বৈদেশিক-সম্পর্ক
মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই নীরব থাকে: শাহরিয়ার
বর্তমান বিশ্বে অভিবাসন সমস্যা ক্রমেই জটিল হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার ইস্যুতে সোচ্চার বলে দাবি করা দেশগুলো প্রায়ই তাদের নিজেদের ভূখণ্ডে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিষয়ে 'নীরব থাকে বা অস্বীকার' করে যা, অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, 'বিশ্বজুড়ে আমরা সীমান্তে দেয়াল, জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন, সমুদ্রতীর এলাকায় বন্দিশালা, সমুদ্রে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ, নির্বিচারে অভিবাসন চর্চা, আন্তঃদেশীয় অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক ইত্যাদির অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বাস্তবতা দেখেছি।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) জন্য জাতীয় প্রস্তুতিমূলক পরামর্শের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আবদুস সাত্তার এসোয়েভ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব আহমেদ মুনিরুস সালেহীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) ২০২২-২০২৩ সালের সভাপতি হিসেবে কাজ করা ফ্রান্স ২০২৪ সালের ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি জেনেভায় জিএফএমডির ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে। যাতে তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাতে পারে।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২০ নভেম্বর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেই না। আমরা তাই চাই যা বাংলাদেশের জনগণ চায়, আর তা হলো- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবারও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন এবং পুনরায় বলেন- তিনি তা থেকে বিরত থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বারবার আমাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টার প্রশংসা করি, তবে আমি তা করা থেকে বিরত থাকব এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে বলছি- বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য আমাদের লক্ষ্য সর্বদা যা ছিল তাই থাকবে, আর তা হলো: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ আয়োজন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
মিলার আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য বিশ্বজুড়ে সরকার, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে কীভাবে জড়িত তার রূপরেখা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি চালিয়ে যাব।’
মিলার বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরির প্রতিবাদে বাংলাদেশে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতার পাশাপাশি বৈধ শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমকে অপরাধীকরণের নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
তিনি বলেন, শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ওপর চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও তারা 'উদ্বিগ্ন'।
মিলার বলেন, ‘আমাদের নীতি, যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে শ্রমিকরা সহিংসতা, প্রতিশোধ বা ভীতি প্রদর্শনের ভয় ছাড়াই সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাদের কাজের মাধ্যমে তারা মৌলিক মানবাধিকারগুলো কে এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২০ নভেম্বর) বলেছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। সেখানে রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হবে কিনা এক প্রতিবেদকের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক, যেখানে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক দেশের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) করি। এটা একটা রুটিন ব্যাপার।’
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তার ভারতীয় সমকক্ষ বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে ২৩ বা ২৪ নভেম্বর ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নির্মাণশ্রমিক নিতে আগ্রহী স্কটল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রীকে স্কটিশ প্রতিনিধি দল
চলতি বছরে দুই দেশের মধ্যে এটি দ্বিতীয় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য উভয় দেশই তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে, দুই দেশ সাধারণত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে, যাতে সব সেক্টরের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আজ একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
লন্ডনে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, দুই দেশ স্থল সীমানা ও সামুদ্রিক সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে।
জয়শঙ্কর সংযোগ সহযোগিতা, জ্বালানি সরবরাহ এবং বন্দরের ব্যবহার তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মডেল সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
বাংলাদেশ থেকে নির্মাণশ্রমিক নিতে আগ্রহী স্কটল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রীকে স্কটিশ প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশ থেকে নির্মাণশ্রমিক নিতে আগ্রহী স্কটল্যান্ড।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দেশটির সফররত সংসদীয় প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের এ আগ্রহের কথা জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য ফয়সল চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (সিপিজি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মাইলস ব্রিগস, এভলিন টুইড, জুনেদ হুসাইন চৌধুরী, ফারহান মাসুদ খান ও মো. লুৎফুর রহমান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ফয়সল চৌধুরী বলেন, শ্রমিকদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাব তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্কটল্যান্ড বাংলাদেশের কৃষি খাতেও বিনিয়োগ করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে বলেন, তার সরকার দেশের বাইরে যেতে ইচ্ছুক জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাষা, বৃত্তিমূলক কাজ ও কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মালদ্বীপ-নেপালের উচিত পারস্পরিক পর্যটনকে উৎসাহিত করা: প্রধানমন্ত্রী
প্রেস সচিব ইহসানুল বলেন, গত ১৫ বছরে স্কটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা উল্লেখ করেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্কটল্যান্ডের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং বর্তমানে সেখানে প্রায় ২০০ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর রয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে পেছনে ফেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ, পোশাক ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতায় দেশটির আগ্রহ প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কলম্বিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো ফ্রান্সিসকো পেট্রো উরেগোর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
মোহাম্মদ ইমরান একই সঙ্গে কলম্বিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইমরান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার এই পরিচয়পত্র পেশ করেন।
প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানায়। পরে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো ফ্রান্সিসকো পেট্রো উরেগোর সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো জে কোয় জি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশের সময় রাষ্ট্রদূত তার কাছে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট তার সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তার কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
পরে রাষ্ট্রদূত ইমরান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া, আফ্রিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের পরিচালক নেলসি রাকেল মুনার জারামিলো এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সমন্বয়কারী কার্লোস এ ফরেরোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্জিত বাংলাদেশের চমৎকার আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।
নেলসি রাকেল বাংলাদেশ ও কলম্বিয়ার মধ্যে তৈরি পোশাক এবং ওষুধ শিল্প খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজনে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করার বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মালদ্বীপের রাজধানী মালের রিপাবলিক স্কয়ারে দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ লতিফের শপথ অনুষ্ঠানে দেশের পক্ষ থেকে যোগ দেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, সিশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট, চীনের বিশেষ দূত, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইউএই'র মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষ কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার: বিএনপির কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রার্থী মোহাম্মদ মুইজ্জু গত ৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডের সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচনে ৫৪ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট পেয়ে মলদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী পূর্বের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া, বিমান চলাচল, তথ্য প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশরক্ষায় সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে পারে চলচ্চিত্র: তথ্যমন্ত্রী
গাজা উপত্যকায় জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা বাংলাদেশের
গাজা উপত্যকায় জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ঘটা মর্মান্তিক ঘটনার জন্য তারা ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ এবং বেসামরিক নাগরিক ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার তীব্র নিন্দা। এ হামলায় নিরীহ শিশু ও নারীদের হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এই ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড প্রত্যাখ্যান করার জন্য এবং ফিলিস্তিনে এই বর্বরোচিত রক্তপাত বন্ধে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছে।’
বাংলাদেশ ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ গাজায় আল-শিফা মেডিকেল হাসপাতাল ও জর্ডানিয়ান ফিল্ড হাসপাতালের মতো বেসামরিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হাসপাতাল ও চিকিৎসা কর্মীদের লক্ষ্য করে ইচ্ছাকৃত হামলা, যেকোনো পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।
এতে বলা হয়েছে, ‘জর্ডানের হাসপাতালে হামলা এবং এর ফলে চিকিৎসাকর্মীদের আহত হওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও চুক্তির প্রতি ইসরায়েলের সম্পূর্ণ উপেক্ষার শামিল।’
আরও পড়ুন: গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের' আহ্বান ইইউ'র
গাজার পরিস্থিতি 'মুক্ত পৃথিবীর' নেতাদের সহায়তায় জাতিগত নির্মূলের ক্লাসিক উদাহরণ
গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি মানে ভারতেরও প্রবৃদ্ধি: শ্রিংলা
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন মানে ভারতেরও উন্নয়ন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভারতেরও প্রবৃদ্ধি।
তিনি বলেন, সবসময় একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত।
শ্রিংলা আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশ পারস্পরিক সুবিধা অর্জনের জন্য অনন্য অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে। এটি একমুখী ট্র্যাফিক হওয়া উচিত নয়।
বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
স্যামুয়েল রিচার্ডের 'বাংলাদেশ: ফ্রম বাস্কেট কেস টু এশিয়ান টাইগার' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বইটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বইটির ওপর একটি বিশেষ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
শ্রিংলা আলোচনায় অংশ নেন এবং বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অব্যাহত অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন।
রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের (আরআইএস) অধ্যাপক ড. প্রবীর দে বলেন, আন্তঃসংযোগই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অন্যতম প্রধান উপাদান।
ভারতের আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে: প্রণয় ভার্মা
আরেক প্যানেলিস্ট ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট রোহতকের পরিচালক অধ্যাপক ধীরাজ শর্মা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন সাফল্যের মূল অনুঘটক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের প্রগতিশীল অর্থনীতি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন যুগান্তকারী অর্জনের ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার জন্য ভারত সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনের মিনিস্টার (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং বইটির উপর তার মতামত ও প্রতিফলন সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, আয়োজক দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
অধিকারকর্মী ও শ্রমিক সংগঠনে হামলাকারী-হুমকিদাতাদের জবাবদিহি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যারা ইউনিয়ন নেতাদের, শ্রমঅধিকার রক্ষাকারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়, ভয় দেখায় ও হামলা করে তাদের জবাবদিহি করবে। এক্ষেত্রে তারা সম্ভাব্য সব উপায় যেমন- নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে বলে উল্লেখ করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি গার্মেন্টসকর্মী ও অ্যাকটিভিস্ট কল্পনা আক্তারের মতো মানুষের পাশে থাকতে চাই। তিনি বলেছেন মার্কিন দূতাবাস তাকে সমর্থন করেছে বলেই তিনি আজ বেঁচে আছেন।’
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ‘অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্স গ্লোবালি’-শীর্ষক প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামের রোলআউটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, তারা যখন নিজেদের পক্ষে আওয়াজ তোলে, সারা বিশ্ব তাদের সমর্থন করে, তখন যারা শ্রম অধিকারকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তারা একটি সুনির্দিষ্ট পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা শ্রম দক্ষতাসহ কর্মীদের জন্য বৃহত্তর কাজের সুযোগকে অগ্রাধিকার দিয়ে, শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে জানার জন্য, আমাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদেশে কর্মী অধিকারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ফেডারেল সরকারের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করব।’
তিনি বলেন, তারা শ্রম অধিকার ও মানোন্নয়নের জন্য সরকার ও জাতিসংঘের মতো বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি জি২০’র সঙ্গে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
তিনি আরও বলেন, ‘এসব আন্তর্জাতিক সংস্থায় আমরা যা করি কাজটি এর অংশ। এ বিষয়ে অনেক নিয়মকানুন রয়েছে। সারা বিশ্বে এগুলোর গভীর প্রভাব রয়েছে। আমরা সেসব দেশে গিয়ে নিশ্চিত হব যে আমরা শ্রমের পক্ষে কাজ করছি এবং আমরা আমাদের নিজস্ব বাণিজ্য চুক্তি, সরবরাহ চেইন, শ্রমিকদের সুরক্ষা ও বাধ্যতামূলক শ্রম দিয়ে তৈরি পণ্য আমদানি করছি না।
ব্লিঙ্কেন জানান, তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারের প্রতি সম্মান রক্ষা ও প্রচারের জন্য সরকার, শ্রমিক, শ্রম সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ ও বিশ্বব্যাপী বেসরকারি খাতকে নিযুক্ত করবে।
তিনি বলেন, ‘এর মানে হলো আমাদের সব রাষ্ট্রদূত ও বিশ্বজুড়ে আমাদের বিভিন্ন দূতাবাসে থাকা সব মানুষ; শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত থাকবেন। যাতে আমরা যা কিছু করি তাতে তাদের কণ্ঠ প্রতিফলিত হয়।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম থেকে ‘অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্স গ্লোবালি’- বিষয়ে মূল পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন শুরু করবে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট।
বৃহস্পতিবার ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতাকে শক্তিশালী করা এবং আমেরিকান শ্রমিক ও কোম্পানির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলো শ্রম অধিকার।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ঘোষণা অনুসারে, এই নতুন সম্পূর্ণ-সরকারি পদ্ধতিটি কর্মীদের ক্ষমতায়ন ও ইউনিয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামটি প্রথমবারের মতো মিশন প্রধান ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সরাসরি শ্রম কূটনীতিতে কর্মসূচি বৃদ্ধি, শ্রমিক ও শ্রম অধিকারের বিষয়ে জনসাধারণকে তথ্য জানানোর নির্দেশ দেয়।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমিকদের অধিকারের অগ্রগতির জন্য দপ্তরের প্রচেষ্টাগুলো ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবারসহ ইন্টারএজেন্সি অংশীদারদের পাশাপাশি পরিচালিত হবে।
ঘোষণায় বলা হয়, ‘স্মারকলিপিটি প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও প্রতিশ্রুতিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কূটনীতি, বিদেশি সহায়তা ও প্রোগ্রামিং, আইন প্রয়োগ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধ্যবাধকতা এবং প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী শ্রমের মান বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যানের সাক্ষাৎ
পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
বাংলাদেশের সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা পরিহার এবং শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৬ নভেম্বর (স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের বার্তায় অবিচল রয়েছি এবং ভোটের তারিখ ঘোষণার পরও সেই বার্তা একই রয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
মিলার বলেন, 'আমরা বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। মিলার বলেন, 'আমরা একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে বেশি পছন্দ করি না।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যানের সাক্ষাৎ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত তাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
মিলার বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো হুমকিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিই। আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের প্রতি সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে লক্ষ্য করে 'হুমকিমূলক বক্তব্য' -এর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।’
মিলার স্মরণ করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি তারা এই বাধ্যবাধকতাগুলো পালন করবে।’
আরও পড়ুন: বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: মোমেন