রংপুর
লালমনিরহাটে কুকুরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অটো উল্টে চালক নিহত
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কুকুরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অটো উল্টে চালক বলরাম রায় (৫২) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অটোর এক যাত্রী।
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের চাকলারহাট হলমোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় আ. লীগ নেতা নিহত
নিহত অটোচালক বলরাম পার্শ্ববর্তী উপজেলার কমলাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপাট হরিবালা এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, অটোচালক বলরাম বাসা থেকে শিয়াল খোওয়া বাজারে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন। অটোটি চাকলারহাট হলমোড়ে পৌঁছালে একটি কুকুরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। চালক অটোর নিচে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে আশপাশে থাকা লোকজন দ্রুত উল্টে যাওয়া অটো সরিয়ে নেয়। তবে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অটোচালক ঘটনাস্থলেই মারা যান।
কালীগঞ্জ থানাধীন গোড়ল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, নিহত অটোচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিওকর্মী নিহত
গুলশানের নর্দায় বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
দিনাজপুরে গলায় ফাঁস দেওয়া পুলিশ কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে গলায় ফাঁস দেওয়া পুলিশের এক কনস্টেবলের লাশ শুক্রবার বিকালে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
কনেস্টেবল আতাউর রহমান দিনাজপুর সদরের শেখপুরা মহল্লার বসবাসকারী মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ছেলে। তাদের বাড়ি লালমনিরহাটে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোতালেব বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত ছিলেন কনস্টেবল আতাউর রহমান। তিনি রংপুর বদলি জনিত ছুটিতে ছিলেন। আগামী রবিবার তার কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মিলল যুবকের ঝুলন্ত লাশ
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বিকালে গলায় ফাঁস দেওয়া তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা ধারণা করা হচ্ছে। সঠিক কারণ জানা যায়নি।
মাস ছয়েক আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আতাউর কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটের কানাইঘাটে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নওগাঁয় একই ঘর থেকে ঝুলন্ত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ২ গৃহবধূর মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের দুই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের টেপাটারি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আটক ৩
নিহতরা হলেন- তুষভান্ডার ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম (টেপাটারী) এলাকার বাবলু মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও একাব্বর মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম।
স্থানীয়রা জানায়, বাবলু মিয়া ও একাব্বর মিয়া দুই ভাই, একই বাড়িতে বসবাস করেন। শুক্রবার দুপুরে বাবলু মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম গোসল করতে গোসলখানায় প্রবেশ করেন। গোসলখানার টিনের বেঁড়া স্পর্শ করায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান।
এ অবস্থা দেখে একাব্বর মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। এতে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
শরীয়তপুরে সুপারি গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
তিস্তায় জেলের জালে ৪ মণ ওজনের ডলফিন!
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিস্তা নদীতে চার মণ ওজনের একটি ডলফিন ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ভোটমারি ইউনিয়নের শৈইলমারী তিস্তার চরে এক জেলের জালে ধরা পড়ে ডলফিনটি।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৈইলমারীর চরে জেলে শাহজাহান মিয়ার জালে ধরা পড়েছে ৪ মণ ওজনের একটি ডলফিন। এরপর কয়েকজন জেলে মিলে ডলফিনকে উঁচু স্থানে ওঠার কিছুক্ষণ পর সেটি মারা যায়। ডলফিন দেখতে উৎসুক মানুষ তিস্তা চরে ভিড় করেন।
স্থানীয় রিফাত হোসেন বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা নদীতে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়ছে। সেই সঙ্গে জেলের জালে ডলফিনও ধরা পড়েছে।
শৈলমারী চরের জেলে শাহজাহান মিয়া বলেন, জালে আটকের পর প্রথমে বড় মাছ মনে করেছি পরের ডাঙ্গায় ওঠার পর দেখি একটি ডলফিন। কিছুক্ষণ পরেই ডলফিনটি মারা যায়।
এ বিষয়ে ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন বলেন, তিস্তা নদীতে ডলফিন আটকের বিষয়টি স্থানীয় একজনের কাছে শুনেছি।
এর আগে তিস্তা নদীতে জেলের জালে ৭২ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ আটক হয়। পরে জেলেরা ৮০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন।
তিস্তার পানিতে ফসলের ক্ষতি
ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ভারতের উত্তর সিকিমের তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে চরের ফসলসহ দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বছরজুড়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন সংকট।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হলেও, কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার উপরে রেকর্ড করা হয়।
বিস্তৃর্ণ তিস্তা চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসল এবং নদী তীরে বসবাসকারী মানুষের জানমালের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাটের গোবর্দ্ধন এলাকার বাসিন্দা কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, চরে তিন দোন জমিতে রোপা আমন করেছিলাম। ধান উঠার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।
আরেক কৃষক তোতা মিয়া বলেন, চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হয় জন্য নিয়ে আসিনি বাড়িতে। পানি আসার খবরে কোনোরকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়তেছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দুই পাড়ের মানুষ।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার পানি দুপুর পর্যন্ত আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার (৪ অক্টোবর) তিস্তার দুই পাড়ের মানুষকে সরিয়ে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষজন তাদের ঘর-বাড়িতে এখনও অবস্থান করছেন। শুধু চরাঞ্চলের কিছু পরিবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, ‘বুধবার থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড় নাকি বন্যা হবে, এই চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি নাই আমরা।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ধরলায় নৌকা বাইচে ব্যতীক্রমী পুরস্কার
তিস্তা নদীর অববাহিকার ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার মামুনুর রশীদ বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আমার এলাকার কিছু বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত থেমে থেমে অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং আগামীকাল শুক্রবার বৃষ্টিপাত কমে স্বাভাবিক হতে পারে।’
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, তিস্তায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় নদীর অববাহিকায় মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সজাগ রয়েছেন। ১৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে এবং কুড়িগ্রাম জেলা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা হিসেব করে দেখেছি তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
ঠাকুরগাঁওয়ে বালুবাহী ট্রাক্টর উল্টে বাকপ্রতিবন্ধী শ্রমিকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে বালুবাহী ট্রাক্টর উল্টে কাদেরুল ইসলাম (১৮) নামে বাকপ্রতিবন্ধী এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় ঠাকুরগাঁও শহরের হাজিপাড়া লিচুবাগান এলাকার ডিসি পার্কের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাদেরুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার মাড়েয়া সর্দার পাড়া গ্রামের তসলিম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় ওই ট্রাক্টরের চালক শহিদুল ইসলাম (৩৫) আহত হন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পঞ্চগড়ের মাড়েয়া থেকে একটি বালুবাহী ট্রাক্টর বালু বোঝাই করে লিচুবাগান এলাকার নির্মানাধীন বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। সে সময় ট্রাক্টরটিতে চালক ও সহকারী দুজনেই ছিলেন। ট্রাক্টরটি একটি পিলারের বেসমেন্ট এর গর্তের পাশে দাঁড়ানো ছিল। বৃষ্টি হওয়ার কারণে মাটি নরম থাকায় ট্রাক্টরটি হঠাৎ উল্টে যায়।
এসময় চালক শহিদুল আহত হন। তিনি মনে করে তার সহকারী কাদেরুল হয়তো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পাশে কোথাও গিয়েছেন। অনেকক্ষণ তাকে খুঁজে না পেয়ে শহিদুল আশেপাশের লোকজন ডাক দিয়ে বালু সরানোর চেষ্টা করলে বালুর নিচে কাদেরুলের পা দেখতে পান।
খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে কাদেরুলের লাশ উদ্ধার করে। কাদেরুল বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ট্রাক্টরটি উল্টে বালু চাপা পড়ার সময় তিনি কোনো শব্দ বা চিৎকার করতে পারেননি। সেকারণেই এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির জানান, ট্রাক্টর উল্টে বালুচাপায় এক বাকপ্রতিবন্ধী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি, সতর্কতা জারি
ভারতের উত্তর সিকিমে ভয়াবহ বন্যা ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশ অংশে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বনে ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে মাইকিং শুরু হয়। সেই সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, সকাল থেকে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করছি। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে সর্বসাধারণকে গরু ও ছাগলসহ প্রয়োজনী জিনিসপত্র নিয়ে সতর্ক থেকে নিকটস্থ বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র/প্রাইমারি/হাইস্কুলে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, বেলা ৩টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে ৫২.০৮ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়। বিপৎসীমার স্তর ৫২ দশমিক ১৫০। এটি বিকাল ৪টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে।
এদিকে, রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ২৭ দশমিক ৪, দিনাজপুরে ৫৪ দশমিক ৪, সৈয়দপুরে ২৭, নীলফামারীর (ডিমলা) ১১ দশমিক ৯, কুড়িগ্রামে ১৫ এবং পঞ্চগড়ে ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার বাঁধ ভেঙে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
রংপুরে শ্বশুড়বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
রংপুরের কাউনিয়ায় সনিয়া বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সনিয়া বেগম ওই গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী এবং পাবনা সদরের চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক
স্থানীয়রা জানায়, তিন বছর আগে রিপনের সঙ্গে সনিয়া বেগমের বিয়ে হয়। সোমবার (২ অক্টোবর) বিকালে সনিয়া বেগম স্বামী রিপন মিয়াকে তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাজারে যেতে বলেন। রিপন সন্তানকে নিয়ে বাজারে গেলে নিজের শোয়ার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সনিয়া।
পরে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখেন ঘরের ভিতরে বিছানার চাদরে ও বালিশে আগুনের ধোঁয়া উঠছে এবং বিদ্যুতের ছেঁড়া তারের পাশে খাটের উপরে সনিয়া অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে যায় পরিবারের লোকজন। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সনিয়ার লাশ উদ্ধার করে। ওই নারীর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদের ওপর হামলা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্বভাবকবি খ্যাত রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়ে তিনি নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে কবির নিজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা: ৯ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল
এই ঘটনায় কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে রবিবার (১ অক্টোবর) রাতে নাগেশ্বরী থানায় মামলা করেন।
মামলায় কদু রহমান (৪৫) ও তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামকে (৩৮) আসামি করা হয়। তারা একই ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। হামলার করার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবি রাধাপদ রায় বলেন, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে আমার বাড়ির পশ্চিমে ডুবুরির ব্রিজের পাশে রফিকুল নামে এক যুবক আমার ওপর হঠাৎ হামলা করে। হামলায় আমার পিঠে ও ঘাড়ে অনেক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
হামলার প্রসঙ্গে স্বভাবকবি বলেন, আমি জানি না কেন সে আমার ওপর হামলা করেছে। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছয় মাস আগে আমার তর্কাতর্কি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা এখনও পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় রফিকুলের স্ত্রী, শ্যালক ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ সেনা আহত