���������������������-���������������������
বাংলাদেশে হতাহত ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিন: মিয়ানমারকে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে হতাহতের কারণ হতে পারে এমন 'যেকোনো অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি' বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের আর কোনো অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করার বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান দৃঢ় করেছে।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল ও গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আরও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়- রাখাইন রাজ্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।
উপযুক্ত সময়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে যা বলল ঢাকা
২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের কথা উল্লেখ করে তাদের ফিরিয়ে নিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশের সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের নীতির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তাদের কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে বিজিপি সদস্যদের দ্রুততম সময়ে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তার সরকারের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল মার্কিন দূতাবাস
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
এসময় নেপাল রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন- নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ইয়োজানা বামজান।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
সাক্ষাৎকালে নেপাল সরকারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে কীভাবে নেপালেও কাজে লাগানো যায়, এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
এ প্রসঙ্গে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্ক নিঃসৃত বিষয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ধারণাকে গ্রহণ করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বর্তমানে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধির আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনাও চলছে আমাদের। আর নেপাল সরকার এ কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আলাপকালে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের এক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান থেকে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে ভর্তি আছেন। ভুটানে ওই রোগীর যে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি, তা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোনো গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশে এলে আমরা তাদেরও চিকিৎসা সেবা দিতে সচেষ্ট হব।
নেপালের রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে নেপালের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে নেপাল-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পর্যটন খাত তৈরি করা বিষয়েও তারা আলাপ করেন।
সাক্ষাৎকালে, দুই দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো, চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা হয়।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
সীমান্তে উত্তেজনা: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে যা বলল ঢাকা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যা ঘটছে তা 'পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আজ তলব করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ তার সরকারের কাছে জানাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বাংলাদেশিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের মর্টার শেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আসছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে মর্টার একটি বাড়িতে শেলের আঘাত হানলে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার সকালে) ২২৯ জন বিজিপি সদস্য ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহত বিজিপি সদস্যদের কক্সবাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন এ ধরনের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়।
এর আগে আজ সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে একমত মোদি-শি জিনপিং
নয়া দিল্লিতে বিমসটেক অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এর উদ্বোধন
ভারতের কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর নেপালের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী দিগ বাহাদুর লিম্বুর উপস্থিতিতে ৬ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিমসটেক অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
যা বিমসটেক কাঠামোর মধ্যে আয়োজিত প্রথম ক্রীড়া আয়োজন।
নয়া দিল্লির ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সুইমিং পুল কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত বিমসটেক অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এ বিমসটেকের ৭ সদস্য দেশের ৪ শতাধিক ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।
বিমসটেকের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে এই চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে ক্রীড়া ও অন্যান্য যুব ইভেন্ট আয়োজনের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতার মনোভাব জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে ভারত বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ আয়োজন করছে।
বঙ্গোপসাগর অঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম তরুণ জনসংখ্যার আবাসস্থল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অঞ্চলটি সারা বিশ্বে ক্রীড়া প্রতিভার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেতু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এই অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর একটি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় মেলবন্ধন রয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়ারও অংশ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বিমসটেকের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে শিগগিরই যোগ দেবেন ভারতের ইন্দ্র মণি পান্ডে
সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মেলিন্ডা গেটসের অভিনন্দন
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদের সূচনা করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমরা এসডিজি ও সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় সমর্থন অব্যাহত রাখার আশা করছি।’
তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উদাহরণে পরিণত হতে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘… এবং আমরা আপনাদের দূরদর্শী ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগসহ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি লক্ষ্য অর্জনে চলমান সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদের ফাউন্ডেশন এটুআই ও আইসিটির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে এবং আমরা আপনাদের ২০৪১ সালের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।’
মেলিন্ডা বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের কথাও ফাউন্ডেশন সমর্থন করে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ধানের প্রজনন আধুনিকায়ন ও উৎপাদনশীলতা ধরে রাখতে আমরা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করছি।’
তিনি পুষ্টি বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন এবং জাতীয় খাদ্য ও নিরাপত্তা নীতি ২০২০-২০৩০ পাস করায় সরকারকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে পুতিনের অভিনন্দন
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে একটি বাড়িতে সোমবার মর্টার শেল এসে পড়ায় এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
নিহতদের একজনের নাম বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫০) এবং অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল মার্কিন দূতাবাস
মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল মার্কিন দূতাবাস
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং চলমান সংঘাতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় অন্যদের মতো তারাও বেশ উদ্বিগ্ন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন এফ ইবেলি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। স্পষ্টতই আমরা বেশ উদ্বিগ্ন, যেমনটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। আমরাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি।’
তরুণ সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন করতে বাংলাদেশে প্রথমবার আয়োজিত টেক ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা অর্থনীতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এক নম্বর বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগকারী এবং বাংলাদেশ থেকে পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানির ক্ষেত্রে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েই এটি ইঙ্গিত দেয় এবং এও ইঙ্গিত দেয় যে আমরা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে অংশীদার হওয়ার চেষ্টা করি।’
আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সাংবাদিকরা সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: মার্কিন দূতাবাস
কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের হাইকমিশনার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
বৈঠকে দুই দেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ সময় মো. আব্দুস শহীদ ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও বীজ উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় সীমান্তমুক্ত বীজের প্রস্তাব দেন তিনি।
এছাড়া সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতেও মাঝে মধ্যে কোনো কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় বা স্পেশাল এক্সেমশন দেওয়া হয়ে থাকে।
এ সময় কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
শিগগিরই উচ্চ পর্যায়ের সাইন্টিফিক ভিজিটের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাইকমিশনার।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল, কখনো মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসাবে ভারতে আছি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী আরও বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা ফসলের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারব। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি গবেষণায় আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে আমরা কৃষি গবেষণার সুযোগসুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রেক্টরের বৈঠক
ইন্দো-প্যাসিফিকে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বেলজিয়ামে গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ইইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে অংশ নিয়ে দেশে ফিরে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফোরামে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষা বিষয়ে বক্তৃতার দিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, ইইউ কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস ও কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এবং ভিয়েতনাম, বেলজিয়াম, চেক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, পর্তুগাল, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
লিবিয়া ও থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
এর আগে সোমবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুলমুতালিব এস সুলাইমান এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠকে লিবিয়ার পুনর্গঠনে বাংলাদেশ পাশে থাকবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে বাংলাদেশি ডাক্তার, নার্স, প্রকোশলী, কৃষিবিদসহ দক্ষ পেশাজীবী ও জনশক্তি এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের সুযোগের বিষয়ে আলাপ করেন।
থাই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট, চট্টগ্রাম-ইয়াঙ্গুন কোস্টাল শিপিং, ওষুধ, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি, এলএনজি আমদানি বিষয়ে আলোচনা করেন ড. হাছান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে দেশটির সীমান্ত পুলিশের আরও ৩৭ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হাছান বলেন, ‘আকাশ পথে নাকি সড়ক পথে তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন, মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এর আগে ভারতীয় ভূখণ্ডেও ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের আকাশ পথে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আমরাও তাদের ফেরত পাঠাব।’
সীমান্ত সুরক্ষা ও এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে। সকাল পর্যন্ত ৯৫ জন রেজিস্টার্ড হয়েছে। তারা তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ফলে তৃতীয় পক্ষ ডাকার সুযোগ নেই।’
'বাইডেনের চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লেখা চিঠিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লেখা চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে যাবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আর কোনো 'অস্বস্তি' নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন।
তিনি একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যসমূহে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে চান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।'
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ