বৈদেশিক-সম্পর্ক
ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে শনিবার ঢাকায় আসছেন।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর কোনো মার্কিন কর্মকর্তার এটিই প্রথম সফর।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্র ছাড়াও রোহিঙ্গা বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে আফরিন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: আফরিন আখতার
আমরা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে মনোনিবেশ করছি: আফরিন আখতার
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করলেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সফররত ঘানা প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সংহতি বিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে মঙ্গলবার ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাদুঘর পরিদর্শনকালে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে সংঘটিত জঘন্য অপরাধ সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়।
সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আফ্রিকা) এ এফ এম জাহিদ উল ইসলাম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, ঘানার প্রতিনিধিরা দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন এবং অবস্থানকালে অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেনের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৪টার দিকে। নৌকাটি লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নৌকায় চালকহ ছিলেন ৫৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। জীবিত আছেন ৪৪ জন।
জীবিতদের মধ্যে- বাংলাদেশের ২৭ জন, পাকিস্তানের ৮ জন, মিশরের ৩ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিশরের ১ জন। মিশরের ওই ব্যক্তি নৌকা চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশের এবং অন্যজন পাকিস্তানের।
৮ বাংলাদেশি হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সজল, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মামুন সেখ, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাদনের ছেলে রিফাত, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাসেল ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭ জন পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ করছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
১৫ বছরে বাংলাদেশের 'ব্যাপক সাফল্যের' প্রশংসা ডব্লিউএফপি’র
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি এইচ ম্যাককেইন গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে 'ব্যাপক সাফল্যের' জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।
তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া হ্রাস এবং জলবায়ু প্রতিকূলতা মোকাবিলায় ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিধন ও গণহত্যার কারণে দেশটি ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের (জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক) আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক ডব্লিউএফপি-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কমিশনের লেটার অব কমিশন উপস্থাপনের সময় এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএফপি’র সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়তে পারে অপরাধ, উগ্রপন্থা: এআরএসপিএইচ
রাষ্ট্রদূত ও পিআর ইসলাম কমিশন গ্রহণ করার জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার উপলব্ধি বিনিময়ের জন্য নির্বাহী পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি'র কার্যক্রম বহুমাত্রিক, দীর্ঘস্থায়ী ও অত্যন্ত কার্যকর উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ডব্লিউএফপি প্রধানকে বাংলাদেশের স্কুল ফিডিং কর্মসূচি এবং রাইস ফর্টিফিকেশন প্রোগ্রামে সরকারের অংশগ্রহণ (আর্থিক ও পরিচালন উভয় অবদান) সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএফপি’র অভূতপূর্ব সমর্থন ও ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, আশ্বাস ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ডব্লিউএফপির নির্বাহী বোর্ডের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রদূত ২০২২-২০২৬ মেয়াদে বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান (সিএসপি) অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সিএসপি বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
১৯ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউএফপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ২০৩০ সালের এজেন্ডা বাস্তবায়নে, বিশেষ করে এসডিজি-২ বাস্তবায়নে 'সেভিং অ্যান্ড চেঞ্জিং লাইভস ওয়ার্ল্ডওয়াইড' এর ওপর নিবিড়ভাবে জোর দিয়ে বাংলাদেশ ও ডব্লিউএফপি একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলর মো. জসিম উদ্দিন, বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন ও রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়শা আক্তার এবং ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রসারণে ডব্লিউএফপি'র সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি
বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে এসেছে ভারত। বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাসেও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
তবে পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদপত্র ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কারণে এসব দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কত পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় জাপান
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জাপান আরও জোরদার করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি গ্রাম, একটি পণ্য কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য বাড়াতে কাজ করছে। এ কর্মসূচি সফল করতে জাপানের অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত এ কর্মসূচিকে সাধুবাদ ও সহযোগিতার আশা দিয়ে বলেন, জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপান অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর জাপানে অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৪’ আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আশা করছি।
এসময় দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অতিমাত্রায় গুরুত্ব আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে
সিঙ্গাপুরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ইয়েও বলেছেন, বাংলাদেশ যদি অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায়, তাহলে রোহিঙ্গা ইস্যুকে আঞ্চলিক ব্লকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। কারণ এখানে মিয়ানমার পূর্ণ সদস্য।
ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গা ইস্যুর গুরুত্বকে উপেক্ষা না করে এবং এটিকে প্রভাবশালী ইস্যুতে পরিণত হতে না দিয়ে, আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে হোটেল রেনেসাঁয় 'বাংলাদেশ অ্যান্ড আসিয়ান ইন এ মাল্টিপোলার ওয়ার্ল্ড' শীর্ষক ডিস্টিংগুইশড স্পিকার সিরিজের অংশ হিসেবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কসমস গ্রুপের জনকল্যাণমূলক সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
জর্জ ইয়েও বলেন, এখন আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে একটি এজেন্ডাকে প্রাধান্য দিতে চায়।
কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিলে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরা সম্ভব। এক্ষেত্রে খুব বেশি অসুবিধা হবে বলেও মনে করেন না ইয়ো।
রোহিঙ্গা সংকটকে মানবিক ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়ে সিঙ্গাপুরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মূল প্রবন্ধে বলেন, 'এর কোনো সহজ সমাধান নেই। কারণ এসব সমস্যার শিকড় ইতিহাসের মধ্যেই রয়েছে এবং এর সমাধানও ইতিহাসের গভীরেই থাকতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার পর আসিয়ান এর নিন্দা জানায়নি। কারণ তারা মনে করে এটি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা।
আসিয়ান তার সদস্য দেশগুলোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না উল্লেখ তিনি আরও বলেন, ‘আসিয়ান রাখাইন রাজ্যের মানবিক ইস্যুটিকে রাজনৈতিক ইস্যু থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে অন্যদের এরকম সহানুভূতি নেই। মিয়ানমারের সঙ্গে লাওসের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুখ্য ইস্যু হলেও মিয়ানমারে এটি গৌণ ইস্যু।
বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে দেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন জর্জ ইয়ো।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের কাছে তুলবেন হাছান মাহমুদ
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি, প্রখ্যাত কূটনীতিক ও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
ড. চৌধুরী বলেন, আসিয়ান ও বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা সময়োপযোগী এবং মূলত দুটি কারণে আলোচনার উপযুক্ত সময় এটি।
প্রথম কারণটি উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার দিকে নজর দেবে বাংলাদেশ; এর মধ্যে আসিয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, বিশেষ করে তারা আসিয়ান অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে প্রশংসনীয় হিসেবে দেখছেন। ‘এটি এই অঞ্চলকে একক বাজার ও উৎপাদনের ভিত হিসেবে মনে করে। এটি এই অঞ্চলকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে, ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্পূর্ণরূপে যুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, আসিয়ান কানেক্টিভিটি সম্পর্কিত মহাপরিকল্পনাটিও প্রশংসনীয় লক্ষ্য। ‘তাই আঞ্চলিক সংলাপের অংশীদার হতে চাওয়া এবং সিঙ্গাপুরসহ বন্ধু দেশগুলোর সমর্থন চাওয়ায় অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
ড. চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আসিয়ানের সদস্য দেশ মিয়ানমারে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। যেহেতু বিরোধী পক্ষগুলোর প্রধানরা বাংলাদেশকে নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে দেখছে, তাই বাংলাদেশেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার হুমকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনা করবে ঢাকা
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
এই উদ্দেশ্যে ১১ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়া সফর করেন।
এ সময় সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক কমিশনের উপনির্বাহী প্রধান ফিলিপ্পা কিং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখীকরণের উপর জোর দেন।
এসময় তপন কান্তি ঘোষ তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা দেখছে এফবিসিসিআই
অস্ট্রেলিয়ার উপনির্বাহী প্রধান উচ্চশিক্ষার বিকল্প মডেল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়ের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর উপর জোর দেন।
বৈঠকে উচ্চশিক্ষা ছাড়াও কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিনিয়োগসংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সিনিয়র সচিব তার সফরে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান, অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান ক্রিস বার্নস এবং স্থানীয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চেম্বারের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি কাওয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশকে অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার আশ্বাসের প্রশংসা করেন বাণিজ্য সচিব।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভায় ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টেকে পরবর্তী ধাপে উন্নয়নের জন্য করণীয় সম্পর্কিত আলোচনা হয়।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সচিব।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অধিক। গত দশকে দু’দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিশীল এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকায় পৌঁছেছেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঘানার পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সমন্বয় বিষয়ক মন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়ে সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান মহাপরিচালক (আফ্রিকা) এএফএম জাহিদ উল ইসলাম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ঘানার প্রতিনিধিরা দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন এবং অবস্থানকালে অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: অপতথ্য ও মিথ্যা রোধে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইইউ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অপতথ্য ও মিথ্যা রোধে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইইউ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য রোধে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইইউ তো বটেই, পুরো বিশ্বজুড়ে অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য মানুষকে ডিজিটাল ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য তৈরি ও প্রচার করা হচ্ছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখছে বেতার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী কিছু দিনের মধ্যে মানুষকে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে তার মধ্যে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্য অন্যতম। এ ধারণাটা বিশ্বজুড়ে আছে। সে জায়গায় বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে পারস্পারিক সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে ইইউর সমর্থন, সহযোগিতা, অংশীদারিত্বের বিষয়েও কথা হয়েছে। অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য কীভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
ইইউ কী ধরনের সহযোগিতা করবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, ধারণা বিনিময় করা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা থাকবে।
গোটা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে পড়ার বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে ইউরোপে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন। আমাদের দেশে আরও কোথায় উন্নতি করতে পারি, কোথায় কোথায় আমাদের সুযোগ আছে এ বিষয়গুলো নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের বিস্তৃতি উদার করতে গিয়ে গণমাধ্যমে বিশৃঙ্খলা প্রবেশ করেছে বলে পেশাদার সাংবাদিকরা বলছেন। সরকার সাংবাদিকতা, গণমাধ্যমের জায়গা, রাজনীতির ক্ষেত্রে সব জায়গায় একটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চায়। গণতন্ত্র মানে আইনের শাসনও। গণতন্ত্র মানে সবকিছুর স্বাধীনতা আছে এবং আইনের শাসন হলো আমি কী কী করতে পারি না। দুটি বিষয়ের একটি চমৎকার ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী