রংপুর
হবিগঞ্জে কাভার্ডভ্যান-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকের তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার চানভাঙায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে তানিম মিয়া (১৭), ওই উপজেলার রামশ্রী গ্রামের আনোয়ার আলীর মেয়ে তামান্না আক্তার (১৪) এবং হবিগঞ্জ পৌরশহরের উমেদনগর এলাকার ছমেদ আলীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে একটি যাত্রীবাহী ইজিবাইক চুনারুঘাটের শ্রীকুটার দিকে যাচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তামান্না আক্তার মারা যান।
আহতদের হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তানিম মিয়া ও সুফিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে নিজবা বেগম (৪০) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং বাকি তিনজন চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ১২টায় শায়েস্তাগঞ্জ-চুনারুঘাট সড়কে কাভার্ডভ্যান- ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতের হবিগঞ্জ ও চুনারুঘাট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গাইবান্ধায় মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত
গাইবান্ধা শহরের পুলিশ লাইন সড়কের বোর্ড বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে সুমন মিয়া নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলায়।
পুলিশ জানায়,পুলিশ সদস্য সুমন মিয়া ওই এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। আজ সকালে মোটরসাইকেলে কর্মস্থল গাইবান্ধা সদর থানায় যাওয়ার সময় একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সদস্য সুমন মিয়া গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভাড়া বাসা থেকে কর্মস্থল গাইবান্ধা থানায় আসার সময় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষজন। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা জনপদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম।
এ অবস্থায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠাণ্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের দিনমজুর মনসুর আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ কম্বল দেয় নাই। কম্বলের খুব দরকার।’
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা নদী ও চরাঞ্চল। সবচেয়ে শীত অনুভূত হয় এখানে। সরকারিভাবে এখনো কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। শীত বস্ত্র পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরো কমেএই জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম রয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে উঠানামা করছে।
শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে ঢাকায় বেড়েছে গরম কাপড়ের বিক্রি
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়ছে তাতে রাস্তা দেখায় যায় না। এ রকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষদের জন বেশ সমস্যা হয়।’
জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
রংপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক
রংপুরের কাউনিয়ায় ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ১১ ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে।
এতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: ১৮ ঘণ্টা পর ভৈরব-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
পরে ৬টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাউনিয়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার হোসনে মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী কমিউটার ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে কাউনিয়া স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিনের চাকা লাইন থেকে পড়ে যায়। এতে ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম রুটের রেললাইনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই দুই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
তিনি বলেন, পরে লালমনিরহাট থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ইঞ্জিন উদ্ধার করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
কিশোরগঞ্জে ইঞ্জিনসহ ট্রেন লাইনচ্যুত, ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ
দিনাজপুরে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু নিহত
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক মেয়েশিশু নিহত হয়েছে।মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু রাইসা মনি (৫) গাইবান্ধ্যার গোবিন্দগঞ্জের ছাতিয়ানচুড়া গ্রামের রাজু মন্ডলের মেয়ে।
ঘোড়াঘাট থানার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বাড়ীবড়গলি গ্রামের জলাপাড়ায় নানীর বাড়ি বেড়াতে এসেছিল শিশুটি। সকাল ১০টার দিকে তাকে একটি ইজিবাইক ধাক্কা দেয়।
তিনি আরও জানান, ইজি বাইকটি জব্দ করেছেন তারা। পলাতক চালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার পাশাপাশি আইনত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বাসচাপায় দুই শিশু নিহত
কিশোরগঞ্জে বালুবোঝাই ট্রলির চাপায় শিশু নিহত
ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা আর শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সন্ধ্যার পর থেকে চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে, সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে ছিন্নমূল দরিদ্র লোকজন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।
উত্তরের জেলা লালমনিরহাট হিমালয় পর্বতের খুব কাছাকাছি হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শীতের আবহ তেমন না হলেও হঠাৎ ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের পোশাক পেল পথশিশুরা, সঙ্গে দেয়া হলো চাইনিজ খাবার
একইসঙ্গে জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় কমেছে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে লালমনিরহাট ও তার আশপাশে জেলাগুলোতে। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দিনের বেলা খানিক সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ কম থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। রবিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি বিকাল গড়াতেই শীত আরও বেশি অনুভূত হয়।
জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ছিন্নমূল গরিব অসহায় মানুষ শীতের কারণে বেশি কষ্টে আছে। শীতের কারণে কৃষকরা মাঠে যেতে পারছে না ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। এ ছাড়াও অন্যান্য পেশার লোকজন শীতের কারণে কাজে যেতে পারেনি।
লালমনিরহাটের মোঘলহাট এলাকার কৃষক লোকমান বলেন, এ বছরে শনিবার থেকে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে মাঠে যাওয়া যাচ্ছে না, আর মাঠে গেলে বেশিক্ষণ টিকা যায় না। বাধ্য হয়ে বাসায় চলে এসেছি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, পাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পানির তোড়ে ভেঙে পড়ল সেতু
শীত নিবারনের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের রমজান আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়েছে তাতে রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। এরকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর বেশ সমস্যা হবে।’
জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩১ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ভাণ্ডারে মজুদ রয়েছে আরও ১৫ হাজার কম্বল।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঘটনা দুইটি উপজেলার মধ্য কাশিপুর ও চর-মেখলি এলাকায় ঘটে।
এর মধ্যে একজন শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মধ্যকাশিপুর বাজারে দোকানের ভাড়ার টাকা চাইতে গিয়ে এবং অন্যজন আবাদি জমির উপর দিয়ে ট্রলি যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মারা যান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
নিহত দুইজন হলেন- উপজেলার মধ্য কাশিপুর এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং একই উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর-মেখলি এলাকার সাদ্দামের মা সমস্ত ভান।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মধ্য কাশিপুর এলাকার রফিক তার ভাড়া দেওয়া দোকানের ভাড়াটিয়া সুলতানের কাছে টাকা চাইতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়।
এর এক পর্যায়ে সুলতানের লোকজন তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে রফিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
অপর দিকে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর-মেখলি এলাকার সাদ্দাম হোসেন নিজের জমিতে ভূট্টা চাষ করেন। একই এলাকার হাসান জমির উপর দিয়ে ট্রলি নিয়ে যান।
এতে সাদ্দাম বাধা দিলে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় সাদ্দামের মা সমস্ত ভান ঘটনাস্থলে এলে তাকেও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন হাসান।
এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সমস্ত ভান মারা যান।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক-সহকারী নিহত
নড়াইলে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৩ জন আহত
কুড়িগ্রামে গরু বোঝাই ভটভটি উল্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গরু বোঝাই ভটভটি উল্টে নুরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে থানাঘাট-ভূরুঙ্গামারী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের উত্তর পাথরডুবী গ্রামের অকিবর রহমানের ছেলে। মৃত নুরুজ্জামান পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। তিনি গ্রাম থেকে গরু কিনে ভূরুঙ্গামারী হাটে বিক্রি করতেন।
আরও পড়ুন: বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
পরিবারের বরাত দিয়ে পাথরডুবি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর জানান, শনিবার ভূরুঙ্গামারী হাটে গরু বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। মইদাম ভূষিরভিটা এলাকায় পৌঁছালে ভটভটি উল্টে মারাত্মক আহত হন নুরুজ্জামান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার পর রোগীর পালস কমে যাওয়ায় স্যালাইন দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাদিহা আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানার শোক
নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু