বৈদেশিক-সম্পর্ক
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
একই সঙ্গে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে দেশটিতে বসবাসরত ১২ লাখ প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা দেয়। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বহুলাংশে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ ধারণার আদলে সরকারের নির্দেশনায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুততর করতে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসীবান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে, ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা আমাদের নায়ক, আসুন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় সহজে ও স্বল্প সময়ে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধনের ফিতা কাটেন।
এ সময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ (ইএসএল) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এই অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চাই না, বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।
শিগগিরই ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসীবান্ধব নীতি বাস্তবায়নে দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
উল্লেখ্য, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবাসী-বান্ধব নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সম্প্রতি কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ, স্ক্যান ও বায়োমেট্রিকসহ আবেদনের সকল কার্যক্রম ইএসএল সম্পন্ন করবে। হাইকমিশন মালয়েশিয়ার পোস্টাল বিভাগের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ নিশ্চিত করবে।
ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের জালান দুয়া-চান শো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে চালু করা হয়েছে। এতে ৪৫টি সার্ভিস কাউন্টার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েত আমির শেখ নাওয়াফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কল সেন্টারের টেলিফোন নম্বর: ০৩৯২১২০২৬৭১
সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল করে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব পদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ভারতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত ইন্দ্রমণি পান্ডে।
তিন বছরের জন্য বিমসটেকের চতুর্থ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি।
তিনি ভুটানের তেনজিন লেকফেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (সার্ক ও বিমসটেক) আবদুল মোতালেব সরকার ও বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালকরা।
বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক ও অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন নতুন মহাসচিব। এ সময় বিমসটেকের সহযোগিতার সাতটি স্তম্ভের মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও দৃঢ় করতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবে রূপ দেওয়ার অঙ্গিকার করেন তিনি।
বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে মহাসচিবের কাছে দায়িত্ব অর্পণের জন্য ধন্যবাদ জানান ইন্দ্রমণি। একই সঙ্গে তাদের অব্যাহত সমর্থন ও দিকনির্দেশনা প্রত্যাশা করেন। আগের মহাসচিবদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত পান্ডে ১৯৯০ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র বিভাগে যোগ দেন।
মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এর আগে তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওমান সালতানাতে ভারতের রাষ্ট্রদূত; ফ্রান্সে ভারতের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর; চীনের গুয়াংজুতে ভারতের কনসাল জেনারেল এবং বিদেশে ভারতীয় মিশন ও নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত পান্ডের সঙ্গে ঢাকায় রয়েছেন তার স্ত্রী সুষমা পান্ডে। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয়: ভারত
ভারত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে আসছে। অন্যদিকে চীন বলছে, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি মাইলফলক হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি- বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
নবনিযুক্ত মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ঠিক সেখানেই আছি। গত সংবাদ সম্মেলনেও এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমার আগে যিনি ছিলেন, তিনিও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। সুতরাং বিষয়টি আমি এই অবস্থাতেই রেখে দিচ্ছি।’
অন্যদিকে চীন আশা করছে, নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি, এটি একটি সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতার জন্য একটি মাইলফলক হবে।’
তিনি বলেন, তারা (চীন) আশা করছেন, নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের পর বাংলাদেশ 'শক্তিশালী, আরও স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ' হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।
তিনি বলেন, 'আমরা বেশ কয়েকবার বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছি। আমরা খুব নিবিড়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব।
মিলার বলেন, যে কোনো অগ্রগতিতে তারা কী পদক্ষেপ নিতে পারেন বা নাও নিতে পারেন সে সম্পর্কে তিনি কখনোই অনুমান করবেন না।
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া 'নিবিড়ভাবে' পর্যবেক্ষণ করছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো ৩ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি, সব নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার ঢাকায় আসছে জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
শুক্রবার ঢাকায় আসছে জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য জাপানের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
জাপান সরকারের পাঠানো মিশনটিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়াতানাবে মাসাতোর নেতৃত্বে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একজন বাইরের বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ জাপানের দূতাবাস জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ ও গণনা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মিশনটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে মতবিনিময় ও তথ্য বিনিময় করবে।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণে জাপানের সহযোগিতার অংশ হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাচ্ছে দেশটি।
বিরোধী দল বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মিয়ানমারের সামরিক শাসনকে অবশ্যই তাদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, অন্যায় ও নির্বিচারে আটক সবাইকে মুক্তি দিতে হবে, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকার দিতে হবে এবং অগ্রগতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘মিয়ানমারে গণতন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার সংকল্পে আমরা দেশটির জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’
মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘৪ জানুয়ারি বার্মার স্বাধীনতার ৭৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি দেশটির জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
আরও পড়ুন: কল্পনা প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবে ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের জনগণকে সমর্থন করে আসছে এবং একটি সমন্বিত ইউনিয়নের প্রতি তাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকারকে সমর্থন করেছে।
বার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর সহিংসতা অভিযান বার্মার জনগণের সমৃদ্ধি পুনরুদ্ধার এবং স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকারকে ম্লান করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সাধনায় হারিয়ে যাওয়া জীবনগুলোর প্রতি শোক ও সম্মান জানাই।’
আরও পড়ুন: সংলাপে যোগ দিতে ১০ নভেম্বর ভারতে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন
মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করেছি।’
মুখপাত্র বলেন, ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এই অবস্থানের জন্যই তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অন্যান্য অনেক আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
মিলার বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এই রায়ের বিস্তৃত আন্তর্জাতিক সমালোচনা দেখেছি।’
আরও পড়ুন: রায়কে 'সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী' অভিহিত করলেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, তারা এ সম্পর্কিত পরবর্তী কোনো উন্নয়ন নিবিড়ভাবে অনুসরণ করতে থাকবে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের ৩ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তৃতীয় নম্বর শ্রম আদালত।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন মুখপাত্র মিলার পুনর্ব্যক্ত করেন, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করেছি। আমরা নির্বাচন খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইবিএফবি নেতাদের আলোচনা সভা
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়নে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হরতান্তো সুবোলোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন আইবিএফবির পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধান কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি আইবিএফবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় যোগ দেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশে আছেন। এর মধ্যে দুই দেশের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পেয়েছেন। উভয়ই মুসলিম দেশ, খাদ্য ও সংস্কৃতিতেও অনেক মিল আছে, আবার চ্যালেঞ্জও আছে। অনেক ইন্দোনেশিয়ান বাংলাদেশকে চেনেন না এবং অনেক বাংলাদেশি ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কে জানেন না। তিনি ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের পক্ষে প্রচারের চেষ্টা করছেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে পর্যটনের জন্য ইন্দোনেশিয়া ঘুরে দেখার অনুরোধও জানান।
তিনি ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি এবং বাংলাদেশের বাজারে ইন্দোনেশিয়ার পণ্য আমদানি, আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়িক অংশীদার হতে পারে বলেও মতামত প্রকাশ করেন। ইন্দোনেশিয়া ২০২১ সালে বাংলাদেশে রপ্তানি করে এমন পণ্যের মধ্যে ছিল পাম অয়েল (১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার), কয়লা ব্রিকেটস (৪৩২ মিলিয়ন ডলার) এবং সিমেন্ট (১৬৬ মিলিয়ন ডলার)।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পাটের সুতা, বুনা টি-শার্ট, নারীদের নন-নিট স্যুট রপ্তানি করে এবং রপ্তানির পরিমাণ ঊর্ধ্বগামী। ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশি ওষুধ, কৃষিপণ্য, পোল্ট্রি, পাট ও চামড়াজাত পণ্য এবং জুতার জন্য একটি বড় বাজার হতে পারে।
এসময় আইবিএফবির ভূমিকা ও কার্যাবলী তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আইবিএফবির পরিচালক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাপানের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াবে বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাপান সাগরউপকূলে ইশিকাওয়া অঞ্চল ও এর আশেপাশের এলাকায় সাম্প্রতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জাপানের প্রয়োজনে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে লেখা এক চিঠিতে শেখ হাসিনা একথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
তিনি বলেন, এ খবর শুনে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত।প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমার ধারণা পরে আরও ভূমিকম্প, আফটারশক এবং সুনামির ঝুঁকি রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের জন্য আরও কিছু করার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি এই কঠিন সময়ে জাপানের জনগণের সঙ্গে আমাদের অবিচল সংহতি ও বন্ধুত্ব প্রকাশ করছি।’
বাংলাদেশ ও জাপান উভয়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমাদের জনগণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহনশীল এবং এ ধরনের সংকটে সবসময় একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আপনার নেতৃত্বে জাপানও দ্রুত এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিম উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৪৮ জন নিহত
ঢাকায় জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে ১৬০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্কের উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ১৬০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি) ঢাকায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে ইআরডির সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় ঢাকা পাওয়ার সিস্টেম সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অধীনে আটটি সাবস্টেশন নির্মাণ, ১০০ কিলোমিটারের বেশি জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ভূগর্ভস্থ ক্যাবল এবং ১৫০ কিলোমিটার ওভারহেড লাইন স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পটি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডকে (ডেসকো) আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তার সামগ্রিক কার্যক্রম উন্নত করতে সহায়তা করবে। এটি পরিবেশগত, সামাজিক ও লিঙ্গসংক্রান্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে একটি সুরক্ষা ইউনিট স্থাপন করবে। এটি ভবিষ্যতের সমস্ত অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক মানগুলো পূরণ নিশ্চিত করবে। এছাড়া আলাদা করে মজুত করা বিকল্প গ্যাসগুলোর উপর বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর সালফার হেক্সাফ্লোরাইডের পরিবর্তে ভবিষ্যতের গ্যাস-ইনসুলেটেড সাবস্টেশনগুলোর জন্য বিকল্প মজুত গ্যাসের মতো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং বলেন, 'এই সহায়তা ঢাকার বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের পাশাপাশি দুই লাখ নতুন ও ১১ লাখ বিদ্যমান আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহকের জন্য নির্ভরযোগ্য, দক্ষ ও উন্নতমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে। এটি বিদ্যুতের ব্যবহারকে কাঙ্ক্ষিত মানের, অপচয় হ্রাস, পুরোনো ও বেশি ধারণক্ষমতার বিদ্যুৎ অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং প্রতি বছর কমপক্ষে ১৪ হাজার ৭০০ টন কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করতে সহায়তা করে জলবায়ু এজেন্ডা প্রচার করবে।’
সংযুক্ত কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে পিপিপি প্রক্রিয়াকরণ ও বাস্তবায়ন জোরদার করা হবে। এছাড়াও ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক অর্থায়ন পরিচালনার জন্য সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচি ও নীতিগত সুপারিশের মাধ্যমে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) পরিচালনার জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
সাড়ে ৭ লাখ মার্কিন ডলারের কারিগরি সহায়তা অনুদান দেবে রিপাবলিক অব কোরিয়া ই-এশিয়া নলেজ পার্টনারশিপ ফান্ড, যা পরিচালনা করবে এডিবি।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
চীনের গণমাধ্যমে বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ৫৫তম বর্ষ উদযাপিত
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ৫৫তম বর্ষ উপলক্ষে সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দীপ্ত টিভির কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘হ্যালো চায়না’ শিরোনামের এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের শারজেই ড্যাফেয়ার (Charge d'affaires) ইয়ান হুয়ালং।
উদযাপনের অংশ হিসেবে নিউ ইয়ার কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখান সংগীত পরিবেশন করেন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী তাহসান (তাহসান রহমান খান) এবং জনপ্রিয় রক ব্যান্ড চিরকুটের শারমিন সুলতানা সুমি ও অন্য সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে ভিডিওর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) আফ্রিকান ও এশিয়ান কেন্দ্রের পরিচালক আন সিয়াও ইয়ু এবং বেইজিং থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানে যোগ দেন সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এ আয়োজন উপলক্ষে বাণী দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধিতে চীনা গণমাধ্যমে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠানের অবদানের প্রশংসা করেন।
এ সময় গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মী ও কলাকুশলীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কেবল ইতিহাসের সাক্ষী নন, ইতিহাস নির্মাণকারীও।’
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, চীন বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিকাশে বন্ধুপ্রতীম দেশটির অবদান অনস্বীকার্য।
সিএমজি বাংলা বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মিডিয়া ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান এবং আশা প্রকাশ করেন দুদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও সদৃঢ় করবে এ ক্লাব।
সিএমজির আফ্রিকান ও এশিয়ান কেন্দ্রের পরিচালক আন সিয়াও ইয়ু বলেন, চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণের স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের জনগণের ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্নের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।
চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে এনেছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিএমজি দু’দেশের মধ্যে মিডিয়ার সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে এবং চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে দুদেশের সর্বস্তরের বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করবে।
কাজী জাহেদুল হাসান চীনকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় দেশটি সব সময় পাশে রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন রেডিও পিকিংয়ের মাধ্যমে। রেডিও পিকিংয়ের নাম বদলে পরে হয় রেডিও বেইজিং এবং তারপর চীন আন্তর্জাতিক বেতার (চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল-সিআরআই)। ২০১৮ সালে চীন আন্তর্জাতিক বেতার এবং আরও ৩টি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম – চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি), চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) এবং চায়না ন্যাশনাল রেডিও (সিএনআর) নিয়ে গঠিত হয় সিএমজি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীনের গণমাধ্যমগুলোর যোগাযোগ ও আদান-প্রদান আরও বাড়াতে চায়না মিডিয়া গ্রুপের বাংলা বিভাগ চলতি বছরে বাংলাদেশ-চীন মিডিয়া ক্লাব প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছে চীন: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত