বৈদেশিক-সম্পর্ক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৩ পালন করেছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনটি উপলক্ষে অভিবাসীদের অবদান এবং তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের প্রখ্যাত টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিশেষ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত দিল্লি রাজ পউদেল, মরিশাসের হাইকমিশনার জে গোবর্ধন এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার অভিবাসনসংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের মালয়েশিয়া অফিসের প্রতিনিধি, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা, টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শ্রমিক, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার, সমুন্নত রাখিব তাদের অধিকার’।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন টেইলর'স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. অনিদ্যিতা দাস গুপ্ত।
প্যানেল আলোচনায় মডারেটর ছিলেন জাতিসংঘের মালয়েশিয়ান অফিসের ডেভেলপমেন্ট কো-অর্ডিনেশন অফিসার ক্রিস্টিন চেহ গেক ফিং।
সেমিনারের প্রথম সেশনের প্যানেলিস্ট ছিলেন- ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেনের সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যাসিস্টেন্ট আমান্ডা এনজি সিয়াং ওয়েই, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের মালয়েশিয়া অফিসের প্রজেক্ট ম্যানেজার ক্যাথেরিন লজ, ফেডারেশন অব মালয়শিয়ান ম্যানুফেকচারের ভাইস প্রেসিডেন্ট দাতো নাথান কে সোফি, মালয়েশিয়ার এমপ্ল্যার ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক দাতুক শামসুদ্দিন বারদান, ফরেন ওয়ার্কার্স ডিভিশনের প্রধান হারিরি বিন হারুন এবং মালয়েশিয়ার লেবার ডিভিশনের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার কালা এ/পি থাঙ্গারাজু।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনের আলোচক ছিলেন- মালয়েশিয়ার সিটি ব্যাংক লিমিটেড মানি ট্রান্সফারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান ফারাজি, টেইলর'স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. গইডো বিনি, কমনওয়েলথ ইউথ ইনোভেশন সেন্টারের চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল চিফ এক্সিকিউটিভ ড. কিশাভ আম্বিগাপাথি এবং নর্থ সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর এড্রিন পেরেরা।
সেমিনারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন, অভিবাসীদের ভূমিকা ও অধিকার, অভিবাসনের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং অভিবাসন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বক্তারা অভিবাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া, বক্তারা অভিবাসী নিয়োগ খরচ কমানো, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং সম্মানজনক মজুরি নিশ্চিতের উপর জোর দেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বাগতিক দেশ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশ সরকার নিরাপদ ও নৈতিক অভিবাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবব্ধ।
তিনি বলেন, শ্রমিক বঞ্চনা বন্ধ এবং তাদের অধিকার নিশ্চিতে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সরকার ও অভিবাসী সংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
সবশেষে এ সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সেমিনার শেষে আলোচকদের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয় এবং অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
কুয়েত আমির শেখ নাওয়াফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুয়েত আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমেদ আল-জাবের আল -সাবাহের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে কুয়েতের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কুয়েতের আমির মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানাবেন মোমেন।
আরও পড়ুন: কুয়েতে এমপি পাপুলের ৪ বছরের কারাদণ্ড
সকালে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আল আদওয়ানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
ড. মোমেন কুয়েতে আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত কুয়েত সরকার আয়োজিত রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি আগামীকাল কাল সকালে ঢাকায় ফিরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ২০ এজেন্টকে পুরস্কৃত করল কুয়েত এয়ারওয়েজ
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার নতুন শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়।
দূতাবাসের দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং বিশেষ মোনাজাত।
সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার এবং এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
আফরিন আক্তার তার বক্তব্যে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের এই অভিযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা সত্যিই অসাধারণ।
মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ৫২ বছরে বাংলাদেশ লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে বের করে এনেছে। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।
বিভিন্ন সময়ে তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিটি সফরেই তিনি বাংলাদেশি জনগণের শক্তি, সহনশীলতা ও দৃঢ়তার কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, যেসব গুণাবলি বাংলাদেশের মুক্তির পথ দেখিয়েছে সেগুলোই বাংলাদেশকে তার কাঙিক্ষত অভিযাত্রার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার স্বাগত বক্তব্যে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য তাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্জিত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
পরে একটি জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের সহধর্মিণী এবং কর্মচারীরা প্রথমে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে অতিথিদের মুগ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র জনগণের ইচ্ছায় সন্তুষ্ট না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে: রাশিয়া
রাশিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র জনগণের ইচ্ছায় সন্তুষ্ট না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, জনগণের ইচ্ছার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ওয়াশিংটনের শুভবোধের উদয় হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সে কারণেই একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আবারও হস্তক্ষেপ করার আশঙ্কাও রয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী, বহিরাগত শক্তির যাবতীয় ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশের সরকার গঠনের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত এই দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, অন্য কেউ নয়।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
তিনি বলেন, আশঙ্কার কারণ রয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র হিসেবে নিষেধাজ্ঞাসহ বিপুল চাপ’ প্রয়োগ করা হতে পারে।
মুখপাত্র বলেন, মূল শিল্পগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হতে পারে, সেইসঙ্গে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বাধা দেওয়ার জন্য প্রমাণ ছাড়াই অনেক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ১২-১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বর্তমান সরকারের বিরোধীরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে, বাস পুড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার সঙ্গে ঢাকায় পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনের উসকানিমূলক কার্যকলাপের মধ্যে সরাসরি সংযোগ দেখতে পাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে ২২ নভেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ব্রিফিং বিষয়ে কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সংসদীয় গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ায় একদিনে সবচেয়ে পাসপোর্ট বিতরণ
মালয়েশিয়া সরকার ঘোষিত অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশনের ২.০’ নির্ধারিত সময়ের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করেছে।
হাইকমিশনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী- নির্ধারিত তারিখে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে যারা পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেছিলেন এমন তিন হাজার ১২৪ জনকে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরের সিটি ব্যাংক লিমিটেড (সিবিএল) মানি ট্রান্সফার হাউস থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: জুনে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট বিতরণ
এর ফলে এ বছর এখন পর্যন্ত হাইকমিশন থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ১১টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হলো।
উল্লেখ্য যে, মালয়েশিয়ায় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি ‘রিক্যালিব্রেশন ২.০’ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
এ সময়ের মধ্যে যাতে প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারেন বা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন সেই লক্ষ্যে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার ও কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে যৌথভাবে সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের এই বিশেষ ব্যবস্থাপনার আওতায় আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সার্ভিস সেন্টার থেকে এবং ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরের সিবিএল মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স হাউস থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
পাসপোর্ট নির্ধারিত স্থান থেকে সংগ্রহে- লিংকে গিয়ে https://appointment.bdhckl.gov.bd/other অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যতীত পাসপোর্ট বিতরণ সম্ভব হবে না বিধায় নির্ধারিত তারিখের আগেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য বিদ্যমান পোস্ট অফিসের সার্ভিসটিও চালু থাকবে।
তবে একইসঙ্গে দুই প্রকার সার্ভিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট বিতরণ জুলাইয়ে শুরু হতে পারে
কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া কী বলছে সে বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে রাশিয়ার সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না।’
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখেছে এবং আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ‘এছাড়া আমি আর কিছু জানি না।'
একজন প্রতিবেদক রাশিয়ার সর্বশেষ মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: আগামীকাল কুয়েত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যেখানে রাশিয়া বলেছে, ‘‘জনগণের ইচ্ছার ফল যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক না হয়, তাহলে 'আরব বসন্তের' আদলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।’’
মোমেন এ সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো শঙ্কা দেখছেন না।
আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আপনারা অবশ্যই আমার সঙ্গে একমত হবেন, শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে। আমরা এই গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখব।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করা হতে পারে। ‘আমরা এগুলো কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এমন কিছু অশুভ শক্তি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বানচাল করার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বোয়িং কেনার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামীকাল কুয়েত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে এবং সেখানে প্রাসঙ্গিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) কুয়েত যাচ্ছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ ৩ বছরের রাজত্বের পর শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বোয়িং কেনার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, কুয়েতের মন্ত্রিসভা শনিবার কুয়েতের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী শেখ মিশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহকে আমির হিসেবে মনোনীত করেছে।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়: এম জে আকবর
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর রবিবার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছে তারা ভুলে যাচ্ছে- বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়।
নির্বাচনের আগে যে সব নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভয় দেখালেই যে আমি (বাংলাদেশ) ভয় পাব, তা ভাবা ঠিক হবে না।’
বিশিষ্ট এই লেখক-সাংবাদিক ও পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের প্রতি কিছু মনোযোগের কারণ হলো দেশটির প্রাসঙ্গিকতা।
ভারতের এই সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়ার উদীয়মান শক্তি।’
এম জে আকবর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার থেকে 'জাতির দ্বিতীয় মুক্তির নেতা ও বিজয়ী' হিসেবে সম্মানিত করা এবং তা উদযাপন করা উচিৎ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর বহিরাগত শক্তিকে ভয় পাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। বিষয়টি এখন আর কাজ করে না।
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে '৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামী দশকগুলোতে এ অঞ্চল ও বাইরে এর অবস্থান' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মূল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বরং সম্ভাবনাময় দেশ।
মোমেন বাংলাদেশ অর্জিত উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র অনুসরণ করছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আকবর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে শুধু উন্নয়নের দিকেই নয়, আধুনিকতার দিকে নিয়ে গেছেন, যার ৪টি মাত্রা রয়েছে। তিনি চারটি মাত্রাতেই কাজ করেছেন।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও সকল বিশ্বাসের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশই আধুনিক জাতি হতে পারে না। প্রতিটি বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলো অন্তর্ভুক্ত জাতীয়তাবাদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কাগজে-কলমের অধিকারকে বাস্তবতায় পরিণত করেছেন। তিনি লিঙ্গ সমতা ও দারিদ্র্য বিমোচনে তার প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি সমালোচনামূলক। দারিদ্র্য দূরীকরণ ছাড়া আধুনিক জাতি হতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
আকবর বলেন, ‘বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করেছে।’
তিনি গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টাকারী শক্তির কথাও উল্লেখ করেন।
আকবর বলেন, স্বাধীনতা বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, বরং বাংলাদেশ তা অর্জন করেছে।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘তাদের দুই প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো উচিৎ। যা সমগ্র বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে।’
আকবর বলেন, বাংলাদেশের উচিৎ নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের পক্ষ নেওয়া।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
বাঙালি জাতিসত্তাকে পূর্ণতা দেন বঙ্গবন্ধু: হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেছেন, হাজার বছরে সৃষ্টি হওয়া বাঙালি জাতিসত্তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতার মাধ্যমে পূর্ণতা দেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে।’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে তিনি জনযুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় আল্লামা সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সকল পর্যায় সম্পর্কে জানার আহ্বান জানান হাইকমিশনার।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপিত
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় বর্ণিল পরিবেশে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে।
জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সূচিত হয় মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে দূতাবাসের আয়োজন।
এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সপরিবারে ও সবান্ধব উপস্থিত ছিলেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতালয় প্রধান।
আরও পড়ুন: ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
বিজয় দিবসের তাৎপর্যকে প্রতিপাদ্য করে সাদিয়া ফয়জুননেসা তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী ত্রিশ লাখ শহীদ এবং ৭১-এ দেশজুড়ে নির্বিচারে গণহত্যা ও পাশবিক নির্যাতনের বেদনাময় ঘটনাপ্রবাহ স্মরণ করেন। পাশাপাশি বিশ্বসভায় বাংলাদেশের এই রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরনীয় অবদানের ওপর আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ নামের স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেবার জন্য বঙ্গবন্ধুকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে স্বাধীনতার অব্যাহতি পরেই কূটনৈতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত নানা পদক্ষপের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন, স্বাধীনতা অর্জনে তার অসামান্য ভূমিকা এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে সঠিক পথে এগুচ্ছে: ইয়াঙ্গুনে রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আজ নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আসীন।
রাষ্ট্রদূত নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও বলীয়ান হয়ে ২০৪১ সালের মাঝে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানান।
দূতাবাস পরিবারের শিশুরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা ও নৃত্য পরিবেশন করে। এছাড়াও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেকের অংশগ্রহণে একাত্তরের কালজয়ী ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘নোঙ্গর তোলো তোলো’ সমবেত সংগীত পরিবেশিত হয়।
ভাষা আন্দোলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপিত