রংপুর
দিনাজপুরে নানির লাশ আনার পথে প্রাণ গেল নাতির
ঢাকা থেকে নানির লাশ দিনাজপুরে নেওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নাতির। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সেচালক।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের নুরজাহানপুর মসজিদসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় মাহিন আলভী (২১) দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ বালুবাড়ী এলাকার মোকতাদুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে অটোবাইকে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল চালকের
আহত অ্যাম্বুলেন্সেচালক মিঠুন বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার শরিকল গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায় আলভীর নানি মালেকা বেগম। মালেকা বেগমের লাশ ঢাকা থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে দিনাজপুরে আনছিলেন নাতি হৃদয় মাহিন আলভী।
শুক্রবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরজাহানপুর মসজিদের কাছে এলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়।
এতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের সামনে বসে থাকা নাতি হৃদয় মাহিন আলভী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন চালক মিঠুন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, আহত অ্যাম্বুলেন্সচালক মিঠুকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সম্ভবত চালক ঘুমের ঘোরে অ্যাম্বুলেন্স চালানোয় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়েসহ প্রাণ গেল ৩ জনের
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ২ শিশুর
ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই পানি তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিতরা
ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই বন্যার পানি। পানির তোড়ে ভেসে গেছে বাড়ি-ঘর, ক্ষেতের ফসল আর সব। তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। সুপেয় পানির অভাব তীব্র হচ্ছে দুর্গতদের মাঝে।
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের খেয়ার আলগা চরের বাসিন্দা সাহেরা বেগম বলেন, 'হামার ঘরত পানি উঠছে, মানুষের বাড়িত আশ্রয় নিছি আজ দুই দিন হলো। নদীর পানি আজ সকালেও এক হাত বাড়ছে। কিন্তু খাওয়ার পানির খুব কষ্ট হইছে।’
সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, 'আজ পাঁচ দিন থেকে বন্যার পানিত খুব কষ্টে চলাচল করছি। নৌকা ছাড়া বের হতে পারছি না। যে হারে পানি বাড়তেছে জানি না কী হবে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামে সবগুলো নদ-নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করছে। জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফসলি জমি, আমন ধানখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কী দিয়ে কাটবে বছর, তারই চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের।
এ ছাড়া, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
চিলমারীতে এক সপ্তাহ ধরে পানিতে ভাসছে হরিজন পল্লী
কুড়িগ্রাম, ৩১ আগস্ট (ইউএনবি)- কুড়িগ্রামে চিলমারীতে হরিজন পল্লী এক সপ্তাহ ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, থানাহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজপাড়া এলাকায় বিলের মাঝে সদ্য নির্মিত হরিজন পল্লীর চারদিকে থৈ থৈ করছে পানি।
হরিজন পল্লীর আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দা শ্রী মনি লাল জানান, সামান্য বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আমাদের হরিজন পল্লী। গত সাত দিন ধরে এভাবে পানিবন্দি রয়েছি আমরা। আর একটু পানি বাড়লে হরিজন পল্লী ছেড়ে চলে যেতে হবে আমাদের।
আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দা শ্রী রুমা রাণী বলেন, বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি, সব সময় ভয়ে থাকতে হচ্ছে।
আশ্রয় নেওয়া হরিজন পল্লীর বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পানি বন্দি থাকলেও এখনও সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো খাদ্য সহায়তা পাননি তারা।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা( ইউএনও) মো. রাফিউল আলম জানান, হরিজন সম্প্রদায়সহ পানিবন্দি মানুষদের তালিকা করা হচ্ছে। এ ছাড়া হরিজনপল্লীতে মাটি ভরাটের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে এই সমস্যা থাকবে না।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে উলিপুরে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ আফরোজা বেগম (৪২) ওই এলাকার শাহআলম মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
আফরোজা বেগমের এক ছেলে ও তিন মেয়ে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে শাহআলম মিয়া গোয়াল ঘর পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তিনি স্ত্রী আফরোজা বেগমকে বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের সংযোগ দিতে বলেন।
রান্না ঘরে মোটরের সংযোগ চালু করতে গিয়ে অসাবধানতার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়েসহ প্রাণ গেল ৩ জনের
জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইজিবাইকচালকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
তিস্তা নদীর পানি শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া রেল ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মা-মধুমতির ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও ফসলি জমি
বৃষ্টি ও বন্যার ফলে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় দেড় কিলোমিটার এলাকাব্যাপী নদী ভেঙেছে। এই ভাঙনে সর্বশেষ বুড়িরহাট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার নদী গর্ভে চলে গেছে।
এ ছাড়াও উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে প্রায় ৫০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বাড়ার ফলে এই উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়াও রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে গরু, ছাগল ও হাসঁ, মুরগির খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যায় ৭০৫ হেক্টর আমন ধান, ৮ হেক্টর বীজতলা ও ১১০ হেক্টর সবজিখেত বন্যায় নিমজ্জিত হয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মেম্বার মিনহাজুল বলেন, আমার ইউনিয়নের সরিষাবাড়ী এলাকার বাড়িগুলোতে পানি উঠেছে। এখানে ২ শতাধিক বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।
জোলাপাড়ার আবুল জানান, এই গ্রামের ৭৫টি বাড়ির মধ্যে ৪৫টি বাড়িতে পানি উঠেছে।
এই গ্রামের মাহমুদা বলেন, আমার ছোট পুকুরে ৪/৫ হাজার টাকায় প্রায় ১৮ কেজি মাছের পোনা ছেড়েছিলাম, সব মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতঘরসহ আবাদি জমি
ঢেপা-পুনর্ভবার তীরে ২৬ কি.মি. বাঁধ হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দিনাজপুরের বিরলের ধর্মপুর, কামদেবপুর থেকে ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত ঢেপা ও পুনর্ভবা নদীর তীরে ২৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দিনাজপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র অফিস ভবন, তুলাই নদীতে রাবার ড্যাম, পুনর্ভবা নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং এসব উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দিনাজপুরের বিরল উপজেলার খোসালডাংগী হাট এলাকায় এ অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ২৬ কিলোমিটার বাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। এ নদীর পাড় শুধু দিনাজপুরের মধ্যে নয়, সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত নদীর পাড় হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ নদীর পাড়ে ভারতবর্ষের প্রাচীনতম 'কান্তজির মন্দির' আছে। যে মন্দির দেখার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা পুরোটাই ভাল ও আনন্দদায়ক হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইতিহাসের অমর সাক্ষী রাজবাড়ি আছে। পুনর্ভবা ও ঢেপা নদীর দুই পাড় সুন্দর করে সাজাব। যেন দুই পাড়ের মানুষ উপভোগ করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ, দিনাজপুরের মানুষ তাদের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে, আমরা সেভাবে সাজাতে চাচ্ছি। জেলা প্রশাসককে সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুরের রামসাগর, সুখ সাগর, আনন্দ সাগরসহ প্রাচীনতম যেসব পুকুর আছে সেসব পুকুর অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হবে, যেন দিনাজপুর একটি সুন্দর দর্শনীয় জেলায় পরিণত হয়।
তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরের লিচু পৃথিবীর বিখ্যাত। চাঁদপুরে 'ইলিশের বাড়ি' করা হয়েছে; দিনাজপুরে 'লিচু বাড়ি' করা যায় কি না সেই পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ করছেন।
আগামী দিনে দিনাজপুরের 'লিচু বাড়ি' জন্য সারাদেশের মানুষ দিনাজপুরে আসবে এবং আসার পথে রামসাগর, সুখ সাগর, আনন্দ সাগর, কান্তজির মন্দির, রাজবাড়ি পরিদর্শন করবেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাংক আইএমএফ, বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী আমেরিকা, ইউরোপ বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিতে চায় যেন শেখ হাসিনাকে কাবু করতে পারে। শেখ হাসিনা কী কাবু হবার লোক! তিনি কাবু হবেন না। কারণ তিনি বাংলার মানুষের ভালোবাসায় ঋণী। আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন, পশ্চিমা বলেন- কেউ শেখ হাসিনাকে কাবু করতে পারবে না।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা দিয়েছেন। যারা শেখ হাসিনা কে কাবু করতে চায়- আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে এসব ষড়যন্ত্রের জবাব দেব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে অপরূপ সাজে সজ্জিত করেছেন। শেখ হাসিনাকে ব্রিকস সম্মেলন, ডি-৮ সম্মেলন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশকে তিনি তুলে নিয়ে এসেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বিআইডব্লিউটিএ'র সদস্য (প্রকৌশল) ড. এ কে এম আজাদুর রহমান, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব ছিল বলে দেশ স্বাধীন হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলাসহ অনান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্রে নদের নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচে,চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৫৮ সে.মি নিচে কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ, নয়ারহাট, সাহেবের আলগাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
তিস্তার গড়াইপিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুর আলম বলেন, দুই থেকে তিন দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ধান খেত নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এক মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন ৮ হাজার গ্রাহক
খিতাব খাঁ গ্রামে সুরমান আলী বলেন, দিনরাতে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে আর তিস্তার পানি বাড়ছে। গরু ছাগল নিয়ে ফের হামারগুলার ভোগান্তি শুরু হলো।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টির কারণে উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমারয় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
ফের তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
উজানের পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমি বর্ষার বৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৬ মিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে ১৪ আগস্ট বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও একদিন পরে তা নিচে নেমে আসে। বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার বন্যার শঙ্কায় চিন্তিত তিস্তাপাড়ের মানুষ।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা বরাবরে প্রবাহিত হয়। ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে ৩ ঘণ্টা পরে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উজানে ভারী বর্ষণ ও ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় উজানের ঢেউ বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
ব্যারাজ ও নদী তীরের বাসিন্দারা জানান, পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের আবাদ করা ফসলের খেতে পানি উঠেছে। নিম্নাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। যার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
চর গোবর্দ্ধন এলাকার আজিজুল ইসলাম জানান, রাত থেকে পানি বাড়ছে তিস্তায়। নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের খেত রাস্তাঘাট ও পুকুর। চরাঞ্চলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের শতশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
হলদিবাড়ি চরের আব্দুল মতিন বলেন, নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বর্ষাকালে বন্যা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। রাত থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। ক্রমেই বাড়ছে পানি। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। পরিবার-পরিজন নিয়ে মাচাংয়ের ওপর বসে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষদের। এসব এলাকার বাসিন্দারা শিশু-বৃদ্ধ আর গবাদি পশুপাখি নিয়ে চরম বিপদে রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
দিনাজপুরে ছেলের লাঠি পেটায় বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রতিবন্ধী ছেলের লাঠি পেটায় বাবার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার শালখড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিকার আবুল কাসেম (৭০) নবাবগঞ্জের ১ নম্বর জয়পুর ইউনিয়নের শালখড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ২
এদিকে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে আবুল কাসেমের লাশ উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ছেলে মাসুদকে আটক করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আবুল কাসেমের প্রতিবন্ধী ছেলে মাসুদ হঠাৎ করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তার বাবাকে লাঠি পেটা করে। এতে প্রাণ হারান তার বাবা।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, শুক্রবার সকালে লাশের সুরতহাল তৈরির সময় শরীরে ক্ষতসহ আঘাতের দাগ দেখা গেছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তে লাশ দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বজনরা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, স্বামী-স্ত্রী নিহত
দিনাজপুরে ধানখেতে পড়েছিল কাপড় ব্যবসায়ীর লাশ
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল ২ শিশুর
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকালে উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের খুলিয়াতারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনার রূপসায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহতরা হলো- ওই উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মেদনী কিতাব খাঁ গ্রামের সোলাইমান আলীর মেয়ে সোহানা আক্তার (৭) এবং খুলিয়াতারী গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে রোকসানা আকতার (৮)।
উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, খেলার ছলে ওই ২ শিশু সবার অগোচরে বাড়ির সামনের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। পরে তাদের কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক শিশুর মা আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে কোথাও না পেয়ে তিনি তার বাড়ির সামনের পুকুরে শিশু দু’টির লাশ ভাসতে দেখেন। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এসে পুকুর থেকে সোহানা ও রোকসানার লাশ উদ্ধার করেন।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোসল করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ২ মেয়েশিশুর মৃত্যু হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু