বৈদেশিক-সম্পর্ক
সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমাবেশে সহিংসতায় মানুষ নিহত ও আহত হওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহাসচিব।
মুখপাত্র বলেন, সহিংসতা বা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ অথবা নির্বিচারে আটক করা থেকে বিরত থাকার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার ইসরাইলের
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আমি মনে করি না, কেউ নির্বাচন নিয়ে আগে ভাগে সিদ্ধান্ত নিতে চায়।’
৩০ অক্টোবর জাতিসংঘে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যেমনটা বলেছি, সহিংসতা বিষয়ে আমরা অবশ্যই উদ্বিগ্ন। আমরা এখনও মনে করি যে নির্বাচনের আগে সমস্ত মানুষের নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা, হাসপাতাল ও বাসে আগুন অগ্রহণযোগ্য: যুক্তরাষ্ট্র
ম্যান্ডেট না পাওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত হবে না: মুখপাত্র দুজারিক
পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা, হাসপাতাল ও বাসে আগুন অগ্রহণযোগ্য: যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকায় ২৮ অক্টোবর সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
৩০ অক্টোবর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা এবং একটি হাসপাতাল ও বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য; একইভাবে সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও।’
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের ঘটনাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করছে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সব সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রত্যেকের দায়িত্ব।
মুখপাত্র বলেন, কূটনীতিকরা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। যেমন- সুশীল সমাজ সংগঠন, গণমাধ্যম পেশাদার, ব্যবসায়ী নেতা, সাংস্কৃতিক অবদানকারী, শিক্ষাবিদ এবং অন্যান্য অনেক ধরনের সংস্থা ও ব্যক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘কূটনীতিকরা তাদের দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবেই তা করেন।’
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
ঢাকা ও রিয়াদ চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয় দেশেরই আরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার ও বিনিয়োগের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা সৌদি আরবের বিনিয়োগের বড় অংশীদার হবেন।
তিনি সোমবার রিয়াদে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে ব্যবসায়িক বৈঠক এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
আগামীতে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
সমঝোতা স্মারকে রিয়াদ চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার সই করেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে ৬১টি বাংলাদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বেসরকারি খাতের বৃহত্তম ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সৌদি সফর করছেন।
রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে সৌদি বাজার, উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বাজার যা বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে পারে বলে তিনি জানান।
তিনি বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে সৌদি ও বাংলাদেশের নতুন ও অভিন্ন সুযোগ অন্বেষণের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই এবং সৌদি উদ্যোক্তারাও তাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে আরও ব্যবসা করতে আগ্রহী।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, আমরা সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য দেখে গর্ববোধ করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত এক দশকে তার বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং বিদ্যমান নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ক্রমবর্ধমান রয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে, কাজেই শুধু বাজার বৈচিত্র্য নয়, পণ্য বৈচিত্র্যও প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে তবে এই সংখ্যাটি অন্তর্নিহিত অফুরন্ত সম্ভাবনাকে সবটুকু প্রতিফলিত করে না।
তিনি বলেন, ঢাকা চেম্বারের এ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বড় বিনিয়োগকারীরা বিশেষ করে আইটি, কৃষি পণ্য, অবকাঠামো, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, গার্মেন্টস পণ্য, সিরামিক পণ্য, পর্যটন ও আতিথেয়তা, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন এবং তারা সবাই তাদের সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী।
পরে তিনি সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের উল্লেখ করে স্মার্ট ফার্মিং, আইটি, ফিনটেক, লজিস্টিকস ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকা চেম্বারের এ প্রতিনিধি দলে চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত আছেন।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা চেম্বারের এ প্রতিনিধি দলের আগামী ১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মক্কা চেম্বার অব কমার্স এর সঙ্গে অনুরূপ বৈঠক এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন নির্ধারিত রয়েছে।
এ বৈঠকে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ইকনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সৈয়দা নাহিদা হাবিবা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক
'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়া আরেফির বিষয়ে কনস্যুলার অ্যাকসেস চেয়েছে মার্কিন দূতাবাস
‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির বিষয়ে কনস্যুলার অ্যাকসেস চেয়েছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, আটক বিদেশি নাগরিককে কনস্যুলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অধিকার সম্পর্কে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস আজ পতাকা অর্ধনমিত রাখবে
কথোপকথন, যোগাযোগ করা ও আইনি প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করতে কারাগারে বা হেফাজতে থাকা অথবা আটক কোনো নাগরিকের সঙ্গে দেখা করার অধিকার থাকবে প্রেরণকারী রাষ্ট্রের কনস্যুলার অফিসারদের।
নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ দাবি করা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ডিবি কর্মকর্তাদের বলেছেন, তিনি শুধু বিএনপি কার্যালয়ে যে নির্দেশনা পেয়েছেন তা অনুসরণ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আরেফি ডিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সহানুভূতি অর্জনের জন্য বিএনপি প্রায়ই কূটনৈতিক মিশন ও তাদের বিদেশি বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে ভুক্তভোগী সাজার অভিনয় করে।
মোমেন সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের বলেছিলেন, “এবার হঠাৎ করেই আমরা দেখলাম একজন তথাকথিত ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন। পরে জানা যায় যে, তিনি একজন প্রতারক এবং তিনি স্বীকার করেছেন যে বিএনপি নেতারা তাকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন।”
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সাধারণ পরিষেবা আজ সীমিত থাকবে
'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত ২৮-২৯ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের 'নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের' কথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরে সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টিকিয়ে রাখতে 'দৃঢ় ও অটল' অবস্থানের কথা জানিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে যথাসময়ে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য' নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কূটনীতিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচন: সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোমেন
তিনি বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ- আমাদের বিএনপির বন্ধুরা তা বুঝুক বা না বুঝুক। আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরব এবং সংযত থাকব।’
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান, জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনগত মানদণ্ডের মধ্যে সবকিছু করতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, দেশকে অস্থিতিশীল করা বা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াগুলোর ক্ষতি করার যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, জাতিকে আতঙ্কিত করা এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা এবং অসাংবিধানিক শক্তিকে উৎসাহিত করা। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভয় দেখানো ও কূটচালের কৌশল আগেও কার্যকর হয়নি, এখনও হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি 'অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ' হবে।
তিনি বলেন, 'কে আসবে, কে আসবে না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে তা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।’
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
আইনমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হলেও তারা কোনো প্রশ্ন করেননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে আমরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছি তা স্পষ্ট ছিল। তারা সন্তুষ্ট কি না, তা বলা তাদের দায়িত্ব।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবশ্যই সাংবিধানিক পথ অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর যা ঘটেছিল তার একটি লিখিত সংস্করণসহ হত্যা, পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ অন্যান্য ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং স্থির চিত্রের সংকলন তাদের দিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে 'সংযম, সহিংসতা পরিহার ও একযোগে কাজ' করার জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দুই দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২৮ অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের সময় রাজনৈতিক সহিংসতায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
কূটনীতিকদের উদ্দেশে মোমেন বলেন, 'গত ২৮ অক্টোবর ও গতকাল যা ঘটেছে তাতে আমরা মর্মাহত। তবে আমরা বিস্মিত নই, কারণ আমরা অতীতে বিএনপি-জামায়াতের ভয়াবহ সহিংসতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও তার মিত্রদের সহিংসতা ও আগ্রাসনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
২০০০ সালের গোড়ার দিকে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট কারচুপির মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল।
নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা লুটপাট, ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাদের লক্ষ্য ছিল বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং মোকাবিলা করতে প্রস্তুত: মোমেন
২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার মিত্ররা কয়েক হাজার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে অনেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ির ভেতরে আটকে থাকা যাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়েও মেরেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও ভয়াবহ ক্ষত ও ট্রমা নিয়ে বেঁচে আছেন।
সে সময় পেট্রোলবোমা ও হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ কর্মকর্তাসহ চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জরুরিভাবে অনুদানভিত্তিক সরকারি অর্থায়ন প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্বেচ্ছায় দাতাদের সহায়তার বাইরে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য জরুরিভাবে নতুন, অনুমানযোগ্য ও পর্যাপ্ত অনুদানভিত্তিক সরকারি অর্থায়ন প্রয়োজন। আমরা দেখতে চাই যে উন্নত দেশগুলো ২০২০ ও ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে এবং গত তিন বছরের (২০২০-২০২২) ঘাটতি পূরণ করতে হবে।’
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত প্রাক-কপ২৮ এর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্যদের গোলটেবিল বৈঠক: কপ-২৮ এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ককাস গঠনের প্রস্তাব
শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে সময়মতো রিপোর্ট করা এবং হিসাব করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্টতা প্রয়োজন। এটা করতে ব্যর্থ হলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করবে এবং কাজের অগ্রগতি বিপন্ন করবে। ক্লাইমেট ফাইন্যান্সের নিউ কালেকটিভ কোয়ান্টিফাইড গোল (এনসিকিউজি) অবশ্যই প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শেষ লক্ষ্যের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হতে হবে, ঋণের তুলনায় অনুদানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রকৃত চাহিদা পূরণ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের একটি সংজ্ঞায় একমত হতে দলগুলোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া উচিত যা জলবায়ু এবং অ-জলবায়ু অর্থ প্রবাহের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা সহজতর করে। কপ২৮ এর ফলাফলের ওপর জোর দেওয়া উচিত। এতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়নের বিধান ও গতিশীলতার বিষয়ে উন্নত দেশগুলো সজাগ হয়।
কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য হিসেবে প্রক-কপ২৮ এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সহিংসতা পরিহার করে অংশগ্রহণমূলক-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য একসঙ্গে কাজ করুন: কূটনৈতিক মিশন
অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে 'সহিংসতা পরিহার ও একসঙ্গে কাজ করার' জন্য সব স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলো।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) মিশনগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের সময় সাম্প্রতিক সহিংসতায় গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।
দূতাবাস ও হাইকমিশনের সই করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ' ২৮ অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের সময় সহিংসতায় তাদের দেশ- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিক-জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে আজ ব্রিফ করবে সরকার
এতে হতাহতের ঘটনায় এবং আহতদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে দেশগুলো।
কূটনীতিকদের জন্য সরকারের নির্ধারিত ব্রিফিংয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে এই বিবৃতি এসেছে।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ বিকালে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের জানাবে সরকার।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল ৪টায় কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সম্পর্কে মার্কিন সিনেটরদের অবহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইমরান
বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সম্পর্কে মার্কিন সিনেটরদের অবহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইমরান
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই মার্কিন সিনেটরের সঙ্গে দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দূতাবাসের আউটরিচ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে সোমবার (৩০ অক্টোবর) জানিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত ইমরান গত সপ্তাহে সিনেটর জেফ মার্কলি (ডি-ওরেগন) এবং সিনেটর বিল হ্যাগার্টি (আর-টেনেসি) এর সঙ্গে তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সিনেটর জেফ মার্কলি এবং সিনেটর বিল হ্যাগার্টি উভয়ই বৈদেশিক সম্পর্ক সম্পর্কিত সিনেট কমিটির সদস্য।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে মার্কিন সিনেটরদের অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান মানব উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতাসহ সকল সামাজিক সূচকে এ সময়ের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পর্কেও তাদের অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিক-জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে আজ ব্রিফ করবে সরকার
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবে সরকার।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদের ঊর্ধ্বতন সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
কানাডায় পঞ্চম বাংলাদেশ-কানাডা ফরেন অফিস কনসালটেশন্স অনুষ্ঠিত
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ক্ষয়ক্ষতি তহবিলকে পুরোপুরি চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) তিনি বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি তহবিলটি সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়া উচিত।’
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেসের (ইউএনওপিএস) নির্বাহী পরিচালক জর্জ মোরেইরা দা সিলভা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের লক্ষ্য হলো দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া। কারণ তারা জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য ঝুঁকি থেকে উদ্ভূত নেতিবাচক পরিণতিগুলো যেমন- ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, চরম তাপপ্রবাহ, মরুকরণ, দবানল, ফসল ব্যর্থতা প্রভৃতি মোকাবিলা করে।
ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পালন না করায় প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যাপ্ত নয়।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে একটি জলবায়ু সহনশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নিজস্ব সম্পদ দিয়ে জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন।
তিনি বলেন, তারা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় কক্সবাজারের খুরুশকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বাড়ি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গ্রিন বেল্ট, কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট তৈরি করেছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণকে জলবায়ু সহনশীল ঘর দেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ রোপণ করেছে।
ইউএনওপিএস কর্মকর্তা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের, বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ইউএনওপিএস স্বাস্থ্য পরিষেবার মহাপরিচালকের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ২৯টি হাসপাতালের জন্য মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় প্লান্ট নির্মাণ করা হলে ভালো হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় এবং ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য ইউএনওপিএসকে অভিনন্দন জানান।
তিনি ইউএনওপিএস’র প্রকল্প পরিচালনার দক্ষতার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ইউএনওপিএস প্রমাণিত দক্ষতা বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্কৃতি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ম্যান্ডেট না পাওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত হবে না: মুখপাত্র দুজারিক
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী