বৈদেশিক-সম্পর্ক
৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরামে ভাষণ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৭ ও ২৮ নভেম্বর মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংস-এর আয়োজন করবে রাশিয়া।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক মারিয়া জাখারোভা বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ২৭ নভেম্বর আয়োজনটিতে অংশ নেবেন।
মস্কোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীন, কিউবা, মিশর, ফিনল্যান্ড, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, নাইজেরিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিরিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা ফোরামে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দিনব্যাপী রুশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘পূর্বানুমান ছাড়াই, আমি মূল বক্তব্যের বিষয়ে বলতে পারি: তিনি (সের্গেই ল্যাভরভ) একটি ন্যায্য বহুমেরু বিশ্ব ব্যবস্থার চলমান গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রধান প্রবণতা সম্পর্কে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের চোখের সামনে আক্ষরিক অর্থেই ঘটে যাওয়া বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটের গঠনমূলক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। এটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- পোস্ট-গ্লোবালাইজেশন হরিজনস।’
ফোরামে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির নেতৃস্থানীয় রুশ ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
আলোচনায় আরও থাকবে- বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের জন্য রাজনৈতিক ঝুঁকি, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাসের রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা, চীন-আমেরিকান সম্পর্ক এবং গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন।
অংশগ্রহণকারীরা বাল্টিক অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের সম্ভাবনাও জায়গা করে নেবে বলে আশা করছেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রেসিডেন্সিয়াল গ্রান্টস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রিমাকভ ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস, প্রিমাকভ সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংস বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তার সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বার্ষিক আলোচনার প্ল্যাটফর্ম।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান করুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৩তম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস গুইন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াকে কাজ করার আহ্বান নসরুলের
জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার অভিজ্ঞতা বিনিময় ও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার(২২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতু সুবোলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
এসময় তারা নিজ নিজ দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।
তিনি বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। উভয় দেশ অভিজ্ঞতা বা সম্পদ বিনিময়ের মাধ্যমে আরও বেশি উপকৃত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জ হবে খেলাধুলার তীর্থস্থান: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া গ্যাস খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। ‘বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়া ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে এবং ধীরে ধীরে তা ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা যেতে পারে।
এ সময় ট্রান্সমিশন, সাব-স্টেশন, অফ-শোর উইন্ড এবং পাওয়ার স্টোরেজ সিস্টেমে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পের্টামিনা জোহান কে নভেরিয়ানের হেড অব প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট জুহান কে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ গঠনে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ
সাম্প্রতিক সহিংসতার বিরূদ্ধে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চায় স্টাডি সার্কেল বাংলাদেশ
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি থিঙ্কট্যাঙ্ক স্টাডি সার্কেলের একটি প্রতিনিধি দল গত সোমবার (২০ নভেম্বর) ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে।
স্টাডি সার্কেলের সমন্বয়ক জামাল আহমেদ খানের নেতৃত্বে মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ ও সাংবাদিক রুমানা আফরোজ রাখীসহ প্রতিনিধি দল স্টাডি সার্কেলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলীর সই করা স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
স্মারকলিপিটি গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও একজন পুলিশ অফিসারের হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে নির্বাচন ঘিরে স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তি সহিংসতার একটি প্রবণতার সর্বশেষতম।
এই উদ্বেগজনক ঘটনার আলোকে স্টাডি সার্কেল স্মারকলিপি এই চরমপন্থী সহিংসতা মোকাবিলা এবং ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুপাক্ষিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে স্টাডি সার্কেল প্রতিনিধিদল আশা করে, প্রধানমন্ত্রী সুনাক উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি সরকার এবং সুশীল সমাজের মধ্যে যৌথ প্রচেষ্টার অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেবেন।
আরও পড়ুন: নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে চক্ষু চিকিৎসক সমিতি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং টেকসই উন্নয়নের পথে বড় বাধা।
তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা ব্যাপক এবং দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড – নারীর প্রতি সহিংসতা নানাভাবে ঘটছে। কিন্তু, এই সমস্যার মূলে রয়েছে কাঠামোগত অবিচার, যা গড়ে উঠেছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে।’
২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি, যা নারীদের মর্যাদা ও অধিকার প্রত্যাখ্যান করে তাদের আরও ঝুঁকিতে ফেলছে।’
আরও পড়ুন: সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সবাইকেই মূল্য দিতে হচ্ছে: আমাদের সমাজে শান্তি নেই, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়, আমাদের বিশ্বটা তুলনামূলক কম ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।’
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ’।
বিশ্বজুড়ে নারীর অধিকার রক্ষাকে আরও সুসংহত করতে উপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারীর প্রতি অন্যায় প্রতিরোধ ও অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ জোরদার করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, বিশ্বের সর্বত্র ভূক্তভোগীর কথা শুনুন এবং দোষীদের দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন। নারী অধিকারকর্মীদের পক্ষে দাড়ান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি স্তরে নারী নেতৃত্বের পক্ষে কথা বলুন।
তিনি বলেন, আসুন, আমরা একসঙ্গে নারীর পক্ষে দাড়াই, তাদের জন্য কথা বলি। আসুন আমরা এমন এক বিশ্ব গড়ে তুলি, যাতে যে কোনো জায়গায় নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন 'ন্যাচারাল প্ল্যান্ট ফাইবারস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' গ্রহণ করেছে।
পাট, তুলা ও সিসাল জাতীয় প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির প্রমাণ এই বিপুল সমর্থন।
বুধবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন বলেছে, যুগান্তকারী উন্নয়ন হিসেবে দেখা রেজুলেশনটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহারকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।
এটি বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহার ও ব্যবহারের গতি বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সমর্থন, সম্পদ সংগ্রহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
রেজুলেশনে প্রাকৃতিক তন্তুকে সিন্থেটিক ও প্লাস্টিক-ভিত্তিক পণ্যের একটি প্রশংসনীয় বিকল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রাকৃতিক তন্তুর উৎপাদন ও ব্যবহার ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে অবদান রাখতে পারে।
২১ নভেম্বর রেজুলেশনটি উত্থাপনের সময় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি এটি শক্তিশালীকরণ ও ঐকমত্য অর্জনে সক্রিয় সম্পৃক্ততা, নমনীয়তা ও অবদানের জন্য সকল প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর পরিপূরক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ প্রতিনিধি রেজুলেশনের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ২০১৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রথম এই রেজুলেশনটি উত্থাপন করে এবং তারপর থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো দ্বিবার্ষিকভাবে এই রেজুলেশনটি গ্রহণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা রেজুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র চায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে: মুখপাত্র মিলার
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় দেশটিতে 'অবাধ ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচন দেখতে চাওয়ার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২১ নভেম্বর ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে আমরা এটাই দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, যেমনটা তিনি বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র 'বিএনপি কর্তৃক পরিকল্পিত' রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি আমি আমার আগের উত্তরেই এর জবাব দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
অধিকারকর্মী ও শ্রমিক সংগঠনে হামলাকারী-হুমকিদাতাদের জবাবদিহি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ পালিত
৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া, অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, নিরাপত্তা বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি ভুনিওয়াকা, জাতিসংঘের মিলিটারি এডভাইজর জেনারেল বিরামে ডিওপসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ (স্থায়ী প্রতিনিধি) ও সামরিক উপদেষ্টাগণ (মিলিটারি এডভাইজর) অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখেরও বেশি নির্যাতিত নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কারণেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ৩ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
'নির্বাচন বানচালের হুমকিদাতারা অতীতে ক্ষমতার অগণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে'
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অতীতে কিছু বিরোধী দল ক্ষমতার অগণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে সেই বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন না করলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বানচালের হুমকি দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের (পিইএএম) সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত বলেও মিশনকে অবহিত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচন নাগরিকদের জন্য একটি উৎসবমুখর অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশে ভোটারদের অংশগ্রহণ সাধারণত অনেক বেশি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রকৃত মাপকাঠি হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মন্তব্য 'মিথ্যা ও বানোয়াট': পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রতিনিধি দলের নেতা লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ বলেন, কমনওয়েলথ ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সামগ্রিক এবং এর মধ্যে বিস্তৃত বিষয় রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহায়তা প্রদানের জন্য তার সংগঠন ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী সকল বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষককে সরকারের সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত থাকার কথা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমনওয়েলথ ব্যবস্থায় বৃহত্তর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে সফররত প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য' নির্বাচন আয়োজনে অংশীজনদের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তার গণতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বর্তমান সরকার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রবর্তন, নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ বাজেটের স্বাধীনতা প্রদান করেছে। এছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিচারকের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিটির ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়নের মতো নির্বাচনী সংস্কারের কাজও শুরু করেছে।
কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছে।
তারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন এবং কমনওয়েলথ মহাসচিবের কাছে সুপারিশ করবেন।
এরপর কমনওয়েলথ মহাসচিব পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবেন কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: কল্পনা প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবে ঢাকা
কল্পনা প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবে ঢাকা
সম্প্রতি শ্রম অধিকার কর্মী কল্পনা আক্তারের প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা বাংলাদেশ চাইবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর সত্যতা জানতে চাই। আমরা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইব।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কল্পনা হুমকির শিকার হয়েছেন এমন কোনো তথ্য বা রেকর্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নেই।
তিনি বলেন, সরকার জানতে চায় কোথায় ও কখন কল্পনা বলেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশে হুমকি অনুভব করেছেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন গত ১৬ নভেম্বর 'বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও উচ্চ শ্রমমান উন্নয়ন' শীর্ষক প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, 'আমরা বাংলাদেশি গার্মেন্টস কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট কল্পনা আক্তারের মতো মানুষের পাশে থাকতে চাই, যিনি বলেছেন মার্কিন দূতাবাস তাকে সমর্থন করায় তিনি আজ বেঁচে আছেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক বছর আগে ঢাকায় একজন লেবার অ্যাটাশে নিয়োগ দিয়েছে, যা সরকারের সহায়তায় হয়েছে। ‘আমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে অনেক এগিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মন্তব্য 'মিথ্যা ও বানোয়াট': পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী, শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি, ভীতি প্রদর্শন, আক্রমণ করবে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা, ভিসা বিধিনিষেধের মতো বিষয়গুলো প্রয়োগ করবে তারা।
শাহরিয়ার বলেন, কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্লিঙ্কেনের বক্তব্য পোশাক শিল্পকেন্দ্রিক নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে গার্মেন্টস খাতকে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য' নির্বাচন আয়োজনে অংশীজনদের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান