বৈদেশিক-সম্পর্ক
ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩ উদযাপন
ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. ফাহাদ পারভেজ বসুনীয়া জাতীয় প্রবাসী দিবসের উপর তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য দেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মালেকা পারভীন, মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ, কাউন্সেলর (ইকনোমিক) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. মাসূমুর রহমান এবং কাউন্সেলর (শ্রম) মো. ফাহাদ পারভেজ বসুনীয়া।
আলোচনা পর্বে ‘প্রবাসীর কল্যাণ, মর্যাদা-আমাদের অঙ্গীকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার’- প্রতিপাদ্যের উপর দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মালেকা পারভীন অংশ নেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় বাংলাদেশ সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বিপুল প্রবাসী কর্মীর কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। প্রবাসী কর্মীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
প্রবাসীরা আমাদের নায়ক, আসুন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৃহত্তর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আসুন একসঙ্গে কাজ করি। আমাদের তাদের (প্রবাসী বাংলাদেশিদের) অংশগ্রহণ জোরদার করতে হবে।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে মোমেন বলেন, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৃহত্তর কল্যাণে এবং তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের নায়ক। আমাদের অবশ্যই তাদের চিনতে হবে।’
আরও পড়ুন: এই অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চাই না, বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ লোক পাঠানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। ‘আমাদের ভালো প্রশিক্ষিত এবং আরও পেশাদার লোক দরকার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনৈতিক কূটনীতি, পাবলিক কূটনীতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা- তিনটি নীতি প্যাকেজের কথাও বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচন বর্জন করছে তাদের নেতৃত্বের গুণাবলীর অভাব রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’ ঘোষণা
মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’ ঘোষণা করেছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দূতালয়ে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩’ উদযাপনের সময় রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন এই ঘোষণা দেন।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় রাষ্ট্রদূত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রসংশা করেন।
প্রবাসীদের কল্যাণে দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন সেবা, প্রণোদনা ও উদ্যোগের কথা তিনি সভায় তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
রাষ্ট্রদূত দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সকলের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।
মতবিনিময় সভায় ড. মো. মনোয়ার হোসেন ‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’ ঘোষণা করেন, যার অধীনে তিনি প্রতি বছর ৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষা/গবেষণা কাজে বাংলাদেশ অথবা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভ্রমণ-ব্যয় বহন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীগণ রাষ্ট্রদূতের এই উদ্যোগকে ব্যাপক প্রশংসা করেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ায় অংশ নিতে অধীর আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণীপাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ব্যবসায়ী, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকসহ বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের সদস্যগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক-সাংবাদিকদের জন্য ঢাকা বিমানবন্দরে প্রস্তুত অভ্যর্থনা লাউঞ্জ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে আগত পর্যবেক্ষক, প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রস্তুত রয়েছে।
ইমিগ্রেশন এলাকার ঠিক আগেই বিশেষত আগত প্রতিনিধিদের জন্য একটি অভ্যর্থনা লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অভ্যর্থনা লাউঞ্জের দিকে রওনা হওয়ার জন্য উড়োজাহাজ থেকে নামার পর পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, আগত প্রতিনিধিদের সহায়তা করার জন্য তথ্য প্যাকেজ এবং হোস্ট কর্মকর্তারা প্রস্তুত থাকবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত
বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক ভিসা সংক্রান্ত নথির মেয়াদ ৩০ দিন বাড়িয়েছে কানাডা
বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত
বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে এখানে 'শান্তিপূর্ণ নির্বাচন' দেখতে চায় ভারত।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নয়া দিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমরা একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতি গঠনে বাংলাদেশের ভিশনকে সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং দেশটির জনগণই তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি বলেছেন, তারা দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চায় এবং গণতন্ত্রের বিনাশ চায় না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে আমরা তা দেখাতে চাই। আমরাই একমাত্র দেশ যেখানে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা শুরু
ভারত অন্য দেশে গণতন্ত্র ‘রপ্তানি’ করছে না: প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ
বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক ভিসা সংক্রান্ত নথির মেয়াদ ৩০ দিন বাড়িয়েছে কানাডা
কানাডা সরকারের বিভাগ অভিবাসন, শরণার্থী ও কানাডার নাগরিকত্ব (আইআরসিসি) বাংলাদেশের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে অ্যাপয়েন্টমেণ্টের অভূতপূর্ব চাহিদার কারণে জারি করা বায়োমেট্রিক নির্দেশনা পত্র (বিআইএল) এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার চিঠির মেয়াদ সাময়িকভাবে আরও ৩০ দিন বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি ভিএফএস গ্লোবালের এক মুখপাত্র জানান।
মুখপাত্র বলেন, আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এর অর্থ হলো- তাদের আইআরসিসি বিআইএল বা পাসপোর্ট অনুরোধপত্রটি চিঠিতে উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের পরে আরও ৩০ দিনের জন্য বৈধ থাকবে।
এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব আবেদনকারী এই বর্ধিত মেয়াদের পরেও অ্যাপয়েন্টমেণ্টের সময়সূচি নির্ধারণ করতে বা তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে অক্ষম তাদের নতুন বিআইএল বা পাসপোর্ট জমা দেওয়ার চিঠির অনুরোধ করার জন্য আইআরসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।
যে কোনো নতুন ইস্যু কেবলমাত্র ৩০ দিনের জন্য বৈধ হবে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আবেদনকারীদের তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করার এবং শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়ানোর জন্য তাদের কানাডা ভিসা বা পারমিটের জন্য আগাম আবেদন করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আইআরসিসি কানাডা সরকারের বিভাগ, যা কানাডায় অভিবাসন, শরণার্থী এবং কানাডার নাগরিকত্ব সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
কানাডার নাগরিকদের জন্য পুনরায় ই-ভিসা চালু করল ভারত
তিস্তা নদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করার ব্যপারেও চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর)পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন এই তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাংবাদিকরা সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: মার্কিন দূতাবাস
সেহেলি বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদী বিষয়ক কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পেয়েছি আমরা। আসন্ন নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তিস্তা নদীর উন্নয়নে চীন কাজ করতে আগ্রহী। আশা করছি আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।
আরও পড়ুন: এ অঞ্চলে যেকোনো দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ বাংলাদেশকে উন্নয়ন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব
এ অঞ্চলে যেকোনো দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ বাংলাদেশকে উন্নয়ন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব
বিশ্বের যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, এ অঞ্চলে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা যুদ্ধ বাংলাদেশকে তার উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন থেকে বিচ্যুত করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না, সেটা সত্যিকারের যুদ্ধ হোক বা প্রক্সি যুদ্ধ হোক। আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কাউকে তার ভূমি অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করতে বা প্রতিবেশীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুরা সংঘাতের শিকার হওয়ায় বাংলাদেশ সবসময়ই যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিপক্ষে।
ভারত ও মিয়ানমারকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফোকাস আরও উন্নয়নের দিকে রয়েছে। তাই কোনো ধরনের সংঘাত, প্রক্সি বা অন্যথা হলে বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অর্জন থেকে বিচ্যুত হবে।
মাসুদ মোমেন বলেন, ‘এ কারণে আমরা সবসময় সর্বোচ্চ সংযম ব্যবহার করি।’
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে যখন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছিল তখন উস্কানিমূলক ঘটনা ঘটেছে।
বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এই ভারসাম্যমূলক কাজটি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী করছি না, আমরা সময়মত সাড়া দিচ্ছি এবং উদ্বেগের উত্তর দিচ্ছি যদি থাকে। অনেকেই বলছেন আমাদের কাছ থেকে শিখতে চান। তারা খুশি যে বাংলাদেশ কীভাবে এই সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক চাহিদা ও স্বার্থ মোকাবিলা করছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মাসুদ মোমেন বলেন, সরকার আশা করছে একটি ভালো নির্বাচন হবে। ‘এই মুহূর্তে আমরা মনে করি না নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না।’
উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স: 'মুক্ত, নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের' সুপারিশ মাসুদ মোমেনের
মাসুদ মোমেন বলেন, তারা কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করতে পারেন সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটাই আমাদের ফোকাস। কোনো সমস্যা হলে আমরা তা মোকাবিলা করব।’
তিনি আরও বলেন, বিদেশি বন্ধুরা যেভাবে চায় তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে চাই। বাংলাদেশ সবসময় শান্তির পক্ষে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ কোনো বিদেশিকে সন্তুষ্ট করার জন্য নির্বাচন করছে না, বরং সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, সরকারের ধারাবাহিকতা ও জনগণ ভোট দিতে চাইলে ভোট দেবে।
তিনি বলেন, একটি বিশেষ দেশ কী ভাবছে বা কোনো বিশেষ দেশ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে কি না তা অপ্রাসঙ্গিক।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা এই অঞ্চলে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে চান না এবং বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আমরা এখানে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ দেখতে চাই না। সম্পদ থাকা সত্ত্বেও আমরা যেখানে প্রক্সি যুদ্ধ দেখি সেখানে সমস্যা থেকে যায়। ইউরোপ প্রক্সি যুদ্ধে পতিত হয়েছে এবং চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা হতে পারে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছে এবং অন্যান্য দেশও তা স্বীকার করে। ‘এটি আমাদের জন্য ভালো।’
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাংবাদিকরা সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: মার্কিন দূতাবাস
অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার এবং বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) যৌথভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাবিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ইএমকে সেন্টারের কেনেডি হলে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জনের বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে সম্ভাব্য সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় তথ্য ও কৌশল সরবরাহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমাপনী বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিফেন এফ. ইবেলি বলেন, ‘আপনারা এক মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন এবং সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমানভাবে এটি কঠিনতর এবং আরও বিপজ্জনক পেশা হয়ে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা সর্বত্র তথ্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ।’
কর্মশালাটি সাংবাদিকদের প্রতিকূল পরিবেশ এবং আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে উদ্ভূত সংকট পার করার জন্য বাস্তব জ্ঞান ও কৌশল সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: ফোর্বসের থার্টি আন্ডার থার্টিতে স্থান পাওয়ায় সাকিব জামালকে মার্কিন দূতাবাসের অভিনন্দন
অংশগ্রহণকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়ন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও যোগাযোগ কৌশলের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজেআইএম বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত অংশগ্রহণমূলক সেশনগুলো প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার গতিশীল ও তথ্যপূর্ণ বিনিময়ে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আমেরিকান স্পেস হিসেবে ইএমকে সেন্টার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং এর স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রমাণ হয়ে উঠেছে।
যা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উন্নীত করার জন্য এক অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসিতে ১৮০ জন বিদেশি আবেদন করেছেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৩৫টি দেশের প্রায় ১৮০ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভুটানের ‘কুইন মাদার’র ঢাকায় যাত্রাবিরতি
সাবরিন বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করছে। প্রক্রিয়া শেষ হলে তাদের অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
সাবরিন বলেন, কয়েকজন সাংবাদিককে ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে তারা এখন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এই অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চাই না, বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, একটি মিডিয়া সেলও এ লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যবস্থাপনার জন্য বাজেট সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিবেচনাধীন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, “তারা একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু, অহিংস ও স্বচ্ছ’ নির্বাচন দেখতে চান এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্য অর্জন করতে চান।”
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নিজ বাসভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞদের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমরা চাই সারা বিশ্ব থেকে সবাই আসুক এবং আমাদের কাছ থেকে শিখুক।’
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন