বৈদেশিক-সম্পর্ক
নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজের প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'তাকে(রাষ্ট্রপতি) আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে একজন ক্ষমতাধর নারী উল্লেখ করে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি পর পর চারবার এবং মোট পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করছেন, সেটির সঙ্গেও সহমত পোষণ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।'
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, 'আমি তাকে বলেছি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছেন, 'জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কেন একজন নারীকে দেখতে পাই না? দেখতে চাই। তিনি সেটির সঙ্গেও ঐকমত্য পোষণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির সঙ্গে ভারত সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে পৌঁছান ড. হাছান মাহমুদ।
তিন দিনের এ সরকারি সফরের শেষ দিনে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত ভারতের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে প্রথম এবং দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজের অবহেলিত অংশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের জন্য তার খ্যাতি রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ঝাড়খণ্ডের গভর্নর, উড়িষ্যার মিনিস্টার অব স্টেট এবং উড়িষ্যার লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্টের জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। দিল্লিতে নতুন পার্লামেন্ট ভবনে এই সাক্ষাতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রমজানে দেশে পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
আসন্ন রমজান মাসে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতের রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ভারতের রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
নতুন পার্লামেন্ট ভবনে পীযুষ গয়ালের অফিসে দু'দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রত্যাহার নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আমরা ভারত থেকে যে পচনশীল পণ্যগুলো আমদানি করি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি যাতে আমরা পাই, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, সংযোগ, বিদ্যুৎ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, পানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানের সাক্ষাৎ
ভারতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে নয়া দিল্লি সফরে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী হাসান ভারতের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনখড় এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
গত মাসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
৭ ফেব্রুয়ারি জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন হাসান।
কলকাতায় দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আজ রাতে তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অজিত দোভালের ঢাকা সফর উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময়ের অংশ: এমইএ
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অজিত দোভালের ঢাকা সফর উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময়ের অংশ: এমইএ
ভারত বলেছে, তাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর ছিল দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের অংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের অত্যন্ত কাছের প্রতিবেশী। সম্প্রতি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় দেশগুলোর জন্য নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সেই প্রেক্ষাপটেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার উক্ত সফর।’
দোভাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা তাকে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ভারত সফরে এসে দোভালের সঙ্গেও দেখা করেন হাসান।
দুই দেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছে বলে জানিয়েছেন এমইএ মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের আরও কয়েকটি দিক নিয়েও আমরা কথা বলেছি; অর্থনীতি, বাণিজ্য, জনগণ থেকে জনগণ; এছাড়াও, বিকশিত ভারত ২০৪৭ এবং বাংলাদেশ তাদের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ এর পথে এগিয়ে যাওয়ার সময় উভয় দেশ কীভাবে তাদের প্রচেষ্টাগুলোকে একত্রিত করতে পারে সে সম্পর্কেও।’
শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করা ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এরপর কলকাতায় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনবিরোধী দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিল, পাশে আছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। একে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভারতের নয়াদিল্লিতে বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক দশক’ শীর্ষক একক বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. অরবিন্দ গুপ্তের পরিচালনায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশে ভারতের পূর্বতন হাইকমিশনার ভিনা সিক্রি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কটি রক্তের বন্ধনের। অন্য যেকোনো দেশের সম্পর্কের সঙ্গে কখনোই বাংলাদেশের সম্পর্ককে এক করা যায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান বাংলাদেশ সব সময় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি ভারতীয় ভিসার আবেদন করে। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। এটি দুই দেশের পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিচয়ই বহন করে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী ও বিজিপির সদস্যদের খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন।
এ বিষয়ে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করছে। এখন যত শিগগিরই সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে।’
সাবরীন বলেন, ‘এ বিষয়ে মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত গতকাল বিকালে, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতি দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেন হুমকির সম্মুখীন না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কূটনৈতিক তৎতপরতা ও আন্তর্জাতিক ফোরামের সহায়তা প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কের স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাসনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন। সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, স্থায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহু পাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
‘কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না’ বলা হলেও কেন বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক হবে না।’
নৌরুট ও আকাশ পথে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদে দ্রুত ফেরত পাঠানোই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয় বা কোনো পূর্বশতও নয়। বিমানযোগে প্রত্যাবাসন দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব বিবেচনায় বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমার কিছুদিন আগেও ভারত থেকে বিমানযোগে সৈন্য নিয়ে এসেছিল। তাই এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ হতে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তিকে ফেরত পাঠাতে চায়। এখানে সময় ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যাচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে সেটা আকাশপথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক।’
মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর বলে মন্তব্য করেন তিনি। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়েছে বলে জানান।
সাবরীন বলেন, একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথম দিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবির কাছে অস্ত্রশসত্র জমা দিয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর বিষয়ে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নৃশংস অপরাধের জন্য মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান
বাংলাদেশে আসা মিয়ানমার বর্ডার গার্ড অব পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর করা অপরাধ ও নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সঙ্গে একত্রিত হয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে ফর্টিফাই রাইটস।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে শত শত বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বাংলাদেশে সহায়তা ও সুরক্ষার পাশাপাশি অতীতে এই বিজিপি সদস্যরা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল কি না- সেটি পর্যালোচনার ওপর জোর দিয়েছেন ফর্টিফাই রাইটসের সিইও ম্যাথু স্মিথ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে মিয়ানমারের অন্যান্য সামরিক, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের উদ্বুদ্ধ করতে এটি সহায়তা করবে। এই সীমান্তরক্ষীদের কাছে এমন তথ্য থাকতে পারে যেসব মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও অন্যান্য অপরাধের জন্য অপরাধীদের জবাবদিহির মুখোমুখি করতে সাহায্য করতে পারে। এ বিষয়ে তাদের ওপর সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত বলেও মনে করেন স্মিথ।
আরও পড়ুন: সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে মিয়ানমারের ২৬৪ জন বিজিপির সদস্য প্রবেশ করেছে; যাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন গুরুতর আহত, যারা এখন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাধীন।
কক্সবাজারে বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের নিকটবর্তী জেলা বান্দরবানে থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এর আগে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সংঘটিত হওয়া মিয়ানমারের পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো অপরাধ তদন্তের জন্য ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি অফিস অব দ্য প্রসিকিউটরকে (ওটিপি) অনুমোদন দেয়। এ তদন্ত প্রায় চার বছর ধরে চলছে। আদালত এখনও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা অপরাধসংক্রান্ত কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেনি।
২০১০ সালে বাংলাদেশ আইসিসির একটি রাষ্ট্রীয় পক্ষ হয়ে মিয়ানমারের অভিযুক্ত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে আইসিসির সঙ্গে কাজ করেছিল।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিও উইন তুন এবং জাও নাইং তুন নামে মিয়ানমারের দুইজন সামরিক সদস্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে এসে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে আশ্রয় চেয়েছিল। তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। রোম সংবিধির একটি রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে ঢাকা আইসিসিকে এই দুই সাবেক সৈনিকের উপস্থিতি সম্পর্কে জানায়।
পরে এই দুই সৈন্যকে হেগে স্থানান্তরিত করা হয়। তারাই প্রথমবারের মতো মিয়ানমার থেকে আইসিসির হাতে আসা অপরাধী।
ফর্টিফাই রাইটস মনে করছে, মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে বাংলাদেশেরও উচিত মিয়ানমারবিষয়ক আন্তর্জাতিক স্বাধীন ব্যবস্থার (আইআইএমএম) সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা করা। মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে ভবিষ্যতে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ২০১৯ সালে আইআইএমএম গঠন করে।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগণের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণহত্যা চালায়। শত শত গ্রাম ধ্বংস করে, হত্যা-ধর্ষণ আর নৃশংস অত্যাচার চালায়। প্রায় ৭ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
ফর্টিফাই রাইটস, মার্কিন সরকার, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন, রোহিঙ্গাদের সংঘঠনগুলোসহ অন্যান্যরা এই হামলাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা ও বিচার বিভাগের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতি দৃঢ়ভাবে সমর্থন দিচ্ছে চীন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তাকে অভিনন্দন জানানোর পর রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
ইয়াও বলেন, চীন দুই দেশের মধ্যে বিচারিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতা আরও গভীর করতে ইচ্ছুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ও দূতাবাসের রাজনৈতিক পরিচালক ড. হাফিজ আহমদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি দৃঢ় সমর্থন এবং বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নে সহযোগিতা ও অবদানের জন্য চীনের প্রশংসা করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব দু'দেশের মধ্যে বিচার বিভাগীয় সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট ভিত্তি স্থাপন করেছে।
বিচার বিভাগীয় সহযোগিতায় চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান জোরদার করতে বাংলাদেশ আগ্রহী বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টোকিওতে এফইসি-বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত
টোকিওতে এফইসি-বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত
জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ কাউন্সিল (এফইসি), জাপান এর সহযোগিতায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে এফইসির সদস্য বিভিন্ন জাপানি কোম্পানির নির্বাহী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে ১ জানুয়ারি নোটো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, এই সফর জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের অটুট ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবির আয়োজনে ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত হয়েছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।
তিনি জাপানের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সেমিনারে দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ, মিনিস্টার (বাণিজ্য) ড. আরিফুল হক এবং প্রথম সচিব (শ্রম) মো. জয়নাল আবেদীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্যমূলক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ছয় শতাধিক নদীর নাম ও হাজার হাজার দখলদারের তথ্য মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে সেমিনার
এফইসির সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিরোইউকি ইউশিতা তার বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সেমিনার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন- এই ফোরামে মতামত বিনিময় এবং উন্মুক্ত আলোচনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আরও আগ্রহ ও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
পরে মারুবেনি কর্পোরেশন, সুমিটোমো কর্পোরেশন এবং আজিনোমোটো গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সম্পর্কে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
মিশন উপপ্রধান শাহ আসিফ রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট সকল ও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূতের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রুশনারা আলী এমপি: বিবৃতি
শ্যাডো ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্মল বিজনেস মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূতের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমপি রুশনারা আলী।
চলতি সপ্তাহে এক বিবৃতিতে রুশনারা বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত হিসেবে কাজ করা আমার জন্য আনন্দের। পদটি যে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে এসেছে তা আমি পুরোপুরি উপভোগ করেছি এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমি অবদান রেখেছি জেনে আমি গর্বের সঙ্গে এই পদ ছেড়ে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ট্রেড এনভয় নেটওয়ার্কের ক্রস-পার্টি প্রকৃতি এর অন্যতম বড় শক্তি। আমার ক্ষেত্রে দায়িত্বটি আমাকে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক এবং আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে সমর্থন ও গভীর করার সুযোগ দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক গভীর করার অঙ্গীকার বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করব: হাইকমিশনার