বৈদেশিক-সম্পর্ক
হাছান মাহমুদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালেন জয়শঙ্কর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে সুবিধাজনক সময়ে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে এ আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শিগগিরই দিল্লি সফর করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি জানান, ভারতেই তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরের পরিকল্পনা করছেন। তবে সফরের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এই সফরের লক্ষ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা।
এছাড়াও, মাহমুদ এই সপ্তাহে উগান্ডায় একটি বহুপাক্ষিক সফর শুরু করতে চলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর হাছান মাহমুদের প্রথম কূটনৈতিক বৈঠক ছিল ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে ।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যম যারা নির্বাচন কাভার করতে ঢাকা সফর করেছেন তারা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি আন্দোলন ও প্রতিবাদের নামে অগ্নিসংযোগ করছে এবং যারা এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে ইন্ধন দেয় তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা যাবে না।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিনন্দন বার্তার জন্য ভারত সরকার এবং ড. জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
টুইটারে শেয়ার করা এক বার্তায় তিনি বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও গভীর করতে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত: প্রণয় ভার্মা
ভারতের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ততার বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে দুই দেশ তাদের অংশীদারিত্বে "অধিক গতিশীলতার" দিকে নজর রাখছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কানেক্টিভিটি ইস্যুগুলো নিয়ে অনেক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত প্রণয় ভার্মার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে চালু হওয়া মার্কিন ডলারকে উপেক্ষা করে রুপি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিক আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কীভাবে এর সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করা যায় এবং সবার কাছে পৌঁছানো যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি তা করা যায়, তাহলে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার ওপর দুই দেশের নির্ভরতা কমে আসবে।’
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। উভয় পক্ষ সীমান্ত হাট নিয়েও আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে: প্রণয় ভার্মা
ড. হাছান মাহমুদ গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের কাজ শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে।
তিনি ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধানের উপরও জোর দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন এবং এর কার্যকর সম্প্রসারণের জন্য আরও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে: প্রণয় ভার্মা
কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা এ নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেননি, বরং বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ নিয়ে কথা বলেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা জানান। তবে সফরের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলেন জানান। পরিকল্পিত সফরের লক্ষ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। এছাড়া আগামী ১৭ জানুয়ারি উগান্ডায় বহুপাক্ষিক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মাহমুদের।
তিনি উগান্ডার কাম্পালায় ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কাছে যোগ হলো ভারতের উপহার: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের নতুন মেয়াদে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বে আরও গতি অর্জন করবে এবং জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালো অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, 'সামগ্রিকভাবে আমি মনে করি, আমরা খুবই আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী, এই সরকারের নতুন মেয়াদে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও বেশি গতিশীল হবে। উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালোভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, তারা সবসময় বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত অভিন্ন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পরিচালিত একটি 'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' সমাজের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে ভারত সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন অংশীদারিত্বে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ঢাকা ও দিল্লির সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা: প্রণয় ভার্মা
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক 'খুবই ভালো' হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রণয় ভার্মা। কূটনীতিক বলেন, দুই দেশের জন্য 'অত্যন্ত ইতিবাচক এজেন্ডা' এগিয়ে নিতে তিনি আগামী দিনগুলোতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রত্যাশায় রয়েছেন তিনি।
যদিও এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল, হাইকমিশনার বলেছিলেন যে তারা সম্পর্কের বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে এবং আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।’
তিনি বলেন, গত এক দশকে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সম্পর্ক কীভাবে 'অভূতপূর্ব গতি ও প্রবৃদ্ধি' অর্জন করেছে এবং কীভাবে এটি জনকেন্দ্রিক সম্পর্কে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
উভয় পক্ষ সম্পর্কের সাম্প্রতিক কিছু অগ্রগতি ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কীভাবে দুই দেশের জনগণকে উপকৃত করছে এবং কীভাবে এই সহযোগিতা উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা নিয়েও আলোচনা করেছে।
হাইকমিশনার ২০২৩ সালে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। সে সময় দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি পাইপলাইন, দুটি রেলপ্রকল্প, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমসহ বড় বড় প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
এক্স (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা একটি বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও গভীর করার জন্য কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।
যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
দেশে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'বৈধ রাজনীতি করার পরিবর্তে যারা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয় এবং নৈরাজ্য উস্কে দেয় তাদের সঙ্গে সংলাপ অর্থহীন।’
আরও পড়ুন: নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া: হাছান মাহমুদ
আগামী দিনগুলোতে বিরোধী দল বিএনপির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্ধারিত বৈঠকে এ বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করবেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিস্তৃত প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন ড. হাছান। তারা পারস্পরিক সমর্থন, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ধারাবাহিক সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. হাছান বলেন, '২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিতর্ক সৃষ্টির বাহ্যিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থন ছিল অবিচল।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমারা নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে, সবার সঙ্গে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন করা হবে: হাছান মাহমুদ
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা জানান। এই সফরের লক্ষ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। তবে এ সফরের তারিখ নির্ধারণ করা হবে পরে। এছাড়া ড. হাছান উগান্ডায় বহুপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে এই বৈঠক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. হাছানের প্রথম কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, যা পররাষ্ট্র ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় তার সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
ঢাকা-দিল্লী সম্পর্ক আরও বেগবান হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বেগবান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে দুই দেশ একযোগে কাজ করে যাবে।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশ ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে অবদান রেখে সহযোগিতার আরও ক্ষেত্র অনুসন্ধান করবে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রণয় ভার্মা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এটিই ছিল ড. হাছান মাহমুদের প্রথম বৈঠক।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
এক্স (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা একটি বার্তায় প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও গভীর করতে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: কানেক্টিভিটির মূলে থাকা অংশীদারিত্বের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ ভারতীয় হাইকমিশনারের
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে রূপরেখা দিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
বিস্তৃত ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা সম্প্রসারণে চীন কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নীল অর্থনীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল ক্ষমতায়ন, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নকে সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও এক নিবন্ধে বলেন, ‘যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করব এবং মানবজাতির একটি সম্প্রদায়ের অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে অগ্রসর হব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ঐতিহাসিক সুযোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত দুই দেশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ সব সময় তার নিজস্ব জাতীয় আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকীকরণের পথ অনুসন্ধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন আশা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার জনগণকে জাতীয় সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে দ্রুত ও অবিচলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
চীনা নেতারা বলেন, গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তা বাস্তবায়নে দুই দেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছে চীন: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, উন্নয়ন কৌশলকে আরও সমন্বিত এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভকে উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয় দেশই উন্নয়নশীল ও জনবহুল। নিজ নিজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে দেশ দুটি।
চীন একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছে। একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলেছে। এছাড়াও কার্যকর সমাধান প্রস্তাব করেছে। যেটিতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎসহ একটি সম্প্রদায় গঠনের বাস্তবতা এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বহুমতের বিশ্ব সমান হওয়া উচিত বলে আমরা সমর্থন করি। অর্থাৎ সব দেশের সমতার ওপর জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কয়েকটি দেশের একচেটিয়া শাসনের অবসান হতে হবে এবং কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণকে উৎসাহিত করতে হবে।’
সব দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর সমাধান করতে হবে এবং বিশ্বের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য সব দেশের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কমিউনিটি গড়ে তোলা ইতিহাসের সাধারণ ধারা এবং মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বিশ্বের ভবিষ্যৎ সব দেশ যৌথভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, যা আরও বেশি দেশ উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। পারস্পরিক স্বার্থে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করারও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক চিঠিতে সিসি বলেন, 'আপনার দেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে আসীন হওয়ায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে রুশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার পুনঃনির্বাচিত হওয়া যোগ্য নেতৃত্বের প্রতি বাংলাদেশিদের আস্থা ও বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে বলেও উল্লেখ করেন মিশরের প্রেসিডেন্ট।
সিসি বলেন, 'এই ভালো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমি আনন্দের সঙ্গে স্বীকার করছি যে, মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে আগামী বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’
মিশরের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমার অভিনন্দন পুনর্ব্যক্ত করে আপনার মঙ্গল ও অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
বাংলাদেশের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে এক এক্স (টুইটার) বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন। ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী আরও গভীর করতে আমরা একসঙ্গে কাজের প্রত্যাশা করি।’
আরও পড়ুন: পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী
এর আগে দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন মন্ত্রী।
এ সময় ড. হাছান বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত, ওআইসিভুক্ত, সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং এর বাইরেও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষকরা এসেছিলেন। তারা অকপটে স্বীকার করেছেন এবং প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে নতুন সরকার গঠন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, ভারত, রাশিয়া, চীন ও বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রদূতেরা উপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ তারা নতুন সরকারকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সবাই আমাদের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেছে।’
এ সময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সচিব (সামুদ্রিকবিষয়ক ইউনিট) রিয়াল এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩ বিশ্ববিদ্যালয়
পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বহিরাগত চাপের কথা অস্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিভক্ত বিশ্বের প্রেক্ষাপটেও ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এই পররাষ্ট্রনীতিতে অবিচল থাকবে বাংলাদেশ।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি)পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমের সব দেশই আমাদের সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।দিন শেষে তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ধীরে ধীরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে এবং এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এটি একটি চ্যালেঞ্জ।
বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতসহ ঢাকায় নিযুক্ত সব রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সবাই বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিটি দেশের নিজস্ব ‘দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবরণ (পারসপেক্টিভ অ্যান্ড ন্যারেটিভ)’ রয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার সেই দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্যকে মূল্য দেয়।
নতুন ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়। এটি একটি চ্যালেঞ্জ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বর্ণনা অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য পাশ্চাত্য বা প্রাচ্য সব দেশের সঙ্গে কাজ করব। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করি, কারো সঙ্গে বৈরিতা করি নয়।’
তিনি বলেন, সরকার অর্থনৈতিক কূটনীতিতে মনোনিবেশ করবে এবং এই ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা জোরদার করবে।
মন্ত্রী জানান, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সংকট মোকাবিলায় বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আপনাদের সহযোগিতায় আমি সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ এবং এখন বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যুদ্ধ চলছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করব, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করব।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
সম্প্রতি দেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ ও সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ওই ছয়টি সংস্থার দেওয়া বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ ভূয়সী প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে, শহর এলাকায় তুলনামূলক কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারাদেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসিতে ১৮০ জন বিদেশি আবেদন করেছেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্ত্রণালেয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, মাত্র কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর। সক্রিয়ভাবে মাঠ পর্যায় থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন তৈরি করা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলো মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সব নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল।
যৌথ বিবৃতিটি বিভ্রান্তিকর, একতরফা ও অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্রবিরোধী ও নির্বাচনবিরোধী শক্তিকে উৎসাহিত করতে উদ্দেশ্যমূলক এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে ‘বহিরাগত প্রচেষ্টা’ ছিল: রাশিয়া
নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার ‘বহিরাগত প্রচেষ্টা’ সত্ত্বেও ভোটারদের মত প্রকাশের ইচ্ছার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন ও নতুন সরকার প্রসঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে বহিরাগতদের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। এর আগেও আমরা গত বছরের ২২ নভেম্বর ও ১৫ ডিসেম্বরে উল্লেখ করেছি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যবেক্ষক ও রাশিয়াসহ ২০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নির্বাচনের বৈধতা ও সাধারণভাবে গৃহীত শর্ত মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, রুশ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সদস্য আন্দ্রে শুতভ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত