���������������������-���������������������
মেক্সিকোর কেরেতারো রাজ্যে ‘বাংলাদেশ ইন ফ্রেমস’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন
মেক্সিকোর কেরেতারো রাজ্যের স্বনামধন্য শিল্প জাদুঘরে ৮ সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইন ফ্রেমস’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে কেরেতারোর সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রথম মাইলফলক উন্মোচিত হলো।
এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত প্রথমে মেক্সিকো সিটিস্থ রিফর্মার পাসেও দে লাস কালচারাল আমিগাস সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রদর্শনীটি মেক্সিকোর কোলিমা রাজ্যস্থিত কোলিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ক্যাম্পাসে প্রদর্শিত হয়। বর্তমানে প্রদর্শনীটির তৃতীয় পর্বটি কেরেতারো রাজ্যে এ বছরের ১২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়নসহ জাতীয় উন্নয়নের অগ্রযাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৪১টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। প্রখ্যাত আলোকচিত্রী মুস্তাফিজ মামুন ও আব্দুল মোমিনের একাধিক আলোকচিত্র উক্ত প্রদর্শনীতে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ‘নিনইয়ো- আর্ট অ্যান্ড বিউটি অব জাপানিজ ডলস’ প্রদর্শনী ২ ফেব্রুয়ারি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাদুঘরের পরিচালক আন্তোনিও আরেইয়ে বারকুয়েত, কেরেতারো রাজ্যের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সরকারি উদ্ভাবনের সমন্বয়ক নুরী গঞ্জালেজ রিভাস এবং সাংস্কৃতিক সচিব মার্সেলা হারবার্ট পাস্কেরাসহ প্রায় ৩০ জন স্থানীয় অতিথিদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম প্রদর্শনীটির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরিচালক আন্তোনিও আরেইয়ে বারকুয়েত তার বক্তব্যে বলেন, এই প্রদর্শনীটির মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কেরেতারোর স্থানীয় সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হলো।
এ সময় তিনি দুই দেশে্র মধ্যেকার সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
কেরেতারো রাজ্যের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সমন্বয়ক নুরি গঞ্জালেস দূতাবাসের সকল উদ্যোগে তার সরকারের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যেকার সাংস্কৃতিক যোগাযোগের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
সাংস্কৃতিক সচিব মার্সেলা হারবার্ট পাস্কেরা রাষ্ট্রদূতকে এই উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং লেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি ও জীবন ব্যবস্থা দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম কেরেতারোর স্থানীয় সরকার ও জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান, যা দ্বিপক্ষীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরো গভীরতর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রদূত ইসলাম আগতদের বর্ণনা সহকারে প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘আমার শহর, আমার খাবার’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারীদের জন্য জাতিসংঘ ও সহযোগী সংস্থাগুলোর ৮৫২.৪ মিলিয়ন ডলার আহ্বান
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও এর অংশীদার মানবিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের সুরক্ষা ও সহায়তায় আজ বুধবার (১৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের, যাদের বেশির ভাগই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছিলেন ৭ বছর আগে।
বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের জন্য ২০২৪ সালের কর্মকাণ্ডের যৌথ পরিকল্পনা বা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) আজ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণ মিলিয়ে মোট ১৩ দশমিক ৫ লাখ মানুষের সহায়তায় এতে ৮৫২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ
এতে আরও বলা হয়, কর্ম-পরিকল্পনাটি ও আনুষঙ্গিক আর্থিক চাহিদা আজ জেনেভায় দাতাদের সামনে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক এমি পোপ।
মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের এই সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি এবং শরণার্থীদের সুরক্ষা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
যৌথ কর্ম-পরিকল্পনায় যুক্ত থাকছে ১১৭টি সংস্থা, যার প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশি। এর লক্ষ্য কক্সবাজার ও ভাসান চরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ৩ লাখ ৪৬ হাজার স্থানীয় জনগণকে খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি, সুরক্ষা পরিষেবা, শিক্ষা, জীবিকামূলক কাজের সুযোগ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সহায়তা করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ রোহিঙ্গা পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং তারা মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল। এই শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু; আর তারা শোষণ ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন টেকসই সহায়তা। পুরো শরণার্থী জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বয়স ১৮-এর নিচে; যাদের শিক্ষা, দক্ষতা- উন্নয়ন ও জীবিকামূলক কাজের সুযোগ সীমিত।
আরও পড়ুন: আন্দামান সাগরে দুর্ঘটনাকবলিত রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আঞ্চলিক উদ্যোগের আহ্বান ইউএনএইচসিআরের
এই মানবিক সংকটটি যখন বৈশ্বিক মনযোগ হারিয়ে ফেলেছে, তখন ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগণ ও দাতব্য সংস্থাগুলোর প্রয়োজন টেকসই আন্তর্জাতিক সমর্থন।
বিগত বছরগুলোর অপর্যাপ্ত তহবিল মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষদের জীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। তারা তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে, আর তাদের সমস্যা আরও প্রকট হওয়ার আশংকা রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত জনবহুল শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জীবন পুরোপুরিই অনিশ্চিত, আর তারা মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ক্যাম্পে শরণার্থীদের শিক্ষা, দক্ষতা-প্রশিক্ষণ ও জীবিকামূলক কর্মকাণ্ডের সুযোগ সৃষ্টিতে বিনিযোগসহ জীবন রক্ষাকারী ও জীবন ধারণে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।
মৌলিক চাহিদা মেটাতে সংগ্রামরত শরণার্থীদের জন্য এই তহবিল একান্ত প্রয়োজন, এবং এটি হবে তাদের জন্য সীমিত মানবিক সহায়তার পরিপূরক। গত বছরের ডিসেম্বরে জেনেভায় গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে দেওয়া প্রতিশ্রুতিসমূহ নিশ্চিতভাবে পূরণ করার জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ানোর প্রয়াস, যা তাদের একটি সুস্থ জীবনের আশা জাগিয়ে রাখবে ও সমুদ্রে বিপজ্জনক ভ্রমণের তাদের নিরুৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: সরকার ও সুশীল সমাজের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চান ইউএনএইচসিআর’র নতুন প্রতিনিধি
জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করা লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সে উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে কুয়ালালামপুরে পাইরেসি রিপোর্টিং সেন্টার, নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার, যুক্তরাজ্য মারিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) এবং এশিয়ায় দস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে সাংবাদিকরা গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কোম্পানির মোজাম্বিক থেকে দুবাইগামী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ দখল ও ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিককে বন্দি করার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
তিনি আরও বলেন, ‘ঐ অঞ্চলে চলাচলরত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের জাহাজগুলোকেও বাংলাদেশের জাহাজটির অবস্থা রিপোর্ট করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কনসার্ন এবং মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচিত হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘জলদস্যুদের সঙ্গে কোনো 'ফরমাল' যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। অন্য পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি নিয়ে তৎপর রয়েছে। ইতোপূর্বেও একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ এবং ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।’
এর আগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ঢাবি সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডিভালপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসবে বক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।
আরও পড়ুন: জিম্মি নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
‘ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীর জন্য বিনিয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় জাতির সমৃদ্ধির জন্য নারীর উন্নয়ন ও কল্যাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির আত্মিক উন্নয়নে নিবেদিত। আর এ জন্য নারীর আত্মিক উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তেমনি অর্থনৈতিক, কারিগরি, ডিজিটাল উন্নয়নও প্রয়োজন।
এই সরকার নারীবান্ধব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী, অনেক ডিসি, এসপি, ইউএনও আজ সারা দেশে কর্মরত, যা দু'দশক আগে কেউ ভাবেনি।’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ এলায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের প্রেসিডেন্ট নাসিম ফিরদাউস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ ডিভালপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ঢাবি সমাজকল্যাণ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
বাংলাদেশে আসছেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ১৮ থেকে ২১ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন।
গত বছরের অক্টোবরে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক মিশন।
জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএনডিপির এক্সটার্নাল রিলেশনস অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির পরিচালক উলরিকা মোদে ক্রাউন প্রিন্সেসের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম স্বল্পোন্নত দেশ থেকে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে গেছে। আমরা চরম দারিদ্র্য হ্রাস, নারী অধিকার জোরদার এবং জলবায়ু অভিযোজন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটালাইজেশনের মতো ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখেছি।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘ইশারায় ভাষা শিক্ষার অভিধান’ চালু করল ইউএনডিপি
উলরিকা মোদে বলেন, একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং এখনও অনেক উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘ক্রাউন প্রিন্সেসের এই সফর বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং একটি স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে অংশীদারিত্ব জোরদারের এক অনন্য সুযোগ।’
ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে থাকবেন সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী জোহান ফরসেল।
সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, তরুণ শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতা এবং জাতিসংঘ সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
ক্রাউন প্রিন্সেস বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল উন্নয়নের ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করতে এবং সরকার ও ইউএনডিপি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে গৃহীত উদ্যোগগুলো ঘুরে দেখবেন।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইউএনডিপির প্রচারাভিযান
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তার বিষয়টিও তুলে ধরা হবে সফরে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার স্থায়িত্ব, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু কর্ম এবং সমতার জন্য একটি দীর্ঘ এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইউএনডিপিতে ক্রাউন প্রিন্সেসকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত উন্নয়ন মডেল প্রচারে আমাদের প্রচেষ্টা প্রদর্শন করার সুযোগ পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। যা সবার জন্য একটি সবুজ, আরও স্থিতিস্থাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে কার্যকরভাবে অবদান রাখবে।’
এই ভূমিকায় ক্রাউন প্রিন্সেস টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেখানে কেউ পিছনে পড়ে থাকবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি-ইউএনএফপিএ-ইউএনওপিএসের প্রথম আঞ্চলিক অধিবেশন সমাপ্ত
চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দা ও নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় শ্রম সম্পর্ক তৈরির জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০তম গভর্নিং বডির অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকারের গৃহীত রোড ম্যাপ (২০২১-২৬) এর আলোকে আইনগত সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রম সংক্রান্ত পরিদর্শন এবং শ্রমিকদের অন্যান্য অধিকার- এ চারটি ক্ষেত্রে শ্রম সংস্থার অধিবেশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন মন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন বিলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, ইউনিয়নের প্রতি অনায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিনগুণ করা, শিশু শ্রমের শাস্তি চারগুণ করার বিধান রাখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইএলও’র পরিচালনা পরিষদের উপ সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
আইনমন্ত্রী প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে এবং নৌ পরিবহন খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনা সহজীকরণ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপিল আবেদন সহজীকরণ সংক্রান্ত বিধান সংযুক্ত করার কথা উল্লেখ করেন।
প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিভিন্ন কনভেনশনের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে বলে তিনি অধিবেশনকে অবহিত করেন। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে শ্রম আইনের সংশোধন বিল আকারে উপস্থাপিত হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন চালু করা, প্রাক-আবেদন সেবা চালুকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
এর ফলে তৈরি পোশাক খাতে গত ৯ বছরে নিবন্ধন নয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমানে প্রায় ত্রিশ লাখ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনভুক্ত আবেদনের সফলতার হার গত চার বছরে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, কারখানা পরিদর্শকের পদ আড়াইগুণ বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় পরিদর্শন মডিউল চালু করা, পরিদর্শকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শনে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। কেবল ২০২৩ সালের শেষ ছয় মাসে বিশ হাজারেরও বেশি পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি তথ্য প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: অভিবাসী কর্মীদের শ্রমশক্তিতে পুনঃএকত্রীকরণে বাংলাদেশ ও আইএলও’র চুক্তি সই
একই সঙ্গে ইপিজেডগুলোতে নিজস্ব উন্নত পরিদর্শন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরও পরিদর্শন শুরু করেছে। ছয়টি নতুন শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার ফলে বর্তমানে মোট ১৩টি শ্রম আদালত কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি সেল চালু করা হয়েছে যা অদ্যাবধি প্রাপ্ত ৯০ শতাংশের বেশি সালিশ
আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে। শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ সহজে দায়ের করার জন্য সরকারের চালু করা হেল্পলাইন সফলভাবে কাজ করেছে বলে তিনি জানান।
ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের প্রতি বৈষম্য বন্ধের লক্ষ্যে সরকার গত তিন বছরে প্রায় ছত্রিশ হাজার শ্রমিক, ব্যবস্থাপক, মালিক, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী, আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। সরকার এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
অধিবেশনে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থার সাধিত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রশংসা করে আইএলও গভর্নিং বডির অধিকাংশ সদস্য বক্তব্য দেন। এগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে সুপারভাইজরি বডিদের সংশ্লিষ্টতায় আইএলও-এর কারিগরি সহায়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের মূলে লিঙ্গ বৈষম্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
কীভাবে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে লিঙ্গ বৈষম্য করা হয় এবং কীভাবে নারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যের ফলাফলগুলোকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে তা ব্যাখ্যা করে ‘স্বাস্থ্য ও যত্নের জন্য ন্যায্য ভাগ: লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজের অবমূল্যায়ন’ শীর্ষক নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বল্প বিনিয়োগের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। ফলে এতে দেখা যায় যে অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজের একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে ও মজুরিভিত্তিক শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ হ্রাস পেয়েছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং লিঙ্গ সমতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বব্যাপী বেতনভোগী বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের ৬৭ শতাংশই নারী। এই অর্থ প্রদানের কাজ ছাড়াও, এটিতে অনুমান করা হয়েছে যে নারীরা সমস্ত অবৈতনিক সেবা কার্যক্রমের আনুমানিক ৭৬ শতাংশ সম্পাদন করেন।
বুধবার(১৩ মার্চ) জেনেভা থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নারীদের দ্বারা পরিচালিত কাজগুলোর বেতন কম এবং কাজের পরিবেশ খারাপ থাকে।
প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে কম বেতন এবং চাহিদাযুক্ত কাজের পরিবেশ সাধারণত স্বাস্থ্য ও যত্ন খাতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
প্রাথমিকভাবে নারীদের দ্বারা সম্পাদিত পরিচর্যার কাজের অবমূল্যায়ন, মজুরি, কাজের পরিবেশ, উৎপাদনশীলতা এবং খাতের অর্থনৈতিক পদচিহ্নকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে কয়েক দশকের দীর্ঘস্থায়ী স্বল্প বিনিয়োগ যত্নের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী সংকটকে বাড়িয়ে তুলছে।
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার (ইউএইচসি) দিকে অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সাড়ে ৪ বিলিয়ন মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার পূর্ণ কভারেজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, নারীরা আরও বেশি অবৈতনিক যত্নের কাজ গ্রহণ করতে পারে।
দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষতিকর প্রভাবের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজ যত্নশীলদের স্বাস্থ্য এবং পরিষেবার মানকে আরও চাপে ফেলছে।
ডব্লিউএইচও'র হেলথ ওয়ার্কফোর্সের পরিচালক জিম ক্যাম্পবেল বলেন, 'ফেয়ার শেয়ার' প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজে লিঙ্গ-সমতাভিত্তিক বিনিয়োগ স্বাস্থ্য ও যত্নের মূল্যকে পুনরায় সেট করবে এবং ন্যায্য ও আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিকে চালিত করবে। ‘আমরা নেতা, নীতি-নির্ধারক এবং নিয়োগকর্তাদের বিনিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি: স্বাস্থ্য ও যত্নের জন্য ন্যায্য ভাগের সময়।’
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজকে আরও ভালভাবে মূল্য দেওয়ার জন্য নীতি ও সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে:
১. সব ধরণের স্বাস্থ্য এবং যত্নের কাজের জন্য কাজের অবস্থার উন্নতি করুন, বিশেষত অত্যন্ত নারীদের পেশার জন্য।
২. বেতনভুক্ত শ্রমশক্তিতে নারীদের আরও ন্যায়সঙ্গতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের কাজের পরিবেশ এবং মজুরি বৃদ্ধি করা এবং সমান মূল্যের কাজের জন্য সমান বেতন নিশ্চিত করা।
৪. যত্নের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা, মানসম্পন্ন যত্নের কাজকে সমর্থন করা এবং যত্নশীলদের অধিকার ও কল্যাণ বজায় রাখা।
৫. নিশ্চিত করুন যে জাতীয় পরিসংখ্যান সমস্ত স্বাস্থ্য এবং যত্ন কাজের জন্য হিসাব, পরিমাপ এবং মূল্য দেয়।
৬. অবৈতনিক পরিচর্যা কাজের বোঝা কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করুন।
স্বাস্থ্য ও যত্ন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ কেবল ইউএইচসি-র অগ্রগতিকেই ত্বরান্বিত করে না, তারা অবৈতনিক স্বাস্থ্য ও যত্নের কাজকে পুনর্বণ্টন করে।
যখন নারীরা বেতনভুক্ত স্বাস্থ্য ও যত্ন কর্মসংস্থানে অংশ নেয়, তখন তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হয় এবং স্বাস্থ্যের ফলাফল আরও ভাল হয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সব ধরনের স্বাস্থ্য ও সেবার কাজে স্বীকৃতি, মূল্য এবং বিনিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ছুটিতে জনসমাগম ও নতুন ভ্যারিয়েন্টে ডিসেম্বরে করোনায় অন্তত ১০ হাজার জনের মৃত্যু: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে ভারত: প্রণয় ভার্মা
১৯৭২ সালের ১২ মার্চ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিদায় অনুষ্ঠানের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনারের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থনকে স্মরণ করতে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অকুণ্ঠ সমর্থনের কাহিনীর অন্যতম ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই স্মরণীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
ভার্মা বলেন, আমাদের উভয় দেশের তরুণ প্রজন্ম যেন আমাদের অভিন্ন ইতিহাসকে আত্মস্থ করতে পারে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যৌথ ত্যাগের স্মৃতি ও উত্তরাধিকার সংরক্ষণ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
হাইকমিশনার দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ভারত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে ছিল এবং একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল জাতি গঠনে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে তাদের পাশে থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত: রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা
দ্বৈত কর এড়াতে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের নতুন চুক্তি সই
দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নতুন একটি চুক্তি সই হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং নেদারল্যান্ডসের কর ও কর প্রশাসনমন্ত্রী এমএলএ ভ্যান রিজ নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
এরই মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিক রীতিনীতিতে নানা পরিবর্তন এসেছে, যেমন ওইসিডি মডেল বা জাতিসংঘের মডেল।
এছাড়া স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন চুক্তিতে ৩৩টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে করের পরিধি বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, আবার নতুন বিষয় উৎপত্তির জন্য কিছু নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে।
চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলা হয়েছে, নতুন চুক্তিতে বিদ্যমান বিধান সংশোধন করে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং কারিগরি সেবা ফি সংযোজনের ফলে সেবার বিপরীতে সেবা ও বিল পরিশোধের ওপর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে কর আদায় নিশ্চিত করা হবে।
নতুন চুক্তিতে শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনী মুনাফা বাংলাদেশে করযোগ্য বলে বিধান রাখা হয়েছে। ফলে উৎস দেশে বাংলাদেশের অর্জিত মূলধনী মুনাফা থেকে কর আদায় করা সম্ভব হবে।
বিদ্যমান চুক্তির কোনো অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত নয় এমন কোনো আয়ের ক্ষেত্রে করদাতার উপর তার নিজ দেশে কর আরোপের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় নতুন চুক্তিতে সংশোধন করে করদাতার এ ধরনের আয় যে দেশে উৎপন্ন হয়, সেখানে করারোপ করা হয়েছে।
দাবি করা কর আদায়ে সহায়তার জন্য একটি অনুচ্ছেদ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ উভয় রাষ্ট্রকে রাজস্ব আদায়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। নেদারল্যান্ডসের ১৫টি অংশীদার দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডে ২০০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। দেশটি বাংলাদেশের নবম বৃহত্তম রপ্তানি অংশীদার।
বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিটওয়্যার, ওভেন, গার্মেন্টস, গলদা চিংড়ি, জুতা, টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য এবং বাইসাইকেল।
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডস থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শাকসবজি, প্রস্তুতকৃত খাদ্য উপাদান, জীবন্ত প্রাণী (পশু ও পাখি), খনিজ, রাসায়নিক, ওষুধ, জৈব রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও রাবারসহ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) দিক থেকে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান চতুর্থ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডস।
জ্বালানি, বাণিজ্য, চামড়া খাত, চামড়াজাত পণ্য ও সিমেন্ট খাতে নেদারল্যান্ডসে বিনিয়োগ বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অসঙ্গতি দূর করতে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সংশোধনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস নতুন চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, অর্থ সচিব, নেদারল্যান্ডসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সোনজা কুইপ।
আরও পড়ুন: ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে ১৭৫০০ করোনা শনাক্তকারী কিট দিয়েছে জাপান
বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) কাছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেছেন।
জাপান সরকার ও এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশনের (এএসইএফ) অর্থায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) পরিচালিত স্টকপাইল প্রকল্পের অধীনে এই টেস্টিং কিটগুলো সরবরাহ করা হয়।
জাপান সরকার, বাংলাদেশ সরকার, বিডিআরসিএস এবং আইএফআরসিকে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য নতুন বিস্তার হওয়া সংক্রামক রোগের (ইআইডি) প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাস্তবায়নের জন্য ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতিতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
‘কোভিড-১৯ এবং নতুন করে হওয়া অন্যান্য সংক্রমণ রোগের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার মোট ১৭ হাজার ৫০০টি টেস্টিং কিট হস্তান্তর করা হয় যেগুলো অন্তত ১৭ হাজার ৫০০ বাংলাদেশির কাছে পৌঁছানো হবে।
জাপান সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির নাম কোভিড-১৯-এর সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু এবং কলেরার মতো অন্যান্য রোগের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সহায়তা করবে। প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের মাধ্যমে দেশটিতে রোগগুলোর মাত্রা হ্রাস করা হবে।
এর আগে সোমবার ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিডিআরসিএসের মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আইএফআরসির প্রতিনিধিদলের প্রধান আলবার্তো বোকানেগ্রা, ডিজিএইচএসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ ডিজিএইচএসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ: ইআইবি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী
জাপান ২০২১ সালের জুলাই থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এবং প্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডোজ দান করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সমর্থন করার জন্য ২০২০ সাল থেকে ৭৫ বিলিয়ন জাপানি মুদ্রা দিয়ে কোভিড-১৯ ক্রাইসিস রেসপন্স ইমার্জেন্সি সাপোর্ট লোনও চালু করে।
এছাড়া জাপান জানিয়েছে, মানব নিরাপত্তার জন্য হুমকি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ‘কারো স্বাস্থ্যকে পিছিয়ে না রাখার’ নীতির ভিত্তিতে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: উপহার হিসেবে চীন থেকে ভ্যাকসিনের ৬ষ্ঠ চালান পেয়েছে বাংলাদেশ
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও যেসব সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, আগের মতোই তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দিন দুপুর পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিল তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ১৭৯
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনও ডাকা হয়নি।