বৈদেশিক-সম্পর্ক
শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা এবং শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ফৌজদারি অভিযোগের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন সংশ্লিষ্টদের উপর চলমান নিপীড়ন নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, তারা বেসরকারি খাতের সদস্যদের প্রশংসা করেন, যারা যুক্তিসঙ্গত মজুরি বৃদ্ধির জন্য ইউনিয়নের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়াটিকে ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে শ্রমিক ও তাদের পরিবারগুলো যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবিলা করতে পারে।
ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক 'শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার' পাশাপাশি বৈধ শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: ভুয়া প্রোফাইল থেকে সাবধান: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
মিলার বলেন, ‘গত সপ্তাহে কারখানার শ্রমিক ও সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক যুবকের পুলিশ কর্তৃক নিহত হওয়ার খবরে আমরা মর্মাহত।’
তিনি নিহতদের পরিবার ও বৃহত্তর শ্রমিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘এছাড়াও, ঢাকার একটি কারখানায় বিক্ষোভকারীদের আগুনে নিহত ৩২ বছর বয়সী শ্রমিক ইমরান হোসেনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
মিলার বলেন, সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে- শ্রমিকরা সহিংসতা, প্রতিশোধ বা ভয় প্রদর্শনের ভীতি ছাড়াই সংগঠন ও সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী কাজের মাধ্যমে আমরা এই মৌলিক মানবাধিকারগুলো এগিয়ে নিতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
মালয়েশিয়ার রাজার কাছে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
মালয়েশিয়ার রাজার কাছে পরিচয় পত্র পেশ করেছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান।
বুধবার (৮ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার রাজা য়াং ডি-পারতুয়ান আগোং আল-সুলতান আব্দুল্লাহ রিআ’য়াতুদ্দীন আল-মুস্তাফা বিল্লাহ শাহ ইবনি আল্মারহুম সুলতান হাজী আহমদ আল-মুস্তাই-ইন বিল্লাহ এর কাছে রাজদরবার ইস্তানা নেগারাতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার হিসেবে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র হস্তান্তর
পরিচয়পত্র প্রদানের পরে মালয়েশিয়ার রাজা হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আহসানকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং হাই কমিশনারকে দায়িত্ব পালনকালীন সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় হাই কমিশনার মালয়েশিয়ার রাজাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। মালয়েশিয়ার রাজাও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তার শুভেচ্ছা জানান। হাই কমিশনার দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মালয়েশিয়ার রাজা দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, পর্যটন, সংস্কৃতি সক্ষমতা-বৃদ্ধিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করাসহ দুদেশের সম্পর্ক দৃঢ়তর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিচয়পত্র দেওয়ার আগে হাই কমিশনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যালুট দেন রাজদরবারের ‘প্রেস্টিজ গার্ড’।
অনুষ্ঠানের শেষে হাই কমিশনার অন্যান্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগদান করেন। এ সময় যৌথ আলোচনায় হাই কমিশনার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। মালয়েশিয়া সরকারকে বাংলাদেশিদের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আহসান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মালয়েশিয়ার উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী দাতুক মোহাম্মদ বিন আলামিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল দাতো সেরি আমরান বিন মোহাম্মদ জেইন, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার প্রধান, রাজদরবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চার বিলিয়ন ডলারের উপরে এবং মালয়েশিয়া বাংলাদেশে অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রবাসীদের জন্য চালু হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা
রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রদূতদের ডেকে তাদের কার্যপরিধির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমরা অতীতে কিছু কিছু রাষ্ট্রদূতকে এককভাবে ডেকে তাদের কার্যপরিধির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনের আগে তারা সতর্ক থাকবেন কারণ, অতীতে (৬ মাস আগে) যা বলেছেন এখন তার প্রভাবটা অনেক বেশি।
তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সীমার বিষয়ে তলব করা হবে কি না- বুধবার (৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই নির্বাচনমুখী হয়েছেন। যারা আন্দোলন করছেন তাদের ভাষায় তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। আমি মনে করি না, তাদের তলবের প্রয়োজন হবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে তা হবে দুঃখজনক।
শাহরিয়ার বলেন, আমরা যা সঠিক মনে করি তা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকারের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। আদালতে রিভিউ বিচারাধীন। নবায়নের জন্য আদালতে তারা একটি পিটিশন দিয়েছিলেন সেটিও খারিজ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, কোনো মানবাধিকার সংস্থা যদি অধিকারের বরাতে কোনো তথ্য উপস্থাপন করে, তাহলে সেটি আমরা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করব এবং সেটির উত্তর দিতে আমরা বাধ্য নই। কিন্তু তারা একই জিনিস অন্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারে। সেটিকে আমরা ভালোভাবে নেব যদি সেটি আমাদের সংবিধানের আলোকে হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো আছে তার আলোকে যদি হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তা আমলে নেব।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
ভারতের আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে: প্রণয় ভার্মা
ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন আইটেক অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএএবি) সঙ্গে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (আইটেক) দিবস উদযাপনের জন্য একটি সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার ভার্মা উল্লেখ করেন, ভারতের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগীসমূহের একটি হিসেবে আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সুবর্ণ জয়ন্তী স্কলারশিপের অধীনে প্রতি বছর আইটেকে বাংলাদেশের জন্য নিবেদিত ৫০০টি স্লট রয়েছে এবং সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি এন্টারপ্রাইজসমূহের জন্য বেশ কিছু চাহিদাভিত্তিক কর্মসূচি আছে যা বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে: প্রণয় ভার্মা
রাষ্ট্রদূত হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন ৪ কর্মকর্তা
কয়েকেটি রাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চারজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ অনুযায়ী নিয়োগের এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা হোসেনকে পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আগামী ছয় মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার নিয়োগ আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে অথবা যোগদানের পর থেকে কার্যকর হবে।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনে মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে (ছয় মাসের জন্য) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। আগামী ১৭ নভেম্বর বা যোগদানের পর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের সুদানে ভ্রমণ না করার পরামর্শ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অপর প্রজ্ঞাপনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাইকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বাংলাদেশে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে (ছয় মাসের জন্য) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বা যোগদানের পর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে জেনেভাস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আগামী (ছয় মাসের জন্য) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। আগামী ১ ডিসেম্বর বা যোগদানের পর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: মোমেনের মানহানির অভিযোগে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন জাইকার
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।
এই মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখতে সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: জাইকার সহায়তায় প্রণীত হলো ডায়াবেটিস মেলিটাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্দেশিকা
জাইকার এ অংশীদারিত্বের যাত্রায় শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো উঠে আসে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার জাপান। জাইকার মাধ্যমে গত পাঁচ দশকে এই অংশীদারিত্ব আরও বিকশিত ও শক্তিশালী হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রকে বাস্তবে রূপদান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাইকা সদর দপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান।
এসময় জাইকার অতিথিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও উন্নয়ন সহযোগীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) লোন হিসেবে তিন হাজার ২৮৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড) হিসেবে ১৪৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৯৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ২০২২ সাল পর্যন্ত টেকনিক্যাল কোঅপারেশনের জন্য ১০৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৬৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং লোন ও ইক্যুইটি হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ফাইন্যান্সের জন্য ২৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ১৪ হাজারেরও বেশি সরকারি কর্মীর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে এবং এক হাজার ২৮৬ জন জাপানিজ ওভারসিজ কোঅপারেশন ভলান্টিয়ার্সকে দেশে নিযুক্ত করেছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বের জন্য আদর্শ উদাহরণ জাপান। জাইকা ও জাপানের সহযোগিতায় আমাদের কমিউনিটির বিকাশ ও উন্নয়ন সাধিত হবে। জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু; এই অংশীদারিত্ব আমাদের দেশের লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী আমরা।’
বাংলাদেশ ও জাপানের অসামান্য বন্ধুত্বের উপর গুরুত্বারোপ করে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ‘৫০ বছরের এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে টেকনিকেল কো-অপারেশন, রেয়াতি ঋণ (কনসেশনাল লোন), অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড), স্বেচ্ছাসেবী ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে বহু খাতে সহযোগিতা করেছে জাইকা। সবসময় সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার শক্তিশালী বন্ধুত্ব গড়ে তোলাই ছিল জাইকার লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাদের মাঝে জাইকার পৃষ্ঠপোষকতায় ট্যাব বিতরণ
দেশে জাইকা’র সহযোগিতায় সম্পন্ন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর উপর আলোকপাত করে জাইকা সদরদপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি বলেন, ‘জাইকা সর্বমোট তিন ট্রিলিয়ন জাপানি ইয়েনেরও বেশি সহযোগিতা প্রদান করেছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে আমাদের শীর্ষ তিন ঋণগ্রহীতা দেশের একটি।’
এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান বলেন, ‘গত ৫০ বছরের মধ্যে জাপানের সহযোগিতা বাংলাদেশের সর্বত্র পৌঁছে গেছে। দেশের ১৫টি খাতের সবগুলোতে জাপানের অংশগ্রহণ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী জাপান। দেশের উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে জাইকা অত্যন্ত ইতিবাচক ও সহযোগিতাপরায়ণ। তাই গত ৫০ বছরে সবধরনের সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে এমন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্টেগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, তিনটি ঢাকা মেট্রো লাইনের জন্য ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প, দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রকল্প এবং ব্রিজেস রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টস।
জাইকার ৫০ বছরের এই সহযোগিতার মধ্যে আরও রয়েছে- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, সুশাসনের বিকাশ, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, কঠিন (সলিড) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি।
বাংলাদেশে জাইকার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন কেবলমাত্র অতীতের স্মৃতিচারণ নয়; বরং বাংলাদেশের মানুষের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার অংশ।
এটি দীর্ঘ প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকা অংশীদারিত্বের শক্তি এবং আগামীর দিনগুলোতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভুয়া প্রোফাইল থেকে সাবধান: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাদের ফেসবুক ফলোয়ারদের ভুয়া প্রোফাইল সম্পর্কে সচেতন থাকার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে এ ধরনের প্রতারণামূলক প্রোফাইলের ব্যাপারে সচেতন থাকুন!’
যদি কেউ এ ধরনের প্রোফাইল দেখে তবে নেটিজেনদের তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য বিনিময় কিংবা অর্থ লেনদেন না করার অনুরোধ করেছে দূতাবাস।
এছাড়াও মার্কিন দূতাবাস, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের প্রোফাইলগুলো রিপোর্ট করার উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সাধারণ পরিষেবা আজ সীমিত থাকবে
শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল
দেশের শ্রম খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দলের আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তারা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও সরকারের শ্রম, বাণিজ্য এবং পররাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গেও বৈঠক করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘অগ্রগতির রক্ষণাবেক্ষণের’ লক্ষ্যেই মূলত এই সফর।
১২ নভেম্বর প্রতিনিধি দলের এখানে আসার কথা রয়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব নয়: ইইউ প্রতিনিধি দলকে বিএনপি
বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং অনুচ্ছেদ ২৬ এর অভিযোগের ফলস্বরূপ এই পরিকল্পনাটি আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক উপস্থাপিত রোডম্যাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দর-কষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো পালনকে উন্নতি করা।
গত মাসে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাজারে প্রবেশাধিকার, জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশের আবেদন বিবেচনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং কমিশনের জন্য শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা একটি ‘অপরিহার্য উপাদান’ হবে।
ঢাকায় এক সেমিনারে বক্তব্য উপস্থাপনের সময় বলেন, ‘এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) এর পর পরবর্তী সবচেয়ে উদার জিএসপি প্রোগ্রাম জিএসপি প্লাসে যোগদানের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কয়েক মাস আগে ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসে (ইইএএস) পাওলা পাম্পালোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর করা, এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ), শ্রমিক কল্যাণ ও অধিকার এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি দল অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্জন এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির বিষয়ে পাওলা পাম্পালোনিকে অবহিত করেন, যেখানে শিল্প খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
সম্প্রতি ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রম খাতে বাংলাদেশ ইইউ'র সঙ্গে সম্মত হওয়া জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন জিএসপি প্লাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের চলমান সংশোধনীগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করি, ত্রিপক্ষীয় অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং আইএলও'র কারিগরি সহায়তায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এই সংশোধনী কার্যকর হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মহান গল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সহিংসতার যে কোনো ঘটনাকে তারা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং তা চালিয়ে যাব।’
৬ নভেম্বর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রতিবেদক যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতা বন্ধ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলবে কি না জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের
প্যাটেল পুনর্ব্যক্ত করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।
প্যাটেল বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্য দলের চেয়ে বেশি পছন্দ করি না। এই মুহূর্তে আমাদের ফোকাস জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা; সরকার, বিরোধী নেতা, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত হওয়া যাতে তারা বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।’
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ঢাকা দূতাবাসে তাদের একটি 'অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান' দল রয়েছে। যার নেতৃত্বে একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত রয়েছেন, যিনি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিস্তৃত অঞ্চলেও কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র মিলার
‘ওয়েমেন ইন ইসলাম’ সম্মেলন: মুসলিম নারীদের অধিকার রক্ষায় ওআইসি প্রধানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ওআইসি মুসলিম নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করে আসছে।
তিনি বলেন, এই অঙ্গীকারটি ওআইসি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব উইমেন (ওপিএএডব্লিউ) কর্তৃক গৃহীত হয়েছে, যা মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে একটি রোডম্যাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সোমবার জেদ্দায় 'ওয়েমেন ইন ইসলাম: স্ট্যাটাস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারী প্রতিনিধি দল এবং ইসলামী বিশ্বের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মহানবীর (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
সৌদি আরবের আমন্ত্রণে দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ওআইসি সাধারণ সচিবালয় তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
হিসেইন ব্রাহিম তাহা বলেন, এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ফিলিস্তিনিরা নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখোমুখি হচ্ছে এবং নারীরা, বিশেষ করে গাজার নারীরা, পাশাপাশি শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং অন্যান্য নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকরা বোমা হামলার শিকার হয়েছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজার পরিস্থিতি সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা সম্মেলনের আলোচনাতেও বর্তায় এবং ইসরায়েলি বর্বরতা উন্মোচন ও ফিলিস্তিনি নারী, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং আশীর্বাদপ্রাপ্ত আল-আকসা মসজিদের অধিকার রক্ষার জন্য তীব্র প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানান, যেখানে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ভয়াবহ বাস্তবতা থেকে ভূমি বা ভূমি থেকে জনগণকে পৃথক করা অসম্ভব।
মহাসচিব আফগান নারীদের ক্ষমতায়ন ও সকল স্তরে শিক্ষা গ্রহণ এবং জনজীবনে অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করতে গঠনমূলক সংলাপ অব্যাহত রাখার ওআইসির দৃঢ় সংকল্পের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামে নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে মদিনা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি ইঙ্গিত দেন, এই সম্মেলন ইসলামে নারীর অধিকার প্রচার ও নিশ্চিতকরণের জন্য ওআইসি ও অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর ইতিহাসে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে এবং এই সম্মেলন ইসলামে নারীদের অধিকার সম্পর্কিত জেদ্দা ডকুমেন্ট গ্রহণ করবে।
ওআইসি প্রধান সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অংশগ্রহণকারী সকল নারী ব্যক্তিত্বকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নারী ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী এবং নারী অংশগ্রহণকারী ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ওআইসি প্রতিবেশিদের সংলাপের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর