%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
নির্বাচন বিরোধী অপতৎপরতার জবাব দিতে ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাটে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘আজকে বিএনপি কোনো প্রার্থী ও নামী কোনো নেতাকে হত্যার জন্য কিলিং এজেন্ট তৈরি করছে। লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে। তারেক রহমানের সাহস নেই, থাকলে দেশে আসুক।’
আরও পড়ুন: এখন ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: কাদের
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে এবং সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের আদর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অস্ত্রবাজি, গোলাবাজিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের অস্ত্র জনগণ।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হবেন।
কাদের বলেন, ‘বিদেশি শক্তি নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিলে আমরা শুনব, কিন্তু বিএনপির সুরে উসকানি দিলে মেনে নিব না।’
তিনি বলেন, বরিশালে শেখ হাসিনার জনসভা এটাই প্রমাণ করে- এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। এই নির্বাচন বাধা দিয়ে ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে: কাদের
নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে, বিএনপি মানুষ পোড়ায়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'একদিকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন নির্মাণ করে, নদীভাঙন রোধ করে, শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই দেয়। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জনের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট করে দিচ্ছে। বাসে-ট্রেনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, তারা মানুষ পোড়ায়।'
তিনি বলেন, 'রাজনীতির নামে এভাবে মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি দুনিয়ার কোথাও নেই। এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে কঠোর হাতে তাদের দমন করতে হবে।'
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের গোয়ালপুরা বাজার, কোদালা বাজার, চা বাগান এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি কোদালা চা বাগানের শ্রমিক, গ্রামের নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ও বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন।
নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করার। জাতীয় পর্যায়ে আমার অনেক দায়িত্ব, এরপরও একজন চেয়ারম্যান যেভাবে এলাকায় সময় দেয়, আমি সেইভাবে সময় দিই।'
তিনি বলেন, 'কর্ণফুলী নদীসহ রাঙ্গুনিয়ার অন্যান্য নদীর ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে, আরও ১০০ কোটি টাকার কাজ হবে। অনেক জেলায়ও এত উন্নয়ন কাজ হয়নি। রাঙ্গুনিয়ার ৮ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি হয়েছে আমার হাত দিয়ে। চাকরির সুপারিশ করার সময় আমি কখনো ভাবিনি, কে কোন দল করে। আমি সব মানুষের এমপি হওয়ার চেষ্টা করেছি।'
আগামী ৭ জানুয়ারি আত্মীয়-স্বজন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাছান বলেন, 'বিএনপি ঘরানার মানুষও অনেকে আমাকে ভোট দেয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ায় ২৪টি নতুন মসজিদ বিল্ডিং করে দিয়েছি। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে। গত ১৫ বছর সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি, পাঁচ বছর পর আমি আপনাদের দুয়ারে এসেছি, আপনারা দয়া করে আপনাদের দুয়ারটি আমার জন্য খুলে দেবেন। ৭ জানুয়ারি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন সেই প্রত্যাশা রইল।'
আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে যোগ দেন।
বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ বাংলাদেশ মেনে নেবে না।
নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে, তাদের একদিন উপযুক্ত শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আর আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে কেউ আমাদের বিষয়ে নাক গলাতে এলে আমরা তা গ্রহণ করব না। অতীতে বাংলাদেশ এটা গ্রহণ করেনি।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা টুঙ্গিপাড়ায় নির্বাচনী জনসভা ও কোটালীপাড়ায় সমাবেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই শক্তিগুলো ব্যর্থ হয়েছিল।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের দেখাব যে আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিজয় অর্জন করতে পারি।’ ইনশাল্লাহ, দারিদ্র্যের হার আরও কমিয়ে ধনী দেশগুলোর চেয়ে কম শতাংশে নামিয়ে এনে বাংলাদেশকে গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বার্থে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য নতুন ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজ থেকে এসেছেন এবং যারা প্রথমবার ভোটার হয়েছেন, তাদের প্রথম ভোট নষ্ট করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি আরও বলেন, 'যারা নতুন ভোটার হবেন, তাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরও এগিয়ে যেতে, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে অগ্রগতির বর্তমান গতি বজায় রাখতে এবং আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল বিশ্বাস করে যুবশক্তি মানেই বাংলাদেশের অগ্রগতি।
তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা, প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি দক্ষ ও স্মার্ট যুব সমাজ গড়ে তুলব।’
বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা শুরু করা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: ড. মোমেন
তিনি বলেন, 'যারা জনগণকে পুড়িয়ে মারে, ক্ষতি করে বা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে তাদের যথাযথ শাস্তি দিন, আমি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান ও জায়গা থেকে তা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ভোট দেওয়া জনগণের অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই আজ ভোট ও খাদ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি আপনাদের সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে কেউ এ দেশ ও এ দেশের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ তন্ময় এমপি, শেখ জুয়েলের স্ত্রী শেখ শাহানা ইয়াসমিন চম্পা, আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ভণ্ডুল করতে সারা বিশ্বে টাকা বিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, যে বাংলাদেশকে মিসকিন আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ৭ জানুয়ারি ভোটের প্রয়োজন। কিন্তু যখনই ভোট হয় তখনই বিএনপি-জামায়াত ভোট থেকে সরে যায়। কারণ তারা দেশের মানুষের উন্নয়ন ও সুখ শান্তি চায় না। এখন তারা নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য সারা বিশ্বে টাকা বিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা বাজার মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি বেছে নেবে। যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কেউ অপরাধ করে, দেশের আইনে অবশ্যই তার বিচার হবে।
পরে তিনি ভোটারদের আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীককে জয়ী করার আহ্বান জানান।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এমজি হাক্কানিসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
বিএনপি মানুষ পোড়ায়, বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই তাদের: বরিশালে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে।’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রচার সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার পাশে ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুধু জনগণের কল্যাণের জন্য।
বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতি হচ্ছে মানুষ পোড়ানো উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ কি তাদের চায়? না, জনগণ তাদের চায় না।
তিনি বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য দেশের উন্নয়ন করি, তখন বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ করে।
এই প্রসঙ্গে তিনি ট্রেনে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগের হামলার কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, তারা একজন মা ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে।
তিনি ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করে বলেন, তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও একই কাজ করেছিল। এখন তারা আবারও অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি-জামায়াতের এসব কাজের নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মিত্র জামায়াত একাত্তরের গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ, মানুষ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
তাদের কয়েকজন নেতাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এক পক্ষ সন্ত্রাসী, খুনি, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী, অর্থ পাচারে জড়িত, এতিমের টাকা পাচারকারী এবং সব ধরনের অপকর্মে জড়িত; আর অন্যটি যুদ্ধাপরাধীদের।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ‘তারা এটা বানচাল করতে চায়, আমি আপনাদের অনুরোধ করছি আপনারা সবাই ৭ জানুয়ারি সকালে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনার প্রতীক কী হবে? তা হবে নৌকা।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে জনগণের সেবা করার জন্য শেখ হাসিনা আবারও জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেন কীভাবে মহানবী নূহ (আ.) এর নৌকা মহাপ্লাবনের সময় মানব জাতিকে রক্ষা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালে মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: ড. মোমেন
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন দুঃখজনক। তারা মনে করছে নির্বাচনে এলে তারা ভোট পাবে না। বিএনপি ভুল পথে চলছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন এসব কথা বলেন।
সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকালে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালান।
এরপর তেরো রতন ও গোটাটিকর শিল্প এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভোট চান।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশ, বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমরা এখন আত্মনির্ভরশীল। সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ আফগানিস্তান নয়, কাজেই দু-একটি দেশের হুমকি-ধমকিতে কোনো লাভ হবে না।
প্রচারের সময় ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, আফসর আহমদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাসুম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. আব্দুল ওয়াহিদ, মো. আবুর কামাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সাজেদা পারভীন, সৈয়দা রাবেয়া ইসলাম, সুলতানা বেগম, ওয়ার্ড সভাপতি জাভেদ আহমদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হোসেন আহমদ, তারেক আহমদ, সুয়েব আহমদসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'যেহেতু এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, তাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে হবে।’
বৃস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, নরসিংদী ও বান্দরবান জেলায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বিরোধী দল বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল এবং জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
কারচুপির আশঙ্কায় বিএনপি ও জামায়াত উভয়েই ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ ও ভোটাররা নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।’
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী দল বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না এবং দেশের কল্যাণে তারা কিছুই করতে পারে না।
তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি) মানুষ হত্যা ও দুর্নীতি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এবারের নির্বাচন (বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য) উন্মুক্ত করা হয়েছে, যাতে নৌকা প্রতীক ও অন্যান্য প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
তিনি বলেন, 'এখানে আমি আপনাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং নিজ নিজ প্রতীকে সমানভাবে ভোট চাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে।’
আরও পড়ুন: এখন ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: কাদের
গত বুধবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণার কথা উল্লেখ করে তিনি ইশতেহারে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা জনগণের সামনে তুলে ধরে দলের সদস্যদের ইশতেহার পাঠ করে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির কাজ শুধু আগুন দেওয়া এবং নির্বাচন বানচাল করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটি নির্বাচিত, গণতান্ত্রিক সরকার পরপর ক্ষমতায় থাকার পর থেকে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু বিগত সরকার দেশকে এক ধাপও এগিয়ে নিতে পারেনি, বরং দেশকে পেছনে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা আজ আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। শুধু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই তারা অগ্রগতির এই গতি ধরে রাখতে পারবে।’
আরও পড়ুন: ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত: আনিসুল হক
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দরিদ্রসহ এ দেশের সব মানুষের মুক্তি আসবে এবং এ দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি তার দলের সদস্যদের নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার চালানোর আহ্বান জানান, যাতে তারা আবারও তাদের সেবা করার সুযোগ দিতে পারেন।
শেরপুর শহীদ দারোগা আলী পৌর পার্ক, জামালপুর জিলা স্কুল মাঠ, কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম, নরসিংদী ক্লাব মাঠ, বান্দরবান রাজার মাঠ ও চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একযোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ছয়টি জেলা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তার দলের প্রার্থীদের জনগণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইসি: প্রত্যাশা তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইসি: প্রত্যাশা তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতা নজরে এনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা নেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি-জামায়াতের গণতন্ত্র ও নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার, অবরোধ-অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজান করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'নির্বাচনবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাব, নির্বাচন বর্জন করার জন্য এবং নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে লিফলেট বিতরণ ও মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা যে মিছিল করা হয়, এগুলো নজরে এনে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন: তিন কাঠা জমি থাকলেই কোটিপতি: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণাটি বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'কমিশন সারা দেশের বেশিরভাগ থানা পুলিশের ওসি বদলি করেছে, ইউএনও বদলি করেছে, ডিসি বদলি করেছে। অনেক প্রার্থীকে তারা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে তাদের দৃঢ়তা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে।’
হাছান বলেন, 'বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার যে আহ্বান জানাচ্ছে সে দিকে কারো কোনো সাড়া নেই। এখন তারা কী করে! লিফলেট বিতরণ করে। বিএনপি আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করতে চেয়েছিল, পারেনি। তাদের এই আগুনসন্ত্রাসের কারণে নির্বাচনের প্রচার ও আমেজেও কোনো ছেদ পড়েনি। মানুষ পুরোপুরিভাবে আজকে নির্বাচনমুখী।'
আরও পড়ুন: এখন ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: কাদের
তিনি বলেন, 'বিএনপি যাদের দুয়ারে দুয়ারে নির্বাচন বর্জন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার এ সমস্ত কথা বলে ধর্ণা দিত, তাদের দুয়ার বিএনপির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।’
হাছান বলেন, 'বিএনপির অনেক সমর্থক আজকে নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তৃণমূল বিএনপির মাধ্যমে, তারপর অন্য দলের মাধ্যমে বিএনপির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওআইসি ও সার্কভুক্ত দেশগুলো ও বিভিন্ন সংস্থা পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে, পাঠাচ্ছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এইচ এম মেহেদী হাসান, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন সরকার প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত: আনিসুল হক
ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত: আনিসুল হক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা্ করছে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মানুষ সব ক্ষমতার উৎস। গণতান্ত্রিক ধারায় ভোটাধিকারের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। অথচ একটি কুচক্রি মহল নির্বাচন বর্জন করে জনগণকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করছে। বিএনপি তাদের সময়ে নির্বাচন করত ভোটারবিহীন ভোটে। বিএনপি-জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতি বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চাঁনপুর খেলার মাঠে তার নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে তারা দেশকে কত ভালোবাসে। পরে তিনি সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মাশরাফির সমর্থকদের জরিমানা
নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজার নির্বাচনী প্রচারের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার ৪ সমর্থককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান এই জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মাশরাফির আয় গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে
তিনি জানান, নড়াইল-২ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে নিয়মিত প্রচারের অংশ হিসেবে বুধবার রাতে নগরীর হাতির বাগান এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, গাড়িতে নৌকা প্রতীকের স্টিকার লাগানোর দায়ে মাশরাফির চার সমর্থককে ৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তাদের এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান আনিসুর।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান মাশরাফির