বৈদেশিক-সম্পর্ক
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪০ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে আরও ১৪০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১১৩ জন লিবিয়ার দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৭জন বেনগাজীর গানফুদা বন্দিশালায় আটক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৬টায় দেশে ফেরেন তারা।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই লক্ষ্যে দূতাবাসের টিম একাধিকবার দারনা শহর সফর করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
এছাড়া, দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা ও আল-বাইদা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তবে দারনা শহরে বন্যাকবলিত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বৈধ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে দেশে প্রত্যাবাসনে কিছুটা বিলম্ব হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানান।
এসময় আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৫ হাজার ৯১৯ টাকা এবং কিছু খাবার উপহার দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান বিমানবন্দরে ফিরে আসা অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বেনগাজীর গানফুদা বন্দিশালায় আটক অভিবাসীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর লিবিয়াতে তাদের ভংঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ত্রিপলি ও বেনগাজীর বন্দিশালায় আটকসহ বিপদগ্রস্থ মোট ৯৭৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
খুব শিগগিরই অনিয়মিত সব বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
বাংলাদেশ মিয়ানমারে বিদ্যমান বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ রয়েছে। উপযুক্ত সময় ও পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংকে উদ্ধৃত করে সাবরীন বলেন, চলতি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দ্বিতীয় গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামের (জিআরএফ) (১৩-১৫ ডিসেম্বর ২০২৩) অধিবেশনে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ উদারতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা একশ মিলিয়নেরও অধিক শরণার্থীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একাধিকবার রোহিঙ্গাদের ধারণা দিয়েছেন এবং প্রথম পযার্য়ের প্রত্যাবাসনের জন্য নির্ধারিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পূর্বনিবাস যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস তুরস্কের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়রের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত গত ফেব্রুয়ারি মাসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় রাষ্ট্রদূত ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিদিন অসংখ্য জলবায়ু উদ্বাস্তু ঢাকায় প্রবেশ করে। বস্তিবাসীরা প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন বস্তিগুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা প্রদান করা হলে এই শিশুরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
আলাপকালে বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানসহ ছোট ছোট খেলার মাঠ নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করা বিষয় একমত পোষণ করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র এই ধরনের উদ্যোগের ফলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও তার নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। আবার তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। এছাড়াও বনানীর সড়কটির সংলগ্ন একটি পার্কও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় ঢাকা ও আঙ্কারা যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা শুরু
কুয়েতের নতুন আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
মাসুদ জামিল খান আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল নিযুক্ত
কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল ঘোষণা করা হয়েছে।
আয়ারল্যান্ড সরকার গত সপ্তাহে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য মাসুদকে দেশটির অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
মাসুদ দেশের বৃহত্তম বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এবং একটি স্বাধীন সংবাদভিত্তিক সাময়িকী ঢাকা কুরিয়ার-এর একজন পরিচালকও।
মাসুদ ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সোদের স্কুল অব বিজনেস থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ফিন্যান্স নিয়ে পড়াশোনা করেন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
তিনি একজন প্রকৃতিপ্রেমিক, পরিবেশবাদী ও ওয়াইল্ডটিমের সদস্য।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং ভ্যাঙ্কুভার বোর্ড অব ট্রেডের সদস্য।
খান অনেক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও মিডিয়া সম্পর্কিত ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ঢাকার আমেরিকান স্কুলে তিনি ২০০১ সালে এআইএসডি ট্রায়াথলন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ব্রজেন দাস সাঁতার প্রতিযোগিতা পুরস্কার অর্জন করেন।
খান শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদের (বি ইউ) নাতি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
আমেরিকা প্রতি ঘণ্টার মজুরি বাড়ালে আমরা সে পথ অবলম্বন করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চাই। এই অগ্রযাত্রার জন্যই দেশের মান-ইজ্জত অনেক বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
সিলেট-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিৎ ছিল।
২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।’
বিএনপির নেতৃত্ব ও পরিপক্কতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে আসবে।
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।’
মোমেন বলেন, ‘আমি তাদের ভোট দিতে আসার জন্য অনুরোধ করব। আমি তাদেরকে আমাকে ভোট দিতে বলব না… তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই।’
সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন লামারকে চিঠি দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ৮ সদস্য বলেছেন, তারা মনে করেন বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা একটা কাজ করতে পারে। নিউ ইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
জর্জিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে মো. আমানুল হকের পরিচয়পত্র পেশ
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সেলোমে জুরাবিচভিলির কাছে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) মো. আমানুল হক তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সহধর্মিনী রুনা মাহজাবিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত জর্জিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশ ও জর্জিয়ার মধ্যে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করণে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, রাষ্ট্রদূত হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে জর্জিয়ার রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি জর্জিয়ার জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হককে জার্জিয়ায় স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে ভ্রাতৃপ্রতীম বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রদূত জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলিয়া দারচিয়াসভিলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
আজ রাষ্ট্রদূত হকের জন্মদিন উপলক্ষে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সেলোমে জুরাবিচভিলি তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
ইতোপূর্বে জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র উপমন্ত্রীও রাষ্ট্রদূতকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
অপরাহ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক তিবলিসি শহর পরিভ্রমণ করেন এবং রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।
গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার খুতিসিয়াসভিলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার পরিচয়পত্রের কপি দেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আংকারর বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম এবং জর্জিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার নালবান্দব ও দপ্তর প্রধান ডেভিড পিপিনাসভেলি।
বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষয়ি স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিকালে তিবলিসির ‘পাবলিক সার্ভিস হল’ পরিদর্শন করেন।
যেখানে জর্জিয়ার জনসাধারণের জন্য চারশ’র বেশি প্রকারের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বুধবার (২০ ডিসেম্বর) উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাখরমজন জুরাবয়েভিচ অ্যালয়েভের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি সম্মন্ধে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে সামগ্রিক ধারণা দেন।
তিনি ঢাকা-তাসখন্দ বন্ধুত্বকে আরও কার্যকরী ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘রোড ম্যাপ’ চুড়ান্তকরণসহ যেসব বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার প্রতি আলোকপাত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে কমনওয়েলথ অব ইনডিপেন্ডেন্ট স্টেটস- বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিআইএস-বিসিসিআই) একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের উজবেকিস্তানে সফর বর্ণনা করে বস্ত্র, ওষুধ, কৃষি, পাট ও পর্যটন খাতে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে অপরিসীম সুযোগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করনে উদ্ধুদ্ধ করতে রাষ্ট্রদূত উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
উজবেকিস্তান এয়্যারওয়েজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ।
তিনি বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু দু’দেশের সম্পর্কে নতুন গতি সঞ্চার করবে, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেকিস্তান এয়ারলাইন্স পুনরায় চালুর বিষয়ে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন করেন।
আলোচনাক্রমে তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম, বিশেষ করে আগামী ২০২৫ সালে সামারকান্দকে ইউনেস্কো জেনারেল কনফারেন্সের ভেন্যু নির্বাচন করতে বাংলাদেশ সমর্থন করায় সরকারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্কের অগ্রযাত্রায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতি সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার উপর তাগিদ দেন।
আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও ফলাফল আনার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর জোর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাৎকালে উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হুমায়ুন আখমাদভ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে হাইকমিশন বলেছে, ‘আমরা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই, যারা ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগের হামলায় নিহত হয়েছে।’
হাইকমিশন আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
সৌদি রাষ্ট্রদূতের মধ্যস্থতায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে নিহত দুই বাংলাদেশির পরিবার
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পটোয়ারীর মধ্যস্থতায় সৌদি আরবে নিহত দুই বাংলাদেশির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আদায় করা হয়।
রাষ্ট্রদূতের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও মধ্যস্থতায় ২০০৬ সালে দাম্মামে নিহত সাগর পাটোয়ারীর পরিবারকে ৫১ লাখ সৌদি রিয়াল এবং ২০১৯ সালে রিয়াদে নিহত আবিরণের পরিবারকে ৪৮ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লার বরুড়া থানার সাগর পাটোয়ারী ২০০৬ সালের ২৭ জুন অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে দাম্মাম শহরে নিহত হন। দীর্ঘসময় আততায়ীকে শনাক্ত করতে না পারায় যথাসময়ে মামলাটির অগ্রগতি হয়নি।
২০১৮ সালের ১২ আগস্ট শ্রমকল্যাণ উইং প্রতিনিধি দাম্মাম দক্ষিণ থানায় পরিদর্শনকালে জানতে পারেন সেখানে একটি চুরির মামলায় সৌদি নাগরিক উমর আল শাম্মেরি আটক আছেন, যিনি সাগর পাটোয়ারি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন।
থানা থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উমরকে বিবাদী করে মামলা করলে এই বিষয়ে পুনঃতদন্ত করা হবে। এর প্রেক্ষিতে নিহত সাগরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন লোকের সহযোগিতায় তার পরিবারের ফোন নম্বর সংগ্রহের মাধ্যমে দূতাবাসের অনুকূলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে রাষ্ট্রদূতের দিকনির্দেশনায় শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রতিনিধি আদালতে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
বিচারে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালত ২০২১ সালের ২৪ মার্চ অভিযুক্ত উমর আল শাম্মেরির বিরুদ্ধে শিরচ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
অভিযুক্তের বাবা অর্থের বিনিময়ে মৃত্যুদণ্ডের দাবি প্রত্যাহারের আপস প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রদূতের মধ্যস্থতায় ৫১ লাখ রিয়ালের আপস প্রস্তাবে নিহত সাগর পাটোয়ারীর ওয়ারিশেরা সম্মত হন। আদালত অভিযুক্তের পরিবারের কাছ থেকে রক্তপণের চেক গ্রহণ করে মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করেন।
২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর দাম্মামের সৌদি ফ্রান্সি ব্যাংকের ফয়সলিয়া শাখা মারফত দূতাবাসের ব্যাংক হিসাবে ৫১ লাখ রিয়াল জমা হয়।
অন্যদিকে, খুলনার পাইকগাছার গৃহকর্মী মোসা. আবিরণ বেগম ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ রিয়াদের আজিজিয়াস্থ নিয়োগকর্তার বাসভবনে গৃহকর্ত্রী আয়েশা আহমাদ সগির আল জিজানির হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ হত্যাকাণ্ডে আজিজিয়া পুলিশ গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানী, গৃহকর্তা বাসেম সালেম সগির এবং তাদের ছেলে ওয়ালিদ বাসেম সালেমকে গ্রেপ্তার করেন।
দীর্ঘ বিচারকাজ শেষে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতের তিন সদস্য বিশিষ্ট বিচারক বেঞ্চ প্রধান আসামি গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে কেসাস (জীবনের বিনিময়ে জীবন) এবং অন্যান্য আসামিদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল অর্থদণ্ড দিয়ে মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হলে আপিল আদালতের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ফুল বেঞ্চ কেসাস বা মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পরিবার ও সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে রক্তপণের বিনিময়ে আসামিকে ক্ষমা করার অনুরোধ জানানো হলে নিহতের পরিবার সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে আসামিদের ক্ষমার সম্মতি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বরাবর আবেদন করেন।
সৌদি আরবে সর্বনিম্ন রক্তপণ ৩ লাখ সৌদি রিয়াল হলেও রাষ্ট্রদূতের প্রচেষ্টায় নিহতের পরিবার ৪৮ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল রক্তপণ পরিশোধের বিনিময়ে ক্ষমা করতে সম্মত হয়।
অভিযুক্তের পরিবার আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রক্তপণের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে কাউন্সেলর (শ্রম) রিয়াদের ডেপুটি গভর্নর নাবিল বিন আব্দুল্লাহ আল-তাওয়ীলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিচারক ২০২৩ সালের ১৫ মে প্রধান আসামির হত্যার রায় বাতিল করে আপস অনুযায়ী নিহত মোসা. আবিরণ বেগমের বৈধ ওয়ারিশগণের নামে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৮ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল ক্ষতিপূরণের চেক ইস্যু করেন এবং সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের পর তা দূতাবাসের অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সাগর পাটোয়ারী ও আবিরণ হত্যা মামলায় সৌদি আরবে কোনো বাংলাদেশির অনুকূলে সর্বোচ্চ ব্লাডমানি আদায় হওয়াতে নিহতের পরিবার সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মরত সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
এছাড়া, মধ্যস্থতার ফলে একজন সৌদি নাগরিকের প্রাণ বেঁচে যাওয়ায় সৌদি সরকার এবং নিহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে রাশিয়ার ‘আরব বসন্তের উসকানি’ মন্তব্যে নীরব যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে, বিশেষ করে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিতর্কিত সময়ে আমেরিকার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে রাশিয়ার সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নীরব অবস্থান বজায় রেখেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার করা মন্তব্যের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জাখারোভা এর আগেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।’
তবে এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
জাখারোভা বলেন, জনগণের ইচ্ছার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেন নি।
রাশিয়ার সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে করা প্রশ্নে মোমেন বলেন, ‘আমরা কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরেকজন সাংবাদিক বাংলাদেশের একটি মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরেন।
যেখানে অগ্নিসংযোগকারীরা ঢাকাগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালায়, যার ফলে একজন নারী ও তার ৩ বছরের শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদক মিলারকে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার এই ব্যক্তিদের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান জানতে চান।
মিলার এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট করে এই ঘটনা সম্পর্কে জানি না এবং এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
স্টেট ডিপার্টমেন্ট সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনা সম্পর্কে না জানার কথা জানিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার জটিলতা ও চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র জনগণের ইচ্ছায় সন্তুষ্ট না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে: রাশিয়া
বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়: এম জে আকবর