন।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রেরপ্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে আমরা বলি, বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ক্যাম্পে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। তবে যথেষ্ট শিক্ষাব্যবস্থা নেই। এই জীবন তাদের কাছে বন্দি মনে হয়। যত দ্রুত সম্ভব তারা স্বদেশে ফিরে যেতে চাই। প্রত্যাবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেন মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। এর সমাধানের আশ্বাস রোহিঙ্গাদের দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই রোহিঙ্গা নেতা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল
এর আগে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে বেসরকারি উড়োজাহাজ ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে প্রতিনিধি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এসময় ইউএনএইচসিআর, আইএমও এবং আরআরআরসি অফিসের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের স্বাগত জানান।
পরে সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিনিধি দলটি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ উখিয়ার বালুখালীর ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
এ সময় তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পরিচালনাধীন সেবা ও সহযোগিতা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এছাড়াও উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে একটি বৈঠক শেষ করে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার ত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির দলটি।
আরও পড়ুন: উজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে
রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর আইসিসি’র চিফ প্রসিকিউটরের