%E0%A6%B0%E0%A6%82%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে বেশি দামে আলু বিক্রি হাওয়ায় এবং বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে আলু নিয়ে একটি ট্রাক প্রবেশের মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। এতে দাম অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, এখন আলুর ভরা মৌসুম। তারপরেও দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এই অবস্থায় সরকার সামনে রোজায় বাজার স্বাভাবিক রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আলু আমদানি শুরু হওয়ায় আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে বুধবার আলু আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। ওই দিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৪৯ আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
তাই শনিবার ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
গাইবান্ধায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ডাঙ্গার বিল নামক স্থান থেকে লাশটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ধারণা করছে, মৃত ব্যক্তির বয়স ৪০ বছরের আশেপাশে হতে পারে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় বর্মা বলেন, স্থানীয়রা আজ (শনিবার) সকালে শীতল গ্রাম এলাকার ডাঙ্গার বিলে শুধু জ্যাকেট পরিহিত পুরুষের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
লাশের পরিচয় জানতে চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
ভরা মৌসুমেও দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে আবারও ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
হিলি স্থলবন্দরের ৪৯ আমদানিকারক বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৩৪ হাজার টন আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভারত থেকে আলু আমদানি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: হিমাগার পর্যায়ে নির্ধারিত ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানালেন, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে আবারও আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বুধবার আমিসহ বন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। বৃহস্পতিবার থেকে অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া শুরু করে দপ্তর। শনিবার-রবিবার থেকে আমদানি শুরু হবে। আমদানি শুরু হলে আলুর কেজি ২০-২৫ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে বুধবার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। ওই দিন থেকেই অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৪৯ আমদানিকারক ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার পর ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আশিকুর রহমান মোল্লা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের টেক্সটাইল এলাকার মোল্লাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
নিহতরা হলেন— আশিকুর রহমান মোল্লার স্ত্রী তহুরা বেগম (৩৫), তার দুই মেয়ে আয়শা আক্তার (৮) ও জেরিন আক্তার (৫)।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার পর ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আশিকুর। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার গোলাম সবুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, মাদকাসক্ত ও ঋণগ্রস্ত ছিলেন আশিকুর রহমান মোল্লা। এ কারণেই হয়তো তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
২০২৩ সালে সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১৩ শিক্ষার্থী: আঁচল ফাউন্ডেশন
ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল দুই দশক ধরে বন্ধ
ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর থেকেই পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, তখন থেকেই ঝুলছে তালা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শহরে যানজট কমানোসহ যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ঘটা করে উদ্বোধনও হয়। এরপর ২০ বছর পার হলেও যাত্রীদের কোনো কাজেই আসেনি দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টার্মিনালটি।
দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এখন তা হয়ে পড়েছে ব্যবহার অনুপযোগী। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই এর জন্য দায়ী করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ৫ বিঘা জমির উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় বাস টার্মিনালটি। তৎকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এ টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। এরপর আর ব্যবহার করা হয়নি এটি।
আরও পড়ুন: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ী কাউন্টার বসিয়ে বিক্রি করছেন বিভিন্ন রুটের বাসের টিকিট। অথচ টার্মিনালটিতে টিকিট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, শপিংস্টোর ও বসার ব্যবস্থাসহ সাধারণ যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে। এত সুবিধা থাকার পরও রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে বাসে ওঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালটি ব্যবহার না হওয়ায় ভবনের ভেতর নেশাখোর ও ভবঘুরেদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় শিগগিরই টার্মিনাল সংস্কার করে তা চালুর দাবি যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, ঠাকুরগাঁও জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি জনশূন্য। দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও তা তালাবদ্ধ। পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ভবনের চারপাশ। ভেঙে পড়েছে দরজা-জানালা। ভেতরে বেশ কয়েকটি বিকল বাস ফেলে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
দিনাজপুর-পঞ্চগড়ের যাত্রীরা বাসে ওঠানামা করছেন ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে। স্থানীয়রা জানান, টার্মিনাল থাকার পরও ঝুঁকি নিয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রীরা ওঠানামা করছেন। এতে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অথচ টার্মিনাল নির্মাণের পর দুই দশক পার হলেও তা চালু হয়নি এখনো। এর পেছনে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা বিভিন্ন কাজে নিয়মিত ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। টার্মিনালে বাস না থাকায় বাসের জন্য দীর্ঘ সময় সড়কের পাশে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এ সময় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও সে উপায় নেই।
টার্মিনাল বিষয়ে বাস মালিক সমিতির নেতারা কথা বলতে রাজি না হলেও উপজেলা প্রশাসন জানালেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি দ্রুত চালু করতে বাস মালিক ও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা চাই যেন এর যথাযথ ব্যবহার হয়। সাধারণ মানুষ যেন সেবা পায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সিলেটে আধুনিক বাস টার্মিনালের উদ্বোধন এ মাসেই
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে গৌরাঙ্গ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পীরগঞ্জ পৌর রেল স্টেশনের উত্তরে জগথা ফকিরপাড়ার ৪৫২ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিরামপুরে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
নিহত যুবক গৌরাঙ্গ রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহার চৌরঙ্গী গ্রামের প্রভাতের ছেলে এবং পেশায় রাজমিস্ত্রি।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি পীরগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালে জগঁথা এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
ওসি আরও জানান, তবে এটি আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর খাদে পড়ে কিশোর নিহত
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ট্রাক্টর খাদে পড়ে শহিদুল ইসলাম (১৩) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ১ নম্বর দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝগড়ার চরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরে শহিদুল ওই ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ইউনিয়ের ঝগড়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এসময় ট্রাক্টরের উপরে থাকা কিশোর শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দাঁতভাঙা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
সাভারে গাছের সঙ্গে পিকাপ ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২
কুড়িগ্রামে ৩টি বন বিড়াল ছানা উদ্ধার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সুবলপাড় বাজার এলাকার বাসিন্দারা তিনটি বনবিড়ালে ছানা উদ্ধার করে বিপাকে পড়েছে।
দুই দিন ধরে কার্টুনে ছানা তিনটি রাখা হয়েছে। মানুষের উপস্থিতি টের পেলে নিজেদের লুকানোর চেষ্টা করে ছানাগুলো।
স্থানীয়রা জানান, কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় বাজার এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহম্মেদ মিলনের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে মা বনবিড়াল আস্তানা গেড়েছে। সেখানে ছানা তিনটি প্রসব করেছে। রবিবার সকালে ঘরটি মেরামতের জন্য ভাঙা হলে ছানা তিনটি দেখতে পাওয়া যায়। পরে তা স্থানীয় যুবকেরা উদ্ধার করে। দুই দিন থেকে ছানা তিনটি নিয়ে বিপদে পড়েছে তারা। স্থানীয় প্রশাসন ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পাবনায় মা-ছেলের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় যুবক আমিনুল ইসলাম তোহা ও রানা মিয়া জানান, বাচ্চা তিনটি রাখাও সমস্যা। এরা কী খায় তাও জানা নেই। দুই দিন হলো এরা অভুক্ত। স্থানীয় প্রশাসন ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও সুরাহা হচ্ছে না। আর এগুলোকে ছেড়েও দেওয়া যাচ্ছে না। বাজার এলাকা হওয়ায় বহু কুকুরের আনাগোনা রয়েছে। কুকুর এগুলোকে মেরে ফেলতে পারে।
নাগেশ্বরী উপজেলা বন কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, বনবিড়ালের বাচ্চাগুলো যেখান থেকে পাওয়া গেছে সেখানে ছেড়ে দিতে হবে। যাতে তার মা এসে নিয়ে যেতে পারে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, বন বিড়ালের তিনটি ছানা উদ্ধারের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এগুলো যেহেতু ছোট তাই দূরে নিয়ে আসা যাবে না। যেখানে পাওয়া গেছে তার আশেপাশে সন্ধ্যায় এদের ছেড়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
গুলিতে নিহত রবিউলের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
গুলিতে নিহত রবিউল ইসলাম ওরফে টুকলুর লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার তিনবিঘা করিডোরে নিহতের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতের পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে রবিউলের লাশ বিএসএফের মাধ্যমে দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। লাশ গ্রহণের পর তা নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
এর আগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় রবিবার বিকালে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোর ৪টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গরপোতা বিওপি সীমান্তের ১ নম্বর মেইন পিলারের কাছাকাছি ভারতীয় অংশে বিএসএফের একটি টহল দলের গুলিতে নিহত হন রবিউল। পরে বিএসএফের সহযোগিতায় কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গোরপোতা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে ঘটনাটি ঘটে। নিহত রফিউল ইসলাম টুকলু (৩৩) দহগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে ভারত-বাংলাদেশের ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল সীমান্তের ডিএমপি ১ নম্বর প্রধান পিলারের ১ নম্বর উপ-পিলারের কাছ দিয়ে প্রসাধনী সামগ্রী পারাপারের চেষ্টা করতে থাকে। এ সময় ভারতের ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অর্জুন কোম্পানি সদরের উমর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের দেখে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দহগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে রফিউল ইসলাম টুকলু গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
বিএসএফের সদস্যরা টুকলুর লাশ সীমান্ত হতে ভোরেই ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। পরে বিএসএফের সহায়তায় সকাল ১১টায় কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ তাদের হেফাজতে নেয়।
দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নিহতের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘টুকলুদের বাড়ি সীমান্তের কাছেই। তাদের বাড়িতে গিয়েছি। পরিবার বলছে চিনি আনতে গিয়েছিল। এ সময় বিএসএফের গুলিতে তার (টুকলুর) মৃত্যু হয়েছে।’
বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান বলেন, ‘ভারতের ১ থেকে দেড়শ গজ অভ্যন্তরে বাংলাদেশি যুবক টুকুলু নিহত হয়। তার লাশ বিএসএফের উমর কোম্পানি সদরে বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের জন্য কথা বলেছি। তারা (বিএসএফ) জানিয়েছে- ময়নাতদন্ত করে লাশ ফেরত দেবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত