রংপুর
তিস্তার ভাঙন: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে শতাধিক পরিবার গৃহহীন
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভাঙন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। গত এক সপ্তাহে তিস্তা নদীর তীরবর্তী বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কারেন্ট বাজার এলাকায় সাম্প্রতিক ভাঙনে শত শত ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র ভাঙনে গৃহহীন পরিবারগুলো আশ্রয় না পেয়ে বর্তমানে খোলা আকাশে অবস্থান করছে। অনেকেই জানেন না তারা কোথায় আশ্রয় নিবেন। ভাঙন কবলিতদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। তবে ভাঙন ঠেকাতে পাউবো’র পদক্ষেপ থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এখনও বরাদ্দকৃত জিও ব্যাগ নদীতে ফেলানো হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন ঠেকাতে ভাঙনকবলিত এলাকায় কয়েক হাজার জিও ব্যাগ নদীতে ফেলানোর কার্যক্রম প্রক্রিযাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপদসীমার ২৮ সেমি ওপরে তিস্তার পানি
চিলমারীর পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্ দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল আজিজ আকন্দ জানান, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় কেউ আমলে নেয়নি। ফলে অনেক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এখন হুমকির মুখে রয়েছে মন্ডলেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারীপাড়া মন্ডলেরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্ দাখিল মাদরাসা। নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিলিন হয়ে যাবে।
নদী ভাঙনের শিকার বাহার উদ্দিন (৫০) বলেন, ‘ শত শত বস্তা বালু ভরি রাখছে। কিন্তু ঠিকাদার বস্তা ফেলায় না। আমাগো শ্যাষ সম্বলটুকু নদী খায়া গেলো। অহন আমরা কই যাই।’
এলাকার সুবলচন্দ্র, নয়া মিয়া ও আব্দুল গনি বলেন, ‘সময়মতো জিও ব্যাগ ফেলানো হলে, এতটা ভাঙত না। আর আমাদের বাড়িঘরও সড়ানো লাগত না।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভাঙনরোধে ওই এলাকায় ৭০ হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গণনা শেষ হলে খুব দ্রুত জিও ব্যাগ নদীতে ফেলানোর কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদী থেকে সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যুবকের লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও সদরে শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ২৫ বছর বয়সী ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কমল কিসকু উপজেলার জগনাথপুর ইউনিয়নের বড় খোচাবাড়ি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী মার্কেট এলাকার সম কিসকুর ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আবর্জনা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চন্দন কুমার জানান, গত এক সপ্তাহ আগে কৃষ্ণপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি আসেন কমল কিসকু। সোমবার রাতে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল তার। তাই তিনি ব্যাগও গুছিয়ে রেখেছিলেন। এক সময় শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা তার সেই ব্যাগটি বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ টয়লেটের দরজা বন্ধ থাকায় ও গেট ধাক্কাধাক্কি করেও সাড়া না পাওয়া টয়লেটের দরজা ভেঙে কমল কিসকুর সেখানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঠাকুরগাঁওয়ে গোরস্থান থেকে ১৯ টি কঙ্কাল চুরি
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে একটি গোরস্থানের ১৯টি কবর থেকে রহস্যজনকভাবে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর-শহরের পীরডাঙ্গী গোরস্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী ফোনে ৯৯৯ এর কলের মাধ্যমে পুলিশে খবর দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
গোরস্থানে কবর দিতে আসা প্রত্যক্ষদর্শী ময়নুল ইসলাম জানান, আমি আমার আত্মীয়ের দাফন সম্পন্ন করার জন্য গোরস্থানে আসি। দাফন সম্পন্ন করে যাওয়ার সময় আমিসহ অন্যান্যরা দেখতে পাই একসাথে অনেকগুলো সাদা কাফনের কাপড় পড়ে আছে। আমরা আরও কিছু লোককে ডেকে নিয়ে আসি এবং কাছাকাছি গিয়ে দেখি অনেকগুলি কাফনের কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় পড়ে রয়েছে আর কবরগুলির ঘেরাও দেয়া বাঁশের বেড়া ভাঙ্গা। এছাড়াও প্রতিটি কবরই প্রায় খোড়া অবস্থায় রয়েছে। এভাবে ১৯ টি কবর খোড়া অবস্থায় রয়েছে। তখন আমরা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লোকজন দ্রুত কবরস্থানে এসে নিজ নিজ স্বজনের কবর দেখার জন্য গোরস্থানে ভিড় করছেন। চুরি হওয়া কবর গুলোর পাশে গামছা, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও টি শার্ট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কংকাল চুরি করার উদ্দেশ্যে কবরে গর্ত করা হয়েছে এবং কবরে ঢুকার সময় এসব কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে।
শনিবার অপরাহ্নে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, পীরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান, পীরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবিব ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে পৌর কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে আবর্জনা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের খানসামায় আবর্জনার মধ্যে থেকে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের সায়েদ চেয়ারম্যান পাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সাদেকা বেগম তেবাড়িয়া ঈদগা মাঠপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সামাদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: গোসলখানা থেকে কন্যা শিশুর গলা কাটা লাশ উদ্ধার, আটক ২
খানসামা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল মিয়া জানান, সাদেকা বেগমের দুই বিয়ে হয়েছিল। ঢাকায় পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেছিলেন তিনি। বাবার বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে তার প্রথম স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির পাশে আবর্জনার স্তুপে মধ্যে তার লাশ পড়েছিল।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এসআই জানান, সুরতহাল রিপোর্টে বাহ্যিক তেমন কিছু চোখে পড়েনি। তবে তার নাক মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা গেছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশ ময়নাতদন্তে এম আব্দুর রহিম হাসপাতালে মোড়কে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহতের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মনকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা তারেক আহমেদ বেগ ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন বলে জানিয়েছেন রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাণীশংকৈলে নির্বাচনী সহিংসতার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত শিশু কন্যা আশার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর পুলিশের গুলিতে ৯ মাস বয়সী এক শিশু নিহত হয়। ২৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাচোর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটির নাম সুরাইয়া আক্তার আশা। সে মীরডাঙ্গী গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাদশার আলীর মেয়ে।
ওই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তখন পুলিশ হামলা ঠেকাতে গুলি ছুড়ে। শিশুটি তখন মায়ের কোলে ছিল। নিহত শিশুর মা মিনারা বেগম বলেন, আমি মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পাশের গলিতে দাঁড়িয়েছিলাম। এ সময় পুলিশের গুলি আমার মেয়ের মাথায় এসে লাগে। গুলিতে তার মাথার খুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবালসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বাচোর ইউনিয়নের খুটিয়াটুলি এলাকায় কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আনেন। দুই পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে পৌরশহরের শিবদিঘি যাত্রী ছাউনি মোড় অবরোধ করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে জনতা। তারা আঞ্চলিক সড়কটি কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে ও পুলিশকে আক্রমণ করে। তারা ২ পুলিশ সদস্যকে মারধর করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিত সাহা'র নেতৃত্বে বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
কিন্তু উদ্ধারকৃতদের নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতা নিহত শিশুর লাশ নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং রাণীশংকৈল থানা ঘেরাও করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। বিজিবি’র আর একটি দল থানার সামনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ফিরোজ আলম বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় আহত ১১ ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আমরা তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
খাগড়াছড়িতে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে যুবক নিহত
ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থামাতে গিয়ে পুলিশের ছোড়া গুলিতে দুই বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।
বুধবার উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ভাংবাড়ি কেন্দ্রে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম আশা। সে উপজেলার মিডডাঙ্গী বাজার এলাকার বাদশাহের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভোটের ফলাফল দেখতে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ওই কেন্দ্রে যান তার মা। এসময় ফলাফলকে কেন্দ্র করে মেম্বার প্রার্থী জলিল-ফয়জুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গুলি ছুড়ে পুলিশ। এসময় গুলিটি শিশুর মাথায় লাগে। এতে তার মাথার খুলি উড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা শিশুর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে একটি শিশু মারা গেছে। স্থানীয়রা ভোটের ফলাফল আনতে বাধা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে আহত আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু
বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে ২ ডাকাত আহত, অস্ত্রসহ আটক ৬
পঞ্চগড়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে।
তেতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহতরা হলো-শালবাহান ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায় আব্দুল হান্নানের ছেলে মজিবর রহমান (৮) ও মেয়ে হাবিবা (৬)।
সোমবার সন্ধ্যায় বাবা আব্দুল হান্নান নতুন করে বাড়ি করার জন্য শালবাহান ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার একটি পুকুরের পাড় থেকে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে নালাগছ এলাকায় ইট নিয়ে আসার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বন্যার পানিতে ডুবে সিলেটে কিশোরের মৃত্যু
ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বাবা আব্দুল হান্নান নতুন করে বাড়ি করার জন্য শালবাহান ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার একটি পুকুরের পাড় থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে নালাগছ এলাকায় ইট নিয়ে যান। এই সময় তার সাথে মজিবর ও হাবিবা যায়। একপর্যায়ে তিনি মজিবর ও হাবিবাকে খালপাড়া পুকুরের পাড়ে রেখে পার্শ্ববর্তী নতুন বাজার এলাকায় যান এবং ফিরে এসে তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যরাসহ অনেক খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা ওই পুকুরের পানিতে নেমে তাদের ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিশু কন্যাকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে মায়ের মৃত্যু
এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের মতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে পানিতে ডুবে যাওয়া।
বিদায় নিল পদ্মা ও সেতু, রইল শুধু স্বপ্ন
সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে পদ্মা ও সেতু। একাই রয়ে গেল শুধু স্বপ্ন। একদিনের ব্যবধানে একে একে দুই বোনের বিদায়ে একা হয়ে পড়েছে সে।
দিনাজপুরের বিরামপুরের বিনাইল ইউনিয়নের কৃষ্টবাটি গ্রামে সাদিয়া-জাহিদুল ইসলাম দম্পতির কোলজুড়ে এসেছিল তিন মেয়ে। আদর করে তাদের নাম দেয়া হয়ে়ছিল দেশের বৃহৎ সেতুর সঙ্গে মিল রেখে ‘স্বপ্ন’, ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’।
জন্মের ছয়দিন পরে ২৩ জুলাই, শনিবার দুই বোন স্বপ্ন এবং সেতুকে রেখে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যায় ‘পদ্মা’ নামের এক বোন। একদিন পর ২৪ জুলাই, রবিবার পদ্মার পথ ধরে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যায় আরেক বোন সেতু। পদ্মার পর সেতুর বিদায়ে একা হয়ে পড়েছে স্বপ্ন। গত ১৮ জুলাই মায়ের কোলজুড়ে একসঙ্গে জন্ম নিয়েছিল তিন বোন স্বপ্ন, পদ্মা, সেতু।
রবিবার রাত সোয়া ৯টায় পদ্মা এবং আগের দিন শনিবার বিকালে প্রথমে মারা যায় পদ্মা। জন্মের পর তিনজনকেই সুস্থ বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়েছিল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে বিদায় নিয়েছে দুই বোন পদ্মা ও সেতু।
এক সঙ্গে তিন সন্তানের জনক জাহিদুল ইসলাম জানান, পর পর দুই মেয়ের হঠাৎ মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না তারা। এখন স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তিন সন্তানের ছবি এখন শুধুই স্মৃতি।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শুরু: মন্ত্রী
পদ্মা সেতু ভ্রমণ প্যাকেজ চালু
দিনাজপুরে পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
দিনাজপুরের বিরামপুর এবং বীরগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে। রবিবার ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিরামপুরের দুর্গাপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় নিহত মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ফুলবাড়ী উপজেলার সুজালপুরের বাসিন্দা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, বীরগঞ্জের জগদ্দল বাজারে পিকআপের ধাক্কায় নিহত মোটরসাইকেল চালক রওশন সরকার (১৮) বীরগঞ্জ উপজেলার জগদ্দলবাজারের সঞ্জয় সরকারের ছেলে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, রবিবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় বিরামপুরের দুর্গাপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় নিহত হন গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহত
আহত অবস্থায় বিরামপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি খাদে উল্টে দুজন যাত্রী আহত হয়েছে। এ ব্যপারে নিহতের বড়ভাই নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
এদিকে বীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আশরাফুজ্জাসদন মানিক জানান, রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বীরগঞ্জ উপজেলার জগদ্দলবাজারের কাছে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক রওশন সরকার নিহত হয়েছেন। এসময় আরোহী তার কাকাতো ভাই এভারেস্ট সরকার আহত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপটি একটি আটো রিকশাকে ধাক্কা দিলে একজন নারী আরোহী আহত হন। তাকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ১২
ধানবোঝাই ট্রাক উল্টে কুড়িগ্রামে শ্রমিক নিহত
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর চন্ডীপুর ব্রিজ এলাকায় বৃস্পতিবার ধানবোঝাই ট্রাক উল্টে ৫০ বছর বয়সী এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল গফুর শ্রমিক নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ডাকনিরপাট গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাক উল্টে নিহত ২
নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শন (এসআই) সেলিম মিয়া জানান, রাতে নাগেশ্বরী থেকে কুড়িগ্রামে যাওয়ার পথে ধান বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চন্ডীপুর ব্রিজের কাছে খাদে পরে যায়। এই সময় ট্রাকের নিচে এক শ্রমিক আটকা এক শ্রমিক আটকা পরে। পরে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মার যান।