রংপুর
কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলাজুড়ে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি এবং শুক্রবার সকালে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গত ১০ থেকে ১২ বছরে জেলায় এত শীত পড়েনি। এ ধরনের তাপমাত্রা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে যে কোনো জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শীতের এমন পরিস্থিতিতে সব পেশা ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে কাজের অভাব, অন্য দিকে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে
কুড়িগ্রামের হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, গত ৮ থেকে ১০ বছরে কুড়িগ্রামে এমন পরিস্থিতি দেখিনি। শীতের সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস।
তিনি আরও বলেন, এ বছর শীতের চিত্রটা ভিন্ন। আজও শুক্রবার সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, আমরা বয়স্ক মানুষ আমাদের হাঁটতে চলতে খুব সমস্যা হয়।
কাঁঠালবাড়ি সিনাই গ্রামের মোজা মিয়া বলেন, কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা পড়ায় কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আজ শুক্রবারও ঠান্ডা খুব বেশি।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
তিনি আরও বলেন, হাত বরফ হয়ে যাচ্ছে। পানি, ইট, সিমেন্টের কাজ করা খুবই কষ্টের। নেই গরম কাপড়। কেউ একটা কম্বলও দিল না।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি পর্যবেক্ষনাগার ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অফিসটি।
কুড়িগ্রামে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হয়েছে। এ অবস্থায় অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের গোলজার হোসেন বলেন, ‘আজ অনেক কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, সেই সঙ্গে খুব ঠান্ডা। আমরা বয়স্ক মানুষ, আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।’
একই এলাকার হোটেল শ্রমিক শাহিন আলম বলেন, ‘কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা, আমার কাজ করা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যতই শীত ও ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ করাই লাগে আমাদের।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সরকার জানান, ‘আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
কুড়িগ্রামে বিলুপ্তপ্রায় ৩টি তক্ষক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকা থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির তিনটি তক্ষক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তক্ষক বেচা-কেনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে কচাকাটা থানাধীন বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া পালপাড়া গ্রামের মো. মনির উদ্দিনের বাড়ি থেকে তক্ষক তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বিরল প্রজাতির তক্ষকসহ আটক ৪
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
তিনি জানান, বুধবার ভোরে কচাকাটা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিনটি তক্ষক উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তক্ষক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে লালমনি এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
লালমনিরহাট জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী জানান, রাতে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই শিক্ষার্থী জয়দেবপুর স্টেশনে অবস্থান করছিল। তবে ভুল করে লালমনি এক্সপ্রেসে উঠে পড়ে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
তিনি আরও জানান, চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না পাওয়ায় ওই অ্যাটেনডেন্ট তার কক্ষে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কেবিন ফাঁকা পেয়ে সকালে তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির চেচামেচিতে ট্রেনে থাকা পুলিশ সদস্যরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং আক্কাস আলীকে আটক করে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
ভরা মৌসুমেও লালমনিরহাটে সবজির দাম আকাশচুম্বী
লালমনিরহাটে অস্বাভাবিক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ৫০ টাকার উপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
তবে লালমনিরহাটের সবজি ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন অধিকাংশ সবজির কেজি ৫০ টাকার উপরে।
জেলার স্থানীয় বাজারে একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এক কেজি বেগুনের দাম ৪০ টাকা, শিমের কেজি এখনও ৫০টাকা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে
এছাড়া একটি ফুলকপি ৪০ টাকা, আর৫৫ টাকার কমে মিলছে না বাঁধাকপিও ।
চরম ভোগান্তিতে পড়া ভোক্তারা বলছেন, বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, এবারের চিত্র ভিন্ন রকম।
গত রবিবার লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চাপারহাট বাজার, কাকিনাহাটসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ধরন ভেদে ৬০-৭০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) মান ভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৩৫-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
চাপারহাট কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শাহিন আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
তিনি আরও বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
কাকিনা বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক-সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মুলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন রকম।
দুহুলী বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী বেলজিয়াম বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
আরও পড়ুন: শাকসবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমলেও সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা: ইউএনবি’র বাজার সমীক্ষা
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের সহকারী উপ-পরিচালক সিফাত জাহান জানান, জেলায় শীত মৌসুমে, শাক সবজির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জিত হয়েছে, এ বছর যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়েছে, জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাতেও যাচ্ছে।
এক মিনিটের ব্যাংক ম্যানেজার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া হাট সোনালী ব্যাংক শাখায় এক মিনিটের জন্য ম্যানেজার হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কালিকাগাঁও ডি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাফা মনি।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার শামসুজ্জোহা (জুয়েল) বলেন, কয়েকদিন আগে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলার ক্যাম্পেইন এবং ছাত্র- ছাত্রীদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ করতে কালিকা গাঁও ডি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। স্কুল ব্যাংকিং সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীর বাড়িতে আগুন
সে সময় তিনি ঐ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের প্রশ্ন করে বলেন, বড় হয়ে তোমরা কে কে ব্যাংক ম্যানেজার হতে চাও? তখনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাফামনি দাঁড়িয়ে বলেন- আমার স্বপ্ন আমি বড় হয়ে একজন ব্যাংক ম্যানেজার হবো।
সাফা মনি মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে তার বাবা শহিদুল ইসলাম ও মা সুরাইয়া বেগমকে নিয়ে গড়েয়া হাট সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার সাফা মনির শ্বপ্ন পূরনে তাকে এক মিনিটের ব্যাংক ম্যানেজার তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
এক মিনিটের ম্যানেজার হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে সাফা মনি বলে, আজ আমি খুবই আনন্দিত। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন লেখাপড়া শিখে একজন ব্যাংক ম্যানেজার হতে পারি।
সাফা মনির বাবা ও মা বলেন, আমাদের মেয়েকে এক মিনিটের ম্যানেজার হওয়ার এই সুযোগ দেওয়ার জন্য গড়েয়া হাট সোনালী ব্যাংক শাখার সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: ১৪ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি ছাত্রী খাদিজা
'দুর্বৃত্তের বিষে' মরল খামারের ৭০০ হাঁস, ২ লাখ টাকার ক্ষতি
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে এক খামারির সাতশ’র বেশি হাঁস মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের দিঘীরকোণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ওই খামারির দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাতিহাঁস পাড়লো কালো ডিম!
খামারি জাহেরুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে সকাল সাড়ে ১১টায় হাঁসগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয় মাঠে যাওয়ার জন্য। মাঠে পৌঁছানোর ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৭০০ হাস মারা যায়। পেছনে থাকা হাঁসগুলোকে পরে কোনমতে খামারে পুনরায় ফিরিয়েছি। নাহলে বাকি হাঁসগুলোও মারা যেত।
তিনি ধারণা করছেন, কে বা কাহারা মাঠের মাঝখানে বিষযুক্ত ধান ছিটিয়ে রেখেছিলো। সেগুলো খাওয়ার পরেই হাঁসগুলো মারা গেছে। যার মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। গর্ত খুড়ে হাসগুলোকে পুতে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হাঁসের ঘর থেকে ১২ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নিজ বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে হাঁসপালন করছেন জাহেরুল ইসলাম। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন পরিবারের লোকজন। খামারে প্রায় এক হাজারের বেশি হাঁস পালন করেন তিনি। মাংস খাওয়ার উপযুক্ত হলেই তিনি এসব হাঁস বিক্রি করে দেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম বলেন, খামারি আবেদন করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরেও দেখা মেলেনি কয়েদির, খোকসার উপকারাগারে হাঁস-মুরগির খামার
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষি ক্ষেত্রেও।
তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। কনকনে ঠান্ডায় যবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীত কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখিরাও।
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।
সরেজমিনে এসব চিত্র দেখতে পান ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।
গত ১ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
কুড়িগ্রামে বিপন্ন প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সিন্ধুরমতি গ্রাম থেকে বিপন্ন প্রজাতির মদনটাক (হাড়গিলা) উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এসময় পাখিটির একটি ডানা ভাঙা ছিল।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাখিটিকে চট্টগ্রামের শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্ক রাঙুনিয়ার উদ্দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: নড়াইলের অরুণিমায় অতিথি পাখি দেখতে পর্যটকদের ভিড়
এর আগে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বন বিভাগের আওতায় কুড়িগ্রামের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক সদস্য মো. আব্দুর রশিদ, সাইদ ও জুয়েল রানা স্থানীয় রতনের বাড়ি থেকে মদনটাকটিকে উদ্ধার করেন।
পরে কুড়িগ্রাম সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাখিটিকে ভেটেরিনারি চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে পাখিটিকে অবমুক্তের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে পাঠায় বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: বিষ দিয়ে ২ শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
গ্রিন ভিলেজ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা সামাজিক কাজ করে থাকি। পাশাপাশি বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক সদস্য। আমরা আহত মদনটাকটি সিন্ধুরমতি গ্রামে গিয়ে রতনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাখিটি বন বিভাগের আওতায় চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্লা মো. মিজানুর রহমান বলেন, মদনটাক পাখিটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ফাঁদ পেতে অবাধে চলছে পাখি নিধন