বৈদেশিক-সম্পর্ক
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বহু সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির প্রদর্শন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত ৩ দিনব্যাপী সে দেশের জাতীয় বহু সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শন করা হয়।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে এ বহু সাংস্কৃতিক উৎসবের শোভাযাত্রায় ব্যানার-ফেস্টুনসহ দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও বাংলা সংগীত পরিবেশনসহ দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে পরিচিত করা সম্ভব হবে।’
এ উৎসবে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে বরাদ্দকৃত স্টলে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধর্মীয় সম্প্রতি তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
স্টলটিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, পর্যটন, পাট ও বস্ত্র শিল্পের নানা কারুকার্যের জিনিসপত্রও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় দর্শনার্থীদের মাঝে দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য পরিবেশন করা হয়।
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ক্যানবেরায় বহু সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। ৩ দিনব্যাপী এ উৎসব এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই উৎসবে ৩৫০টি কমিউনিটি ভিত্তিক দলের অংশগ্রহণ এবং ৭১টি দেশের কূটনৈতিক মিশন জড়িত থাকার মধ্যে দিয়ে এটি একটি বহুজাতিক ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় পরিণত হয় যাতে প্রায় দুই লাখ মানুষের আগমন ঘটে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য গমনেচ্ছুদের প্রতি বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
সাক্ষাৎকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সুইডেনের আর্থিক সহায়তায় জাতীয় সহনশীলতা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে বরাদ্দ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেফ প্লাস দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জ্বালানির জন্য এলপিজি সরবরাহ করা হচ্ছে। সবুজায়নের জন্য ক্যাম্প এলাকায় বৃক্ষরোপণ ও শাকসবজি চাষ করা হচ্ছে। সেফ প্লাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি ভাসানচরে সম্প্রসারণের জন্য প্রতিমন্ত্রী সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করলে রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এছাড়া সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কক্সবাজার ও ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম, কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে শরণার্থীদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিস্কাশন এবং রাখাইন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ এবং এ বি এম শফিকুল হায়দার।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা-মস্কো সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী : রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় ও শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ তিনি বলেন, '২০২৪ সালটিও সমানভাবে আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে তারা দুই দেশের জনগণের স্বার্থে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যময় করতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের সব পূর্বশর্ত এবং একই প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’
অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার রাশিয়ার।
২০২৩ সালের জানুয়ারি-নভেম্বরে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া রেলপথ, সড়ক নির্মাণ, ভবন, ধাতুবিদ্যা এবং অন্যান্য শিল্প ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পশ্চিমা দেশগুলোর কৃত্রিম ও বিপরীতমুখী প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মস্কো বাংলাদেশে প্রধান কৃষি-শিল্পজাত পণ্য, প্রধানত গম ও সার রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে।’
বাংলাদেশ ২০২৩ সালে রাশিয়া থেকে ২৭ মিলিয়ন টন শস্য আমদানি করেছে।
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ভোজ্য তেল, মটরশুঁটি, ছোলা ও মসুর ডাল দিয়ে রপ্তানি পণ্যের তালিকা বৃদ্ধি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতার মেরুদণ্ড হলো জ্বালানি। ২০২৩ সালেও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে গ্যাজপ্রম।
ভোলা দ্বীপে আরও তিনটি কূপ খনন সম্পন্ন হওয়ায় মোট খননকৃত কূপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০টিতে।
গ্যাস উত্তোলন এবং নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানের জন্য কোম্পানির প্রস্তাবগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।
মানতিৎস্কি বলেছেন, ‘প্রক্রিয়াধীন আরও প্রস্তাবনা এবং প্রকল্প রয়েছে, যেমন আরও স্থানীয় পরিশোধনের জন্য রাশিয়ান এলএনজি এবং অপরিশোধিত তেল সরবরাহ, রাশিয়ান সৌর শক্তি প্রযুক্তি, স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর আপগ্রেড এবং আরও অনেক কিছু।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প শিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে।
সাম্প্রতিক মাইলফলকগুলির মধ্যে, ইউনিট-২ এ প্যাসিভ তাপ অপসারণ সিস্টেমের ইনস্টলেশন রয়েছে।
প্রথম ইউনিটটি এই বছরের শেষের দিকে পরীক্ষামূলক অপারেশন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রকল্পের সাধারণ ঠিকাদার জেএসসি 'এএসই'র নিরাপত্তা সবসময়ই অগ্রাধিকার পেয়েছে। রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে উন্নত প্রকৌশল সমাধান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।’
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপিত একই ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ইতোমধ্যে রাশিয়ায় চালু রয়েছে, যা তাদের দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে।
ভূমিকম্প থেকে শুরু করে বিমান দুর্ঘটনা পর্যন্ত প্রায় সবকিছুতেই এরা বেঁচে থাকতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
পারমাণবিক জ্বালানি পরিবেশ বান্ধব, কোনও কার্বন নিঃসরণ করে না এবং দূষণ করে না।
এটি সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং পরিষ্কার। রাশিয়া পরমাণু প্রকল্পের পুরো জীবনচক্রে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সহায়তা করবে- যার মধ্যে রয়েছে চুল্লির জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ, প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ এবং পারমাণবিক বর্জ্য পরিচালনার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতা।
তিনি বলেন, রূপপুর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়েও বেশি কিছু। কয়েক ডজন বাংলাদেশি কোম্পানি নির্মাণ কাজের জন্য তাদের সেবা ও উপকরণ সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, এনপিপি প্রকল্পটি স্থানীয়দের জন্য ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে অর্থনীতির একটি নতুন খাত তৈরি করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়ায় পরমাণু বিশ্ববিদ্যালয় এবং রূপপুরের শিক্ষা কেন্দ্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ দক্ষ প্রকৌশলী যুক্ত করতে সহায়তা করছে যা কেবল পারমাণবিক শিল্পেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও অর্থবহ অবদান রাখতে সক্ষম।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তাদের জানা গেছে যে, কিছু পশ্চিমাপন্থী মহল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কলঙ্কিত করার পরিকল্পনা করছে।
মানতিৎস্কি বলেন, অর্জনগুলোর দিকে মনোনিবেশৃ করার পরিবর্তে স্থানীয় সুযোগ-সন্ধানী সাংবাদিকরা স্বল্পস্থায়ী বিবেচনার জন্য আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতীককে ক্ষুণ্ন করতে প্রস্তুত।
তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের কোনো প্রকল্পে অনিবার্য ছোটখাটো ত্রুটিগুলোকে অতিরঞ্জিত করে এবং এর সুফলের দিকে চোখ বন্ধ করে রাখে।
ইউক্রেন ও ইউক্রেন পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি রাশিয়া-বাংলাদেশ বিষয়ের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, গত বছর পশ্চিমা দেশগুলোর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অসহিষ্ণুতা দেখা গেছে। অন্য সবার মতামতকে উপেক্ষা করে নিজেদের কায়েমী স্বার্থের উপর ভিত্তি করে যারা এখনও বিশ্বে তাদের ক্ষয়িষ্ণু আধিপত্যকে আঁকড়ে ধরে আছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমারা সৎ চুক্তি করতে উদ্বেগজনক অক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এবং একটি অনির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় মঞ্চে রাশিয়া সার্বভৌম সমতা ও অবিভাজ্য নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে সমস্ত রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ বিকাশের পক্ষে মত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্মানজনক সংলাপ ও বাস্তবসম্মত সহযোগিতার সুযোগ বজায় রেখে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার পরিকল্পনা কার্যকরভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
নভেম্বরে রুশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের একটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে শুভেচ্ছা সফর করে।
গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম রুশ নৌবাহিনীর জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে প্রবেশ করল।
১৯৭২-১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মাইন অপসারণ ও মুক্ত করার কাজে নিয়োজিত দুজন প্রবীণ রুশ নাবিক ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
রিয়াদে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে রাষ্ট্রদূত
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে সৌদি আরবে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (বাংলা সেকশন) কেন্দ্র পরিদর্শন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে তিনি রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরিচালিত একমাত্র এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন।
এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অধীনে রিয়াদ কেন্দ্রে ৪৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে মিল রেখে নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এ পরীক্ষা চলবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
আজ থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছানকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিকাওয়া ইয়োকোর চিঠি হস্তান্তর করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অমূল্য অবদান রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং এ দেশের উন্নয়নে তা অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুই দেশের পারস্পরিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা জানান, তার দেশের সহায়তায় নির্মীয়মাণ মাতারবাড়ি পাওয়ার স্টেশনের প্রথম প্ল্যান্ট নির্মিত হয়েছে, দ্বিতীয় প্ল্যান্ট চলতি বছরেই শেষ হবে। চট্টগ্রাম থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রকল্পও যথাসময়ে শেষ হবে।
জাপানের সঙ্গে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিটি বাংলাদেশ দ্রুত সম্পন্নে আগ্রহী জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প নগরসহ একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
তিনি নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ নির্মাণে জাপানের সহায়তার কথা উল্লেখ করেন এবং টার্মিনাল-২ নির্মাণেও জাপানকে আহ্বান জানান।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আমরা জাপানের অব্যাহত সহায়তা কামনা করি এবং রোহিঙ্গাদের জন্য যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা অনেক কমেছে সেখানে জাপানের অব্যাহত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বিদ্যমান সম্পর্ক বিস্তৃতি ও বিনিয়োগের প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ১৬ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠেয় ৬০তম মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে (নিরাপত্তা সম্মেলন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাতটি দেশ ও তিনটি আন্তুর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ড. ক্রিস্টোফ হিউজেনের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, ৬০তম মিউনিখ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় পাঁচশত প্রতিনিধি থাকবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে এবং ক্লাইমেট ফিন্যান্স সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। এছাড়া জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও উপস্থিত হবেন তিনি।
ড. হাছান বলেন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাটা, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেতে ফ্রেডেরিকসেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমায়ার জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ভেনজা শুলজ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এবং মেটা'র গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
সংলাপের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি আনয়নের মূলমন্ত্র নিয়ে বিগত ১৯৬৩ সাল থেকে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এ সম্মেলনের ২০১৭ ও ২০১৯ সালের আসরে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জার্মানি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ। সেইসঙ্গে, একক দেশ হিসেবে জার্মানি বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ইউরোপে সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এছাড়াও, তারা বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায়, এ আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইউরোপীয় নেতাদের পাশাপাশি জার্মান নেতাদের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জার্মানি সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. হাছান।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে চারদিনের সরকারি সফরে যাত্রা করে সেদিন সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছাবেন।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উদ্দেশে মিউনিখ ত্যাগ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি পৌঁছার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্মেলনের ক্লাইমেট সিকিউরিটি সংক্রান্ত প্যানেল এবং পররাষ্ট্র সচিব পিস অপারেশনস বিষয়ক আরেকটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ভ্রাতৃপ্রতীম দুইটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ডাকভবনের দপ্তরে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার হাজনা মো. হাসিম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় অভিন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ বৈদেশিক কর্মক্ষেত্র হিসেবে মালয়েশিয়ায় অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন পলক।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের জন্য মালয়েশিয়া অত্যন্ত গর্বিত।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাকভবনে ডাক অধিদপ্তরে ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন বিষয়ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তর ও মধুমতি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশন (বিএফএসএ)-এর পুনর্গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি (ইসি) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নতুন কমিটির সদস্যরা।
ইসির নতুন সভাপতি রাষ্ট্রদূত ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএফএসএ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ইসির পক্ষে বিএফএসএ সভাপতি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে রক্ষিত ভিজিটরস বইয়ে সই করেন।ইসির সদস্যরা একই দিনে দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রপ্তানি আয় বাড়াতে এবং দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তার জন্য রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি মূল্য সংযোজিত তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, প্লাস্টিক, চামড়া, পাটজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণ এবং দক্ষ জনশক্তিসহ কয়েকটি ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমসহ কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও গত ১৫ বছরে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
ড. হাছান বলেন, 'এটা শুধু ম্যাজিক নয়। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে,'
বাংলাদেশ কীভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পনান দেশে পরিণত হয়েছে এবং কীভাবে দারিদ্র্য মোকাবিলা করেছে তাও তিনি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত 'অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক বাজার: বাংলাদেশের সুযোগ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান এ এফ এম গাউসুল আজম সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পাটগ্রামে বিজিবির হাতে ভারতীয় নাগরিক আটক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে কৃষ্ণ কুমার(১৮) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক কৃষ্ণ কুমারের বাড়ি বিহার রাজ্যের মধুবনী জেলায়। তিনি ওই জেলার খাজুলী থানার ব্রহ্মত্র গ্রামের বাসুদেব পাসোয়ানের ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে বুড়িমারী উফারমারা এলাকার ষোলঘরিয়া সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ৮৩৪/৫ থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষ্ণ কুমার। এসময় বিজিবির বুড়িমারী ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাকে আটক করে।
পরে পাটগ্রাম থানায় সোপর্দ করা হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক