বৈদেশিক-সম্পর্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক অভিনন্দন বার্তা দেন পুতিন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ। আশা করি, সরকার প্রধান হিসেবে আপনার কার্যক্রম গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং আমাদের দেশের জনগণের কল্যাণে আরও অবদান রাখবে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
শেখ হাসিনা পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ান।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অভিন্দন বার্তা পাঠান লি কিয়ান।
এতে তিনি বলেন, 'চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উন্নয়ন অংশীদার।’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক আস্থা গভীর করেছে এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার কার্যকর ফলাফল অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি: যুক্তরাষ্ট্র
তিনি বলেন, ‘আমি দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক মঙ্গলজনক সহযোগিতা বাড়াতে এবং চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। যাতে আমাদের উভয় দেশ ও দেশের জনগণ আরও ভালোভাবে উপকৃত হয়।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধায় ও যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করল লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাঙারি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনে স্মারক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আসা বৃটিশ বাংলাদেশি অতিথি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান হাইকমিশনার।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং '৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দের জন্য এবং '৫২র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পরিপূর্ণতা পায়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ দীর্ঘ ২৪ বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পর্বতপ্রমাণ বাধা অতিক্রম করে ইসলামিক পাকিস্তান থেকে মুক্ত করে বাঙালি জাতিকে উপহার দেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশের স্বীকৃতি অর্জনসহ প্রতিবেশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি (Land Boundery Agreement) সই করেন এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় করেন। দেশ স্বাধীনের মাত্র এক বছরের মধ্যে বিশ্বের ইতিহাসে অনবদ্য এক লিখিত সংবিধান দেশবাসীকে উপহার দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, সাংবাদিক-কলামিস্ট সৈয়দ বদরুল আহসান এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আব্দুল আহাদ চৌধুরী।
আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত রাষ্ট্রদূত মুহিত
২০২৪ সালের জন্য ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।
জাতিসংঘের সদরদপ্তরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সদস্য রাষ্ট্রগুলো কলম্বিয়া, জার্মানি, রোমানিয়া ও ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূতরা নির্বাহী বোর্ডের সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির পদ গ্রহণ করল।
বোর্ডের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের কাজে আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য সংস্থাগুলোর সুনির্দিষ্ট স্বীকৃতি রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন সংস্থার অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এবং তাদের কৌশলগত দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মুহিত তাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসকে বিশ্বব্যাপী জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তাদের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, মহামারি এবং চলমান মানবিক ও জলবায়ু সংকটের কারণে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা যে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসকে নতুন ও বহুপক্ষীয় পুনপ্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এবং সব অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আরও ভালো কাজ করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাহী বোর্ড সেসব সংস্থাকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং সংস্থান সরবরাহ করতে প্রস্তুত থাকবে, যাতে তারা এই জাতীয় সমস্ত প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
জাতিসংঘের প্রতি বাংলাদেশের আস্থা ও বিশ্বাসের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উদ্ভাবনী উপায়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশের অনন্য সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রদূত মুহিত বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
২০২২ সালের জুলাই মাসে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এই মিশনে যোগদানের পর থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ শান্তিপ্রতিষ্ঠা কমিশনের চেয়ারম্যান, ইউএন-উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯৩ সালে সাধারণ পরিষদের রেজুলিউশনের মাধ্যমে ৩৬ সদস্যের সমন্বয়ে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ড গঠিত হয়।
নির্বাহী বোর্ড ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি ৪৮ সদস্যের গভর্নিং কাউন্সিল পুনর্বিন্যাস করে।
ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের কার্যক্রমের জন্য সাধারণ পরিষদ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের সামগ্রিক নীতি নির্দেশিকা এবং জাতিসংঘ সনদে নির্ধারিত দায়িত্ব অনুযায়ী আন্তঃসরকারি সহায়তা প্রদান ও তদারকির জন্য দায়বদ্ধ নির্বাহী বোর্ড।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি বলে জানিয়েছে দেশটি।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এখনো বিশ্বজুড়ে কার্যকর, গতিশীল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বে বিশ্বাস করি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিদেশি বন্ধু ও অংশীদাররা এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও তার দল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।
ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাসহ (ওআইসি) দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অবাধ ও উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুশীল সমাজের সমর্থনে জনগণের সঙ্গে জনগণের ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের নতুন শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদযাপিত হয়েছে।
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাসের বেশি সময় বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়া দিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
এই ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন ও কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) আরিফা রহমান রুমা।
পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং তার সংগ্রামী জীবনের ওপর নির্মিত দুইটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরবর্তীতে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালি জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। কিন্তু ঐতিহাসিক এই দিনে মহান নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে জাতি মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দের পূর্ণতা লাভ করে।
রাষ্ট্রদূত ইমরান উল্লেখ করেন, ‘জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার অভিযাত্রায় অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে 'সোনার বাংলা' এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানান।
মিনিস্টার (কন্স্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি একই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা বর্ণনা করেন।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব বিয়ে প্রতিবেশি। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪৯ বছরে উভয় দেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান করেছে, একে অপরের সঙ্গে সম আচরণ দেখিয়েছে এবং পারস্পরিক সুযোগসুবিধা ও ‘জয়-জয়’ ফলাফল অর্জন করেছে।’
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয় দেশ একে অপরের প্রধান স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দৃঢ়ভাবে একে অপরকে সমর্থন করে এবং যৌথভাবে প্রতিটি দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনকে অনুসরণ করে, যা আমাদের দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে আনে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করেন, গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে দুই দেশের নেতা বৈঠক করেন এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছান।
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে- চীন ও বাংলাদেশ যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে তা আরও বাস্তবায়ন, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাস বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব বৃদ্ধি, উন্নয়ন কৌশলকে আরও সমন্বয়, উচ্চ মানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা প্রচার, যাতে চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।’
তিনি তার সুস্বাস্থ্য, সাফল্যময় কর্মজীবন এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বাণী পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ বীর শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ২৩ বছরের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ও স্বাধীন বাংলার রূপকার হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অগ্রগণ্য ভূমিকা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তুলে ধরেন।
১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতার প্রত্যাবর্তনে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার অর্জন ও বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পেয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব আমাদের দেশকে উন্নয়নের সঠিক পথে পরিচালিত করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে প্রবাসী সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সক্রিয় অংশ নিতে আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী, জাতিসংঘ-আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ-বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মালেকা পারভীন এবং দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ।
আলোচনা পর্বে হাসনাত আহমেদ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের তাৎপর্য, বঙ্গবন্ধুর কারাভোগ, মুক্তি, লন্ডন ও ভারতে যাত্রা বিরতি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বল্প সময়ে ভারতীয় সেনাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো নিশ্চিত করণ ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙ্গালির স্বাধীনতার পূর্ণতা লাভ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় ৪ নেতাসহ সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং উপস্থিত সবাইকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জেলজীবন, পাকিস্তানি শাসকবর্গের নির্মমতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক আতিথেয়তা, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, বঙ্গবন্ধুর জাতির উদ্দেশে সদ্য স্বাধীন দেশ গঠনে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ প্রদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম অবতরণস্থল তেজগাঁও বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় অদূর ভবিষ্যতে একটি স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. মাসূমুর রহমান। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জাতিসংঘের
যেকোনো ধরনের সহিংসতা পরিহার এবং প্রত্যেকের মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত ৯ জানুয়ারি নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি মনে করি, আমরা আপনাদেরকে আগেই বলেছি, মহাসচিব সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করতে এবং সবার মানবাধিকার ও আইনের শাসনে সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যে সহিংসতা দেখেছি তা নিয়ে তিনি অবশ্যই উদ্বিগ্ন।’
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি