���������������������-���������������������
বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা ও বিচার বিভাগের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতি দৃঢ়ভাবে সমর্থন দিচ্ছে চীন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তাকে অভিনন্দন জানানোর পর রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
ইয়াও বলেন, চীন দুই দেশের মধ্যে বিচারিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতা আরও গভীর করতে ইচ্ছুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ও দূতাবাসের রাজনৈতিক পরিচালক ড. হাফিজ আহমদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদি দৃঢ় সমর্থন এবং বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নে সহযোগিতা ও অবদানের জন্য চীনের প্রশংসা করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব দু'দেশের মধ্যে বিচার বিভাগীয় সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট ভিত্তি স্থাপন করেছে।
বিচার বিভাগীয় সহযোগিতায় চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান জোরদার করতে বাংলাদেশ আগ্রহী বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টোকিওতে এফইসি-বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত
টোকিওতে এফইসি-বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত
জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ কাউন্সিল (এফইসি), জাপান এর সহযোগিতায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে এফইসির সদস্য বিভিন্ন জাপানি কোম্পানির নির্বাহী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে ১ জানুয়ারি নোটো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, এই সফর জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের অটুট ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবির আয়োজনে ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত হয়েছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।
তিনি জাপানের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সেমিনারে দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ, মিনিস্টার (বাণিজ্য) ড. আরিফুল হক এবং প্রথম সচিব (শ্রম) মো. জয়নাল আবেদীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্যমূলক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ছয় শতাধিক নদীর নাম ও হাজার হাজার দখলদারের তথ্য মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে সেমিনার
এফইসির সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিরোইউকি ইউশিতা তার বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সেমিনার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন- এই ফোরামে মতামত বিনিময় এবং উন্মুক্ত আলোচনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আরও আগ্রহ ও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
পরে মারুবেনি কর্পোরেশন, সুমিটোমো কর্পোরেশন এবং আজিনোমোটো গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সম্পর্কে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
মিশন উপপ্রধান শাহ আসিফ রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট সকল ও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূতের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রুশনারা আলী এমপি: বিবৃতি
শ্যাডো ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্মল বিজনেস মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূতের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমপি রুশনারা আলী।
চলতি সপ্তাহে এক বিবৃতিতে রুশনারা বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত হিসেবে কাজ করা আমার জন্য আনন্দের। পদটি যে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে এসেছে তা আমি পুরোপুরি উপভোগ করেছি এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমি অবদান রেখেছি জেনে আমি গর্বের সঙ্গে এই পদ ছেড়ে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ট্রেড এনভয় নেটওয়ার্কের ক্রস-পার্টি প্রকৃতি এর অন্যতম বড় শক্তি। আমার ক্ষেত্রে দায়িত্বটি আমাকে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক এবং আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে সমর্থন ও গভীর করার সুযোগ দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক গভীর করার অঙ্গীকার বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করব: হাইকমিশনার
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের
ইতালির রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো ল্যারিও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ, ব্যয়ন ও ব্যবহারে সর্বোচ্চ অবদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আলভারো ল্যারিও খাদ্য উৎপাদন, জলবায়ু, স্মার্ট এগ্রিকালচার ও উন্নয়ন কার্যক্রমে নারী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয় উল্লেখ করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গম ও ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে ইফাদের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূত ইসলাম ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইফাদ ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাংলাদেশ ইফাদের প্রথম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
রাষ্ট্রদূত ইফাদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন, যা সারা বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক অঞ্চলসমূহের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শেষ করেছে ইফাদ ও বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের বর্ণনার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত কৃষি খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
ইফাদ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ এর ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদ উভয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান ও ইফাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইফাদের বিনিয়োগে লাখো গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন হয়েছে: সারা সাভাস্তানো
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে খোলামেলা ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রথমে একান্ত ও পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু'দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় উঠেছে, সেটিকে আরও ঘনিষ্ঠ ও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা নয় সৌহার্দ্য বজায় রাখা, আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ বৃদ্ধিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরকে ভারতের ব্যবহারের কার্যকর সূচনা, বিদ্যুৎ শক্তির উৎসজনিত সহায়তার বিষয়সমূহের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আনুষ্ঠানিক বৈঠক পর্বে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব স্মিতা প্যান্ট এবং দু'দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে এসে বুধবার দুপুরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সরদার প্যাটেল ভবনে এ বৈঠক শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে সৌধ পরিদর্শন বইতে সই করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
বিকালে প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়াতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রেসক্লাবে ২০২১ সালে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাককালে হাছান মাহমুদের উদ্বোধন করা বঙ্গবন্ধু কর্ণারটি তিনি ঘুরে দেখেন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তৃতা এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গেসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে বিমসটেক অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এর উদ্বোধন
রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করতে সৌদি আরবের প্রতি পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বাংলাদেশি কর্মীদের আয়ের একটি প্রধান উৎস হিসেবে সৌদি আরবের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া সহজীকরণ করলে বাংলাদেশি প্রবাসীরা উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসএসএ ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদেকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশসংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর হেল্পলাইন ৩৩৩-৪ এর উদ্বোধন করলেন পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কৌশল বাস্তবায়ন, দূষণরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস প্রসারে সৌদি আরবের সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সহযোগিতা উদ্ভাবনী সমাধানের এবং আরও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হতে সহায়ক হবে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত এসএসএ ইউসেফ ইসা আল দুলাইহান জানান, সৌদি আরব বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তিনি পরিবেশগত উদ্যোগে বাংলাদেশের সহযোগিতা বাড়ানোর সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, জলবায়ু কর্মসূচির উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলকভাবে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
সভা চলাকালীন আলোচনায় পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উভয় পক্ষ টেকসই উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক দক্ষতা ও সম্পদ কাজে লাগিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ইইউ’র বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের আরও প্রবেশাধিকার চান পরিবেশমন্ত্রী
উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির সরদার প্যাটেল ভবনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
চলমান এই সফরে সেই বিষয়টিই প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পরে বৈঠক শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেও ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পুনর্বাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এই সফরে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথাও রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চিঠি
দু'দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এবং স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, 'আপনারা সরকারের ঐতিহাসিক পঞ্চম মেয়াদে যাত্রা শুরু করেছেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়ন অর্জনের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এসময় আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে সমর্থনে আমার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।’
বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'আমাদের অংশীদারিত্ব এক গভীর অভিন্ন ইতিহাস ও বন্ধুত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যা মানুষে-মানুষে দৃঢ় বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদারে এফএও মহাপরিচালকের গুরুত্বারোপ
সুনাক আশা প্রকাশ করেন, অধিকার ও স্বাধীনতার অগ্রগতির পাশাপাশি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, 'এই মূল্যবোধগুলো কমনওয়েলথ পরিবারের মূল ভিত্তি এবং এটি একটি গতিশীল গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন করে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'আমি অভিবাসন বিষয়ে সহযোগিতাকে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচ্যসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখছি।’
চিঠিতে বলা হয়, 'আপনি সদয়ভাবে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে ফেরত পাঠানোর একটি টেকসই ও সুশৃঙ্খল উপায়কে সমর্থন করেছেন।’
তিনি লিখেছেন, ' আমি আশা করছি,পারস্পরিক সহযোগিতার বৃহত্তর আলোচ্যসূচির অংশ হিসেবে প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হয়েছে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু'দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের মধ্যে আজ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর প্রথম ৩ দিনের সরকারি সফরে রাত ১টার কিছু আগে নয়া দিল্লি পৌঁছান হাসান মাহমুদ।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত স্মিতা পন্থ বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
ভারত বলেছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের নয়া দিল্লিতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর উভয় দেশের সম্পর্ককে উচ্চ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয় প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিকে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বৈঠক করবেন। যেখানে উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তৃত ক্ষেত্রের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং ভবিষ্যতের সম্পৃক্ততার এজেন্ডা নির্ধারণ করবেন।
তারা অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটিই হাসানের প্রথম বিদেশ সফর।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নয়া দিল্লিতে অবস্থানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন, তাই আঞ্চলিক ইস্যুর প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তার একটি সেমিনারে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজায়নে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদারে এফএও মহাপরিচালকের গুরুত্বারোপ
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে ড. চু ডংইউ এসব মন্তব্য করেন।
তিনি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে সুবিধা গ্রহণ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দেশসমূহের সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
রাষ্ট্রদূত ইসলাম এফএও-এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত এফএও-কে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
৪৫ বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, কৃষি পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এফএও-এর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যা কবলিত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করল এফএও
রাষ্ট্রদূত ইসলাম কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ এর আলোকে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য এফএও-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এফএও সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ‘কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না’ এর ভিত্তিতে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূলে আগামী দিনে বাংলাদেশ এবং এফএও উভয়েই একত্রে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মিস আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান এবং এফএও-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এফএও'র নতুন প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন ড. শি