বৈদেশিক-সম্পর্ক
মিয়ানমারের বিজিপি-সেনাবাহিনীর সদ্যস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে ঢোকা মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর লোকদের ফেরত নিয়ে গেছে মিয়ানমার সরকার এবং বাংলাদেশ থেকেও নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশে মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যেরা আসার ঘটনা ঘটেছে তা নয়, ভারতেও কয়েক শ' লোক ঢুকেছে। তাদেরকে তারা ফেরত নিয়ে গেছে। মিয়ানমার থেকে তাদের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ তাদের পরিবারের বেশ কিছু সদস্য আমাদের দেশেও পালিয়ে এসেছে।
ড. হাছান বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়েছে, মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। তাদেরকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, আলোচনা চলছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-বন্দর সড়ক সংলগ্ন ডিসি পার্কে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের যে প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে, সরকার সেটি মোকাবিলা করতে পারছে না’বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমরা রাখি না। যেটি ঘটছে সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল। সেখানে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বাহিনীসহ অন্যান্যদের সংঘাত চলছে। সে সংঘাতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই একটি গোলা আমাদের দেশে এসে পড়েছে। এবং দুজন মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে, এটা সঠিক। এ সবের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আমি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, সেখানে আমি তাকে বলেছি যে অন্তত প্রত্যাবাসনটা শুরু করার জন্য। তার কথাবার্তায় আমার যেটি মনে হয়েছে, মিয়ানমার প্রত্যাবাসনটা শুরুর ব্যাপারে একমত। কিন্তু তাদের বর্তমান আভ্যন্তরীণ যে সংকটগুলো চলছে, সেই কারণে এই মুহূর্তে তারা পারছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত যে সমস্ত মানুষ আমাদের দেশে আছে, তাদেরকে সসম্মানে নাগরিক অধিকার দিয়ে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান এবং সেই সমাধানের লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
তিনি বলেন, 'বিএনপি’র এখন কোনো রাজনীতি নেই, শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা'
'বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাদের মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন'এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপির দুই-তিনজন নেতা টেলিভিশনে কথা বলেন, সেখানেই শুধু তারা আছে, অন্য কোথাও বিএনপির অবস্থান নাই। তারা এই সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে। কারাগারে অনেক মানুষেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কারাগারে থাকা আমাদের দলেরও অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে ইতোপূর্বে। এই সমস্ত কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, আসলে বিএনপির এখন কোনো রাজনীতি নেই। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা যে প্রচন্ড ভুল করেছে, এটি যে তাদের সুসাইডাল ডিসিশান ছিল। এজন্য তাদের নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কর্মীরা এখন প্রচন্ডভাবে হতাশ, সেই হতাশা কাটানোর জন্য নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে তারা যে এখনও টিকে আছে সেটিই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এবং নানা ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে তারা।
আরও পড়ুন: প্রথম সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা মিশনের সংবর্ধনা
প্রথম সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা মিশনের সংবর্ধনা
ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে সংবর্ধনা দিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।
শুক্রবার(৯ ফেব্রুয়ারি) মিশন প্রাঙ্গণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক কোরের সদস্য, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অংশগ্রহণ
অতিথিদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সময়ের পরীক্ষিত বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে এই বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করছেন।
শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফেরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি 'উদ্বেগজনক' বলে মন্তব্য করেছে মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স বা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)।
সংস্থাটি বলছে, এটি কেবল সীমান্তে বসবাসকারীদের সরাসরি প্রভাবিত করে না, বরং অতীতের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটাতে পারে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক বিবৃতিতে এমএসএফ বাংলাদেশের হেড অব মিশন অ্যান্তোনিনো কারাডোনা বলেন, ‘যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমএসএফ।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, সাধারণ চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো ছাড়াও সহিংসতা সম্পর্কিত আঘাতপ্রাপ্ত আরও বেশি লোককে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দৈনন্দিন চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি, সহিংসতার স্বীকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবায় প্রাধান্য দেয় এমএসএফ।
প্রয়োজন অনুযায়ী এর পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে এমএসএফ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত: রুশ রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজারের ১০টি স্থাপনায় এমএসএফ টিমগুলো ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিশাল স্বাস্থ্য চাহিদা মেটাতে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগীর জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছে।
কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, মনোসামাজিক সহায়তা ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা।
এমএসএফ রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা মানবিক সহায়তার অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। এদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বাস করে।
এমএসএফের মতে, প্রাথমিক জরুরি অবস্থার কয়েক বছর পার হলেও মানুষ এখনও একই জনাকীর্ণ এবং প্রধানত বাঁশের আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে। এরা প্রায় সম্পূর্ণরূপে সাহায্যের উপর নির্ভরশীল এবং ভবিষ্যতের জন্য খুব সামান্য আশা রয়েছে।ৎ
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময়
নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময়
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সুধীজনের সঙ্গে এক ‘আন্তরিক সন্ধ্যায়’ মিলিত হন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সকলকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তিনি সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার মধ্যে প্রসারের মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক কূটনীতি’ জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট উল্লেখপূর্বক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রবাসীদের সেবার মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
মতবিনিময়কালে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তিনি তাদের বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রশ্নের জবাব দেন এবং স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরাজমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন। নতুন দায়িত্বভার গ্রহন করায় তিনি উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: টোকিওতে এফইসি-বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার দায়িত্ব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর মতো একজন যোগ্য ব্যক্তিকে অর্পণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিলও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্পকে বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। সকলের অংশগ্রহণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ মন্ত্রীর অভিনন্দন
ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত: রুশ রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, রাশিয়ায় শেখানো হয় এমন অন্যান্য এশীয় ভাষার মধ্যে বাংলা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুকদের আকর্ষণ করে।
তিনি বলেন, ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস বাংলাভাষী কয়েকজন কূটনীতিককে নিয়ে গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের দক্ষতা শুধু কূটনৈতিক মিশনের দৈনন্দিন কার্যক্রমেই অপরিহার্য নয়, বরং বিভিন্ন প্রটোকল অনুষ্ঠানেও এর চাহিদা অনেক বেশি প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রেক্টরের বৈঠক
তিনি বলেন, এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণটি মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিয়েল-টাইম মোডে বাংলায় অনুবাদ করা। বর্তমানে তিনি ঢাকায় কর্মরত।
শুক্রবার(৯ ফেব্রুয়ারি) এক বার্তায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, '১০ ফেব্রুয়ারি পেশাদার ছুটি উদযাপনের এই দিনে রুশ কূটনীতিকদের কাজকে অর্থবহ ও আনন্দময় করার জন্য বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুপ্রতীম জনগণকে ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছে’
১০ ফেব্রুয়ারি কূটনৈতিক কর্মী দিবস - একটি পেশাদার ছুটির দিন। এদিন মস্কো এবং বিদেশে অনেক মিশনে কর্মরত সমস্ত কর্মচারীকে একত্রিত করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
যদিও ছুটির দিনটি বেশ সম্প্রতি ২০০২ সালেআনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু করলেও তারিখের পছন্দটি বিরাট ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে। কারণ এটি ১৫৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা প্রথম রাষ্ট্রদূত প্রিকাজের প্রাচীনতম নথিভুক্ত করাকে তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেছেন, এই ছুটির দিনটি রাশিয়ার কূটনৈতিক পরিষেবার ধারাবাহিকতার প্রতীক। এর পেশাদার ঐক্য এবং মহৎ পথনির্দেশক নীতি ও আদর্শ প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
তিনি বলেন, শত শত বছরের ইতিহাস জুড়ে রুশ কূটনীতিকরা যেসব দেশে সেবা প্রদান করেন, সেসব দেশের ভাষা শেখার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।
মানতিৎস্কি বলেছেন, জাতীয় ঐতিহ্য এবং অভ্যাস, আকাঙ্ক্ষা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধা সর্বদা রাশিয়ান কূটনৈতিক পরিষেবার ঘোষিত মৌলিক মূল্যবোধ।
সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়ার সম্রাট পিটার দ্য গ্রেটের শাসনামলে এশীয় দেশগুলো রাশিয়ার সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
বাণিজ্য ও রাজনৈতিক যোগাযোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ভাষাগত এবং যোগাযোগ দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন,‘এই প্রয়োজনীয়তা রাশিয়ায় প্রাসঙ্গিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত করে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ প্রাচ্য গবেষণায় গভীর শিক্ষা প্রদান করে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলোর ইনস্টিটিউট এবং মস্কোর এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট-পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টাল অনুষদ, ভ্লাদিভোস্টকের ফার ইস্টার্ন ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
ভারতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অংশগ্রহণ
ভারতের নয়া দিল্লিতে আন্তুর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, একক বক্তব্য প্রদান ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নয়া দিল্লিতে 'ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়ার সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, চিন্তাবিদ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রমজানে দেশে পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
সফরকালে প্রথম দিন বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ও তার আগে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক দশক’ শীর্ষক একক বক্তব্য দেন ড. হাছান।
সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বাংলাদেশ ও ভারতের জনমানুষের সম্পর্ক, রাজনীতি, বাণিজ্য, সন্ত্রাসদমন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শান্তি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, রোহিঙ্গা, মিয়ানমারসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক নানা বিষয়ে দেশের অবস্থান ও ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজের প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'তাকে(রাষ্ট্রপতি) আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে একজন ক্ষমতাধর নারী উল্লেখ করে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি পর পর চারবার এবং মোট পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করছেন, সেটির সঙ্গেও সহমত পোষণ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।'
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, 'আমি তাকে বলেছি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছেন, 'জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কেন একজন নারীকে দেখতে পাই না? দেখতে চাই। তিনি সেটির সঙ্গেও ঐকমত্য পোষণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির সঙ্গে ভারত সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে পৌঁছান ড. হাছান মাহমুদ।
তিন দিনের এ সরকারি সফরের শেষ দিনে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত ভারতের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে প্রথম এবং দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজের অবহেলিত অংশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের জন্য তার খ্যাতি রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ঝাড়খণ্ডের গভর্নর, উড়িষ্যার মিনিস্টার অব স্টেট এবং উড়িষ্যার লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্টের জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। দিল্লিতে নতুন পার্লামেন্ট ভবনে এই সাক্ষাতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রমজানে দেশে পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
আসন্ন রমজান মাসে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারতের রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ভারতের রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
নতুন পার্লামেন্ট ভবনে পীযুষ গয়ালের অফিসে দু'দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রত্যাহার নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আমরা ভারত থেকে যে পচনশীল পণ্যগুলো আমদানি করি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি যাতে আমরা পাই, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, সংযোগ, বিদ্যুৎ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, পানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানের সাক্ষাৎ
ভারতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসানের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে নয়া দিল্লি সফরে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী হাসান ভারতের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনখড় এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
গত মাসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
৭ ফেব্রুয়ারি জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন হাসান।
কলকাতায় দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আজ রাতে তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অজিত দোভালের ঢাকা সফর উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময়ের অংশ: এমইএ
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অজিত দোভালের ঢাকা সফর উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময়ের অংশ: এমইএ
ভারত বলেছে, তাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর ছিল দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের অংশ।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের অত্যন্ত কাছের প্রতিবেশী। সম্প্রতি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় দেশগুলোর জন্য নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সেই প্রেক্ষাপটেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার উক্ত সফর।’
দোভাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা তাকে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ভারত সফরে এসে দোভালের সঙ্গেও দেখা করেন হাসান।
দুই দেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছে বলে জানিয়েছেন এমইএ মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের আরও কয়েকটি দিক নিয়েও আমরা কথা বলেছি; অর্থনীতি, বাণিজ্য, জনগণ থেকে জনগণ; এছাড়াও, বিকশিত ভারত ২০৪৭ এবং বাংলাদেশ তাদের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ এর পথে এগিয়ে যাওয়ার সময় উভয় দেশ কীভাবে তাদের প্রচেষ্টাগুলোকে একত্রিত করতে পারে সে সম্পর্কেও।’
শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করা ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এরপর কলকাতায় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী