বৈদেশিক-সম্পর্ক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বিশেষ আমন্ত্রণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বেলজিয়ামের উদ্দেশ্যে সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
সফরকালে প্রতিমন্ত্রী বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য টনি ব্লেয়ার ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘টেক অ্যাক্সিলেরেটর প্রোগ্রাম ২০২৩’ এ অংশগ্রহণ করবেন।
এই এক্সেলেরেটর প্রোগ্রামে বাংলাদেশ, ব্রিটেন, অ্যাঙ্গোলা, মলদোভা, জাম্বিয়া, সিঙ্গাপুর, মরক্কো, আলবেনিয়া, ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম, তিমুর, বুলগেরিয়া, রিসা, গ্রীস, ইউকে, ম্যাক্রা, রোমানিয়াসহ বিশ্বের ৩১টি দেশ থেকে মন্ত্রী, মেম্বার অব পার্লামেন্ট, সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করবেন।
বিএনপির সমাবেশের দিন রাস্তা বন্ধ করা হবে কিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রবিবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপমুক্ত অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানান, ২৮ অক্টোবর বিরোধী দল বিএনপির মহাসমাবেশের দিন ঢাকায় সড়ক বন্ধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি।
এই দাবি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার স্মৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে সরকার ঢাকার সব প্রবেশপথ অবরোধ করবে কিনা তা জানতে চান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জানতে চান, বিএনপি তাদের মহাসমাবেশের দিন অনেক লোককে ঢাকায় নিয়ে আসতে পারে। আমরা ঢাকার সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেব নাকি অন্য কোনো পদক্ষেপ নেব।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের এ ধরনের কোনো কর্মসূচি নেই।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি নিয়ে এডিটরস কাউন্সিলের উদ্বেগ, ব্যাখ্যা দিলেন রাষ্ট্রদূত হাস
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা বিশ্বাস করি, তারা যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছে তা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে। তারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করে, তাহলে এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’
তিনি বলেন, 'আমি রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, কেন আমরা প্রবেশপথ বন্ধ করব? সবাইকে ঢাকায় আসতে হবে, একজন রোগীকে ঢাকায় আসতে হবে, কেউ বিদেশে যেতে চাইলে তাকে ঢাকায় আসতে হবে- সবকিছুই ঢাকা কেন্দ্রিক।’
বিএনপির কাছ থেকে প্রত্যাশার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা শুধু এটুকুই বলতে যাচ্ছি যে, তারা কোনো সহিংসতায় লিপ্ত হবে না এবং তারা আন্দোলনের এলাকা মুক্ত রাখবে। এটা আমাদের অনুরোধ, আমরা ইতোমধ্যে তাদের জানিয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) এই প্রশ্নটি করতে চাই। আমার বক্তব্য হলো, তিনি এসেছেন, তিনি একটি দেশের রাষ্ট্রদূত, তিনি প্রশ্ন করেছেন, আমরা উত্তর দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে এটা করতে পারে কি না, সেটা দেখার বিষয় নয়। এজন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত শুধু বিএনপির ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিই নয়, রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করতে এসেছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয় ছাড়ার আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। আমরা আশা করি দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে। আমরা আশা করি, দুর্গাপূজার পর ২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় দলীয় সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সমাবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে না।
আরও পড়ুন: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ নেতাদের আবেগ ও উদ্ভাবন অমূল্য সম্পদ: রাষ্ট্রদূত হাস
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন জরুরি কাজ, বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়: ড. ইউনূস
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন সব চাইতে জরুরি কাজ। কোন রকম বিলম্ব কিছুতেই আর গ্রহণযোগ্য নয়।
রবিবার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ইউনূস বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার বিরোধ বহু পুরনো একটি সমস্যা। ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি ইসরায়েলের আচরণ সমস্যাটি ক্রমেই আরও জটিল করে তুলছিল এবং একটি বিষ্ফোরণ অব্যশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। কিন্তু যা ঘটলো তা একটি সভ্য সমাজে কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
পৃথক দুটি রাষ্ট্র গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এই সমস্যার এখন একটিই সমাধান, আর তা হলো দুটি আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টি। যে বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সিদ্ধান্ত থাকলেও তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। এই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জাতিসংঘের এই দীর্ঘ-উপেক্ষিত সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নই এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। নতুবা পরিস্থিতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে তা কেউ জানেনা। বর্তমান পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা পৃথিবীতে।
আরও পড়ুন: প্রতিহিংসাবশত ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
ড. ইউনূস বলেন, একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয়। আর এটি প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত অগ্রসর হলে অন্যরাও তাকে অনুসরণ করবে। বাইডেন প্রশাসনকে অবিলম্বে এই অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি এই বিরোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অবিলম্বে বৈরিতা অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি এবং এই ভয়ঙ্কর সংকটের মধ্যে নিপতিত নিরাপরাধ শিশু ও বেসামরিক মানুষদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি। দুর্দশাগ্রস্ত জনসাধারণের নিকট জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জীবন রক্ষা, মর্যাদার সুরক্ষা এবং সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করার উপর আমাদের সম্পূর্ণ দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা
ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলেই মানুষের দুর্দশার অবসান ঘটাতে, দুর্দশাগ্রস্তদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সহায়ক ও অর্থপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করি এবং দ্রুততম সময়ে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় সকল আয়োজন সম্পন্ন করি।’
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের সকলেরই সম্মিলিতভাবে এই বোধোদয় হওয়া উচিত, যুদ্ধ ও রক্তপাত আধুনিক সভ্যতার মূল্যবোধ ও অগ্রগতির সঙ্গে একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হত্যা ও ধ্বংসের এই অর্থহীন তান্ডবলীলা সারা বিশ্ব ব্যথিত হয়ে দেখছে, এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়ালের মধ্যে শান্তি, সংহতি, সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের একটি ভবিষ্যত তৈরির জন্য কাজ করা এখন আমাদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ব্রাসেলস সফরকে ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এই সফর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এই সফর ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়ে’ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সফর। এটি আমাদের জন্য একটি অর্জন।’
কেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়- জানতে চাইলে মোমেন বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো রেয়াতযোগ্য ঋণ ও অনুদান হিসেবে দেবে।
এর মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো রেয়াতযোগ্য ঋণ হবে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইইউ সাত সদস্যের একটি দল পাঠাবে এবং বাংলাদেশ বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য অর্থ ব্যয় করবে না।
প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন, যেখানে বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, নেতৃস্থানীয় চিন্তাবিদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্বজুড়ে সরকারের প্রতিনিধিরা একত্রিত হবেন।
আগামী ২৫ ও ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে এই ইভেন্ট।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
তিনি বলেন, ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন সম্প্রতি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।
টেকসই উন্নয়ন এবং সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং সমান অংশীদারিত্বের মতো ইউরোপীয় মূল্যবোধের উপর জোর দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল গেটওয়ে কৌশল। একই সঙ্গে পরিবহন ও সরবরাহ শৃঙ্খল, সবুজ শক্তি, আধুনিক টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা ও গবেষণার বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে বিশ্বজুড়ে দেশ ও অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বিদেশিদের ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি দেখা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রকল্পে জাপানের ৬৯ লাখ টাকা অনুদান
বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) নামের বাংলাদেশি এনজিওকে ৬৪ হাজার ৫০৭ মার্কিন ডলার (প্রায় ৬৯ লাখ টাকা) অনুদান দিয়েছে জাপান সরকার।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ঢাকায় জাপান দূতাবাসে 'গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টস' (জিজিএইচএসপি) এর অনুদান চুক্তিতে সই করেন।
কক্সবাজার জেলায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বিজিএসকে ৬৪ হাজার ৫০৭ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, যুব সহায়তা, মানবাধিকার সুরক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দুর্যোগ ইস্যু, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবিকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বিজিএস কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
জিজিএইচএসপি'র অর্থায়নে বিজিএস কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হোস্ট কমিউনিটির সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তরুণদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যযুক্ত এলাকায় দারিদ্র্য বিমোচন জোরদার করবে।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানায়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানবিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে জাপান এর 'গ্র্যান্ট অ্যাসিসটেন্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টস' এর মাধ্যমে ২১৩টি এনজিও প্রকল্পকে সহায়তা করেছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের এনজিওগুলোকে প্রদত্ত এই জিজিএইচএসপি অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির ১২টি দলের অংশগ্রহণে শনিবার (২১ অক্টোবর) শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়'- প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
এসময়, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট এন্ড সিভিলাইজেশন ফ্যাকাল্টির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দাতুক ড. ওয়ান আহমেদ ফৌজি বিন ওয়ান হোসেন, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, শিশু শেখ রাসেল ছিল সরলতা, নির্ভীকতা ও নির্মলতার প্রতীক এবং তার আদর্শ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সকল শিশু-কিশোরের জন্য আদর্শ।
হাইকমিশনার আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।
এসময় শেখ রাসেলের আত্মত্যাগকে শক্তিতে রুপান্তর করে শেখ রাসেলের স্বপ্নের সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পরবর্তীতে, হাইকমিশনার বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
পশ্চিমা চাপ অব্যাহত থাকলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়তে পারে: ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো যদি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো আরও চাপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়বে।
ক্রাইসিস গ্রুপের ‘অন দ্য হরাইজন’ রিপোর্টের অক্টোবর, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪ সংস্করণ অনুসারে, ‘এটি ভারত ও চীনের উপর সরকারের নির্ভরতা বাড়ানোর কারণ হতে পারে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এবং সম্ভাব্য অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো) সম্ভবত শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপর ভিসানীতির মতো আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ হলো একটি স্বাধীন সংস্থা, যা যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্বের লক্ষ্যে নীতি প্রণয়ণ প্রভৃতি নিয়ে কাজ করে।
বিএনপি ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে, ওই দিনই বিএনপির পতন শুরু হবে।
এখন পর্যন্ত দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, একটি বিতর্কিত নির্বাচনের ফলে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ শুরু হতে পারে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন-সম্পর্কিত কার্যক্রম যেমন প্রচার ও ভোটদান প্রভৃতির ফলে সহিংস হামলা ছড়িয়ে পড়তে পারে; ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অশান্ত রাজ্যগুলো থেকেও সহিংসতার উস্কানি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: আফরিন আখতার
ক্রাইসিস গ্রুপের উল্লিখিত হিসাবে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে কী দেখতে হবে:
১. ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সম্ভাব্য সহিংস নির্বাচন।
২. ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পদত্যাগ করার এবং নির্বাচনের ক্ষমতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে হস্তান্তরের আহ্বান উপেক্ষা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩. প্রতিদ্বন্দ্বী সমর্থকরা প্রকাশ্যে সংঘর্ষ বা দলীয় অফিস বা প্রার্থীদের উপর হামলা করতে পারে।
৪. ইসলামপন্থী দলগুলো সরকারের বিরোধিতায় আরও সক্রিয় হতে পারে।
৫. একটি বিতর্কিত ভোটের সম্ভাবনার মুখোমুখি সময়ে বিরোধীরা সম্ভবত নির্বাচন বয়কট করবে এবং আরও সহিংস কৌশল অবলম্বন করে মৌলবাদী হয়ে উঠতে পারে।
৬. আশার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা ও দারিদ্র্য একটি দুষ্টচক্র তৈরির হুমকি দেয়। যেখানে মরিয়া রোহিঙ্গারা; বিশেষ করে যুবকরা অপরাধী দল এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিতে পারে। যা সহিংসতাকে আরও উসকে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী
মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার
আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কেউ সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলে ডিএমপি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
শনিবার (২১ অক্টোবর) মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উত্তরা মেট্রোরেল স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, মিছিল ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, পুলিশ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ। তবে কেউ যদি ২৮ অক্টোবরের অনুষ্ঠানকে সহিংসতার অজুহাত হিসেবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে এবং ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জানমালের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
আগামী ২৮ অক্টোবরের বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে গুজবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: জনগণ যেন গুজবে বিভ্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘এই গুজবগুলো ২৮ অক্টোবরের ইভেন্টের বাইরেও বিস্তৃত এবং ফেসবুক এবং ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, ঢাকাবাসীসহ সারা দেশ গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা ভুল তথ্য দূর করব এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।’
সহিংসতার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৩-১৪ সালে শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘ওই সময় বাংলাদেশ পুলিশ তাদের প্রতিহত করে এবং সন্ত্রাসীদের পরাজিত করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণ ও পুলিশ ঐক্যবদ্ধ হবে, ইনশাল্লাহ।’
সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বের অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট
ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অব্যাহত সুস্বাস্থ্য এবং আগামী দিনগুলোতে উজ্জীবিত আত্মার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
২০ অক্টোবর এক বার্তায় ভারতের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাকে আপনার সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে এবং আমি জেনে খুশি, আপনি অস্ত্রোপচারের পরে ভালোভাবে সেরে উঠছেন।’
ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার উন্নতি
তিনি বলেন, ‘আপনার সুস্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যতের প্রচেষ্টায় মহান সাফল্য কামনা করছি।’
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির সফল অস্ত্রোপচার
সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অস্ত্রোপচার বুধবার, দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা
মার্কিন দূতাবাস আজ পতাকা অর্ধনমিত রাখবে
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, নিহত প্রতিটি নিরপরাধ মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্র শোক প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ২১ অক্টোবর মার্কিন দূতাবাসের পতাকা অর্ধনমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে এই দিনে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য বাংলাদেশ সরকার শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘সংঘাতে নিহত হওয়া প্রতিটি দেশের ও ধর্মের বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি আমরা শোক জানাই।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সংকট সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর: প্রধানমন্ত্রী
গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ