বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুনের উদ্যোগে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস পালিত
জাতিসংঘ ঘোষিত ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস- ২০২৩’ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন মঙ্গলবার একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), ইউএনঅপস ও নরওয়ে, ডেনমার্ক, থাইল্যান্ড, সুইডেনসহ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ইয়াঙ্গুনস্থ জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘বিশ্বস্বাস্থ্য ও কূটনীতি’ শীর্ষক একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘হেল্থ ফর অল: টাইম ফর একশন’ শীর্ষক বিষয়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব জনগণের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে জানানো।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য-সেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সূচকসমূহ তুলে ধরেন এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য-সেবায় বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ফলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারিভাবে কম অর্থ খরচ করা সত্ত্বেও নীতির ধারাবাহিকতা, স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মদক্ষতা, ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা ও স্বল্প সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় কম খরচে ভালো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে ইয়াঙ্গুন জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর প্রফেসর হ্লা হ্লা উইন মিয়ানমারের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী মিয়ানমারের চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মিয়ানমার কার্যালয়ের হেল্থ সিস্টেমস এর উপদেষ্টা ডা. শক্তিভেল সেলভারাজ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবায় শক্তিশালী হেলথ সিস্টেমসের প্রয়োজনীয়তা এবং এই লক্ষ্যে যথাযথ বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
রাজধানীর শিল্পকলা ফাইন আর্টস অডিটোরিয়ামে 'হিউম্যান রাইটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল: মুভিজ দ্যাট ম্যাটার' শীর্ষক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আয়োজনে স্লোভাকিয়ায় সাংবাদিক হত্যার তদন্তের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত 'দ্য কিলিং অব এ জার্নালিস্ট' চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই মিনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল।
চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীতে অংশ নেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড 'জলের গানের' একজন সংগীতশিল্পী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন বলেন, 'মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আমরা মনোযোগ দিতে চাই তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রতি বছর 'মুভিজ দ্যাট ম্যাটার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল' আয়োজন করা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নেদারল্যান্ডসের অন্যান্য স্থান ও বিদেশে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে এই সপ্তাহ ডাচ সংস্থা মুভিজ দ্যাট ম্যাটারের মাধ্যমে আনা চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। সংস্থাটি এমন চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে এবং প্রচার করে যা বিশ্বজুড়ে অধিকার ইস্যুগুলোতে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
এ বছর তিন দিনব্যাপী মিনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মোট পাঁচটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে নতুন আন্তর্জাতিক রুট স্থাপন এবং আঞ্চলিক এভিয়েশন হাবে পরিণত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সম্প্রসারণের জন্য শক্তিশালী বিমানবন্দর নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। এ ছাড়া বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের আরও উন্নয়ন এবং এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল ঢাকা ও নিউইয়র্কের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করা। বাংলাদেশ বিমানকে এই রুটটি পুনরায় চালু করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত হাস।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) গাইডলাইন অনুসরণ করে বাংলাদেশকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত করার লক্ষ্যে বেবিচক ও বিমানের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বিমানের বহর ও সেবা সম্প্রসারণের জন্য নতুন উড়োজাহাজ কেনার বাণিজ্যিক সক্ষমতা মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
জলবায়ু সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জনে প্যারিস চুক্তির জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ এবং জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) ২০২১ হালনাগাদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের নীতিভিত্তিক ঋণ স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং নিজ নিজ পক্ষে ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
এই সহায়তা ৭০০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম উপকর্মসূচি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবেচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি; যার বার্ষিক গড় ক্ষতি প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, 'এই অঞ্চলের জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশের জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদার, স্বল্প কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর, গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং সরকারের জলবায়ু কার্যক্রমে লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মূলধারায় বাংলাদেশের প্রগতিশীল পদক্ষেপে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ম্যানিলাভিত্তিক আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক বলেছে, এই কর্মসূচি জলবায়ু অর্থায়নকে একত্রিত করার জন্য সক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত পরিবেশ তৈরি করবে। এটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এজেন্ডায় জলবায়ু কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেবে এবং কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবহন ও অবকাঠামো, নগর উন্নয়ন ও জ্বালানিসহ জলবায়ুবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারে সরকারকে সহায়তা করবে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সরকারের জলবায়ু অগ্রাধিকারের সার্বিক বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়।
সম্প্রতি কপ-২৮-এ উপস্থাপিত বাংলাদেশ জলবায়ু ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নে এই কর্মসূচি সরকারকে নিবিড়ভাবে সহায়তা করবে।
প্রোগ্রামটি সরকারি পরিকল্পনা ও সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে জলবায়ু অগ্রাধিকারকে মূলধারায় আনতে এবং সবুজ বন্ড ও টেকসই অর্থায়ন নীতির মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নকে একত্রিত করতে সহায়তা করে।
সেক্টরাল পর্যায়ে, প্রোগ্রামটি জলবায়ু-স্মার্ট ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি অনুশীলনগুলো বিশেষত নারী কৃষকদের পক্ষে প্রচার করে। একই সঙ্গে সৌর সেচ পাম্পের অভিযোজন, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নকশা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের অভিযোজন ও গণপরিবহন বহরে বৈদ্যুতিক বাস প্রবর্তনের জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রবর্তন করে।
এডিবি শহুরে বন্যা কমাতে জলবায়ু সহনশীল নগর কর্মপরিকল্পনা ও পৌরসভাগুলোর জন্য উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রচারে সহায়তা করে।
২০২১ সালের অক্টোবরে এডিবি ঘোষণা করে, তারা ২০১৯ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়ন ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি বাড়িয়েছে। এটি নতুন, জলবায়ুকেন্দ্রিক প্রযুক্তিগুলোতে প্রবেশাধিকার প্রসারিত করবে এবং জলবায়ু অর্থায়নের বেসরকারি মূলধনকে একত্রিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১.০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে
বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবা দেবে ভিএফএস গ্লোবাল
বিদেশিদের যুক্তরাজ্যের ভিসা ও নাগরিকত্ব পরিষেবার দেওয়ার বৈশ্বিক চুক্তি পেয়েছে দেশটির সরকারের অংশীদার ভিএফএস গ্লোবাল।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভিসা, পাসপোর্ট ও নাগরিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জয়ের দীর্ঘ সারির সর্বশেষ পুরস্কার এটি।
আরও পড়ুন: ওমানের ভিসা পুনারায় চালুর ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
২০২৪ সালে ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশসহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপ, এশিয়া ও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৪২টি দেশে যুক্তরাজ্যের জন্য ২৪০টি ভিসা ও সিটিজেনশিপ অ্যাপ্লিকেশন সার্ভিস (ভিসিএএস) কেন্দ্র স্থাপন করবে।
এসব কেন্দ্র সব ধরনের ভিসা আবেদনের পাশাপাশি কিছু জায়গায় যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টের আবেদনও গ্রহণ করবে।
সম্মিলিতভাবে, নতুন এসব কেন্দ্র প্রতি বছর ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন আবেদনকারীকে সেবা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিএফএস গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জুবিন কারকারিয়া বলেন, ‘আমরা এই চুক্তি জিততে পেরে এবং বিদেশে যুক্তরাজ্যের সমস্ত ভিসা গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে পেরে আনন্দিত।’
কারকারিয়া আরও বলেন, ‘আমরা নতুন জায়গায় কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আনন্দিত। একই সঙ্গে গ্রাহকদের নির্বিঘ্ন, সহজ ও সুরক্ষিত ভিসা ও পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের জন্য কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। সব দেশের গ্রাহকদের শ্রেষ্ঠ মানের সেবা প্রদানে আমাদের নিবেদিত প্রচেষ্টার প্রমাণ এই জয়।’
ভিএফএস গ্লোবাল নতুন গ্রাহক ওয়েবসাইট ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের ভ্রমণ উন্নত করতে এবং সুবিধা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ করবে।
ভিএফএস গ্লোবাল শক্তিশালী পরিচয় পরীক্ষা বজায় রাখতে এবং ভিসা ও পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার সততা নিশ্চিত করতে তার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
সারাবিশ্বে ভ্রমণকারীদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে ভারত, চীন, নাইজেরিয়া ও তুরস্ক থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদন করা হয়।
ভিএফএস গ্লোবাল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গ্লোবাল বায়োমেট্রিক কালেকশন সার্ভিস ম্যান্ডেট এবং সুইডেনের সঙ্গে গ্লোবাল ভিসা সার্ভিস চুক্তি নবায়নের পরপরই এই জয় অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: কানাডার নাগরিকদের জন্য পুনরায় ই-ভিসা চালু করল ভারত
চট্টগ্রামে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের স্থানান্তর
ইউএনডিপি-ইআরডি'র অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ চুক্তি সই
টেকসই উন্নয়ন ও অব্যাহত সহযোগিতার অংশ হিসেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে তিনটি চুক্তি সই হয়েছে। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) এই চুক্তিগুলো সই হয়।
চুক্তি হওয়া প্রকল্পগুলো হলো- লোকাল গভর্মেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এলওজিআইসি),স্ট্রেংথেনিং উইমেনস অ্যাবিলিটি ফর প্রোডাক্টিভ নিউ অপারচুনিটিস (স্বপ্ন) এবং অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই।)
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
স্টেফান লিলার বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশকে সহায়তা সহ সারাদেশের সম্প্রদায়ের টেকসই উন্নয়নের জন্য আমরা সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’
তিনি ইআরডি, এলজিইডি এবং আইসিটি বিভাগসহ অংশীদারদের সহায়তার প্রশংসা করেন এবং সুইডেন ও ডেনমার্কের ব্যাপক অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। স্টেফান ভবিষ্যতে প্রভাবশালী উন্নয়ন ফলাফল অর্জনের জন্য অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ২০৩০ সালের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের উপর জোর দেন।
প্রকল্পগুলো জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বাস্তব ফলাফল প্রদর্শন করেছে, টেকসই উন্নয়নের বিস্তৃত এজেন্ডায় অবদান রেখেছে।
ইউএনডিপি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের আরেকটি অধ্যায় এই চুক্তি সই। একই সঙ্গে এটি সম্প্রদায়ের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে যৌথ অঙ্গীকার প্রদর্শন করে।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবণতা ও প্রভাব নিয়ে দোহা ফোরামে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দোহা ফোরামে ' নিয়ারশোরিং অ্যান্ড ফ্রেন্ডশোরিং – চেঞ্জিং প্রায়োরিটিস ইন গ্লোবাল ট্রেড’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) কাতারের দোহায় শুরু হয় এ প্যানেল আলোচনা।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রভাব এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের রুটগুলো আবার নির্ধারণের পাশাপাশি লাভের বিষয়ে আলোচনা করেন মোমেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) মালিকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
তিনি কোভিড-১৯ মহামারির সময় ও তার আগে টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের কথাও তুলে ধরেন।
এর আগে তিনি ফোরামের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
দু'দিনব্যাপী এই ফোরামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের পাশাপাশি নীতি নির্ধারক, বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির আমন্ত্রণে দোহা ফোরামে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২১তম দোহা ফোরামের প্রতিপাদ্য হলো- 'বিল্ডিং শেয়ার্ড ফিউচার'। প্রতি বছর অনুষ্ঠিত এই ফোরামে বৈশ্বিক নীতি নির্ধারক, সরকারি নেতা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাগুলো একত্রিত হয়ে ইস্যুভিত্তিক সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মানে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন মোমেন।
এছাড়া নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: 'দোহা ফোরাম ২০২৩'-এ যোগ দিতে কাতারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'দোহা ফোরাম ২০২৩'-এ যোগ দিতে কাতারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কাতারে 'দোহা ফোরাম ২০২৩'-এ যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, দুই দিনব্যাপী এই ফোরাম রবিবার থেকে শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে দোহার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পৃষ্ঠপোষকতায় দোহা ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে সাবরিন বলেন, 'দোহা ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাতারের আমন্ত্রণ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাতারের অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড-১৯ ও ভ্যাকসিন উন্নয়নবিষয়ক একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। এ ছাড়া 'চেঞ্জিং প্রায়োরিটি ইন গ্লোবাল ট্রেড' শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনাসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন।
দোহা ফোরাম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্যকে স্বাগত জানায়। এখানে সব মানুষ বিশেষত যাদের বক্তব্য প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়, তাদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি এবং আগ্রহের বিষয় তুলে ধরা হয়।
গঠনমূলক সংলাপই সর্বোত্তম উপায়- এই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত ফোরামটি। শুধু তাই নয়, আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে টেকসই নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার উপর বিশ্বাসী এই ফোরাম।
দোহা ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। দুঃখজনক হলো, কাউন্সিল তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে এই ব্যর্থতার কারণে বিষয়টির গুরুত্ব কমে যায় না।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ’আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমি হাল ছেড়ে দেব না।’
দোহা ফোরামের ২১তম সংস্করণে বিশ্বের শীর্ষ কর্মকর্তা, নির্বাহী ও চিন্তাবিদদের একত্রিত করা হয়েছে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত প্রশ্নগুলোর সমাধান করার জন্য:
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নীতি ও উন্নয়ন
- সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা প্রাইভেসি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সাসটেইনেবিলিটি
পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর উপর ভিত্তি করে, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যতে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেশগুলো কীভাবে সমৃদ্ধি ও আন্তঃসংযুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে দোহা ফোরামে।
"কূটনীতি, সংলাপ, বৈচিত্র্য" ব্যানারে নীতি নির্ধারণ এবং কর্মভিত্তিক সুপারিশগুলোর পরিকল্পনা ও বক্তৃতার আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করে দোহা ফোরাম।
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
ঢাকার রাশিয়ান হাউস, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আয়োজকেরা ৫২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নেপথ্য শিল্পী সৈনিকসহ মোট ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানান।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তাজ মোহাম্মদ, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক এবং ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সবার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস আমাদের উভয় দেশের জন্যই একটি গৌরবের দিন। এই দিনটি আমাদেরকে আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭১ সালের বিপ্লবের দিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপর থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। রাশিয়া বৃহৎ শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করেছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারি সফরের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতীয় গণ ঐক্য দিবস পালন করল রাশিয়ানরা
বঙ্গবন্ধুর সফরে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য প্রতিনিধিত্ব, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার বিষয়ে আন্তঃসরকারি চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সোভিয়েত নৌবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দর নিষ্ক্রিয় করে এবং বন্দরটিকে সম্পূর্ণরূপে চালু করে।
সফরকালে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পূর্ণ সরকারি বৃত্তি নিয়ে রাশিয়ায় পড়তে যায়। পরে তারা দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে সক্রিয় হন। তাদের মধ্যে, ৬০০০ জনেরও বেশি সোভিয়েত ও রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েট বর্তমানে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চ পদে কর্মরত ও অধিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে রুশ সরকার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়ে ১২৪ করেছে।
তিনি এই বৃত্তির সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে ও আশ্বাস দেন।
ঢাকার রাশিয়ান হাউস রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ান ভাষা কোর্সের প্রচারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এই যুদ্ধে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের অবদানের জন্য আমরা তাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ।
মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মান করা আমাদের সবার কর্তব্য। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতা পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
জাসদের সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে সফররত ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের প্রতিনিধি দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ও কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলমের সঙ্গে দেড় ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় সংসদ সদস্য ভবন কমপ্লেক্সে হাসানুল হক ইনুর ফ্ল্যাটে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তাদের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মি. আলেক্সান্ডার ম্যাটুস এবং লিগ্যাল/হিউম্যান রাইটস বিশেষজ্ঞ মিজ্ রেবেকা কক্স।
তারা সংবিধান, নির্বাচনী আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি, জাসদের দলীয় ইতিহাস, অবস্থান ও ভূমিকা, ১৪ দলীয় নির্বাচন জোট ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান।
তাদের প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী পরিচালিত একটি প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ। দেশের কোনো ব্যক্তিই সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে নন। দেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বাধীন। সরকার বা নির্বাহী বিভাগের দ্বারা কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিকার পাওয়ার জন্য আইনের আশ্রয় অধিকার সুসংরক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, প্রায়ই নির্বাহী বিভাগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি প্রতিকার পাওয়ার জন্য আদালতে প্রার্থনা করেন এবং আদালত নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে থাকেন।